মুসলিম উম্মাহর কাছে খোলা চিঠি

বর্তমান পরিস্থিতি নাটকের চেয়ে ও নাটকীয়।লকডাউন দিয়ে আর কতো নাটক করবেন।এবার লকডাউন বন্ধ করুন নাটক বাঁধ দেন। রাস্তা ঘাট, মার্কেট,বাস স্টেশন,সিএনজি স্টেশন,গণভবন, দলীয় কার্যালয়,রেস্টুরেন্টে,খেলার মাঠ,বাজার, দোকান পাট,কোথাও লকডাউন এর নিয়ম কানুন মানুষ মানছে না।শুধু মসজিদ,মাদ্রাসা,স্কুল,কলেজে
লকডাউন। করোনা ভাইরাসের নাম ধরে আর কতো নাটক করবেন।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে বই মেলা খোলা,অফিস,কলকারখানা, ফ্যাক্টরী,সহ হরেক রকমের কর্মসংস্থান খোলা।
লকডাউনের নামে শুধু মসজিদ,মাদ্রাসা সহ দেশের প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ।এই ধরনের নাটকীয় লকডাউন দেওয়ার কি প্রয়োজন, এইসব উদ্ভট সিদ্ধান্ত গুলো করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের নামে দেশের জনসাধারণের সাথে এক ধরনের রহস্য করা।

আমাদের দাবী দেশের সকল সরকারী চাকুরীজীবীদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে লকডাউন ঘোষনা দেন,তখনই বুঝবো কতজন দেশপ্রেমিক আছে লকডাউনের পক্ষে।আমরা এখন আর বোকার স্বর্গে বসবাস করছি না। আমরা বুঝি আপনারা কার প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করার নিমিত্তে মাদ্রাসা,স্কুল-কলেজ শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে এবং পবিত্র মাহে রমজান মাসে ধর্ম প্রাণ মুসলমানদেরকে মসজিদ থেকে দূরে রাখতেই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের নামে নাটক শুরু করে লকডাউন ঘোষণা দিয়েছেন।আপনাদের চুলকানি আমরা এখন বুঝি।বই মেলা খোলা,ব্যাংক খোলা।চুলকানি শুধু মাদ্রাসা,মসজিদ, স্কুল-কলেজ নিয়ে।

লকডাউন করে গত বছরের খতমে তারাবী পড়তে দেওয়া হয়নি।বাংলাদেশে প্রায় সকল মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ রাখবেন না।আর বরদাস্ত হচ্ছে না।
খেয়াল করে দেখলাম কিছু দিন ধরে মাদ্রাসা খোলা মাদ্রাসার ছাত্র সবগুলো একসাথে একই জায়গায় বসে কোরআন হেফজ করছে, এবং খাবারের সময় একসাথে তিন থেকে চার জন মিলে একটি প্লেটে খাবার খেল।আমার মনে হয়েছিল করোনা ভাইরাস হওয়া কথা ছিল তাদের। তাঁরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শতশত ছাত্র প্রতিদিন মরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা মরে যায় নি।এখন পর্যন্ত শুনলাম না কোন মাদ্রাসায় একটা ছাত্র ও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মরতে।আসল কথা হলো এটা কোন করোনা ভাইরাস নয়।এটা  মহান আল্লাহ পাকের নিকট থেকে পাঠানো আজব।
এই আজাবে কাফের মুশরিক মুনাফিক মুসলিম সবাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু কাফের, মুশরিক,মুনাফিকদের জন্য আজাব, মুসলিমদের জন্য পরীক্ষা।
সুতরাং:-করোনা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ রাখবেন না।বছরে একটি মাস ত্রিশ দিন মাহে রমজান।এই মাস কুরআন নাজিলের মাস।এই মাস ইবাদতের মাস।তাই করোনা ভাইরাসের দোহায় দিয়ে এই মাসে মসজিদ,মাদ্রাসা বন্ধ করবেন না।আমাদের কাছ থেকে একটা ইবাদতের মাস চলে যাবে এটা আমরা চাই না।করোনা ভাইরাসের নামে মসজিদ মাদ্রাসা কে বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।ওদের মূল টার্গেট হলো ইসলাম ধর্মকে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা।এটা হচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষীদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদ।এই চক্রান্তের ফাঁদে পা দিবেন না।কারণ মার্কেট,গার্মেন্টস,রাস্তা ঘাট,খেলার মাঠ, দোকানপাট কোথাও করোনা আছে বলে কিছু ইসলাম বিদ্বেষী মিডিয়া বিশ্বাস করে না।তাদের মতে করোনা ভাইরাস আছে শুধু মসজিদ,মাদ্রাসা আর জানাজায়।

তাই আমার বলবো খেলার মাঠ,রাস্তা ঘাট, মার্কেট,বাস স্টেশন,সিএনজি স্টেশন,গণভবন, দলীয় কার্যালয়,রেস্টুরেন্টে,বাজার হাট,দোকান পাট, খোলা রাখলে।অবশ্যই মসজিদ,মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে হবে। তাই আমি বলবো মসজিদ,মাদ্রাসার কমিটি সভাপতি,সেক্রেটারি,সদস্য বিন্দ।আপনারা একটু শক্ত হোন।শক্ত হাতে বৈঠা ধরুন। যতই বাধা আসুক না কেন মসজিদ,মাদ্রাসা বন্ধ করা যাবে না।মসজিদে তারাবির নামাজ হবে,মাদ্রাসায় পড়াশোনা হবে।এই শপথ নিন।ইসলাম বিদ্বেষী ষড়যন্ত্র রুখে দিন। এবং আমাদেরকে সচেতন থাকা জরুরী। আমরা সবাই সচেতন থাকবো।(ইনশাআল্লাহ)
আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার তাওফিক দান করুক।

লেখক:-আকরাম হোসাইন
'ব্যবস্থাপনা সম্পাদক-দৈনিক খবরের ডাকঘর'
'মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি-দৈনিক কপোতাক্ষ নিউজ'
'মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি-দৈনিক ইতি কথা'
'প্রতিনিধি দৈনিক রবিনিউজ.কম'

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ