মাঠশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠন: সভাপতি সাইদুর রহমান

 মাঠশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠন: সভাপতি সাইদুর রহমান

নবনির্বাচিত সভাপতি বক্তব্য রাখছেন - ছবিঃ কপোতাক্ষ নিউজ 

আব্দুল জব্বার, স্টাফ রিপোর্টার।।যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ১১ নং বাঁকড়া ইউনিয়নের মাঠশিয়া গ্রামের মাঠশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নব নির্বাচিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির নতুন সভাপতি হিসাবে আসন অলংকৃত করে এসেছেন অত্র বিদ্যালয়ের ২০০৪ ইংরেজী সালের এস এস সি ব্যাচের ছাত্র ও বর্তমানে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবি, এ্যাডভোকেট (উকিল) এবং বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সাইদুর রহমান।

নব গঠিত সভাপতি সাইদুর রহমান তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, আমি এই স্কুলেরই ছাত্র,আমার লাইফের প্রথম সার্টিফিকেট এই স্কুলের, আর আজ আমি ঢাকা জজ কোর্টের আইন জীবি। আমি তেমন কেউ না, এই প্রতিষ্টানের সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা আমার নাই, এখানে যারা উপস্থিত আছেন এরা আমার শিক্ষক, আমার ভাই,বন্ধু। আমি আপনাদের ছাত্র, ছাত্র হয়ে থাকতে চাই সভাপতি হিসাবে নয়। এই স্কুলের এত দিন কি ভাবে চলেছে আমি জানিনা তবে আজ থেকে নতুন ভাবনায় ও নতুন ধারায় চলবে। যাতে করে আগের চেয়ে ছাত্র ছাত্রী ভাল ভাবে লেখা পড়া করে আরও ভাল উন্নত হতে পারে। এই স্কুলের সার্বিক উন্নতি হয় সে দিকে আপনারা সবাই নজর রাখার আহবান জানান।কমিটির আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ নিছার আলী।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাঁকড়া জে কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান মাঠশিয়ার দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার নব নির্বাচিত সভাপতি, মোঃ হাফিজুর  রহমান।ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি সেলিম রেজা,  মাষ্টার শওকত আলী, বাঁকড়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সাংবাদিক আব্দুল জব্বার শেখ, সাংবাদিক বিল্লাল হোসাইন, চ্যানেল এস টিভির প্রতিনিধি সাংবাদিক মহাসিন আলমমাটশিয়া আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান, ও অত্র প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষকসহ  প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক ও এলাকার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আশাশুনিতে জিআরএস এর বেজ লাইন জরিপ

 আশাশুনিতে জিআরএস এর বেজ লাইন জরিপ



আহসান উল্লাহ  বাবলু আশাশুনি  সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: আশাশুনিতে জিআরএস এর বেজলাইন জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। বুধবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১ টায় উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয় ও পরিষদে পৃথক পৃথক ভাবে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। 


অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) বেজ লাইন জরিপ পরিচালনা করেন, অ২ও প্রকল্পের ইয়াং প্রবেশনাল ফাহাদ হাসান আদনান। তথ্য সংগ্রহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, মাজেদুল হক, আবির জাসান, জিনেট চাকমা ও রহমত উল্লাহ। অনুষ্ঠানে সরকারি সেবা সমূহ, সেবা গ্রহণকারীদের প্রাপ্যতা, সমস্যা, অনলাইন ও ডিজিটাল ব্যবস্থা ব্যবহারের নিয়ম, ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের ধারণা, অভিযোগের প্রতিকার ব্যবস্থার অগ্রগতি (ইত্যাদি) বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।  এছাড়া সরকারি সেবা পেতে সমস্যা, অনিয়ম ও সেবা গ্রহণকারীসহ সাধারণ মানুষের সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি জণসাধারণের কাছে সেবা সহজে পৌছে দেওযা, ভোগান্তি দূর করা, সেবা সম্পর্কে ও অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চয়তা ও অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য সেবা গ্রহণকারী বা অভিযোগকারী ও সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে থাকার বিষয়টি সম্পর্কে করনীয়তা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

আশাশুনিতে উন্নয়ন’র বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

 আশাশুনিতে উন্নয়ন’র বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

আহসান  উল্লাহ আশাশুনি সাতক্ষীরা  প্রতিনিধি: আশাশুনিতে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে। আলোকিত এবং মানবকেন্দ্রীক সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় আশাশুনি ইউনিয়নে উন্নয়নে যুব সমাজ, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বুধবার দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে ফুটবল খেলায় আশাশুনি ফুটবল একাদশ বনাম সোদকনা ফুটবল একাদশ মুখোমুখি হয়। খেলা পরিচালনা করেন ক্রীড়া শিক্ষক ও সাজেক্রিস’র রেফারী আনিছুর রহমান। খেলায় আশাশুনি ২-০ গোলে সোদকনাকে পরাজিত করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি এস.এম আহসান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ হোসেন, আশাশুনি বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি ঢালী সামছুল আলম, উন্নয়ন সংস্থার আশাশুনি শাখা ব্যবস্থাপক শাহরিয়ার হোসেন, প্রভাষক জাহিদুল ইসলাম, ডা: ইকবাল কবির সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য তারক মন্ডলসহ দর্শকবৃন্দ। সমৃদ্ধি কর্মসূচির ইউনিয়ন সমন্বয়কারী এস.এম আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মু. জাবের হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সকালে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. ইয়ানুর রহমান। পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন’র বাস্তবায়নে দিনব্যাপী আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যপী সকল ইভেন্টের প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। 

জাতীয় যুবসংহতি ৩৯তম প্রতিষ্টাবার্ষী শনিবার, পটিয়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি

 জাতীয় যুবসংহতি ৩৯তম প্রতিষ্টাবার্ষী শনিবার, পটিয়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি

সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-জাতীয় যুব সংহতির ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় যুব সংহতির আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও র্র্যলি আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা   শামসুল আলম মাষ্টার। জাতীয় যুব সংহতির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সকল নেতা-কর্মীদের আগামী  শনিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় সময় পটিয়া জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় যুবসংহতি আহবায়ক মোঃ দিদারুল আলম দিদার। 

পটিয়া আইনজীবি সমিতির নির্বাচন সভাপতি শাহজাহান, সম্পাদক মাহবুবা মিষ্টি নির্বাচিত

 পটিয়া আইনজীবি সমিতির নির্বাচন সভাপতি শাহজাহান, সম্পাদক মাহবুবা  মিষ্টি নির্বাচিত


সভাপতি শাহজাহান, সম্পাদক মাহবুবা


পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরীঃ-  চট্টগ্রামের পটিয়া আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে এডভোকেট একেএম শাহজাহান উদ্দিন সভাপতি ও এডভোকেট মাহবুবা আজমিরী মিষ্টি ৭৭ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক  নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যরা হলেন- সহ-সভাপতি এডভোকেট খুরশিদ আলম, সহ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জসিম উদ্দিন ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়  নির্বাচিতরা হলেন- অর্থ সম্পাদক এডভোকেট মো. মহিউদ্দিন মুহিন, পাঠাগার সম্পাদক এডভোকেট মো. জমিউর আলম, সাংস্কৃতিক ও আপ্যায়ন সম্পাদক এডভোকেট তানজিনা জাহান, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক এডভোকেট শ্রীকান্ত চৌধুরী, কার্যকরি সদস্য এডভোকেট রনি চৌধুরী, এডভোকেট অনিক দে, এডভোকেট মো. রোকন উদ্দিন। (২৯ মার্চ)

বুধবার দুপুর ১২টা থেকে একটানা ৫ টা পর্যন্ত আইনজীবি সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৪৭জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সভাপতি একেএম শাহজাহান উদ্দিন ভোট পেয়েছেন ৫২ তার  প্রতি›দ্বন্ধী প্রার্থী দীপক কুমার শীল ৫১ ভোট। ভোট শেষে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এডভাকেট জিতেন্দ্র লাল দত্ত, সহকারী নির্বাচন কমিশনার মিন্টু আচার্য্য ও সহকারী নির্বাচন কমিশনার মুনিরুজ জাহান মুন্নি ফলাফল ঘোষনা করেন। এদিকে পটিয়া বারের নির্বাচনে প্রথম বারের মতন নারী প্রার্থী এডভোকেট মাহবুবা আজমিরী মিষ্টি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।মাহবুবা আজমিরী মিষ্টি পটিয়া পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান বড় মেয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবনির্বাচিত পটিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মাহবুবা আজমিরী মিষ্টির  ছোট ভাই মহিউদ্দিন আল কাদেরী বাবু। 

ফরিদপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা, অন্য ২বাড়িতে আগুন; ফের সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশের মাইকিং

ফরিদপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা, অন্য ২বাড়িতে আগুন; ফের সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশের মাইকিং

হামলার চিহ্ন -ছবিঃ কপোতাক্ষ নিউজ 

আঃ রাজ্জাকঃফরিদপুরের ভাঙ্গায় আলগী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণত সম্পাদক সাংবাদিক এটিএম ফরহাদ নান্নু'র বাড়িতে হামলা ভাংচুর বিভিন্ন ফসল বিনষ্ট, একই গ্রামের অন্য ২টি বাড়িতে আগুন সহ ৮টি বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালানো ঘটনা ঘটেছে। ফের এ সংঘর্ষ যাতে সংঘটিত না ঘটে সে লক্ষে ভাঙ্গা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে এবং দাঙ্গা হাঙ্গামায় ব্যবহৃত সকল দেশীয় অস্ত্র থানায় অথবা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। 


স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, উক্ত বিষয়টি ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নজরে দেওয়া হলেও প্রশাসনের বিশেষ নজরদারী না থাকায় মঙ্গলবার ভোরে সোনাখোলা ও বালিয়াচরা গ্রামের শত শত গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সড়কি, রাম দা, বল্লম, টেটা, ছুড়ি, চাপাতি, লাঠি সোঠা ইত্যাদি নিয়ে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া চালায়। একটি পর্যায়ে পরিস্থিতি ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও সোনা খোলা গ্রামের লোকজন তাদের পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজনকে ভাড়া করে এনে বালিয়াচরা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক তান্ডব চালায়।


প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকের ভাষ্যমতে প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে তান্ডব চলতে থাকে। এসময় নারী পুরুষ, শিশুরা নিজেদের ঘরে অবরুদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি শত শত লোকের চিৎকার শোরগোল আর উল্লাসে এসময় গোটা এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরে ঘরে ঘরে। খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা হিমশিম খেয়ে উঠে। সংঘাতের একটি পর্যায়ে ৩টি বাড়িতে রান্নাঘর (পাঠ কাঁঠির ঘরে) অগ্নিসংযোগ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সাংবাদিক নেতার বাড়িতে, পুলিশ সদস্য আকাশ মুন্সী, আ. হান্নান, জাফর, সিরাজ শেখ, নুরু কাজী, আঃ গফফার, হাবিল, কাউসার, মিজানুর মুন্সীর বাড়িতে হামলা, তান্ডব ভাংচুর চালায়।

অগ্নিসংযোগ করার পাশাপাশি ঘরের মালামাল লুটের অভিযোগ এনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আব্দুল গফফার সাংবাদিকদের জানান, হামলাকারীরা তার ঘরের মালামাল ভাংচুর ও লুটপাট সহ ছোট মেয়ের বিবাহের স্বণালংকার সহ মার্কসীট, আইডি নিয়ে গেছে। আমরা গরীব মানুষ বইলা পুলিশের কাছে বিচার পাবো না !? 


স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সোনাখোলা ও বালিয়াচরা গ্রামের মাঝে মাঠে খেলাকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করা হয়। কিন্ত পুলিশ বিষয়টি আংশিক গুরুত্ব দেয়ায় দুটি গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একপক্ষ অন্যে পক্ষের উপর হামলা করতে লোকজন নিয়ে উদাম মাঠে নেমে পরে। দীর্ঘ সময় ধরে চলে এ সংঘর্ষ।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলগী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নেতা এ. টি. এম ফরহাদ নান্নু'র বাড়ি সহ নয়টি বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, তান্ডবের আলামত পাওয়া যায়। এবং ক্ষেতের অনেক রবিসশ্য, মরিচ, কুমড়ো, লাউ, পিয়াজ, পুঁইশাক, ডাটা, টমেটো, কলাগাছ ইত্যাদি বিনষ্ট, গম ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে পুরানো, পাওয়ার ট্রিলার, স্যালোমেশিন, জমিতে পানি দেওয়ার মোটা-চিকন ফিতা কুপিয়ে বিনষ্ট করার আলামত পাওয়া যায়।


হতদরিদ্র আব্দুল গফফার, হাবিল, কাউসার মুন্সী, ভুলু মুন্সী সহ একাধিক প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, পুলিশ হ্যান্ড মাইকিংয়ে নিষেধ করার পরে আমাদের গ্রামের (বালিয়াচরা) লোকজন কাইজ্যা (সংঘর্ষ) থেকে বিরত থেকে যার যার বাড়িতে ফিরে যেতে থাকে আর এই সুযোগে আমাগো গ্রামে হামলা, তান্ডব, ভাংচুর, ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে সর্ব শেষে দুটি বাড়িতে পাটখড়ির রান্নাঘর সহ দুইটি খড়ির মটে আগুন লাগিয়ে দেয় সোনাখোলা গ্রামের সন্ত্রাসী  লোকজন। সেইসময় উপস্থিত পুলিশের তেমন ভুমিকা লক্ষ করা যায় নাই।


গফফারের বড় মেয়ে জানান, আমার ছোট বোনের বিবাহ ঠিক হওয়ায় বোনের জন্য নতুন দুই ভরি স্বর্নালংকার, হাতের ঘড়ি, পায়ের দুল এসএসসি, এইচএসসি মার্কসীট, পরিবারের অন্যদের ৩টি এনআইডিকার্ড, আমার ভাইয়ের সার্টিফিকেট সহ সব দলিলপত্র নিয়ে যায় সোনাখোলা গ্রামের লোক।  আমরা গরীব বলে আমরা কী বিচার পাবো না! আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দোষীদের বিচার চাই।


জাহাঙ্গীর মুন্সী বলেন, আমার পাওয়ার ট্রাক কুপিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা সাংবাদিকদের জানান, প্রায় চার ঘন্টা যাবত দু গ্রামের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। সংঘর্ষ বন্ধে পুলিশ যেসময় হ্যান্ড মাইকিং করে, বালিয়াচরা গ্রামবাসী তখন শান্ত হয়ে ফিরে যেতে থাকে। আর ঐ দিকে শরীফ, শওকত, আয়নাল, নজরুল শিকারী, জাহাঙ্গীর মাতুব্বর, জব্বার, কটন মাতুব্বর, বাকা মাতুব্বর, আলম প্রমুখ লোকদের উষ্কানিতে সোনাখোলা গ্রামের লোকজন পুনরায় বালিয়াচরা গ্রামের ৮টি বাড়ির উপর ঝাঁপিয়ে পরে ব্যাপক তান্ডব চালায়। সংঘর্ষে, জালাল শেখ, সালেহা, লতিফা বেগম, খোকন মুন্সি, রাজ্জাক শেখ সহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।

কুলাউড়ায় সময়ের পুর্বে আজান দেয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করলেন ইউ এন ও ফরহাদ চৌধুরী

কুলাউড়ায় সময়ের পুর্বে আজান দেয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করলেন ইউ এন ও ফরহাদ চৌধুরী


মো: রেজাউল ইসলাম শাফি, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ
কুলাউড়া পৌর এলাকার মাগুরায় একটি মসজিদে  সময়ের পুর্বেই অাজান দেয়াকে কেন্দ্র করে সাধারণ মুসল্লীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিলো।লা মাজহাবী ছালাফি মতাদর্শে বিশ্বাসী একটি মহল কর্তৃক এই মসজিদ পরিচালিত হয়।সম্প্রতি পবিএ রমজান মাসকে সামনে রেখে এর প্রতিকার চেয়ে সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দাখিল করলে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী গত ৩০ শে মার্চ বুধবার সকালে উভয় পক্ষ কে নিয়ে শুনানি করেন।দীর্ঘ শুনানি শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টের্ড এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী অন্যান্য মসজিদের ন্যায়  বাংলাদেশ সরকারের ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অাজান দেয়ার জন্য সালাফিদের প্রতি নির্দেশনা দেন এবং এ নিয়ে কোন ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে প্রচলিত নিয়মেই সবকিছু পরিচালনার জন্য অনুরোধ করেন। 

এ সময় উভয় পক্ষের উলামায়ে কেরাম সহ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার ভুমি সজল মোল্লা।কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃফজলুল হক খান সাহেদ,কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম আতিকুর রহমান অাখই সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী মহোদয়ের সমপযোগি এই সিদ্ধান্ত সর্ব মহলে প্রসংশিত হচ্ছে।