![]() |
ছবিঃ ইন্টারনেট |
মোঃ সজীব হোসেন, মোহাম্মদপুরঃ ‘লকডাউন’ কথাটির সাথে জনগন খুব বেশি পরিচিত হলেও এর কার্যকারিতা নিয়ে সন্ধিহান। গ্রাম অঞ্চলে স্বাভাবিকভাবে লকডাউন ঘোষণা হলেও জনজীবনের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। জনসমাগম কিছুটা কম হলেও থেমে নেই কোন কিছুই। দোকান-পাট কম বেশি খোলা দেখা যাচ্ছে। যদিও সকল দোকান খোলার বিষয়ে বিধি নিষেধ রয়েছে তা সত্তেও তোয়াক্কা করার সময় নেই কারও। রাস্তায় যাতায়াতরত দিন মজুর শ্রমিকদের করোনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন ধারণা নেই। তারা তাদের জীবিকা নির্বাহের আপ্রাণ চেষ্টায় ব্যস্ত।
মসজিদ গুলোতেও ইফতারি ও তারাবির সময় ব্যাপক লোক সমাগম হতে দেখা যাচ্ছে। যদিও কারও মুখে তেমন মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে না। এক শ্রেণীর ধর্মপ্রান মানুষের ধারণা করোনা হলে এমনিতেই হবে; আল্লাহ যদি করোনায় মৃত্যু লিখে রাখে কেউ ঠেকাতে পারবে না।
গ্রামের লোকজনের চলাচল ও আচার ব্যবহারে এটাই প্রকাশ পায় যে, লকডাউন শুধুমাত্র শহরের জন্য, গ্রামের জন্য নয়। গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে, তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করতে রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় সরকারি বেসরকারি সংস্থার কোন কার্যক্রম গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। গ্রামের মানুষ শহরের মানুষের মত বিলাসিতা না করলেও তাদের জীবিকা নির্বাহ করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে কর্মহীন লকডাউনে।
পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রান মুসল্লিদের আশা, আল্লাহ নিশ্চয়ই অদৃশ্য এই করোনা ভাইরাস থেকে তাদেরকে পরিত্রান দিবেন। তাদের জীবন ও জীবিকার ব্যবস্থা করে দেবেন। কারণ একমাত্র রমজান মাসই পারে সব ব্যবধান ঘুচিয়ে সবাইকে এক কাতারে আনতে। লকডাউন কতটা শান্তি দিতে পারে জনজীবনে তা স্পষ্ট না হলেও ভোগান্তি গুলো স্পষ্ট। তাই দ্রুতই লকডাউনের ভোগান্তীর শেষের অপেক্ষা খেটে খাওয়া আপামর গ্রামের জনগন।