ডা.এম.এ.মান্নান,টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতাঃমাবতার মা দেশরত্ন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র নিকট নাগরপুর বাসীর প্রাণের দাবী টাঙ্গাইল-নাগরপুর-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়ক নাগরপুর বাজার অংশটুকু বাইপাস করার দাবীতে দ্বিতীয় দফায় মানববন্ধন করেছেন নাগরপুর বাজার ভূমি মালিক ও ব্যবসায়ীবৃন্দ।সোমবার(৮ মে ২০২৩)সকাল ১১.০০ টায় নাগরপুর সরকারী কলেজ গেট সংলগ্ন রাজিয়া শপিং কমপ্লেক্সে এর সামনে টাঙ্গাইল-নাগরপুর-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়ক নাগরপুর বাজার অংশে বাইপাসকরণ বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন- বঙ্গবন্ধুর কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র সাহসী নেত্বত্বে ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় দেশে ব্যপক উন্নয়ন হচ্ছে এবং দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি লাভ করেছে।আমরা সমগ্র নাগরপুরবাসী টাঙ্গাইল- নাগরপুর-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নিত হোক তা আন্তরিকভাবে চাই ; তবে নাগরপুর-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়ক নাগরপুর বাজার অংশটুকু বাইপাস করার জোর দাবী জানাচ্ছি।বক্তরা আরও বলেন- আমরা ভূমি মালিক ও নাগরপুর বাজারের ব্যবসায়ীবৃন্দ বাইপাস এজন্যই চাই নাগরপুর বাজার দিয়ে আঞ্চলিক মহাসড়ক হলে নাগরপুর বাজার অচল হয়ে পড়বে, ব্যবসায়ীগণ নিঃস্ব হয়ে পড়বে, দীর্ঘ দিনের বসত বাড়ি-ঘর ছাড়তে হবে। এছাড়াও স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা চলাচলে ব্যপক ঝুঁকিতে পড়বে।নাগরপুর-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়ক নাগরপুর বাজার দিয়ে হলে টিটিসি, ফায়ার সার্ভিস, নাগরপুর থানা, ডাক বাংলা, সরকারি যদুনাথ মডেল স্কুল ও কলেজ, নয়ানখান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়সহ অসংখ্যক মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অনেক বসতবাড়ি ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল- আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়ক নগারপুর বাজার অংশে বাইপাস করণে বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মো.সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ন আহবায়ক মো.আকবর হোসেন, মো.মজিবর রহমান, সাবেক শিক্ষক আব্দুস সামাদ,কার্ত্তিক চন্দ্র কর্মকার ও বিজয় কর্মকার প্রমূখ।
এছাড়া বিভিন্ন পেশাজীবী, নাগরপুর বাজারের ব্যবসায়ীবৃন্দ এলাকার গণ্যমান্য ও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী সহ নানা শ্রেনীর নাগরিকবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার( ৩০ মার্চ ২০২৩) সকাল ১১.০০ টায় নাগরপুর সরকারী কলেজ গেটের সামনে টাঙ্গাইল-নাগরপুর-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়ক নাগরপুর বাজার অংশ বাইপাস করার দাবীতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
