আহসান উল্লাহ বাবলু , আশাশুনি সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের বয়ারসিং গ্রামে সংখ্যালঘু পরিবারকে জিম্মি করে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংখ্যালঘু নির্যাতন কারী সাদ্দাম বাহিনীর প্রধান ও সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মামুন হত্যার অন্যতম আসামী জামায়াতের ক্যাডার মােস্তফা মন্টুর নির্দেশে চলছে জমি ও মৎস্যঘের দখল এবং অমানবিক নির্যাতন। এমন অত্যাচারে সংখ্যালঘু পরিবারটি এ বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারটি জানিয়েছেন তারা সন্ধ্যার পর থেকে পরের দিন সূর্য না উঠা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হতে পারে না। এ ঘটনায় বয়ারসিং গ্রামের প্রফুল্ল মন্ডলের ছেলে চিত্যরঞ্জন আশাশুনি থানায় একটি লিখিত অভিযােগ দায়ের করেছে। সরেজমিনে ও অভিযােগ সূত্রে জানা যায় শ্রীউলা গ্রামের মৃত ফজলু সরদারের ছেলে কুখ্যাত শিবির ক্যাডার ও সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মামুন হত্যা সহ একাধিক হামলা মামলার আসামী মােস্তফা আলম এবং মটু সরদার শ্রীউলা মৌজার এস.এ ২৭১ সহ অন্যান্য খতিয়ান মিলে ৫২ একর ৪৭ শতক জমির মধ্য অল্প জমি ক্রয় করে পেশি শক্তি ও নানারকম ভাই ভীতি দেখিয়ে তার চেয়ে বেশি জমি জবর দখল করছে। এলাকাশ হামলা মামলা জীবন নাশের হুমকি ভয়ভীতি এ বাহিনীর নিত্যদিনের কাজ। এছাড়া এস এ রকর্ডীয় মালিক প্রফুল্লু মন্ডলের ওয়ারেশ চিত্যরঞ্জন মন্ডলসহ অন্যান্য শরিকগণ ৯ একর জমিতে দীর্ঘ ২৫ থেকে ৩০ বছর ধান্য ও মৎস্য ঘের করে আসছে।গত ০৬ মার্চ বসাবসির দিন ধার্য থাকায় চিত্তরঞ্জন সহ অন্যান্যরা আশাশুনি থানায় হাজির হয়। ঐ দিন বিকালে মটু ও তার পুত্র চিত্যরঞ্জনের ১১ বিঘা জমির একটি মৎস্য ঘেরে জাের পূর্বক কাজ করতে থাকে। চিত্যরঞ্জন বাড়িত না থাকায় তার স্ত্রীসহ অন্যান্য শরিকের লােকজন তাদের কাজে বাধা দিলে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। রাতে সাদ্দাম বাহিনীর একটি দল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চিত্যরঞ্জনের মৎস্য ঘের সহ বাড়ির চারপাশে পায়চারি করতে থাকে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সংখ্যালঘু পরিবারটি সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে জিম্মি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় দিনযাপন করছে বলে তারা বলেন। এমতাবস্তায় সংখ্যালঘু পরিবারটি সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ও তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষার্থে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।