মুখোশের অন্তরালে .ফাতিমা পারভীন

এখন আর অবাক হইনা।
কোনো ভদ্রলোক যখন সামনে এসে দাঁড়ায়!
 বড়ো কোনো  নামি-দামি ব্যক্তি বলে দাবি করে!
নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করে!

প্রথমতঃ মুখোশধারী হিসাবেই ধরে নিই!
বিশ্বাসটা যে কোথায় গিয়ে পালিয়েছে খুঁজে পাই না আর!

 তবে বেশি-কথা শুনাইনা কাউকে!
শত সহস্র মানুষ নামের প্রানীর  ভীড়ে একজন ও যদি মানুষ থাকে এবং সে যদি আমার দ্বারা কষ্ট পায় এই ভয়ে! 

প্রথম দিকে ধারণা ছিল সমাজের নিম্ন শ্রেণীর লোকগুলো অভাবের তাড়োনায় স্বভাব বশতঃ
ধোকাবাজি করে জীবন যাপন করে।

তারপর উচ্চশিক্ষিত ভদ্র সমাজের 
কিছুটা নেশা কিছুটা পেশা
লোক ঠকানো ব্যবসা!

ওরে বাবা ইনি তো অনেক উচু দরের মানুষ! 
সত্যিকারের একজন ভদ্রলোক! 
ইনার দ্বারা কেউ প্রতারিত হবে
সে তো কল্পনার ও অতীত! 
না না ইনি আর যাইহোক অন্ততঃ কাউকে ঠকাবে না!

খোলসটা  উঠাতেই চোখে পড়লো 
ভিতরের পঁচা আবর্জনা গুলো!
বাদ দিন ওসব ভদ্রলোকেদের কথা!
অর্থ এবং ক্ষমতার অহংকারে তারা হয়তো 
সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গেছে! 
অথবা তাদের আরও অনেক বেশি প্রাচুর্য ও অর্থ প্রয়োজন !

কবি সাহিত্যিক দের মধ্যে তো আর কোনো মুখোশধারী লোক থাকতে পারে না!
তারা তো প্রত্যেকেই এক একজন কলম যোদ্ধা!
 সৈনিক! 
যেখানেই অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি সেখানেই চলে কলম যুদ্ধ! 
প্রতিবাদ মিছিল! 
কখনো ভালোবাসায়  সিক্ত করে তোলে গোটা পৃথিবী! 
বিচরণ চলে গোটা বিশ্বজুড়ে 
সাহিত্যের অলিতে গলিতে!

এবার খোলসটা একটু সরিয়ে দিই,
এ কি দেখছি আমি!!

ব্যবসা! ব্যবসা!ব্যবসা!
কখনও মেডেল ব্যবসা,
কখনও  বইয়ের ব্যবসা!
যৌথ গ্রন্থ প্রকাশ!

এবার তো ভয় পাচ্ছি !
কেউ আবার আমার দিকে ফুঁসে 
 না ওঠে!
আমি আপনাকে বলছি না ভাই!
আমি জানি আপনি কত ভালো মানুষ! 

আমি তাদের কথা বলছি যারা টাকা দিয়ে মেডেল কিনে যোগ্য বনে যায়!

তাদের কথা বলছি যারা যৌথ বই প্রকাশের নামে সহজসরল কবি সাহিত্যিক থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে,
বই দেওয়ার নামে নিজের পকেট ভারি করে!

তাদের কথা বলছি যারা মুখোশের অন্তরালে থেকে গুটি কয়েক গল্প,কবিতা পুঁজি করে
 সত্য পরিচয় গোপন করে মানুষকে প্রতারিত করে!

আর এক শ্রেণীর কথা তো ভুলেই গেলাম একেবারে! 
ধর্ম!
ধর্ম ব্যবসা!
ধর্মকে পুঁজি করে সৎ মানুষের মুখোশ পরে......... 
আহ! কী জমজমাট ব্যবসা!
এমন কোনো মুসলিম কি আছেন 
যারা ধর্মের প্রতি দুর্বল নয়???
আর এটাই পুঁজি মানুষ রূপী 
ধর্ম ব্যবসায়ীদের!

সাধুবাদ জানাই এই সমস্ত প্রতারক চক্রকে!
হয়তো তারাই সত্যিকারের মেডেল পাওয়ার যোগ্য,
তাদের নিখুঁতভাবে সাজানো মিথ্যা  গল্প,প্রতারিত করার সুনিপুণ কৌশল, দক্ষ অভিনয়, সত্যিই অসাধারণ! 
তবে মুশকিল হলো সময়!
সময়ই একদিন খোলসের মধ্যে 
লুকিয়ে থাকা মানুষ নামের প্রানীগুলোকে টুটি ধরে টেনে 
বাইরে নিয়ে আসে!
কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে যায়!!!!

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ