মিঠুন রাজ, স্টাফ রিপোর্টার:পিরোজপুর ইন্দুরকানীতে মো: জাকারিয়া (২৫) নামে এক মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মো: জাকারিয়া ইন্দুরকানী খেয়াঘাট বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম ও উপজেলা পাড়েরহাট ইউনিয়নের টগড়া গ্রামের মৃত: আব্দুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো: জাকারিয়া ২৬শে মার্চ রবিবার সকাল ৮ টার দিকে পূর্ব ইন্দুরকানী গ্রামের কাজী বাড়ি আবাসন এলাকায় বাচ্চাদের কুরআন শরীফ পড়ানোর জন্য যায়। এসময় উপজেলার পূর্ব ইন্দুরকানী গ্রামের মো: দেলোয়ার কাজীর ছেলে ইন্দুরকানী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মো: ফরিদ কাজী (২৮) নামে এক বখাটে ইমাম সাহেবের উপর আতর্কিত ভাবে হামলা চালায় এতে মো: জাকারিয়া নামে ঐ ইমাম মারাত্মক ভাবে আহত হয়। ভুক্তভোগী ইমাম
আহত মো: জাকারিয়া বলেন আমি প্রতিদিনের মত আজকেও সকালে কাজী বাড়ি আবাসন এলাকায় বাচ্চাদের কুরআন শরীফ পড়ানোর জন্য যাই। এসময় মাছ ব্যবসায়ী ফরীদ কাজী নামে এক বখাটে আমার উপর হামলা চালায়। এবং আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে থাকে ও আমার দাড়ি ধরে টেনে আমাকে মাটিতে ফেলে দেয় এতে আমি মারাত্মক ভাবে আহত হই।এছাড়া তার উপর হামলার কারন জানতে চাইলে ইমাম মো: জাকারিয়া বলেন আমি ইন্দুরকানী খেয়াঘাট বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম। আমি মসজিদের মুসল্লীদের কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে মসজিদের বেতন ভাতা আনার জন্য তাদের কাছে যাই এছাড়া মাছ বাজারের পাশে আমাদের মসজিদটি থাকায় মাছ ব্যবসায়ীরা মসজিদে বিভিন্ন সময় অর্থ দান করে থাকেন। আর তাই কিছুদিন আগে মাছ ব্যবসায়ী ফরীদ কাজীর কাছে মসজিদে কিছু দান করবেন কিনা সেই বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তখন সে ক্ষেপে যায়। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকালে আমি বাচ্চাদের পড়াতে গেলে ফরিদ কাজী তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আমি তার কাছে কেনো মসজিদের জন্য টাকা চাইলাম আর এখানে বাচ্চাদের পড়াতে আসলাম এই বলেই আমাকে মারতে থাকে। এতে আমি মারাত্মক ভাবে আহত হই। আমি আমার উপর হামলাকারি মাদক ব্যবসায়ী ফরিদ কাজীর কঠিন বিচার চাই।ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল বাশার বলেন, ফরিদ কাজী নামে এক বখাটে আজ সকালে খেয়াঘাট বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম সাহেবকে মারধর করে আহত করেছে এই বিষয় আমি জানতে পেরেছি। এছাড়া ফরিদ কাজী পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী হলেও সে আসলে একজন মাদক ব্যবসায়ী ফরিদ কাজী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিক্রি করে ও বিভিন্ন সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিভিন্ন মানুষের উপর হামলা চালায়। আমি এই মাদক ব্যবসায়ী ফরিদ কাজী কে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত ফরিদ কাজীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে গেলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এনামুল হক বলেন, ফরিদ কাজী নামে এক মাদকাসক্ত বখাটে মো: জাকারিয়া নামে একজন ইমামকে মারধরের ঘটনা শুনেছি এই বিষয় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।