ঘটনার পরপরই মিথিলার পরিবার উপজেলা প্রশাসন, পাগলা থানা এবং সেনাবাহিনীর সহায়তা চায়। প্রশাসনের উদ্যোগে পরে অভিযান চালিয়ে তিন দিন পর, ১২ এপ্রিল মিথিলাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর থেকেই অভিযুক্ত মজনু ভেন্ডারের ছেলে আশরাফুল ও তার সহযোগীরা মামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে পরিবারটি নতুন করে আতঙ্কে পড়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা রুহেনা খাতুন বলেন,"মেয়ে উদ্ধারের পর আমরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন প্রতিদিন নতুন করে হুমকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে, রাজি না হলে ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দেওয়া হচ্ছে।" আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় গফরগাঁও প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রুহেনা খাতুন ও তার ছেলে মিজানুর রহমান বলেন,"প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও আমরা এখনও পুরোপুরি নিরাপদ অনুভব করছি না। আমরা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি, যাতে ভবিষ্যতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।"
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, অভিযুক্ত মজনু ভেন্ডার ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে সাহস পায় না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন,"অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি মামলা প্রত্যাহারের হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।