যশোর, ,
শিরোনামঃ

চৌগাছা- ঝিকরগাছায় এমপি নাসির উদ্দিনের হাত ধরে উন্নয়নের রোল মডেল


নিউজ ডেস্কঃ যশোর-২ ঝিকরগাছা-চৌগাছা সংসদীয় এলাকায় সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডা. অধ্যাপক নাসির উদ্দিনের হাত দিয়ে ব্যাপক উন্নয়ন কর্ম সম্পাদিত হয়েছে। এই সংসদীয় এলাকায় ৬০০ কোটিরও বেশি টাকার উন্নয়ন হয়েছে, যা উন্নয়নের মাইল ফলক হয়ে থাকবে। এর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে এলাকবাসীর হৃদয় কেড়েছে। এ খাতে ব্যয় করা হয়েছে ৩০০কোটি টাকা। ২০১৯ সাল থেকে চলতি সাল পর্যন্ত সময়ে এ কাজ করা হয়এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সংসদ সদস্য বলেন, আমি নির্বাচিত হবার পর প্রথমে দুই উপজেলার অবহেলিত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব দেই। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রাম হবে শহর।তিনি বলেন, গ্রামকে শহরের মত করতে হলে প্রথমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। আর তাই আমি এদিকটায় গুরুত্ব দিয়েছি বেশি।

যোগাযোগ উন্নয়নে পাকা রাস্তা করা হয়েছে ১৬৫টি। এর মধ্যে ঝিকরগাছায় ৬৬টি, যার দৈর্ঘ ১৩২ কিলোমিটার এবং চৌগাছায় ৯৯টি, যার দৈর্ঘ ১১৮ কিলোমিটার। ৪৩ কিলোমিটারের ৩৬ টি রাস্তা নতুনভাবে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ঝিকরগাছায় আট কিলোমিটার ও চৌগাছায় নয় কিলোমিটার পাকা রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজ চলমান রয়েছে। এতে ব্যয় হচ্ছে ১৮ কোটি টাকা। টিআর ও কাবিখার টাকা দিয়ে মাটির কাজের পরিবর্তে গ্রামের ভেতর ঝিকরগাছার ১৯৫টি ও চৌগাছার ১৭৫টি স্থানে ইটের সলিং করে দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে আট কোটি টাকা। ঝিকরগাছায় ১০টি ও চৌগাছায় ১২ টি পিচের রাস্তার কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।দুই উপজেলায় ৩৭টি স্কুল-কলেজ ভবন মির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঝিকরগাছায় ২২টি ও চৌগাছায় ১৫টি। দুই উপজেলায় পাঁচটি করে ১০টি মাদরাসায় ১০ কোটি টাকা ও ঝিকরগাছায় ১৮টি ও চৌগাছায় ৩৫টি স্কুল ভবনের জন্য ব্যয় করা হয়েছে ৬০ কোটি টাকা।ঝিকরগাছায় তিনটি ও চৌগাছায় পাঁচটি ভূমি অফিস ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝিকরগাছা পৌরসভা ও চৌগাছা পৌরসভার কাজ চলমান রয়েছে।

এছাড়া দু’উপজেলায় দুটি মুক্তিযোদ্ধা ভবন, একটি করে এসি (ল্যান্ড) অফিস ভবন, ঝিকরগাছায় নয়টি ও চৌগাছায় ১২টি ব্রিজ,একটি মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, জমি আছে ঘন নেই ঝিকরগাছায় এমন ৩৯৪ টি পরিবার ও চৌগাছায় ১৩০টি পবিবারকে ঘর এবং জমি নেই ঘরও নেই ঝিকরগাছার এমন ২৪৭টি পরিবার ও চৌগাছায় ৬০০পরিবাকে জমিসহ ঘর দেয়া হয়েছে।ঝিকরগাছায় আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপ দেয়া হয়েছে দুই হাজার ২০১টি এবং চৌগাছায় ২৮৬টি। ঝিকরগাছায় ২৯০ টি ও চৌগাছায় ২২০টি মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও শ্মশানঘাট সংষ্কার করা হয়েছে। ঝিকরগাছায় গ্রাম ও বাজারের রাস্তার মোড়ে ৮৩০টি ও ওচৗগাছায় ৬৮০টি সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে।ঝিকরগাছায় একটি রেল স্টেশন ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ফুলের রাজধানী ঝিকরগাছার গদখালীতে ফুল রাখার জন্য একটি কোল্ড স্টোর নির্মাণ করা হয়েছে। ঝিকরগাছা ও চৌগাছায় ১০টি করে প্রতিষ্ঠানে ১০ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে। বজার উন্নয়ন করা হয়েছে ঝিকরগাছায় দুটি ও চৌগাছায় পাঁচটি। উপজেলা পরিষদের ভেতরে একটি বঙ্গবন্ধু মোরাল নির্মাণের কাজ চলছে। ঝিকরগাছায় ১৩২ জন ও চৌগাছায় ১২০জন ক্যান্সার, হার্ট ও প্যারালাইজড এক কোটি ২৬ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। ঝিকরগাছার ৩৬ জন ও চৌগাছার ২০জন কৃষকের মাঝে কমান্ড হারভেস্টার, সিডর বেড, বেড প্লানার ও পটেটো ডিগার মেশিন দেয়া হয়েছে। ঝিকরগাছার ৩৬ জন ও চৌগাছার ৪০ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। দুটি আধুনিক ফায়ার ব্রিগেডের তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে দুটি। উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন নির্মণ করা হয়েছে।এছাড়া অসহায় গরিব মেধাবী শিক্ষর্থীদের মাঝে ৩০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। একটি প্রেসক্লাব ভবন, চৌগাছা থানার দুইতলা আবাসন ভবন, ১০০ বেডের হাসপাতাল, ১৫ টি শহিদ মিনার, দুটি মডেল মসজিদ ও শেখ রাসেল স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন নির্বাচিত হবার আগেও জনকল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি তার জীবনে তিন হাজার ৫০০ জনকে চাকরি দিয়েছেন।


সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ