কর্মশালায় গৃহিণীদের মধ্যে পরিবেশ বান্ধব চুলা তৈরি ও এর ব্যবহার পদ্ধতি নিয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, দৈনন্দিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক কৌশল এবং বাড়ির আঙিনায় স্বল্প পরিসরে নিরাপদ ও পুষ্টিকর সবজি চাষের পদ্ধতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে পরিবেশ বান্ধব চুলা, চাষের জন্য উন্নত মানের বীজ এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ উপকরণ উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।প্রশিক্ষণার্থীরা এই ধরনের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন, এই প্রশিক্ষণ তাদের রান্নাঘরের ধোঁয়া দূষণ কমাতে সাহায্য করবে, যা স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ উভয়ের জন্য মঙ্গলজনক। একইসাথে নিজেদের উৎপাদিত সবজি পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বড় ভূমিকা রাখবে।
প্রজেক্টের গুরুত্ব তুলে ধরে টিম দ্বীপাঞ্চলের টিম লিডার আরিফুল ইসলাম বলেন, "স্থানীয় নারীদের ক্ষমতায়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষার সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই প্রকল্পটি অত্যন্ত কার্যকর। আমরা বিশ্বাস করি, এই চল্লিশ জন নারী তাদের পরিবার এবং প্রতিবেশীর মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।"অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বন্ধু ফাউন্ডেশনের ভোলা জেলার ম্যানেজার সম্ভুনাথ। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের ব্যবহারিক দিকগুলো অত্যন্ত সরল ও কার্যকরভাবে উপস্থাপন করেন, যা গ্রামীণ নারীদের জন্য সহজেই আয়ত্ত করা সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী তরুণ অর্ণব আহমেদ জাবেদ বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। গ্রামীণ নারীরা এখন শুধু পরিবারের দেখভালই করছেন না, বরং পরিবেশ রক্ষায়ও সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। পরিবেশবান্ধব চুলা ও সবজি চাষের মতো উদ্যোগ নারীদের স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও সচেতনতা—সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এমন কার্যক্রম নিয়মিত আয়োজন করা গেলে গ্রামীণ সমাজে টেকসই পরিবর্তন সম্ভব।”এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীরা একদিকে যেমন পরিবেশ সচেতন হচ্ছেন, তেমনি অন্যদিকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। LEAD Bangladesh ও জাগো ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে টিম দ্বীপাঞ্চলের এই প্রচেষ্টা স্থানীয় উন্নয়নে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
