পটিয়ার কাঞ্চন নগর চা বাগানের পাহাড় কাটার মহোৎসব, ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ !

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ চট্টগ্রামের পটিয়ার লট শ্রীমাই কাঞ্চন নগর চা বাগানের রাত- দিন  পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। এতে পরিবেশ ভারসাম্য হারাচ্ছে। এসব মাটি কেটে সাবাড় করছে  উত্তর কাঞ্চন নগর  ভূমিদস্যু  মাটি ব্যবসায়ীরা  শহিদুল ইসলাম ,এরশাদ,  রিদওয়ান মাহমুদ কফিল, তারা একটি সিন্ডিকেট গঠন করে স্কেবেটর দিয়ে এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কাটার ধুম পড়েছে।পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের কর্তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্য চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। এতে করে একদিকে পরিবেশ হারাচ্ছে তার প্রাকৃতিক ভারসাম্য। অন্যদিকে পাহাড়ে বসবাসরত প্রাণীকুল হারাচ্ছে নিরাপদ আবাসস্থল। তবে এ ব্যাপারে কোন প্রকার কার্যকারী পদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রশাসন। তাদের নির্বিকার ভুমিকা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে স্থানীয়দের মনে।  বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত কয়েকমাস যাবৎ এলাকার বেশ কিছু প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে পাহাড় কাটার একটি সিন্ডিকেট চক্র স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে বিভিন্ন এলাকার ছোট বড় পাহাড় ও টিলা কাটা। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অন্তত ১৫-২০টি ট্রলি গাড়িতে করে পাহাড়ের মাটি বিক্রি করছে সিন্ডিকেট চক্রটি। প্রায় ৪৫ ফুট ধারণকৃত প্রতি ট্রলি পাহাড়ি মাটি ৮০০-১০০০ টাকা হারে বিক্রি করে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক বনে যাচ্ছে চক্রটি। চক্রটি এ পর্যন্ত ৪-৫টি ৬০-৭০ ফুট উঁচু পাহাড় কেটে সাবাড় করেছে। পাহাড় কেটে সমতল করে ফেলে। এতে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় প্রবল বর্ষনে পাহাড় গুলো ধসে যে কোন মুর্হুতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কাঞ্চন নগর  এলাকার  বসবাসরত কয়েক জন প্রবীন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, এক সময় কাাঞন  নগর চা বাগান এলাকায় পাহাড়ের অন্যতম সৌন্দর্য ছিল হরিণ, বাঘ, ভালুকসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। অনেকেই এ পাহাড় বেষ্টিত এলাকাটিকে বনভোজনের উপযুক্ত স্থান হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু অবৈধভাবে পাহাড় কাটার ফলে ওই এলাকার পরিবেশ হারাচ্ছে তার প্রাকৃতিক ভারসাম্য। এছাড়া পাহাড় উজাড় হওয়া কারণে পাহাড়ে বসবাসরত প্রাণীকূল হারাচ্ছে তাদের নিরাপদ আবাসস্থল। এতে করে পাহাড়ের অন্যতম সৌন্দর্য বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীগুলোকে এখন আর দেখা যায় না বলে স্পটটি হারাতে বসেছে তার অতীত ঐতিহ্য। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কাঞ্চন নগর চা বাগান পাহাড়  কেটে সমতল করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার লোকজনের কাছে সরকারি এই পাহাড় বিক্রি করে টাকার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাহাড়।কেটে সমতল করে প্লট বিক্রি করে আরেকটি প্রভাবশালী চক্র রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।এসব এলাকার পাহাড়ি এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে এই পাহাড় কাটার উৎসব। পাহাড়ের মাঠি দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভরাট করা হচ্ছে ছোট বড় পুকুর ও জলাশয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড় কর্তনের কোন অভিযোগ আমরা এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে

 কাঞ্চন নগর চা বাগানের  লড শ্রীমাই  পাহাড় কাটার দৃশ্যমান শহিদুল ইসলাম এরশাদ মিয়া, রিদওয়ান মাহমুদ কফিল সিন্ডিকেট গঠন করে পাহাড় কেটে সাবাড় করছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ লোক মান ও দিদারুল আলম জানান, এ-সব পাহাড় কেটে সাবাড় করছে 
পটিয়ার কাঞ্চন নগর  চা বাগানের জায়গা ও লড শ্রীমাই রাতের আধারে পাহাড় কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিছু অসাধু ভূমিদস্যু ব্যবসায়ীরা তাদের নাম হচ্ছে  শহিদুল ইসলাম পিতা জাফর আহমদ প্রকাশ গুজা জাফর,  এরশাদ মিয়া পিতা খাইর আহমদ মৃত,  রিদওয়ান মাহমুদ কফিল পিতা আব্দুল খালেক গ্রাম উত্তর কাঞ্চননগর চন্দনাইশের তাদের ভয়ে এলাকার লোকজন মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। তাদের বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে সব অপরাধ কর্মকান্ড হয় বলে জানান। বিষয়টি জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ্ব শামসুল হক চৌধুরী ও ছন্দনাইশ আসনের এমপি আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সুদৃষ্টি কামনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ