হিলির সীমান্তবর্তী বাজারে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

কৌশিক চৌধুরী, হিলি প্রতিনিধিঃ ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি আর এই খুশিকে ভাগাভাগি করে নিতে দিনাজপুরের হিলি বাজারে জমে উঠেছে ঈদবাজার। স্থানীয় ক্রেতা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা আসছেন ঈদবাজার করতে। দিন গড়ে সন্ধ্যায় বাড়ছে ক্রেতাদের সংখ্যা। কেউ আসছেন তৈরি পোশাক কিনতে। আবার কেউ আসছেন মসলাপাতি কিনতে। ক্রেতারা বলছেন এ দোকান সে দোকান ঘুরে ঘুরে দেখছেন। পছন্দ ও দরদামে মিললে কিনবেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছর রোজার ঈদের ১০ থেকে ১৫ রোজা পার হলে বিক্রি বাড়তে থাকে। এবারও তাই হচ্ছে। 

গাইবান্ধা থেকে হিলি বাজারের পোশাক নিতে আশা হাফিজুল ইসলাম বলেন, 'আমি একটি সংস্থায় চাকরি করি। রমজানের ১৯ রোজা পার হয়েছে ঈদ ঘনিয়ে আসছে। তাই পরিবার নিয়ে সীমান্তবর্তী বাংলাহিলি বাজারে আসছি । এখানে ভালোমানের সব ধরনের পোশাক পাওয়া যাবে তাই দোকান ঘুরে দেখছি। দাম মোটামুটি নাগালের মধ্যেই আছে। পছন্দ হলে কিনবো।

আরেক ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন আমরা বগুড়া থেকে এসেছি। ঈদের কেনাকাটা করতে। তৈরি পোশাক সঙ্গে মসলাপাতি কেনার ইচ্ছে আছে। বগুড়াতে তো মসলার দাম হিলি চেয়ে বেশি। তাই কাপড় কেনার পর মসলা কিনবো। এখানে কাপড়ের দামও কম। যেহেতু বগুড়া থেকে এসেছি। তাই ঈদের সব কেনাকাটা করার ইচ্ছেই আছে।খান বস্ত্রালয়ের মালিক মনির হোসেন বলেন, প্রতিবছর রমজানের ১০ থেকে ১৫ রোজা পার হলে হিলিতে ঈদের কেনাকাটা বাড়তে থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা আসেন ঈদের কেনাকাটা করতে। এবারও ১৫ রোজার পর থেকেই বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। এখনো ঈদের ১০ দিনেরও বেশি বাকি আছে। আশা করছি বিক্রি আরও বাড়বে।

মসলা বিক্রেতা মোকারম হোসেন বলেন, অন্যান্য দিনের চেয়ে রোজার ঈদের মসলা ভালোয় বিক্রি হয়। তারপরও বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা পোশাক কিনতে আসছেন । এরমধ্যে অনেকে পরিবারের জন্য জিরা, বড় এলাচ, ছোট এলাচ কিনছেন। এত বেচাকেনাটা বাড়ছে।তিনি আরও বলেন, আমরা এখন প্রতিকেজি জিরা ৬২০ টাকা কেজি, বড় এলাচ ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে আর ছোট এলাচ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তবে কোরবানি ঈদে মসলা বেশি বিক্রি হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ