শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

মোঃ শাকিল আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি): সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ এর  বিরুদ্ধে কয়েক লক্ষ্য  টাকা দূর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। জানা গেছে সে চৌহালী উপজেলায় যোগদান করার পর থেকেই শরীরিক অসুস্থতার কারণে বিভিন্ন সময় অফিস না করে তার ভাড়া বাসায় কিছু অসাধু শিক্ষকদের মাধ্যমে সকল ফাইল স্বাক্ষর করে থাকেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা বলেন, ক্ষুদ্র মেরামত, রুটিন মেইনটেইন থেকে শুরু করে সকল উন্নয়ন মূলক কাজে আমাদের স্যার টাকা ছাড়া ফাইল স্বাক্ষর করেন না। আরও জানা যায় তার চাকরি শেষ পর্যায়ে রয়েছে তাই তিনি আরও বেশি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে । শিক্ষা অফিসার কোন স্কুলে পরিদর্শনে গেলে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে টাকা নিতো এবং দুপুরে তার স্কুলে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করতে তিনি নির্দেশ দিতেন। সাম্প্রতিক শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ নিজের একটি টি এ, বিল সাব মিট করেন তাতে অনুসন্ধান করে দেখা যায় সে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে না গিয়েও নামে বেনামে টিএ বিল জমা দিয়েছে।  একাধিক লক্ষ টাকার টিএ বিল উপজেলা এজি অফিসে জমা পরে আছে। আরও জানা যায় শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ ও এটিও শাহজাহান দুইজন অবসরে চলে যাবেন তাই শেষ মুহূর্তে অর্থ বাণিজ্যর পাহাড় বানিয়েছেন চৌহালী প্রাথমিক  শিক্ষা অফিসকে।

সরকারের শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প ক্ষুদ্র মেরামতসহ বহু প্রকল্প আছে কাজ নেই, শিক্ষক আছে উপস্থিত নেই, ছাত্র ছাত্রী আছে কাগজ কলমে বাস্তবে নেই, স্লিপ কমিটির অর্থ আছে কাজ নেই, ভুয়া কাগজপত্র ও বিল বাউচার বানিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেক পাস হয় অর্থের বিনিময়ে অভিযোগ শিক্ষকদের। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এটিও শাহজাহান ৭৯টি প্রাইমারি স্কুলের সভাপতি। রেহাই আরমাশুকা সপ্রবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধ অভিযোগ তদন্ত চলাকালিন সময়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নি শিক্ষক তেমনি দায়সারা জবাব এটিও শাহজাহানের। অর্থের বিনিময়ে প্রতিবন্ধি শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান ক্লাস্টার, এ বিষয়ে টাকার বিনিময়ে শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ  নিরব। শিক্ষা অফিস ম্যানেজ করেই চলছে শিক্ষা দালালি আর এর বাহক হিসেবে কাজ করেন শিক্ষক মশিউর রহমান । অনেক শিক্ষক ক্লাস চলাকালীন সময়ে স্কুলে না গিয়ে উপজেলা সদরে এসে বিভিন্ন অফিসের দালালী করে থাকে এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসার কে প্রশ্ন করলে তিনি সঠিক কোন উত্তর দিতে পারে নি।এবিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ  বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ তাই নিয়মিত কোন স্কুলের খোঁজ খবর রাখতে পারিনি তবে চেষ্টা করেছি। এখন আমি অবসরে চলে যাবো আপনারা আমার বিরুদ্ধে কোন কিছু না লেখলে খুশি হবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ