আমি :তর একটা পিক দে তো দুস্ত।
তামান্না:আচ্ছা দিচ্ছি দেখ।
আমি :হুম পেয়েছি পিক।
তামান্না :ওহ আচ্ছা.
আমি :মেয়েটা কে ?
তামান্না:কোন মেয়েটা?
আমি :আরে পিকে যে তর সাথে ওই মেয়েটা। কে এই মেয়ে?
তামান্না:আরে ও তো আমার ফ্রেন্ড ।
আমি :ওহ আচ্ছা। তাহলে তো ভালোই হলো .
তামান্না: তাহলে ভালো হলো মানে ?কি বুঝতাছে চাচ্ছিস তুই?
আমি : আরে কিছুনা বাদ দে তো। ওই আরেকটা কথা বলতো. ?
তামান্না:কি কথা বল
আমি:ওই মেয়ের নাম কি রে? আর ওই মেয়ে কি ফেসবুক চালাই?ওর কি ফেইসবুক আইডি আছে?
তামান্না:তুই এসব জানতে চাচ্ছিস কেনো?
আমি:আরে বল না দুস্ত প্লিজ।
তামান্না:আচ্ছা ঠিক আছে ।
নাম হলো সাইমা। আর সে ফেসবুক চালাই ,এবং আইডি ও আছে।
আমি:দুস্ত ওর আইডির লিংকটা দে না পিল্জ.
তামান্না:আমি বুঝতেছি না তুই এসব দিয়ে কি করবি?
আমি:আরে তুই দে ধরকার আছে।
তামান্না!ওকে নে,এইযে লিংক ........
আমি:ধন্যাবাদ বন্ধু। এখন বাই। পরে কথা হবে।
তামান্না!ওকে বাই। আল্লাহ হাফেজ।
.
.
.
তারপর আমি তামান্নার দেওয়া আইডির লিংকে ডুকে তার আইডি তে গিয়ে সাইমা কে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দিলাম। ফেন্ড রিকুয়েস্ট দেওয়ার সাথে সাথেই রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে ফেললো সাইমা । রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করার নোটিফিকেশন পেয়ে আমি খুশি তে একটা লুঙি ডান্স দিলাম. !ও আপনাদের তো বলায় হয়নি ,ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করার জন্য কেনো খুশি হলাম। আর এতক্ষন কেনই বা তামান্নার কাছ থেকে সাইমার সম্পর্কে এত কিছু জানলাম। এতকিছু জানার পরিচয় আর আইডি চাওয়ার কারন হলো, আমি তামান্নার সাথে সাইমার পিক দেখেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। যাকে বলে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যাওয়া। আহ কি সুন্দর মায়াবী চোখ, প্রেমে পরার জন্য এই মায়াবী দুটো চোখ ই যথেষ্ট।
আচ্ছা যাই হোক, তারপর,। আমি সাইমাকে একটা মেসেজ দিলাম। মেসেজ টা হলো, আমি কি আপনার সাথে পরিচিত হতে পারি?
মেসেজ টা দেওয়ার সাথে সাথেই মেসেজটা সিন করে রিপলে দিলো সাইমা।
হুম অবশ্যাই, পরিচিত হওয়া যাবে ।
তারপর আমি আবার মেসেজ দিলাম। আপনার নাম কি ?নাম তো আমি জানিই তবু প্রশ্ন করলাম তাকে।বাসা কোথায়? কোন ক্লাসে পড়ে? একসাথে এতগুলো প্রশ্ন করেই ফেললাম মেসেজে। তারপর সাইমা মেসেজ এর রিপলে দিলে, আমি সাইমা আমিন। বাসা :ময়মনসিংহ। আর আমি এবার নবম শ্রেনীতে পড়ি। এবং আমায় আবার উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিলো, আপনার নাম কি? বাসা কোথায়?আর কোন ক্লাসে পড়েন? ।
তারপর আমি ,সাইমার মেসেজের রিপলে দিলাম। আমি মো:বকুল হাসান। বাসা:ফুলপুর। আর এবার এসএসসি পরিক্ষায় দিয়ে পাশ করেছি, কলেজে ভর্তি হবার অপেক্ষায় রয়েছি।
অতপর,সাইমা মেসেজ দিলো ওহ আচ্ছা গুড।
আমি আবার তারপর সাইমাকে মেসেজ দিয়ে বললাম, আপনার নামটা কিন্তু অনেক সুন্দর।
সে রিপলে দিলো, ওহ ধন্যাবাদ।
তারপর আমি তাকে মেসেজ দিলাম আচ্ছা এখন এখন বাই ,পরে কথা হবে।
সে মেসেজ দিলো, ওকে ঠিক আছে। টাটা বাই বাই ভালো থাকবেন।
অতপর আমি আর মেসেজ টা সিন না করে ডাটা টা অফ করে রেখে দিয়ে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে চলে গেলাম। আড্ডা দেওয়া শেষ করে, বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে ,বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে ডাটা টা চালু করলাম। ডাটা টা চালু করে মেসেন্জারে ঢুকতেই প্রথম মেসেজ টা দেখে আমি অভাগ হয়ে গেলাম। কারণ :মেসেজ টা দিয়েছে সাইমা। আর মেসেজ টা হলো, এইযে মিস্টার বকুল সাহেব। কি করেন?
আমি রিপলে দিলাম,তেমন কিছু করি না ভাবতেছি একজন কে নিয়ে। আপনি করেন ?
সাইমা রিপলে দিলো, শুয়ে আছি। আর কাকে নিয়ে ভাবতেছেন তা কি জানা যাবে?
আমি :হুম সময় হলে জানতে পারবেন।বাসার সবাই কেমন আছে?
সাইমা:ওহ আচ্ছা। আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছে। আপনার?
আমি:হুম আলহামদুলিল্লাহ।
সাইমা :গুড
আমি :একটা প্রশ্ন করতে পারি আপনাকে?
সাইমা:হুম করেন।
আমি:আপনার কোনো বয়ফ্রেন্ডকে আছে???
সাইমা :না আমার কোনো বয়ফ্রেন্ডকে নেই।
আমি:আচ্ছা আমরা কি আপনি থেকে তুমি হতে পারি না??
সাইমা :হুম অবশ্যাই।
**** **
আর এভাবেই প্রতিদিন কথা বলতে বলতে আমাদের একটা ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়ে গেলো।আর নাম্বার ও আদান প্রধান করা হয়েছে, এবং পিক ও আদান প্রধান করা হয়েছে। প্রতিদিন ই তার সাথে কথা হতো ।আমি তাকে খুব কেয়ার করতাম। সেও আমার সবসময় খোজখবর রাখতো, ।
.
.
কিন্তু, হঠাত একদিন তাকে একটা মেসেজ দেই ,আর সে সেই মেসেজ টা দেখে অভাগ হয়ে গেছিলো। মেসেজ ছিল, আমি কি তোমার জীবনসঙ্গী হতে পারি?আমি কি তোমাকে নিয়ে পরন্ত সন্ধ্যায় সূর্য অস্ত যাওয়া দেখার সঙ্গী হতে পারি?
সাইমা মেসেজ টা সিন করে রেখে দিয়েছে ,রিপলে দিচ্ছে না।কয়েক মিনিট হয়ে গেছে তবু রিপলে দিচ্ছে না আর এই দিকে, আমার ভিতরটা ছটফট করতেছে, কেমন জানি অস্বস্তি লাগতেছে,।অস্বস্তির মাঝেও আরো একটা মেসেজ দিলাম ,মেসেজ টা হলো, কি হলো রিপলে দিচ্ছো না কেনো?
এই মেসেজ টা দেওয়ার পর সিন করলো তবে এখনো রিপলে দিচ্ছে না, প্রায় মিনিট খানেক পর টুং করে একটা মেসেজ আসলো, মেসেজা টার শব্দটা পাওয়ার সাথে সাথে বুকটা আমার ধরপরিয়ে উঠলো, মেসেজ টা পড়ে আমি অবাক হয়ে গেছি, মেসেজ টা হলো ....,,
হুম বকুল আমি তোমার জীবনসঙ্গিনী হতে রাজি। আমি তোমার স্বপ্নের রানী হতে পারি রাজি। আমি তোমার সন্ধ্য বেলার সূর্য দেখার সাথী হতে রাজি।ভালোবাসি তোমাকে। বড্ড ভালোবাসি।
আমি মেসেজের রিপলে টা দেখে কতটা খুশি হয়ে ছিলাম তা আপনাদের বুঝাতে পারবো না। তারপর আমি ও মেসেজটার রিপলে দিলাম, ভালোবাসি খুব বেশি ভালোবাসি তোমাকে!
অতপর→ আমাদের ভালোবাসা শুরু হয়ে গেলো। আমরা দুইজন এক হয়ে গেলাম !
বিশেষ দ্রষ্টব্য :নতুন লিখতে শুরু করেছি, তাই স্বাভাবিক ভুল হতেই পারে।এবং গল্পটা কিন্তু অর্ধেক সত্যি কাহিনি আর অর্ধেকটা বানোয়াট। আশা করি আপনারা ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন। আর গঠনমূলক মন্তব্য করবেন!