মোল্যা আব্দুস সাত্তার কেশবপুর যশোর: মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি সাগরদাঁড়িতে কপোতাক্ষ তীরে বিদায়ঘাট খ্যাত স্থানের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ভেতরের কসাইখানাটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন মধুভক্তরা। এতে মধুপল্লীর সৌন্দর্য বিলীন হচ্ছে। জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি সাগরদাঁড়ির কপোতাক্ষ নদ তীরের বিদায়ঘাট খ্যাত স্থানের সৌন্দর্যবর্ধনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কেশবপুর উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় প্রকল্পটি দেখভাল করছেন। কিন্তু কোথাও এ প্রকল্পের নেই কোনো সাইন বোর্ড। এর ওয়ার্ক অর্ডারও সকলের অজানা। ফলে ঠিকাদার তার ইচ্ছামত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কপোতাক্ষ নদের দু'পারে পানির স্তর থেকে টাইলসের রাস্তাসহ সীড়ি নির্মাণ, ভ্রমণপিপাসুদের চিত্ত বিনোদনে গোলঘর, ৩/৪ জনের বসার চেয়ার, নানাবিধ জীব জানোয়ার ও পশু-পাখির মূর্তিসহ হরেক রকম বিনোদনের সাজসজ্জা নির্মাণে ওই বরাদ্দ দেয়া হয়। এ প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ প্রায় সম্পন্নের পথে। সংশ্লিষ্ট সাব ঠিকাদার মতিয়ার রহমান কপোতাক্ষ নদের পূর্বতীরে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত একটি অস্বাস্থ্যকর দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী পশু জবাইয়ের কসাইখানা রেখেই প্রকল্পের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে এ প্রকল্পের আসল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হচ্ছে।
কেশবপুরে কসাইখানাটি দ্রুত অপসারণের দাবি
স্থানীয়দের অভিযোগ, কসাইখানাটি অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় থাকে বলে সবসময় দুর্গন্ধ ছড়াই। জবাই করা গরু, ছাগলের নাড়ি-ভুড়ি, রক্ত পঁচাসহ বর্জ্যরে দুর্গন্ধে এর আশপাশে মানুষজন চলাচল করতে পারে না। সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের মাঝখানে কসাইখানা থাকলে পর্যটকদের যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। তাই মধুভক্তরা অপরিকল্পিত কসাইখানাটি অপসারণ করে সিডিউল অনুযায়ী সোজাসুজি উন্মুক্ত রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কেশবপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদারের কাছে এ প্রকল্পের তথ্য চাইতে গেলে তিনি বলেন, ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের অনুমোতি ছাড়া তথ্য দেয়া যাবে না। আপনারা যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডে যোগাযোগ করেন। অনুমতি পেলে তথ্য দেয়া হবে।