কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ কয়রায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।উপকুলীয় জনপদ কয়রা উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় মিধিলি ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। বর্তমানে ৮নং সতর্ক সংকেত অব্যাহত রয়েছে। এ জন্য ঘুর্নিঝড় মোকাবেলায় সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলার ১১৭ টি ঘুণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে।এ সকল আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। কয়রায় কর্মরত সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ঘুর্নিঝড়ের ক্ষতি হাত তেখে রক্ষা পেতে অনেক মানুষ ইতিমধ্যে সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। কয়রায় ৫ টি ইউনিয়নে ২১ কিলোমিটার বেড়িবাধ ঝুকিপুর্ন রয়েছে। বেড়িবাধ ভাঙ্গার আতংকে রয়েছে কয়রাবাসি। ইতিমধ্যে কয়রার বিভিন্ন ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন, সেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুতি রাখা, শুকনো খাবার সংরক্ষন এবং জরুরী ভিত্তিতে মাইকিং করা হয়েছে। কয়রা উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ ছাড়া সিপিপির সদস্য সহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা সহ স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন মাঠ পর্যায় কাজ করছে।সহকারী কমিশনার( ভূমি) বি এম তারিক-উজ-জামান উপজেলার বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টার পরিদর্শন ও জন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে গিয়ে মানুষকে সচেতনতা করে সাইক্লোন শেল্টারে আসার আহবান যানায়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ কামাল হোসেন বলেন, ঘুর্নিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।