মোঃ ফরহাদ হোসেন কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃবাংলাদেশের সর্ব দক্ষিনে সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নে ৬নং কয়রা গ্রামে আদিবাসী মুন্ডা পাড়ায় দরিদ্র মুন্ডা শিশুদের মাঝে শিক্ষার বিস্তার ছড়িয়েছেন বিরসা মুন্ডা প্রভাতী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আশিকুজ্জামান আশিক। এই বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশের যে সকল প্রতিষ্ঠান শিশুদের নিয়ে কাজ করে তার মধ্যে থেকে পাঁচ গুনীজন ওই এক প্রতিষ্ঠান কে আরটিভি এসএমসি মনিমিক্স প্রেরণা পদক ২০২০ প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁওয়ের হলরুমে এক জমকালো আয়োজনে পদকপ্রাপ্তদের সম্মাননা স্মারক প্রদান ও উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। কাজের এমন স্বীকৃতি দেওয়ায় আরটিভির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পদকপ্রাপ্তরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, আরটিভির ভাইস চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন কবির বাবলু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান।
আইসিডির প্রতিষ্ঠিতা ও বিরসা মুন্ডা প্রভাতী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আশিকুজ্জামান আশিক বলেন, মুন্ডা সম্প্রদায়ের বাচ্চারা স্কুলে ঠিকমতো যায় না। তাদের পিতামাতারাও খোঁজ খবর রাখেনা তাদের সন্তান স্কুলে যাচ্ছে কিনা। আমরা মুন্ডা সম্প্রদায়ের শিশুদের সুশিক্ষায় গড়ে তুলতে শিশুদের বাড়ি থেকে ডেকে এনে সকালে ও সন্ধ্যায় স্কুলের পাঠ প্রস্তুত করা সহ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে আদিবাসীদের ভূমিকা সম্পর্কে তাদের জানানো হয়। এবং ভালো কাজের পাশাপাশি আমরা সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে চাই।
কিন্তু ৭ মাস আগে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আমাদের স্কুলের কাঠামো ভেঙ্গে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে তাদেরকে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। কোনো সহযোগিতা পেলে স্কুলটির কাঠামো আবারও তৈরি করতে পারবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, মুন্ডা শিশুদের মাঝে শিক্ষা বিস্তারে অসাধারণ ভূমিকা রাখছে আইসিডি। তাঁদেরকে সাধুবাদ জানাই। এ ধরণের উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।