রবিউল হোসাইন সবুজ, লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-০৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী লাকসামে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, নৌকা মার্কা মানে দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়। তাই সবাইকে আগামী ০৭ জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানাই। আমার নির্বাচনী আসনে অসংখ্য রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে, শত শত ব্রিজ- কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সার্বিকভাবে লাকসাম- মনোহরগঞ্জে উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেখলেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। তখন তিনি এদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি করলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন। শেখ হাসিনা তার পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করছেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে গ্রামের গরীব মানুষেরা চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে পারতো না। তাদের একটা ট্যাবলেট কিনার পয়সা ছিলো না। তাই শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সে সময় গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য চিন্তা করে প্রতি ৬ হাজার লোকের জন্য একটা করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেন৷ আমার নির্বাচনী এলাকা লাকসাম- মনোহরগঞ্জে অসংখ্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার বয়স্ক মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধবাদের জন্য বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতিবন্ধী ভাতা, গর্ভবতী নারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ভাতা চালু করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ভিজিডি চাউল, ভিজিএফ গম ও চাউল বিতরণ বিনামূল্যে ব্যবস্থা করেছেন শেখ হাসিনার সরকার। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি ছিলো, খাদ্য ঘাটতি পূরণ হয়নি। কৃষকের জন্য সারের ব্যবস্থা করা হয়নি, কৃষকেরা সারের জন্য আন্দোলন করে মার খেতে হয়েছে। দেশে ১ মেগওয়াট বিদ্যুৎ তারা উৎপাদন করেনি৷ ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষের খাদ্য ঘাটতি পূরণ হয়েছে, কৃষকদের জন্য বিনামূলে সারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আমার প্রিয় লাকসামের জংশনে একটা আন্ত:নগর ট্রেন থামতো না। আমি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর লাকসাম জংশনে প্রতিটি আন্ত:নগর ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করেছি। এখন লাকসাম জংশনকে আধুনিক ও সুন্দর করার জন্য একটা প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশে অসংখ্য নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা- চট্টগ্রাম ডাবল লাইন চালু করা হয়েছে, কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চালু করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার লাকসাম উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরেছেন। অনেক লড়াই, সংগ্রাম এর পর ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিলো। সেই নির্বাচনে আপনাদের সন্তান হিসেবে নেত্রী আমাকে নৌকা মার্কা প্রতিক দিয়ে আপনাদের কাছে প্রেরণ করেছেন। আমি সেদিন আপনাদের কাছে আসার পর আপনারা আপনাদের সন্তান হিসেবে, ভাই হিসেবে আমাকে নৌকা মার্কা প্রতিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। মহান জাতীয় সংসদে এমপি বানিয়ে পাঠিয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি এমপি নির্বাচিত হয়ে আপনাদের কথা ভুলে যাইনি। লাকসাম ও মনোহরগঞ্জের উন্নয়নে দিন-রাত কাজ করেছি। আগামী ০৭ জানুয়ারি, নির্বাচন এই নির্বাচনের দিন আপনারা ভোটারেরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে, সুন্দরভাবে, শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং আমাকে নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়ার জন্য আপনাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ এখন শান্তিতে ভোট দেয়। আগামী ৭ জানুয়ারি দল মত নির্বিশেষে সবাইকে ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানাই৷ একইদিন মন্ত্রী লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর,কান্দিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন লাকসাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুস ভুঁইয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আবু তাহের, লাকসাম পৌরসভা মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য মেজর (অব:) হাবিবুর রহমান, লাকসাম পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি তাবারক উল্লাহ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক এড.রফিকুল ইসলাম হিরা, লাকসাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পড়সী সাহা, লাকসাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন শামীম, কান্দিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন সানি, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম তুষার, লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফ খান স্বাধীন, সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদসহ লাকসাম উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, যুব মহিলালীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)