আশাশুনিতে নতুন করে আরও ৭ জন করোনা পজেটিভ

আহসান উল্লাহ বাবলু আশাশনি সাতক্ষীরা  প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউয়ের ছোবলে আশাশুনির সকল ইউনিয়ন এখন রোগিতে রোগিতে ভরতে শুরু করলেও সরকারি-বেসরকারি কোন পর্যায়ে তেমন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছেনা। ২য় ঢেউয়ে ৮৯ জন করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসলেও লকডাউন ঘোষণা করে সাইনবোর্ড স্থাপন ও বিধিনিষেধ কড়াকড়ির কোন কার্যক্রম না দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিদিন রোগির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আশাশুনিতে নতুন করে গত ১১ জুন ৭ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে, শনিবার উপজেলার ৭ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তারা হলেন, রতন মল্লিক (৪০) হাজীপুর, চন্দনা (৩৫) নওয়াপাড়া, শোভা মল্লিক (৪০) আশাশুনি সদর, মনোয়ার (৬০) বাওচাষ, সুব্রত (৩৭) বুধহাটা, মরিয়ম (৪৫) বড়দল ও এ বি লতিফ (৬৫) আশাশুনি সদর। এনিয়ে আশাশুনি উপজেলায় ১৩০ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। যার মধ্যে ৪১ জন গত বছরের এবং ৮৯ জন চলতি ২য় ঢেউয়ে সংক্রমিত হয়েছে।আশাশুনি উপজেলায় ১৩০ জন সংক্রমিতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী সংক্রমিত হয়েছে শোভনালী ইউনিয়নে এবং পরবর্তীতে আছে বুধহাটা ইউনিয়ন। শোভনালী ইউনিয়নে ৩১ জন, বুধহাটা ইউনিয়নে ২২ জন, কুল্যা ইউনিয়নে ৫ জন, দরগাহপুর ইউনিয়নে ২ জন, বড়দল ইউনিয়নে ৩ জন, আশাশুনি সদরে ১৩ জন, শ্রীউলা ইউনিয়নে ৪ জন, খাজরা ইউনিয়নে ২ জন, আনুলিয়া ইউনিয়নে ১ জন, প্রতাপনগর ইউনিয়নে ২ জন ও কাদাকাটি ইউনিয়নে ৪ জন।করোনা উপসর্গ বা করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রায় প্রতিটি গ্রামে রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। এলাকার ডাক্তারদের সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রতিদিন যে সব রোগি তাদের কাছে আসছে তার বেশীর ভাগই জ্বর-সর্দি-কঁাশি-গলা-গা-হাতপা ব্যথা তথা করোনা উপসর্গ নিয়ে আসছে। যাদেরকে নমুনা পরীক্ষার আওতায় আনা হচ্ছেনা বা তারা নিজেরাও সাধারণ জ্বর ভেবে টেস্ট করাচ্ছে না। তাছাড়া করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে বাইরের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, পরিবারের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে শৈথিল্যতা ও কড়াকড়ি তেমন নেই বলে এলাকার মানুষ অভিযোগ করেছেন।অপর দিকে দুঃখ জনক হলেও সত্য ২য় ধাপে করোনা উপস্বর্গ নিয়ে মৃত্যুবরনকারীদের ব্যাপারেও তেমন কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছেনা। উপজেলার বাশারত হোসেন (৫৫), আঃ আলিম (৬০), সহকারী শিক্ষক আব্দুল মজিদ করোনা পজিটিভ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। এছাড়া উজ্জল চৌকিদারের মা পার্বতী রানা রাহা (৬০), বাক্কার (৪৫), আনোয়ার খাতুন করোনা উপসর্গ নিয়ে ইন্তেকাল করেন। তাদের বাড়ি লাল পতাকা টানিয়ে লকডাউন করা, সংস্পর্শে আসাদের কোয়ারিনটিনে রাখা ও পার্শ্ববর্তীদের সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কাজও যথাযথ হয়নি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেকভাল করার জন্য সচেতনমহল যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ