নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কতিপয় ডাক্তাররা তাদের হাসপাতালের নিজস্ব প্যাথলজি বিভাগ থাকার পরও প্রায় তারা হাসপাতালে না করিয়ে তাদের মনোনীত ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ পাঠান। এতে করে রুগীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে এবং হাসপাতালের ল্যাবের আয় কমে যাচ্ছে।আমার প্রশ্ন কেন হাসপাতালে প্রায় সব চেষ্টা হলেও ডাক্তার কেন টেস্ট করতে রোগীকে বাহিরে ডায়াগনস্টিক সেন্টার পাঠায়। কতিপয় ডাক্তার তাদের মনোনীত ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ পাঠানো এখন রুটিনে দাঁড়িয়েছে। অন্য ডায়াগনস্টিক থেকে রিপোর্ট করালে তারা রিপোর্ট দেখতে চাননা বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হাফিজা নামে এক রোগী বলেন,আমি আঙ্গুলে একটু ব্যথা নিয়ে ডাক্তারের কাছে এসেছি গুরুতর ব্যথা না তবু ও দুটি টেস্ট লিখে দিয়েছে এবং বাহিরে থেকে করে নিয়ে আসতে বলেছে।আমি গরীব মানুষ ঠিক জানি না কত টাকা খরচ হবে। মজিবর রহমান নামে এক রোগী বলেন, আমি এসেছি উপজেলার শেষ ইউনিয়ন হাটকালুপাড়া ইউনিয়ন থেকে।পাঁচ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে হাঁটু ও মাজা ব্যথার কথা বলতেই এক্সরে সহ ২টি টেস্ট লিখে দিয়ে বলেছে এখানে করলে দেরি হবে বাহির থেকে করে নিয়ে আসেন।
খয়বর নামের আরো এক রোগী বলেন,আমি ডাক্তার দেখিয়ে টেস্ট করে এসে দেখি ডাক্তার নেই ডিউটির সময় নাকি পার হয়ে গেছে। রিপোর্ট নিয়ে গিয়ে ডাক্তার কে পাওয়া যায় না বলে পরের দিন আবার যেতে হয়। এতে করে আত্রাই আসা যাওয়া বাবদ টাকা এবং সময় দুইটাই চলে যায়। ডাক্তাররা ডায়াগনস্টিক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায় তারা হাসপাতালের রুগীদের কে তাদের সেন্টার মুখী করতে ব্যস্ত থাকেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রোকসানা হ্যাপির যোগাযোগ করলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।