কয়রায় অনৈতিক সম্পর্কের জেরে শিক্ষক যুগলের স্থায়ী বহিস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ খুলনার কয়রা  উপজেলার   সিদ্দিকিয়া বহুমুখী ফাজিল  (ডিগ্রি) মাদ্রাসার দুই শিক্ষক  অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শিক্ষক যুগলের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী, অভিভাবক এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। ঘটনার প্রতিবাদে আজ শনিবার (১১জানুয়ারী) দুপুর ১২ টায় কয়রা সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন ৪নং কয়রা লঞ্চঘাট বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  যেখানে স্থানীয় বাসিন্দা, ছাত্র অভিভাবক এবং মাদ্রসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। তারা ওই শিক্ষক যুগলকে অবিলম্বে স্থায়ী বহিষ্কার এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।

 জানা যায়, কয়রা সিদ্দীকিয়া বহুমুখি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার  শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সাথে একই মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষাকা  শিক্ষিকা  শিউলি আক্তারের সাথে দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। ইতিপূর্বে তাদের পরকীয়ার সম্পর্ক জানাজানি হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি  নিরসন করেন। তাদেরকে বারবার সতর্ক করার পরেও তারা সেটা ভ্রুক্ষেপ  করেনি।গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১০ টার দিকে কয়রার মদিনাবাদ  গ্রাম থেকে স্থানীয় কিছু যুবক ওই শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে শিক্ষিকা  শিউলির বাড়ির পেছনের বাগান থেকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে কয়রা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।পরে পুলিশ তাদের প্যানাল কোর্টে ২৯০ ধারায় কয়রা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে প্রেরন করলে  পরে  জামিনে মুক্তি পায় তারা। এসময় অভিযুক্ত শিক্ষক এবং শিক্ষিকার আপত্তিকর অবস্থায় আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।  ঘটনার বিষটি জানা জানি হলে ওই শিক্ষক যুগলকে সাময়িক বহিষ্কার করেন কতৃপক্ষ।
 
  জানা যায় শিক্ষক সাইফুল ইসলামের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে দৌলতপুর থানায়।২০২২ সালে কয়রা সিদ্দীকিয়া ফাজিল  মাদ্রাসায় সহকারি শিক্ষক(বাংলা) পদে  যোগদান করেন। সেই থেকে কয়রা সদরের একটা ভাড়া বাসায় থাকতেন  তিনি। মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত  বক্তব্য রাখেন মোঃ শরিফুল ইসলাম, আবু সাঈদ মোল্যা, আবুল কালাম সানা , মাওলানা শিহাব উদ্দিন, নুরুজ্জামান খোকা, আঃ মান্নান মল্লিক, আবুল হাসান নুরী শেখ, হাফেজ আবু হানিফ, মজিবার মৃধা প্রমুখ।  
   
 বক্তারা বলেন, সমাজ বিরোধী অনৈতিক  কার্যক্রমে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। শুধু সাময়িক বরখাস্ত নয়, তাদের স্থায়ী বহিস্কার করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুর্বেও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।  তাদের এ ধরনের কর্মকান্ডে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।  মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, "এ ধরনের শিক্ষকরা আমাদের শিক্ষা জীবনের আদর্শ নয়, বরং তারা আমাদের মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমরা চাই, দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।"

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক আবুল কালাম সানা তিনি  বলেন, "আমরা আমাদের সন্তানদেরকে শিখানোর জন্য শিক্ষককে বিশ্বাস করি। কিন্তু যদি শিক্ষকরা এমন আচরণ করেন, তাহলে আমাদের সন্তানরা কী শিখবে? তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানাই ।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ