কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতাঃ 'মাতো মন ভুবনে, সত্য সুন্দর কল্যাণ' শ্লোগানে ১৫ নভেম্বর বিকেলে কেশবপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে হৈমন্তিক কবিতা উৎসব ও ৭ গুণিজনকে সম্মাননা। কেশবপুরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা সমাধানের সভা কক্ষে বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংসদ এর উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধশত কবি তাদের স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। এ ছাড়া সাহিত্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাসাসেস প্রবর্তিত তিন ব্যক্তিকে বঙ্গভূষণ খেতাব ও চার ব্যক্তিকে মহাকবি মধুসূদন পুরস্কার-২০২৫ প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবি ও নাট্যকার মুহম্মদ শফির সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলাউদ্দিন আলা। অধ্যাপক তাপস মজুমদার ও মানব মণ্ডের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চিত্রশিল্পী ও কবি পলাশউদ্দিন খলিফা। অন্যদেও মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি ও শিশুসাহিত্যিক আনোয়ারুল ইসলাম, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক বিভূতিভূষণ মণ্ডল, ও কথাসাহিত্যিক জাহীদ ইকবাল ওনাট্যকার বিশ্বজিৎ ঘোষ প্রমূখ। অনুষ্ঠানের সভাপতি, উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি, সম্মাননা প্রাপ্ত গুণিজনদের ফুল, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।বঙ্গভূষণ খেতাব প্রাপ্তরা হলেন অবলাকান্ত মজুমদার (মরণোত্তর) (সাহিত্যে সাংগঠনিক দক্ষতা), প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান (দর্শন-বিজ্ঞান) ও পলাশউদ্দিন খলিফা (বাংলা মিনিয়েচার রীতি)। মহাকবি মধুসূদন পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন আনোয়ারুল ইসলাম (কবিতা), বিভূতিভূষণ মণ্ডল (প্রবন্ধ-গবেষণা), জাহীদ ইকবাল (সাহিত্যে সামগ্রিক অবদান) ও বিশ্বজিৎ ঘোষ (নাটক) প্রয়াত অবলাকান্ত মজুমদারের পক্ষে মরণোত্তর পদক গ্রহন করেন তার ভাগ্নে কবি ও সংগীতজ্ঞ অলোক বসু বাপী।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)