সিরাজগঞ্জের ছোনগাছায় দীর্ঘদিনের সমস্যা জড়িত রাস্তা পুননির্মাণ করে প্রসংশায় ভাসছেন দুই ইউপঃ চেয়ারম্যান


মাসুদ রানা বাচ্চু সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃসিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পারপাঁচিল হেলাল এর বাড়ী হতে ভাটপিয়ারী পুরাতন ওয়াপদা বাঁধ পর্যন্ত দীর্ঘদিনের সমস্যা জড়িত রাস্তাটি পুননির্মাণ করে প্রশংসায় ভাসছেন ৬নং ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও ৫নং খোকশাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশিদুল হাসান রশিদ মোল্লা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পারপাঁচিল হেলাল এর বাড়ী থেকে ভাটপিয়ারী পুরাতন ওয়াপদা বাঁধ পর্যন্ত রাস্তা টি বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধের পুর্বে হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানিতে এ রাস্তা টি প্রতিবছর ব্যাপক ক্ষতি হয়।  এবং বিভিন্ন জাগায় গর্ত হয় সেই গর্ত দিয়ে বন্যার পানি ঢুকে ছোনগাছা ইউনিয়নের পারপাঁচিল, ভাটপিয়ারী এবং খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের পাঁচিল, ব্রাহ্মণবয়ড়া মৌজার কয়েকশ বিঘা আবাদি জমির ফসল ক্ষতি হয়। এবং এ কয়েকটি গ্রামে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় তাতে এলাকাবাসীর ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। কিন্তু এ রাস্তাটি মেরামতের জন্য ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রকল্প দেওয়া হয়।  কিন্তু প্রকল্পটি এখনো অনুমোদন না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমের আগেই রাস্তাটি পুননির্মানের জন্য কয়েক গ্রামের মানুষের জোর দাবির প্রেক্ষিতে রাস্তাটি সম্পন্ন নিজেদের অর্থ দিয়ে রাস্তাটি পুননির্মান করেন ৬নং ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ৫নং  খোকশাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশিদুল হাসান রশিদ মোল্লা, ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের  ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মোমিন, ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আমির হোসেন ও ৪,৫,৬নং ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত সদস্য জাহানারা খাতুন প্রায় ১কিলোমিটার রাস্তা পুননির্মান করেন। যাহার খরচ হয়েছে আনুমানিক ৬লাখ টাকা। এ রাস্তাটি পুননির্মাণ করায় ছোনগাছা ইউনিয়নের পারপাঁচিল, ভাটপিয়ারী, খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের পাঁচিল, দিয়াড়পাঁচিল, ব্রাহ্মণবয়ড়া গ্রাম বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেলো। 

এবিষয়ে পাঁচিল গ্রামের সন্তান সাংবাদিক শেখ মোঃ এনামুল হক জানান, এ রাস্তাটি পুননির্মাণ অত্যান্ত জরুরী ছিলো ৭ বছর হলো রাস্তাটি সংস্কার না করায় বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি ঢুকে ছোনগাছা ও খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজার শত শত বিঘা আবাদি জমির ফসল ক্ষতি হয়েছে। জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও খোকশাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশিদুল হাসান রশিদ মোল্লা রাস্তা প্রকল্প পাশের আগেই নিজেদের অর্থ দিয়ে রাস্তাটি করায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে ভাট পিয়ারী গ্রামের বাসিন্দা মো, রফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু ফসলই ক্ষতি হয় না যমুনা নদীর পানি একটু বৃদ্ধি হলেই এ এলাকায় পানি বন্দি হয়ে থাকে কয়েক হাজার পরিবার। এতে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী সহ জনগণের ভোগান্তির শেষ থাকে না।এই রাস্থাটি করায় আমার গ্রামের পক্ষ থেকে দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।এব্যাপারে ৬নং ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, এ ১ কিলোমিটার রাস্তাটি পুননির্মাণ অত্যান্ত জরুরী ছিলো। এ রাস্তাটি সংস্কার না করায় শত শত বিঘা আবাদি  জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এই বিবেচনায় এ রাস্তাটি পুননির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প দেই কিন্তু প্রকল্পটি পাশে বিলম্ব হওয়ায় বর্ষা মৌসুমের আগেই এ রাস্তাটি আমি ও ৩সদস্য এবং খোকশাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশিদুল হাসান রশিদ মোল্লার সমন্বয়ে প্রায় ৬লাখ টাকা ব্যায়ে রাস্তাটি পুননির্মাণ করলাম।তিনি আরও বলেন, আমি আশা করছি অতিসত্বর প্রকল্পটি অনুমোদন করে আমাদের কাজ কে আরও তরান্নিত করবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ।


সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ