কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ চিলমারীকে নিয়ে উন্নয়নের ভাবনা থাকলেও তা যেন এখন উল্টো হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাসের পর মাস কেটে যাচ্ছে তবুও দেখা নেই ট্রেনের। আছে লাইন, আছে স্টেশন, যাত্রীরা আছে অপেক্ষায় কিন্তু বছর গেলেও আসছে না ট্রেন। তালাবদ্ধ রয়েছে অফিস, তুলে নেয়া হয়েছে জনবল। ফলে নষ্ট হওয়ার পথে লাখ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ। এ যেন নজরে পড়ছে না কর্তৃপক্ষের। নানা অজুহাতে চিলমারী-পার্বতীপুর রেলপথে ট্রেনটি রয়েছে বন্ধ। স্বল্প ভাড়ায় সহজেই ট্রেনে চিলমারীর রমনা থেকে পাবর্তীপুর ও পার্বতীপুর থেকে চিলমারীর রমনা যাতায়াত করতে সুবিধা হতো সাধারণ যাত্রীদের।
সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হাজার হাজার যাত্রী। জানা গেছে, চিলমারী নদীবন্দর ও হরিপুর তিস্তা সেতু চালুর অগ্রগতি হলেও বন্ধ হয়ে আছে যাতায়াতের ভরসার ট্রেনটি। ফলে জনসাধারণের মাঝে বাড়ছে হতাশা। উপজেলায় দু'টি রেল স্টেশন বালাবাড়ি ও রমনা নামে স্টেশনটির এক সময় বেশ জৌলুস থাকলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর নজরদারির অভাবে তা নষ্টের পথে। প্রায় ১ বছর থেকে ট্রেনটি বন্ধ থাকায় রেলপথে যাতায়াতকারী জেলার চিলমারী, উলিপুর, রৌমারী, রাজিবপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এছাড়াও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বেশি ক্ষতিগ্রস্তের শিকার এই অঞ্চলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা, বেকার হয়ে পড়েছেন অনেকেই। মানবেতর জীবনযাপন করছেন কুলি, শ্রমিক ও তাদের পরিবার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ২৩শে মার্চ চিলমারীর রমনা থেকে পার্বতীপুরের ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। এখনো বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। কবে থেকে আবার নিয়মিতভাবে চিলমারী-পার্বতীপুর পথে ট্রেন চালু করা হবে এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগরা কেউই পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারছেন না। এদিকে বন্ধ থাকায় স্টেশনের বিভিন্ন মালামালসহ অফিসের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেন এলাকাবাসী। এ বিষয় নাম না জানা শর্তে রেল সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, কিছুদিন আগে রেল চেয়ারম্যান পরিদর্শনে এলেও কৌশলে তাকে চিলমারী আসতে দেয়া হয়নি। এবং চিলমারীতে দায়িত্বে থাকা বুকিং সহকারী ও পোর্ডারদেরও সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কথা হলে বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ড্রাইভার, ইঞ্জিন স্বল্পতা ও স্টেশন মাস্টার না থাকার কারণে ট্রেনটি বন্ধ রয়েছে।