গাজীপুর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গাজীপুর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন

খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন


ডা.এম.এ.মান্নান,  টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি: খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের করাগারে বন্দী থাকায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন। সোমবার,৭ জুন ২০২১ খ্রি. রাতে অনুষ্ঠিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আমীরে মজলিস মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংগঠনের নায়েবে আমীর, যুগ্ম মহাসচিব, সম্পাদকবৃন্দ ও নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ সংযুক্ত ছিলেন।

নাগরপুরে অর্নাস চর্তুথ বর্ষের ছাত্র আজাদ এর আত্মহত্যা

নাগরপুরে অর্নাস চর্তুথ বর্ষের ছাত্র  আজাদ এর আত্মহত্যা

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পরকিয়া সর্ম্পক জেনে যাওয়ায় গৃহশিক্ষককে চোরের অপবাদ দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করলেন গৃহকর্তা। ঘটনার শিকার উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের চারাবাগ গ্রামের করটিয়া সা'দত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মো. আজাদ মিয়া (২৪)। মঙ্গলবার দুপুরে চারাবাগ গ্রামে আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে। সে ওই গ্রামের মো. মেহের আলীর ছেলে। মৃত্যুর আগে আত্মহত্যার কারণ নিজ হস্তে চিরিকুটে লেখে গেছেন ওই ছাত্র ।
এলাকাবাসী জানান, অনার্স পড়ুয়া ছাত্র আজাদ পাশের বাড়ীর শওকত এর ছোট ছেলেকে প্রাইভেট পড়াতো। শওকত প্রবাসী হওয়ায় তার স্ত্রী একই গ্রামের রাসেলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়া করে আসছে।
অনৈতিক কার্যকলাপ দেখে ফেলায় আজাদকে চোরের অপবাদ দিয়ে আত্মহত্যায় বাধ্য করতে পারে। 

চিঠির বক্তব্যঃ
“মৃত্যুর আগে কেউ মিথ্যে কথা বলে না, এখন আমি সত্য কথা বলে দুনিয়ার বুক থেকে চলে যাবো। রাসেলের সাথে আমার ভাল সম্পর্ক। কিন্তু শওকতের স্ত্রীর সাথে রাসেলের অবৈধ সম্পর্ক আছে। মাঝে মধ্যে শওকত এর স্ত্রীর সাথে রাসেল অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হত যা আমি দেখে ফেলি। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য মাঝে মধ্যে আমাকে টাকা দিতো রাসেল । এদিকে শওকতের স্ত্রী কুলসুম পাশের এলাকার তোফার স্ত্রী গেন্দির কাছ থেকে সাত লক্ষ টাকা ধার আনে। গেন্দি টাকা ফেরৎ পেতে চাপ দেন শওকতের স্ত্রী কুলসুমকে। কুলসুম টাকা ফেরৎ চাওয়ার বিষয়টি রাসেলকে জানান। তোফার স্ত্রীর টাকা যাতে ফেরৎ দেয়া না লাগে রাসেল ও কুলসুম মিলে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাসেল আমাকে ফোন দিয়ে শওকতের বাড়ীতে যেতে বলে। যাবার পরে রাসেল বলে, কুলসুমের ফোন কিছুক্ষনের জন্য তোর কাছে রাখবি। পরে কুলসুম ফোন খোজাখুজি করলে তুই বলবি যে তোফার স্ত্রী গেন্দি তোরে ফোনটা দিয়েছে।
তখন গেন্দিকে চোরে অপবাদ দিবো যাতে টাকা ফেরৎ দিতে না হয়। কিন্তু পরে মোবাইল চোরের অপবাদটা আমার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। আমার মা বাবা ও সমাজের কথা চিন্তা করে আমি তা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না। শুধু তাই নয় রাসেল একজন ইয়াবাখোর। মাঝে মধ্যে শওকতের ছেলে ও রাসেল ইয়াবা সেবন সহ মেয়ে এনে রাতভর বাড়ীতে ফুর্তি করে এবং আযানের সময় বিদায় করে দেয়। ভোরে মেয়েটিকে বিদায় করার সময় পাশের বাড়ীর আবু তালেবের ছেলে রাকিব দেখে ফেলে। চোরের অপবাদ সইতে না পেরে আমি পৃথিবী থেকে বিদায় নিলাম।”
মৃত্যুর আগে এমনটাই লিখে যান আজাদ।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে ফোর্স পাঠাই। লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে প্রেরণ করি। তদন্ত রিপোর্ট ও অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।