নন্দীগ্রামে আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিনের ২য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল
প্রথম দফায় ৩২৩ ইউপিতে নির্বাচন
নিউজ ডেস্কঃআগামী ১১ এপ্রিল প্রথম দফায় ৩২৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আর তফসিল ঘোষণা করা হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে।বুধবার ( ১৭ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে শেষ ধাপে একই দিনে আরও ৯টি পৌরসভার ভোট গ্রহণ করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আইনানুযায়ী আগামী ২১ মার্চের মধ্যে ৭৫০ ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত না থাকায় মার্চে ভোট হবে না। আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
ইসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ইত্তেফাককে বলেন, কমিশন থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হওয়ার পর প্রথম ধাপের ভোটের জন্য সিডি প্রস্তুত করার জন্য বলা হয়েছে। প্রথম ধাপের পর পরবর্তী ধাপগুলোর ভোট হবে রমজানের পর।
গত বারের মতো আসন্ন ইউপির ভোটও হবে দলীয় প্রতীকে। চেয়ারম্যান বা মেম্বার প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় চাউর হয়েছে যে, চেয়ারম্যান প্রার্থীর ক্ষেত্রে এইচএসসি এবং মেম্বার প্রার্থীর ক্ষেত্রে এসএসসি পাশ হতে হবে। এটিকে স্রেফ গুজব বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি ইত্তেফাককে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে। এ ধরনের কোনো উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়নি। কোনো পরিকল্পনাও নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য সংসদ সদস্যদের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে না। সেখানে ইউপিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক করা সংবিধান বিরোধীও।
আশাশুনির বড়দলে সরস্বতী পূজা ও নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান
নওগাঁর আত্রাইয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত ছনিয়া বাঁচতে চায়,বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান
বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের অভিযানে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
সন্ত্রাস ও মাদকের সাথে কোন আপোষ নেই,শৈলকুপায় পুলিশের ‘ওপেন হাউজ ডে’তে পুলিশ সুপার
ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে ছাত্র অধিকার পরিষদ'র তৃতীয় তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী পালন
ইউপি নির্বাচনের তফসিল মার্চের প্রথম সপ্তাহে
আরও জানা গেছে, আগামী ১৪ এপ্রিল রোজা শুরু হতে পারে- এমন বিবেচনায় এপ্রিল মাসে প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে। এক্ষেতে আগামী ৭ এপ্রিল ভোটগ্রহণের জন্য 'ভালো সময়' হিসাবে বিবেচনা করছে ইসি। সেক্ষেত্রে মার্চের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। ওই নির্বাচনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের জন্য ছবিসহ ও ছবি ছাড়া- এই দুই ধরনের ভোটার তালিকার সিডি তৈরি করতে হবে কমিশনকে। এসব সিডি তৈরির কাজ শুরু করতে হবে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর। ওই সিডি তৈরির সক্ষমতা বিবেচনা করে কতটি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ করা হবে তা নির্ধারণ করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম ধাপে কমবেশি চারশ ইউপিতে প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় এলাকা প্রাধান্য দেওয়া হবে। বর্ষা মৌসুমে উপকূলীয় এলাকায় ভোটকেন্দ্রে মালামাল পরিবহন কষ্টকর হয়ে পড়ে।
প্রথম ধাপে যেসব জেলা : জানা গেছে, যেসব ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ আগামী ৩০ মে পর্যন্ত রয়েছে সেগুলোকে প্রথম ধাপের তালিকায় রাখা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার তিনটি, বাউফলের ছয়টি, দশমিনার তিনটি ও গলাচিপার ছয়টি ইউপি। বরিশাল সদর উপজেলার ৮টি, বাকেরগঞ্জের ১১টি, উজিরপুরের ৬টি, মুলাদীর ৬টি, মেহেন্দিগঞ্জের ৫টি, বাবুগঞ্জের ৪টি, গৌরনদীর ৭টি, হিজলার ৪টি, আগৈলঝাড়ার ৬টি ও বানারীপাড়ার ৭টি। বরগুনার সদরের ৯টি, আমতলীর ৬টি, বেতাগীর ৭টি, বামনার ৪টি ও পাথরঘাটার ৭টি। পিরোজপুরের সদরের ৪টি, ভান্ডারিয়ার ৫টি, ইন্দুরকানির একটি, মঠবাড়িয়ার ৬টি, নেছারাবাদের ১০টি, কাউখালীর ২টি ও নাজিরপুরের ৪টি। ঝালকাঠি সদরের ৯টি, নলছিটির ১০টি, রাজাপুরের ৬টি ও কাঁঠালিয়ার ৬টি। ভোলা সদরের ২টি, দৌলতখানের ৫টি, বোরহানউদ্দিনের ২টি, তজুমদ্দিনের ৩টি ও চরফ্যাশনের ৭টি।