![]() |
| ফসলের মাঠে নেটে কৃষক পরিবারের সিদ্ধ ধান শুকানোর ছবিটি শার্শার গোড়পাড়া থেকে তোলা |
দেখা যায়, কেউ বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ধান সিদ্ধ করছেন। কেউবা সিদ্ধ ধান উঠান, পাকা ঘরের ছাদ, পরিত্যক্ত চাতাল, আবার কেউবা মাঠে চট-নেটজালে করে সিদ্ধ ধান রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত। অনেকে আবার শুকানো ধান স্থানীয় রাইস মিলে (চাউল প্রস্তুত কল) নিয়ে ভাঙ্গানোর কাজ করছেন।কথা হয় উপজেলার তেবাড়িয়ার জামেনা ও আয়েশা বেগম, সিকিমালী, দরিদূর্গাপুরের আমেনা খাতুন ও মান্নান, ডিহির কানু মিয়া ও নাছরিন খাতুন, গোড়পাড়া উত্তর পাড়ার নাসির উদ্দীন, শুকজান ও হালিমা বেগম, ধান্যখোলর সালেহা খাতুন ও জুব্বার আলি, লক্ষণপুরের জায়েদা বেগম, কাশিপুর গ্রামের সোহেল রানা, ফুট্টুরি বিবি ও জলিল সহ অনেকের সাথে।
তারা সকলেই সমাজের কথাকে জানান, বোরো ধান গোছানোর কাজ শেষ হয়েছে। ধান বিক্রি ও গোলাই তোলা শেষে এখন পরিবারের সদস্যদের আগামি ছয় মাস এক বছরের পরিবারের খাবারের জন্য ধান সিদ্ধ, শুকানো, ভাঙ্গানো, ঝাড়া এবং ব্যারেলে ভরার কাজে ব্যস্ত রয়েছি। তারা আরও জানান, ধান গোছানোর মূহুর্তে ঝড়বৃষ্টিতে বেশ দূর্ভোগে পড়েছিলাম। সেটা কাটিয়ে উঠেছি। এখন নতুন করে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে পড়তে চাই না। বর্তমানে যে খরতাপ পড়ছে এই সুযোগে পরিবারের খোরাকির জন্য দ্রুত ঝড়বৃষ্টির আগেই ধান সিদ্ধ, শুকানো ও ভাঙ্গানো কাজ সেরে নিচ্ছেন বলে সকলেই জানান।
