 |
চৌহালীতে বাঁধের কাজ উদ্বোধন করলেন পানি উপমন্ত্রী |
মোঃ শাকিল আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এম.পি বলেছেন, সারাদেশের নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ করছে সরকার। আর সরকারের পদক্ষেপের কারণেই সারাদেশে নদীভাঙন কমে এসেছে। কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই গত ১৩ বছরে সারাদেশে নদী ভাঙনের পরিমাণ সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর থেকে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরে নেমেছে। চৌহালীর যমুনার খাষপুখুরিয়া থেকে বাঘুটিয়া সলিমবাদ পর্যন্ত ৪৬ কোটি ৮৯ লক্ষ্য টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি । এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪ কিলোমিটার এ প্রকল্প টি জুন ২০২৩ থেকে কাজ শুরু হয়ে জুলাই ২০২৪ এ সম্পন্ন হবে, ইনশাআল্লাহ।শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর বাম তীরের ভাঙ্গন হতে খাষপুখুরিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে সলিমবাদ এলাকা রক্ষা প্রকল্প পরিদর্শন ও উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ আব্দুল মমিন মন্ডল এম,পি। টাংগাইল- নাগরপুর আসনের এম,পি আহসানুল ইসলাম টিটু, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ রমজান আলী প্রামনিক, প্রধান প্রকৌশলী পূর্ব, উত্তর -পশ্চিম অঞ্চল,বাপাউবো, রাজশাহী মোঃ জহুরুল ইসলাম। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ফরিদপুর অঞ্চল) শাহজাহান সিরাজ,পুলিশ সুপার মোঃ আরিফুর রহমান মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একে, এম হোসেন আলী হাসান, বাংলাদেশ অর্থোপ্রেডিক্স সোসাইটির মহাসচিব ডাঃ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, চৌহালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক সরকার,চৌহালী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ তাজ উদ্দিন সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।পানি সম্পদ উপ মন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে আর চৌহালীতে নদী ভাঙন থাকবে না। ভাঙন কবলিত চৌহালী এক সময় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে আমি আসা করি।
উপমন্ত্রী বলেন, চৌহালীর খাষপুখুরিয়া থেকে শুরু করে সলিমবাদ পর্যন্ত যে কাজ শুরু হয়েছে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার অনেকাংশেই কমে আসবে। কাজ যেন গুনগত মান ঠিক রেখে হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। কাজের ব্যাপারে কোনো প্রকার গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন, সে জন্য তিনি আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সম্বলিত বাংলাদেশ গড়তে চান। এজন্য তিনি দূরদর্শী পদক্ষেপ নেন। সেজন্য তিনি ডেল্টাপ্লান- বাস্তবায়নেরও ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার সিংহভাগ কাজই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। উপমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে স্থায়ী প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অনেকাংশে জলাবদ্ধতা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। আর এর সুফল কয়েক বছরের মধ্যে মিলবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্প করা হচ্ছে। উপকূল অঞ্চলে প্রতিটি বাঁধ প্রশস্ত ও উঁচু করা হচ্ছে, বনায়ন করা হচ্ছে। আর এসব স্থায়ী প্রকল্পে নদী খনন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে এবং তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জনবলও বাড়ানো হয়েছে।