পালন আর উদযাপন পার্থক্য আছে। কোনো কিছু পালন পক্ষে বিপক্ষে দুই ভাবেই হতে পারে। পালন শোক হিসেবেও হতে পারে। উদযাপন এর বিপরীত।শোক উদযাপন হয় না, পালন হয়। প্রতিবাদ হিসেবেও অনেক দিবস উপলক্ষ পালন হয়। আমরা মুসলিম মিল্লাত ২৩ সেপ্টেম্বর কেবলাভূমিকে অবৈধ “সৌদি আরব” নামকরণ ও সৌদি গোত্রবাদি ওহাবিবাদি মুলুকিয়তের প্রতিষ্ঠা দিবসকে প্রতিবাদ হিসেবে ও উদ্ধারের লক্ষ্যে আঁধার দিবস ইয়াওমে জুলুমাত ডার্ক ডে হিসেবে পালন করি, আর বাতিলরা বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করে।যে কোনো নতুন সূচনা ও উপলক্ষ দোয়া, এস্তেগফার, নফল নামাজ, সালাতু সালাম ও রহমত কামনা করে পালন করা যায়।
তবে ইসলাম কোনো বর্ষ ভিত্তিক নয়, বর্ষ পরিক্রমা প্রাকৃতিক। সব দিন মাস বছর পরিক্রমা সব মানুষের জন্যই আল্লাহতাআলার প্রাকৃতিক দান। ইসলামকে কেবল চন্দ্র বর্ষ ভিত্তিক দেখানোর চেষ্টাও ইসলামের বিরুদ্ধ একটা হীন চক্রান্ত। মহররম দোয়ার সাথে শাহাদাতে কারবালার আমানত রক্ষা ও লক্ষ্য বাস্তবায়নের প্রস্তুতি হিসেবে পালন করা যায়। বিগত বছরের জন্য ক্ষমা চাওয়া ও আসন্ন বছরের জন্য রহমত হেফাজত রিজিক সুস্থতা সালামাত কামনা করে, বলা মুসিবত থেকে পানাহ চেয়ে, সারা বছর নিরাপদে হকের জন্য কাজের তৌফিক কামনা করে দোয়া সালাতু সালাম মুনাজাতের মাধ্যমে মহররম এবং যে কোনো বছর মাস দিন শুরু করা যায়।
ঈমানী হৃদয়ে শাহাদাতে কারবালার অনন্ত মহা কষ্ট ও অসীম বেদনার মহররম আনন্দ উৎসব হিসবে পালন ঈমানের খেলাফ বাতিলের চরিত্র। খারেজি বাতিলরা মহান শাহাদাতে কারবালার শোক- শিক্ষা- চেতনা ও লক্ষ্য আড়াল করে দ্বীন মিল্লাতকে ধ্বংস করার জন্য বিভ্রান্তির হাতিয়ার হিসেবে পহেলা মহররম আনন্দ উৎসব হিসেবে উদযাপন করার ধৃষ্টতা করে। মনে রাখতে হবে, যত ঐতিহাসিক ঘটনাই থাক মহররমের মূল ঈমানী বিষয় কেবলমাত্র কারবালার মহান শাহাদাত। বর্ষ পরিক্রমা ঈমানী বিষয় নয়, প্রাকৃতিক সাধারণ বিষয়; কিন্তু শাহাদাতে কারবালা ঈমান- দ্বীন- মিল্লাত- মানবতার দোজাহানের অস্তিত্বের মহা জরুরী বিষয়।
লেখক : আল্লামা ইমাম হায়াত প্রতিষ্ঠাতা: বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন, প্রবর্তক : বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব