আব্দুর রাজ্জাক, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: ঈদুল ফিতর হলো মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব।এ ঈদকে ঘিরে পরিবারের সদস্যদের নানা ধরনের চাহিদা এবং আবদার পূরণ করতে হয়। আমাদের দেশে একটা প্রচলন হয়েছে। বিশেষ করে ঈদুল ফিতর সকল পরিবারে শিশুদের চাহিদাগুলো পূরণ করা হয়।এই ঈদে সবচেয়ে আনন্দ-উল্লাস বেশি উপভোগ করে। কষ্টের বিষয় হল। করোনা মহামারিতে প্রকল্প জটিলতায় গত ১৭ মাস ধরে বেতন-ভাতা বিহীন মানবেত জীবন যাপন করছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসার ২০২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। গত ২ ঈদের মতো এ ঈদুল ফিতরেও শিক্ষকদের পরিবারে আনন্দের পরিবর্তে কান্নার কান্নার কান্নার শব্দ ভেসে যাচ্ছে।সামান্য সম্মানীর পাশা-পাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব মাদরাসা শিক্ষকের সংসার চলার অন্যতম মাধ্যম ছিলো চাকুরী। করোনার কারণে পরিবারের দিকে লক্ষ রেখে- অনেকেই নিজেদের সঞ্জয় করা টাকা-পয়সা খরচ করছে।এখন তারা অনেকে রাস্তায় দিনমজুর কাজ করছে, সবজি, ফলমূল হকার করে বিক্রি করছে। পরিবারের শেষ সম্বলধার-দেনার দায়ে স্বাধীনতা যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি ভাবে শিক্ষকদের নিজের দের আত্মমর্যাদা নিয়েও চিন্তিত হতে হচ্ছে।
আত্মমর্যাদা হল শিক্ষকদের প্রধান গুণ শিক্ষকদের প্রধান গুণ আর শিক্ষকরা সব সময়ই আত্ম মর্যাদাবান হয়ে থাকে।নিজের আত্মসম্মান এর কারণে শিক্ষকগণ না পারছে কারো কাছে হাত পাততে আর না পাইছে সইতে! তেমনি করোনার এই সংকটাপন্ন সময় না করুনার অনুদানের লাইনেও দাঁড়াতে পারছেন না। এর মধ্যে প্রকল্পের জটিলতা সমাধান ও বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের জন্য স্মারকলিপি প্রদান, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্ম মন্ত্রণালয় এর ধর্ম মন্ত্রী মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এ দিকে ধর্ম মন্ত্রীর আশ্বাস দিয়েছেন।
সরকার বিভিন্ন সময় করুনার উপহার এবং প্রণোদনা প্রদান করলেও ১০১০ টি মাদরাসার শিক্ষক সম্পূর্ণভাবে এসব থেকে ও বঞ্চিত হয়েছে।
তাঁরা বেতনে বা তার অপেক্ষায় কাকের চেয়েও অসহায়ভাবে অপেক্ষা করছে। আশ্বাসে আশ্বাসে একের পর এক দিন যাচ্ছে, মাস যাচ্ছে, ঈদ যাচ্ছে কিন্তু শিক্ষকদের বেতন ভাতার ব্যবস্থা হচ্ছে না! সকল শিক্ষক ও শিক্ষাগণের কান্নায় আকাশ ভারি হয়ে উঠছে।শিক্ষকরা খুদা পেটে- পরিবারকে খাবার দিতে না পেরে খোলা আকাশের দিকে চেয়ে কান্না করছেন!আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের কষ্টে রাখা কোন সমাজেই কাম্য নয়।যেসব দায়িত্বশীলদের হাতে এর সুষ্ঠু সমাধান রয়েছে আমরা তাদের কাছে আকুল আবেদন করব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান১০১০ টি দারুল আরকাম মাদরাসা শিক্ষকদের কান্নার প্রতি সুদৃষ্টি রেখে দ্রুত প্রকল্প পাস করে বেতন ভাতা প্রদান করে ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক শিক্ষিকার পরিবারগুলোকে বাঁচার সুযোগ দিন।