অজানা রাজ্জাক


১. কৈশোরে বেশ বাউন্ডুলে ছিলেন রাজ্জাক। বেশ কয়েকবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন। তবে শৈশবে ফুটবলে গোলকিপার হয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন।

২.কলকাতার বাড়িতে তার একটি চানাচুরের কারখানা ছিল। বেশ কষ্টেই তখন সংসার চলত রাজ্জাকের।

৩.স্ত্রী লক্ষ্মীর সঙ্গে যয়কর নায়ক হওয়ার আগেই সৌন্দর্যের কারণে রাজ্জাক ছিলেন পাড়ার মেয়েদের কাছে ‘হিরো’।

৪. কলকাতায় প্রথমদিকে শিলালিপি ও পঙ্কতিলক নামে দুটি ছবিতে অভিনয় করেন।

৫. ১৯৬৪ সালের দাঙ্গায় দুষ্কৃতকারীরা রাজ্জাকের নাকতলার বাড়ির দরজা- জানালা ভেঙে ফেলে। এরপর বড় ছেলে বাপ্পারাজকে নিয়ে শরণার্থী হয়ে সস্ত্রীক ঢাকায় চলে আসেন রাজ্জাক।

৬.বাংলাদেশের প্রথম ১০. অভিনেতা ও সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ- এর পরিচালক আবদুল জব্বার খানের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন রাজ্জাক।

৭. ষাটের দশকের ব্যস্ত রোমান্টিক নায়ক রহমান দুর্ঘটনায় পা হারানোর পর তখনকার রোমান্টিক নায়কের অভাব পূরণে রাজ্জাক ছিলেন প্রথম নায়ক।

৮. উর্দু চলচ্চিত্রের আধিপত্য থেকে বাংলা চলচ্চিত্রের অবস্থান তৈরি হয় রাজ্জাকের মাধ্যমে।

৯. বাংলাদেশি প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমেডি ছবি ১৩ নং ফেকু ওস্তাগার লেন-এ ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেন।

১০.পরিচালকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে তার আরো দুটি পরিচয় তিনি প্রযোজক ও পরিবেশক।

১১. চিত্রালী পত্রিকার সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরী তাকে নায়করাজ উপাধি দেন।

১২. রাজ্জাক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির উপস্থাপক হানিফ সংকেতকে প্রথমবার চলচ্চিত্রে আনেন চাপাডাঙ্গার বউ ছবিতে খল চরিত্রে

১৩. নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে বাংলা চলচ্চিত্রের ক্রান্তিলগ্নে রাজ্জাক ছিলেন বড় অভিভাবক। তার পরামর্শে ও পৃষ্ঠপোষকতায় বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র আবারো ঘুরে দাঁড়ায়।



সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ