মোংলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে বদলে যাচ্ছে আশ্রয়হীনদের জীবন
সরেজমিনে মোংলা উপজেলার মাকোরঢোন ও নারিকেলতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে দেখা গেছে, সময়ের সাথে এখন বদলেছে ছিন্নমূল মানুষের যাপিত জীবন। কবির ওই ভেন্না পাতার ছাউনি থেকে তারা এখন বসবাস করছে রঙিন টিন আর পাকা দেয়ালের আধাপাকা বাড়িতে। সেই বাড়িতেই করছেন শাক-সবজির আবাদ। কেউবা করছে হাঁস মুরগি-ছাগল-গরু পালন। সন্তানদের পাঠাচ্ছে স্কুলে। বসতির দুশ্চিন্তা ছেড়ে নিশ্চিন্ত মনে কাজ করে এগিয়ে নিচ্ছে সংসার। সংসারে এসেছে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। বসবাসের জন্য সরকারের দেওয়া এই সুবিধাটি পেয়ে খুশি আশ্রয়হীন মানুষগুলো।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা গঠন করেছে সমবায় সমিতি। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত তদারকিতে ক্রমেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়নের নানা দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া আকলিমা, জাফর হাওলাদার, শুকুরসহ আরো অনেকেই জানান, কিছু দিন আগেও ভাবিনি নিজের ভালো একটা ঠিকানা হবে। এখন সেটি হয়েছে, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারছি। নিজের হাঁস-মুরগি পালনসহ নানা কাজ করার সুযোগ পেয়েছি- সত্যিই এটা স্বপ্নের। এমনটি হবে ভাবিনি, সৃষ্টিকর্তার কাছে হাসিনার জন্য দোয়া করি।
আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মিলন জানান, প্রশাসন এতো বার আমাদের খবর নিবে আমরা ভাবতেও পারেনি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হতদরিদ্র যাদের বসবাসের কোন ঠিকানা ছিল না, তাদের স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এটা সত্যিই বিস্ময়কর। ওই মানুষগুলো তাদের ভাগ্যে চাকা নতুনভাবে ঘুরাতে শুরু করেছে।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা তাদের জীবন মান উন্নয়নে নিজেরাই এগিয়ে এসেছে, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করছি। এই প্রকল্প পৃথিবীতে একটি রোল মডেল। কারণ এভাবে কোন দেশে আশ্রয়হীনদের জন্য সরকারিভাবে নিরাপত ছাদ তৈরি করা হয়নি।ভুমিহীনদের পূর্নবাসন করা প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমাদের সবার পবিত্র দায়িত্ব আশ্রয়ণে বসবাসরত ভূমিহীনরা প্রধানমন্ত্রীর মেহমান। এই মেহমানদের পাশে আছে সংসদ সদস্যসহ আমরা।তিনি আরো বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যোগ্যদের চিহ্নিত করে ঘর দেওয়া হয়েছে।
কুলাউড়ায় ২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই জন গ্রেফতার
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়ায় দলীয় অফিস উদ্বোধনে বোমা হামলার অভিযোগ
মিঠুন কুমার রাজ, স্টাফ রিপোর্টারঃপিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় মাছুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় অফিস উদ্বোধনের সময় বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টা ১৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৩ জন আহত হয়েছে।পুলিশ এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।আরও পড়ুনঃপিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়ায় দলীয় অফিস উদ্বোধনে বোমা হামলার অভিযোগ
জানা গেছে, বড়মাছুয়ায় আওয়ামী লীগের অফিস উদ্বোধন করতে যাওয়ার পথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস এবং উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের গাড়ি বহরের গতিরোধ করে হামলা চালানোর চেষ্টা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী একটি গ্রুপ।এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক পরিবেশের মধ্যে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট পরেই অনুষ্ঠান বানচাল করতে বোমা হামলা চালানো হয়। পুলিশ পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি চালিয়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস জানান,বিদ্রোহী ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হাওলাদারের নেতৃত্বে প্রথমে আমাদের গাড়ি বহরের গতিরোধ করা হয়। এরপর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় অফিস উদ্বোধন বানচাল করতে বোমা হামলা চালায় তারা।এতে আমাদের কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছে।আহতদের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হাওলাদার তার নেতৃত্বে হামলা চালানোর ঘটনা অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন,আমাদের একজন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে বরিশালে রেফার করা হয়েছে। পুলিশ আমাদের দুইজন কর্মীকে বাড়ি যাওয়ার পথে আটক করেছে। এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ নূরুল ইসলাম বাদল জানান,পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহে বিএমএসএফ এর ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিউজ ডেস্কঃ ময়মনসিংহে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা বিএমএসএফ এর আয়োজনে ঐতিহাসিক রেলওয়ে কৃষ্ণচুড়া বটতলায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্নাঢ্য র্যালী, লিফলেট বিতরণ,কেক কাটা,আলোচনা সভা ও দিনব্যাপী শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে শতাধিক বনজ,ফলজ ও ঔষধী গাছের চারা রোপন করা হয়।পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়ায় দলীয় অফিস উদ্বোধনে বোমা হামলার অভিযোগ।আরও পড়ুনঃপিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়ায় দলীয় অফিস উদ্বোধনে বোমা হামলার অভিযোগ
ময়মনসিংহ জেলার নবগঠিত বিএমএসএফ এর সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান আরজু সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইন উদ্দিন উজ্জ্বল এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহাম্মদ আলী আকন্দ, কেন্দ্রীয় মহিলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রোকেয়া আফসারি শিখা,প্রধান আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএমএসএফ এর সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান, সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান বাবুল প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক আল মিনার সম্পাদক ও প্রকাশক হাফিজুর রহমান হেলাল,ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকার আজহারুল আলম,আজকের খবর আবুল কালাম আজাদ,ঢাকার ডাক সাইফুল ইসলাম,তথ্য প্রতিদিন সুমন ঘোষ,আজকের বাংলাদেশ সেলিম আকন্দ,বাংলা ৭১ নিহার রঞ্জন কুন্ডু,বর্তমান দিন মুখলেছুর রহমান,পারাপার খালেকুজ্জামান পারভেজ বুলবুল,অপরাধ জগত তসলিম সরকার,বিশ্ব বাংলা ভিশন দীপক চন্দ্র দে,বাংলাদেশ সমাচার আবুজর গিফারি জাফর,অপরাধ বিচিত্রা সারোয়ার কবির ফাহাদ,একুশ ৭১ আতিকুর রহমান এলিম,
চ্যানেল এস আরিফুল ইসলাম হাবিব,ঈষিকা মাসুদ রানা, ৭৫ বাংলাদেশ কামরুজ্জামান কামরুল,এটিভি মোশাররফ হোসেন,এশিয়ান টিভি তাসলিমা আক্তার রত্নাা,মাটি ও মানুষ হেলেনা আক্তার,দুর্জয় বাংলা নুরুন্নাহার মুক্তি, উর্মি বাংলা আব্দুল হাকিম,সাংবাদিক আতাউর রহমান বাবুল, দীলিপ,শিমুল আহমেদ,শেখ সোহেল,নজরুল ইসলাম বাবুসহ বিভিন্ন প্রিন্ট,ইলেকট্রনিক,ও অনলাইন মিডিয়া সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের গনমাণ্যব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বিএমএসএফ ঘোষিত ১৪দফা দাবী অধিকার মর্যাদা রক্ষায় সকল সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।পাশাপাশি সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন প্রনয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “ সমাজ কল্যাণ সংঘ ” এর কার্যকরি কমিটি ঘোষণা
কার্যকরি কমিটি ঘোষণার পর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিবলু বলেন , সবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগিতায় প্রিয় সংগঠনের অগ্রযাত্রা অনেক দূর এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। পদ কোন বিষয় না কর্মই আমার-আপনার আসল পরিচয়। মানুষের মুখে হাসি ফুটানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।
কুমিল্লায় প্রেমের টানে ভিনদেশী মা
আলমগীর হোসেন কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি,স্টাফ রিপোর্টারঃধর্ম-বর্ণসহ নানা ধরনের সংস্কার ও জাতিগত ভেদাভেদ ভুলে প্রেম-ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন অনেক ভিন্নদেশী তরুণী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পরিচয়ের সূত্রসহ নানান মাধ্যমে ঘর ছেড়েছেন ভালোবাসার টানে। সকল ভেদাভেদ ভুলে সাত সাগর তের নদী পাড়ি দিয়ে উড়ে এসেছেন বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে। তবে প্রেমের টানে বহু প্রেমিক প্রেমিকা দেশে চলে আসলেও এবারের গল্প টা একটু ভিন্ন। বিদেশী এক মা এসেছে তার বাংলাদেশি ছেলের কাছে। এক বার নয় বেশ কয়েকবার।
এবার সেই ফেইসবুক পরিচয়ে ছেলের ভালবাসার টানে সুদূর সিংগাপুর ছেড়ে কয়েক বার কুমিল্লায় এসেছে বৃদ্ধ মা (বৌদ্ধ ধর্মীয়) জিইনাবচনের আইরিন (৫৮)। এ নিয়ে এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাইড়া গ্রামের মৃত তবদিল হোসেনের ছেলে মেহেদি হাসান ( প্রিন্স) (৩৩) এর বাড়ীতে।
এই ঘটনায় বাইড়া গ্রামে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ওই মহিলাকে এক নজর দেখার জন্য দুর-দুরান্ত থেকে ভিড় জমিয়েছেন অনেকেই। এ বিষয়ে মেহেদি হাসান বলেন,তখন সময় টা ছিল ২০১৪ সাল। ফেইসবুকের মাধ্যমে আমার পরিচয় হয় সিংগাপুরের আইরিন (৫৮) বৃদ্ধা এই মহিলার।২০১৪ সাল থেকে আজও আমাদের মা-ছেলের ভালোবাসা অব্যাহত আছে।
মেহেদী হাসান বাংলাদেশ পুলিশের নায়েক পদে (NCO- Non Commission officer) কর্মরত আছেন। সিআইডি, এয়ারপোর্ট ইন্টেলিজেন্স, র্যাব, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্টপতি প্রটোকল,এপিবিএন ও ডিএমপি সহ বাংলাদেশ পুলিশের গুরত্বপূর্ণ ইউনিটে কর্মরত ছিলেন ১৫ বছরের চাকরি জীবনে। বর্তমানে কর্মরত আছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে প্রেষনে Bangladesh Police Theatre & Cultural club এ । তাকে মেহেদী মাদার বলেই ডাকতেন। আর ঐ মহিলার চার ছেলের মধ্যে সব চেয়ে ছোট ছেলের মত বয়স হওয়ায় প্রিন্স মেহেদী কে ছেলে হিসেবেই সম্বোধন করেন। এরপর থেকেই মা ছেলের নিয়মিত চ্যাটিং হয়। ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশে আসার জন্য আমন্ত্রণ করেন প্রিন্স মেহেদী। তখন আইরিন ঢাকাতে আরও দুইজন বন্ধুসহ এসে ৪ দিন রাজধানী ঢাকাতে ঘুরেই ফেরত চলে যান সিংগাপুর। তবে বাকী দুই ফ্রেন্ড এর বাংলাদেশ তেমন ভাল না লাগলেও ঐ মহিলার বাংলাদেশ অনেক ভাল লেগে যায়।উপরন্তু ছেলের দেশ বলে কথা। তাই পরের বছর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আবারও বাংলাদেশে ঘুরতে আসেন তবে এবার শুধু ঢাকা নয় ঘুরেছেন যমুনা সেতুসহ অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। আইরিনের অনেক ইচ্ছে ছিল ছেলে প্রিন্স মেহেদীর কুমিল্লাতে গ্রামের বাড়ি দেখা। তাই গ্রামে এসে প্রিন্স মেহেদীর নিজের মায়ের সাথে, ভাই-বোনদের ও স্ত্রী সন্তানের সাথে একদিন ও একরাত সময় কাটান। এরপর ৫ দিনের সফর শেষে আবারও সিংগাপুর ফেরত চলে যান। ২০২০ সালের শুরুতে সরকারি ট্রেনিংয়ের জন্য মেহেদী সিংগাপুর গেলে তখনও মায়ের সাথে দেখা হয়েছিল বেশ কয়েকবার।
অবশেষে ২০২২ সালে ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আবারও উড়াল দেন বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে। এবারের ইচ্ছে ছেলে প্রিন্স মেহেদীর পরিবারের সাথে একদিন নয় বেশ কয়েকদিন কাটাবেন তার গ্রামের বাড়িতে। তাইতো এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি প্রিন্স মেহেদীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাইড়া গ্রামে আসেন। গ্রামটিও অসাধারণ সুন্দর পরিবেশে অবস্থিত। দুই পাশে হাইওয়ে রোডের মধ্যখানে আধুনিক ও আদর্শ গ্রাম। স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা, ২ টি ব্যাংক ও বিশাল বড় খেলার মাঠ। ১০ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ৫ দিন ছিলেন এই পরিবারের সাথে ও মিশেছেন গ্রামের ছোট বড় সবার সাথে । ভাষাগত সমস্যা থাকলেও এই ভদ্রমহিলা গ্রামের মানুষের সাথে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করেন।ভিন্ন ধর্মের হয়েও রাজাবাড়ি মসজিদের কাজের জন্য মসজিদ কমিটির হাতে ৬০ হাজার টাকা ও বাইড়া হাফেজিয়া মসজিদে এতিম বাচ্চাদের জন্য মাদ্রাসার বড় হুজুরের নিকট নিজ হাতে ৪০ হাজার টাকা হস্তান্তর করেন। আরও কমবেশি অনেক কে দিয়েছেন অসংখ্য উপহার।ঢাকা ও টাংগাইল বাকি ৩ দিন ঘুরে ১৮ জুলাই সিংগাপুর ফেরত যাবেন বিদেশি এই মহিলা। কিন্তু কথা দিয়ে গেছেন আগামী বছরের শীতকালে অবশ্যই ঘুরতে আসবেন এই গ্রামে। কারন, বাইড়া গ্রাম তার কাছে অনেক ভাল লেগেছে এবং তিনি এই দেশের প্রেমে পড়ে গেছেন।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা
স্টাফ রিপোর্টার (কুমিল্লা)কুমিল্লার মুরাদনগরে হায়দরাবাদ হাজী ইয়াকুব আলি ভুইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২ই জুলাই ছয়জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও ১ জন কর্মচারীর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে।
বিদায়ী শিক্ষকরা হলেন, প্রধান শিক্ষক মরহুম হাজী আবু তালেব ভুঁইয়া, আবু বক্কর সিদ্দিক ভুইয়া সহকারী প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক মাওলানা আবু ইউসুফ, জনাব আবুল কালাম, জনাব লক্ষী কান্ত দেবনাথ , জনাব রবীন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ। অফিস সহকারী (MLSS) জনাব মিজানুর রহমান।
সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগীতায় উক্ত অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতির পদ অলংকৃত করেন জনাব মনোয়ারা হাকিম আলী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান) জনাব আলহাজ্ব হারুন-আল- রশীদ। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আব্দুল করিম আওয়াল। বিশেষ অতিথি জনাব মোঃ জাকির হোসেন চেয়ারম্যানসহ আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালক অত্র প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব মাইনউদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষকরা হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। বিদায়লগ্নে এই সম্মান একজন শিক্ষকের সবোর্চ্চ প্রাপ্তি। বিদায়ী শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য প্রদানকালে জনাব আবু বক্কর সিদ্দিক ভুইয়া আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আনোয়ারুল হক বলেন এমন একটি অনুষ্ঠানের অংশীদার হতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত। সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান ভুইয়াসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ বলেন প্রতিটি শিক্ষাগুরুই বিদায়বেলায় এমন সম্মান প্রাপ্য। সবশেষে বিদায়ী শিক্ষক ও অনুষ্ঠানের আয়োজকদেরসহ সকলের জন্য মোনাজাত করেন মাওলানা আবু ইউসুফ। সবশেষে উপহার সামগ্রী বিতরণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
নন্দীগ্রামে যুবতীকে অপহরণের পর রাতভর ধর্ষণ, গ্রেফতার ২
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পৌরসভা এলাকার ফোকপাল দক্ষিণপাড়ার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে রুবেল প্রামানিক ওরফে ইয়াবা রুবেল (৪২) এবং একই এলাকার সোবহান কালু শেখের ছেলে হাফিজুর রহমান (২৭)। এরমধ্যে ইয়াবা রুবেল শীর্ষ মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা আদালতে বিচারাধিন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বুড়ইল ইউনিয়নের আপুছাগাড়ী গ্রামের ওই যুবতী (২৬) ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরি করে। সে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই যুবতী আপুছাগাড়ী সড়কের মাথা এলাকায় আসামাত্র হাফিজুর, রুবেলসহ চারজন বখাটে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই রাতেই পৌরসভার ফোকপাল মহল্যার জনৈক হবিবর রহমানের পুরাতন পুকুরপাড়ে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। ভোররাতে ফোকপাল গ্রামের রাস্তায় ওই যুবতীকে ফেলে রেখে লম্পটরা পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার নারী ওই গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্য ফিরোজ কবির ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে অপহরণ-ধর্ষণের ঘটনার জড়িতরা তথ্য সংগ্রহ কাজে বাঁধা দেয়। ধর্ষণের শিকার নারীকে টানাহেঁচড়া করে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধার করাসহ হাফিজুর ও ইয়াবা রুবেলকে গ্রেফতার করে। নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
নড়াইলে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হাসান ইয়াবাসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক
![]() |
নড়াইলে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হাসান ইয়াবাসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক |
মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টারঃবৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকালে নড়াইল সদর থানার মালিবাগ সুলতান ব্রিজ এলাকা থেকে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মোঃহাসান শেখ (৩৩) কে ইয়াবাসহ আটক করে ডিবি পুলিশ।আটক কৃত হাসান নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের কুচিয়াবাড়ি গ্রামের রুস্তম শেখের ছেলে।গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরির্দশক (এসআই) মোঃআলী হোসেন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ নড়াইল সদর থানার মালিবাগ সুলতান ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থানে অভিযান চালায় এসময় মহাসড়কের উপর থেকে মোঃ হাসান শেখকে (১২৩৬) পিস ইয়াবা সহ আটক করেন। হাসান দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছিলেন।
নড়াইল জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরির্দশক (এসআই) মোঃ আলী হোসেন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,গোপন সংবাদ পেয়ে ইয়াবাসহ একজন কে আটক করেছি। আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে।
লাখো মানুষের ঢল: বিভিন্ন মহলের শোক পটিয়ায় জাপা’র কেন্দ্রীয় নেতা শামসু মাস্টারের জানাজা সম্পন্ন
সেলিম চৌধুরী পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও পটিয়ার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শামসুল আলম মাস্টারের জানাজা গতকাল পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে লাখো মানুষের ঢল নামে। তার জানাজায় অংশ নেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি, সাবেক চসিক মেয়র আলহাজ¦ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলাইমান আলম শেঠ, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও পটিয়ার সাবেক এমপি আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল, ইউএনও আতিকুল মামুন, পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম সওদাগর,কেন্দ্রীয় যুবলীগ যুগ্ন সম্পাদক বদিউল আলম, পটিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার মোহাম্মদ পিয়ারু, ডাক্তার তিমির বরণ চৌধুরী,
মহানগর আ.লীগ নেতা দিদারুল আলম চৌধুরী, সাবেক এমপি জাতীয় পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান মৌলবী ইলিয়াস, সাবেক এমপি মজারুল হক শাহ্, সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল কবির দিদার, সাবেক ছাএনেতা জসিমুল আনোয়ার খান,জাতীয় পাটি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, নগর জাপার আহবায়ক এয়াকুব হোসেন, ফটিকছডি উপজেলার সভাপতি এডভোকেট আবছার উদ্দিন চৌধুরী, জাপার কেন্দ্রীয় নেতা নাছির উদ্দীন সিদ্দিকী, নুরুচ্ছফা সরকার, আবদুস সাত্তার রণি, রফিক আহমদ চেয়ারম্যান, আলমগীর চেয়ারম্যান, নুরুল আবছার চেয়ারম্যান, দিদারুল আলম ফজু,সাবেক কমিশনার নুরুল ইসলাম, কাজী খোরশেদ আলম,মনির চেয়ারম্যান, মোহাম্মদ মিয়া চৌধুরী, ডাক্তার খোরশেদ আলম, সেলিম চৌধুরী, মোস্তাক আহমদ, জাহাঙ্গীর মেম্বার, দুলা মিয়া মেম্বার, মোঃ হোসাইন, নুরচ্ছফা, সাখাওত হোসেন সানু, জসিম উদ্দিন বাবর, এম এন জসিম, ইয়াসিন খান,নগর ছাএসমাজ আহবায়ক শরীফ মল্ল নীরবসহ জাতীয় পার্টি, জাতীয়, জাতীয় যুবসংহতি, জাতীয় ছাত্র সমাজ হাজার নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আকম সামশুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, সহ সভাপতি বিমল মিত্র, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার শেখ সাইফুল ইসলাম, পৌর আ.লীগ সভাপতি আলমগীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এম এন এ নাছির, দক্ষিন জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আমম টিপু সুলতান চৌধুরী, কাউন্সিলর গোফরান রানা, সরোয়ার কামাল রাজিব, জসিম উদ্দিন, শফিউল আলম, সাবেক কমিশনার হাসান মুরাদ, সাবেক কমিশনার খোরশেদ গণী, সাবেক কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন শানু,, ব্যবসায়ী নেতা হাজী এম এ ইফসুফ, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জসিম,সাবেক উদ্দিন প্রমুখ। উল্লেখ্য, শামসুল আলম মাস্টার পটিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মরহুম আমিনুল হকের মেজ পুত্র। তিনি পটিয়া পৌরসভার সাবেক তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯১ সাল ও ৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে সামান্য ভোটে হেরে যান।এছাড়াও ১৯৮৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আনোয়ার আসনে ৮৬ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেও জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড বিজয়ী ঘোষনা করেনি বলে জীবিত শামসুল আলম মাষ্টার বার বার বিভিন্ন সভা সমাবেশ অভিযোগ তুলেন।এছাড়া তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে আলোচিত ঘটনা হল এরশাদ মুক্তি আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৯৪ সালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মনজুর হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম আদালত হাজির করলে শামসুল আলম মাষ্টার বিশাল মিছিল নিয়ে তা প্রতিরোধ গড়ে তুলে, শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে আদালত বসে দেশের রাজনীতিতে একটি ইতিহাস গড়েন। এছাড়াও শামসুল আলম মাষ্টার ১৯৮৭ সালে পটিয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে একাধিকবার পটিয়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত সারাদেশে আলোচনায় আসেন।এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার স্বনামধন্য বাংলা পত্রিকা স্বাধীন কন্ঠের কর্ণধার কাজী আরমানের শশুর তিনি।
মোংলা কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত আটক
![]() |
মোংলা কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত আটক |
কোষ্টগার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১২ জুলাই মঙ্গলবার আনুমানিক ১১: ৩০ মিঃ বোর পয়েন্টে নোঙ্গররত অবস্থায় গঠ ইষঁব গবৎষরহ মার্চেন্ট শীপে ডাকাতির প্রস্তুতি চালায়। মার্চেন্ট শীপ থেকে কমিউনিকেশন সেট ( ঠঐঋ চ্যানেল ১৬ ) এর মাধমে ঘটনাটি পোর্ট অথরিটিকে জানায় । বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বিষয়টি জানার সাথে সাথেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশক্রমে বিসিজি স্টেশন কোকিলমনি এবং বিসিজি আউটপোস্ট দুবলা হতে দুইটি অপারেশন দল তৎক্ষণাত ঘটনা তদন্ত করার লক্ষ্যে মার্চেন্ট শীপ এর উদ্দেশ্যে গমন করে। পরবর্তীতে দূর্বৃত্তকারী দলের নৌকাটিকে শনাক্ত করে এবং ধাওয়া দেয় । কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা ডাকাতি করতে ব্যর্থ হয় এবং নৌকাটি পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মার্চেন্ট শীপ থেকে সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজ ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বর্ণিত দুর্বৃত্তকারীদের আটক করার উদ্দেশ্যে কোস্ট গার্ড জাহাজ তামজীদ এর নেতৃত্বে তিনটি অপারেশন দল হাইস্পীড বোট এর সহায়তায় নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে টহল প্রদান করে । অতঃপর আজ ১৪ বৃহস্পতিবার ভোর ০৪: ৪৫ মিঃ সাব লেফটেন্যান্ট এস এম সাজিদ মোস্তফা তনুথর নেতৃত্বে অপারেশন দলটি দুই সিলিন্ডার বিশিষ্ট কাঠের নৌকাসহ ০৭ জনের দুর্বৃত্ব দলকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময়ে নৌকাটি তল্লাশি করে দেশীয় অস্ত্র ( চাপাতি , দা , কুড়াল , অতিরিক্ত ব্লেডসহ করাত ইত্যাদি ) , দড়ি কাটার সরঞ্জাম , ০৭ পিস ইয়াবা ও আনুমানিক ২০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয় । পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোস্ট গার্ড বেইস মোংলার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয় ।