শিপন নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: বড় ধরণের সংঘর্ষ এড়াতে থানা হেফাজতে ১৪ জন।আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একের পর এক হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে উত্তাপ্ত হয়ে উঠেছে বেতাগীর সাতটি ইউনিয়নের প্রার্থীদের সর্মথকদের মধ্যে। দশ দিনের ব্যবধানে গুরতর আহত হয়েছেন ২০ জন দোকানঘর, বসতবাড়িসহ ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৭ মার্চ) বিকাল ৩টায় নিবার্চনী সহিংসতায় উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর দ' গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় । এতে আরো আহত হন ১০জন। এ ঘটনায় সংঘর্ষ থামাতে ১২ জনকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে এ প্রতিনিধিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেতাগীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু।
সংশ্লিষ্ট এলাকা সূত্রে জানা যায়, সরিষামুড়ি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাসায় মিলাদ থাকার কারনে বরিশাল থেকে তার কিছু স্বজনরা আসেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বাধার কারনে তারা বিদ্রোহী প্রার্থীর বাসায় অবস্থান করতে পারেনি। এসব অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ শরিফ।
এলাকাসূত্রে আরো জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাসায় স্বজনরা না ঢুকতে পেরে এলাকার অন্য স্বজনদের বাসায় অবস্থান নেন। আর এ খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা করেন। তবে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইমাম হোসেন শিপন জোমাদ্দার বলেন, বিগত কয়েক মাস আগে ইউসুফ শরীফ প্রকাশ্যে আমার দুইটি পা কুপিয়ে জখম করেছে। এখন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরিশাল থেকে বহিরাগত ভাড়াটিয়া স্বন্ত্রাসী এনে হামলা করছে।
এ ব্যাপারে বেতাগী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, 'যাদেরকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে তারা সব বহিরাগত। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের থানা হেফাজতে আনা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অপরাধী প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।'