শার্শায় ধান হতে চাল প্রস্তুতে কৃষাণ-কৃষাণীর ব্যস্ত সময় পার


ফসলের মাঠে নেটে কৃষক পরিবারের সিদ্ধ ধান শুকানোর ছবিটি শার্শার গোড়পাড়া থেকে তোলা


এসএম বিল্লাল হোসেন, সিমান্ত প্রতিনিধি (শার্শা) : যশোরের শার্শায় কৃষকের চলতি বোরো ধান গোছানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরই মাঝে কৃষক পরিবারে নতুন করে খাবারের জন্য চাল প্রস্তুতে বর্তমানে ধান সিদ্ধ-শুকানোর বিভিন্ন স্তরে কোমর বেঁধে কাজে নেমে পড়েছেন। বৈরী  আবহাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করেই এই খরতাপের মধ্যে দিন-রাত এ কর্মযজ্ঞে কৃষাণ কৃষাণীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কথা বলে জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলায় ২৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমির কৃষকের চাষকৃত মাঠের সোনালি ফসল বোরো ধান কাটা বাধা, ঝাড়া ও গোলায় তোলার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিছু চাষি পাকা ধান কাটার মূহুর্তে ঝড়বৃষ্টি ও শ্রমিক সংকটের কারণে ধান গোছানোর কাজে পিছিয়ে পড়লেও অধিকাংশ চাষি অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যেই সেই কাজ শেষ করেছেন। ধান গোছানোর কাজ শেষ হতে না হতেই এরই মাঝে কৃষক পরিবারে নতুন করে আবার আগামি ছয় মাস এক বছরের খোরাকি (আহার) ধান থেকে চাল প্রস্তুতে পুরোদমে সিদ্ধ শুকানোর বিভিন্ন ধাপে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। ঝড়বৃষ্টির বিষয়টি বিবেচনা করেই এই খরতাপে কৃষাণ-কৃষাণীসহ পরিবারের সকলেই একাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। 


দেখা যায়, কেউ বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ধান সিদ্ধ করছেন। কেউবা সিদ্ধ ধান উঠান, পাকা ঘরের ছাদ, পরিত্যক্ত চাতাল, আবার কেউবা মাঠে চট-নেটজালে করে সিদ্ধ ধান রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত। অনেকে আবার শুকানো ধান স্থানীয় রাইস মিলে (চাউল প্রস্তুত কল) নিয়ে ভাঙ্গানোর কাজ করছেন।কথা হয় উপজেলার তেবাড়িয়ার জামেনা ও আয়েশা বেগম, সিকিমালী, দরিদূর্গাপুরের আমেনা খাতুন ও মান্নান, ডিহির কানু মিয়া ও নাছরিন খাতুন, গোড়পাড়া উত্তর পাড়ার নাসির উদ্দীন,  শুকজান ও হালিমা বেগম, ধান্যখোলর সালেহা খাতুন ও জুব্বার আলি, লক্ষণপুরের জায়েদা বেগম, কাশিপুর গ্রামের সোহেল রানা, ফুট্টুরি বিবি ও জলিল সহ অনেকের সাথে।

তারা সকলেই সমাজের কথাকে জানান, বোরো ধান গোছানোর কাজ শেষ হয়েছে। ধান বিক্রি ও গোলাই তোলা শেষে এখন পরিবারের সদস্যদের আগামি ছয় মাস এক বছরের পরিবারের খাবারের জন্য ধান সিদ্ধ, শুকানো, ভাঙ্গানো, ঝাড়া এবং ব্যারেলে ভরার কাজে ব্যস্ত রয়েছি। তারা আরও জানান, ধান গোছানোর মূহুর্তে ঝড়বৃষ্টিতে বেশ দূর্ভোগে পড়েছিলাম। সেটা কাটিয়ে উঠেছি। এখন নতুন করে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে পড়তে চাই না। বর্তমানে যে খরতাপ পড়ছে এই সুযোগে পরিবারের খোরাকির জন্য দ্রুত ঝড়বৃষ্টির আগেই ধান সিদ্ধ, শুকানো ও ভাঙ্গানো কাজ সেরে নিচ্ছেন বলে সকলেই জানান।


সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ