গোলাম মোস্তফা ফুলপুর প্রতিনিধিঃ ফুলপুর উপজেলার ১০ নং বওলা ইউনিয়ন পরিষদের যেন দুর্নীতির আর অনিয়মের কারখানা।দুর্নীতির মূল কারিগর হল সচিব, নিলুফার ইয়াসমিন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে থাকে এলাকার নিরীহ ও সাধারণ জনগনকে,নিয়মনিতি না মেনে সচিব তার মনগড়া মতে চালাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ,
যেমন প্রতিমাসে ১৭ থেকে ১৮ দিন অনুপস্থিত তাকে,এছারা জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন,জন্মের ও মৃত্যুর প্রথম দিন থেকে পয়তাল্লিশ দিন পর্যন্ত সরকারি, নির্ধেষ অনুযায়ী কোন টাকা লাগেনা, তারপরও সচিব নিচ্ছে(৩০০/-)তিনশত টাকা,ছয়চল্লিশ দিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত(২৫/-)পঁচিশ টাকার কথা থাকলেও সচিব নিচ্ছে (৩০০/-৫০০)
পাঁচ বছরের উপরে যত বছর হোক (৫০/-)পঞ্চাশ টাকা,নেওয়ার কথা থাকলেও নিয়মভঙ্গকারী সচিব নিলুফার ইয়াসমিন নিচ্ছে (৩৪০/-৪১০)উত্তরাধিকারি সনদ কোন টাকা লাগবেনা,সরকারি ভাবে নিষেধ থাকলেও অনিয়মকারী সচিব নিলুফার ইয়াসমিন নিচ্ছে(২০০/-)দুইশত টাকা,এ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা।
এ বিষয়ে' এই প্রতিবেদকের,তদন্তে বেরিয়ে আসে পরিষদের আসল রুপ, কেউ যদি কোন সনদের জন্য আবেদন করেন,তাহলে অতিরিক্ত বিভিন্ন হারে টাকা চেয়ে থাকেন পরিষদের সচিব নিলুফার ইয়াসমিন,এবং নিরীহ ও সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয়, তাছাড়া কেউ যদি সনদের অতিরিক্ত ফি দিতে রাজি না হয়,ঐ কাজ রাখতে রাজি হয়না ঐ দুর্নীতিবাজ সচিব নিলুফার ইয়াসমিন ।
বওলা ৪ নং ওয়ার্ডের মরম আলীরকাছ থেকে ৮০০ টাকা ছায়েরা বানুর কাছ থেকে ৬০০ হাতীবান্ধায় গ্রামের একলাছ উদ্দিন খানের মেয়ে মায়িশা জান্নাতের কাছ থেকে ৭০০ টাকা রামসোনা গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের কাছ থেকে ৮০০ টাকা নেওয়ার কথা জানা যায়।
এই বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক,একাধিক সদস্য জানান বওলা ইউনিয়নের মানুষকে সহজ সরল মানুষ পেয়ে ইউপি সচিবের এভাবেই হাতিয়ে নিচ্ছে অনেক টাকা।
তারা জানান আমরা সচিবকে বলছিলাম সহজ সরল মানুষ পেয়ে যে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন পরে যদি জানাজানি হয়,সচিব নিলুফার ইয়াসমিন রাগান্তিক হয়ে বলেন আমি এই পরিষদের মানুষকে কোন কেয়ার করিনা।অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয় বওলা ইউনিয়নের সচিব নিলুফার ইয়াসমিন বক্তব্য জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি জানান,তার তার বিরুদ্ধে জন্ম-মৃত্যু সনদ দেওয়ার বিপরীতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ সত্য নয়,
ভূক্তভোগী ও সচেতন মহল জানিয়েছে, অনতিবিলম্বে জনগনের হয়রানি বন্ধ করে,অতিরিক্ত টাকা আদায় কারী ইউপি সচিব নিলুফার ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী ইউনিয়ন বাসীর।