এবারের পিঠা মেলা ছিল বিশেষভাবে উৎসর্গ করা তারুণ্যের উদ্দীপনা এবং বাঙালির সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসাকে। মেলায় বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠার প্রদর্শনী ছিল, যার মধ্যে চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, দুধপুলি,সেমাই পিঠা,পাকন পিঠা নারকেলের পিঠা এবং শিক্ষার্থীদের দেয়া সুন্দর সুন্দর নামের বিভিন্ন ধরনের পিঠা । প্রতিটি স্টলই ভিন্ন স্বাদের পিঠা এবং সুন্দর সাজসজ্জার মাধ্যমে উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে।মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তামান্না বেগম। তিনি তার বক্তব্যে তরুণ উদ্দোক্তাদের তাদের তারুণ্য ধরে রাখার উৎসাহ দেন।
তিনি বলেন, “আমরা তোমাদের উৎসাহ দেই, অনেককিছু করার জন্য যে জিনিসগুলোতে তোমাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ থাকে বা সৃজনশীল কিছু করার সুযোগ থাকে।আমি মনে করি আমাদের এই মেয়েদের মাঝে অনেক গুণ আছে। আমরা যদি মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরনের উৎসবের আয়োজন করি তাহলে শিক্ষার্থীদের প্রতিভার বিকাশ ঘটবে এবং এই গুনগুলো বের হয়ে আসবে।”এসময় প্রতিটি বিভাগের স্টল থেকে কলেজ অধ্যক্ষকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয় শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা মেলাটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। শিক্ষার্থীরা দেশীয় গানে নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে তাদের সৃজনশীলতার পরিচয় দেয়। পাশাপাশি শিক্ষকগণ সবগুলো স্টল পরিদর্শনের মাধ্যমে পিঠার স্বাদ নিয়ে পর্যালোচনা করেন সেরা পিঠা নির্বাচন করেন যা আরও উদ্দীপনা যোগায়।মেলায় আগত দর্শনার্থীরা পিঠার স্বাদ গ্রহণের পাশাপাশি তারুণ্যের উদ্যম এবং বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করেন।বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের পিঠা মেলা শুধু খাবার নয়, এটি ছিল ঐতিহ্যের সাথে তরুণদের এক অপূর্ব মিলনমেলা। এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য সকলে আহ্বান জানান।