শরনখোলায় দুর্ঘটনায় আহত রাজমিস্ত্রী শ্রমিক সোলায়মানের পরিবারকে সাহায্য করুন


মোশাররফ হোসেন মনির শরণখোলা উপজেলা প্রতিনিধি: বাগেরহাট জেলা শরনখোলা উপজেলা উনত্রিশ বছরের যুবক সোলায়মান হাওলাদারের মমতাময়ী মা নেই! ছোটভাই ভারতের কারাগারে বন্ধী আছেন অনেক মাস যাবত। তার কাঁধে পক্ষাঘাতগ্রস্থ বাবার ভার! ঘরে আছে প্রতিবন্ধী এক বোন। সংসারে ফুটফুটে দুই কন্যা ও স্ত্রী। এই নিয়ে রাজমিস্ত্রীর সহকারী সোলায়মান হাওলাদের জীবন সংগ্রাম ভালোই চোলছিলো। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো হ্ঠাৎ সোলায়মানের জীবনে নেমে আসে ভয়ংকর এক বিপদ। 


কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুটি মটরচালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে সোলায়মানের ডান পা হাটুর নিচ থেকে  বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়! বর্তমানে তিনি খুলনার হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন। বাগেরহাট জেলার সুন্দরবন অধ্যুষিত শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা গ্রামে তার বাড়ি। ছয় সদস্যের চাল-চুলোহীন, হতদরিদ্র পরিবারটির দু'বেলা, দু'মুঠো খাবার যোগানের জন্য একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন সোলায়মান হাওলাদার। এই দুর্ঘটনায় সোলায়মানের গোটা পরিবার চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। 


খুলনা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও তার পায়ে ইনফেকশন হয়ে পচন ধরে যায়। পরে স্থানীয় যুবকদের উদোগে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনার হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার সেন্টার নামে প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তারগণ জানিয়েছেন, সোলায়মানের পা হাটুর নিচ থেকে পুরোপুরিভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যথাযথ চিকিৎসা করালে তার পা ভালো হবে বলে ডাক্তারগণ আশা দিয়েছেন। এজন্য দীর্ঘকালীন চিকিৎসা ও একাধিক সার্জারীর প্রয়োজন হবে। এই ব্যয়বহুল চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার সামর্থ্য দুস্থ সোলায়মানের নেই। এমনকি হাসপাতালে তার সঙ্গে থাকার মতও পরিবারে কেউ নেই। অর্থাভাবে অপারেশনসহ তার উন্নত  চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।

এমতাবস্থায় অসহায় সোলায়মান ও তার পরিবারের পাশে আমরা যার যার সাধ্য ও সামর্থ্য নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দেই। আমাদের যাকাত, সাদাক্বাহ এবং মানবিক সহায়তার মাধ্যমে সোলায়মানকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে পারি। সোলায়মান হাওলাদার সম্পর্কিত যেকোন তথ্য ও অর্থ সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করুন:   ▪️বিকাশ/নগদ নাম্বার: 01777457639


সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ