যতটুকু বরাদ্দ পেয়েছি সবটুকু মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছি। নলকূপসহ নানা সরকারি সুবিধা পাইয়ে দিতে কারো কাছ থেকে কোন আর্থিক সুবিধা নেইনি। এটা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি। সাধ্যমত মানুষকে সহায়তা করেছি। একজন মানুষও অবহেলার শিকায় হননি। যতটুকু বরাদ্দ ছিল দিয়েছি, যাদের দিতে পারিনি মাথায় হাত দিয়ে স্বান্তনা দিয়ে বুঝিয়ে বলেছি। পরে বরাদ্দ পেলে আবার দিয়েছি।
শান্তা বলেন, গণতন্ত্র মুক্তির লড়াইয়ে আমার স্বামী মীর কাশেম জীবন উৎসর্গ করেছেন। ১৮ বছর আগে বিএনপি-জামায়তা জোটের সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনি শহীদ হন। তারপর থেকে একমাত্র ছেলের দিকে চেয়ে জীবন পার করছি। পড়াশোনার জন্য ছেলে দূরে থাকে। গত নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় পাঁচ বছর ধরে মানুষের সেবা করেই বেশ ভালো সময় কেটে যাচ্ছে। মানুষের সুখের জন্য, ভালো থাকার জন্য কাজ করার মধ্য দিয়েই নিজের সুখ খুঁজে পাই। একা মানুষ এতে নিজের একাকিত্ব ঘুচে যায়। প্রার্থী শান্তার জানান,-জীবনে আমার আর কোন চাওয়া পাওয়া নেই। বাকিটা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করতে চাই। আশা করি উপজেলার মানুষ আমায় আবারও বিজয়ী করবে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলায় মোট ১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করছেন। গতকাল রোববার যাচাই-শেষে একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন। তবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তাহমিনা আক্তার শান্তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য- তাহমিনা আক্তার শান্তার স্বামী মীর কাশেম আকন্দ ছিলেন মোহনগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেমে মোহনগঞ্জ শহরে বিএনপি নেতাকর্মীদের রামদার কুপে নিহত হন তিনি।