নওগাঁ-৫ সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে জখম

নওগাঁ-৫ সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে জখম

রাজশাহী ব্যুরোঃ নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে নওগাঁ-৫ (সদর) আসনের ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণের সমর্থক রেজাউল ইসলাম ওরফে রেঞ্জা (৬০) নামের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে শহরের বটতলী মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।এই আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) আর নওগাঁ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আহত রেজাউল ইসলাম ওরফে রেঞ্জা নওগাঁ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পার-নওগাঁ এলাকার বাসিন্দা এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণের ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন রেঞ্জা। পথে রাত ৮টার দিকে বটতলী মোড় এলাকায় পৌঁছালে তার উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা করা হয়। হামলাকারীরা কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।

ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ অভিযোগ করে বলেন, নৌকার প্রার্থীর অনুসারী নেতাকর্মীরা রেজাউল ইসলাম রেঞ্জার উপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে। কয়েক দিন আগে নৌকার প্রার্থীর অনুসারী এক নেতা আমার কর্মী চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসেনকে ট্রাক প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা করলে প্রাণনাশের হুমকি দেন।নৌকা প্রার্থীর অনুসারী নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক কমল জানান, আমাদের কোন নেতাকর্মী কারোর উপর হামলা করেনি। তাদের অভিযোগের সত্যতা কতটুকু সেটা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এ ধরণের হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। পুলিশ নিশ্চয়ই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।

নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল হক বলেন, হামলার ঘটনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে এ নিয়ে নওগাঁয় ছয়টি সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটলো। এছাড়া প্রতিপক্ষের হাতে নওগাঁর বিভিন্ন সংসদীয় এলাকায় পক্ষ-প্রতিপক্ষের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অন্তত ১২টি ঘটনা ঘটেছে।

নওগাঁ-৬ নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের মধ্যে হবে লড়াই

নওগাঁ-৬ নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের মধ্যে হবে লড়াই

মোঃ ফিরোজ আহমেদ,রাজশাহী ব্যুরোঃ আত্রাই ও রাণীনগর দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ আসন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। প্রতীক পাবার পর থেকে কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে কর্মী-সমর্থক নিয়ে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পাল্লাদিয়ে ভোটের মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থী সমর্থকদের পদচারনায় উৎসবমুখর হয়ে উঠছে পুরো এলাকা।

এদিকে নির্বাচন কমিশন হতে প্রতি কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টদের ফলাফল শীট দিয়ে দেওয়ার কথা বলায় রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে ফলাফল ঘোষণা দেওয়ার আসঙ্কা দুর হয়ে ভোটারদের মধ্যে ভোটদানের আগ্রহ বাড়ার পাশাপাশি স্বস্তি ফিরছে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশন থেকে প্রার্থীরা সমান সুযোগ পাওয়ার ফলে ভোটারদের মাঝে দিন দিন ভোটের আমেজ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রার্থী-সমর্থকরা উঠান বৈঠক, পথসভা, নির্বাচনী বিশেষ সভা, হাটে-বাজারে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা অতীত কর্মকান্ডের ভুলক্রুটির ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি এ আসনে ভোটের মাঠে রয়েছেন ৮ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন এবারের লড়াইটা হবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল ও স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক সুমনের মধ্যে।
এছাড়া মাঠে রয়েছেন জাতীয় পাটির লাঙ্গল প্রতীকে আবু বেলাল হোসেন জুয়েল, তৃণমুল বিএনপির সোনালী আাঁস প্রতীকে পিকে আব্দুর রব, স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকে নওশের আলী, স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকে জাহিদুল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে আব্দুস সাত্তার এবং এনপিপির আম প্রতীকে খন্দকার ইত্তেখার আলম।
এ আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার নয়শত ৭৩ জন। যার মধ্যে আত্রাই উপজেলায় পুরুষ ৮৪ হাজার নয়শত ২৫ মহিলা ৮২ হাজার আটশত ৩৯ হিজরা ২ জন, রাণীনগর উপজেলায় পুরুষ ৮০ হাজার আটশত ৮ মহিলা ৭৯ হাজার তিনশত ৯৭ হিজরা ২ জন।এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলালের বাড়ী রাণীনগর ও স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক সুমনের বাড়ী আত্রাই হওয়ায় উভয়েই নিজ নিজ উপজেলায় ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে পারেন বলে সুধী মহল ধারনা করছেন।এ বিষয়ে এলকার ভোটারদের সাথে কথা বললে তারা জানান, যিনি এলাকার উন্নয়ন, যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শান্তির স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং গরীব-দুঃখীর পাশে দাঁড়াবেন তাকেই তারা বিজয়ী করবেন।
এবারের নির্বাচনে আইনশৃ্খংলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বদা পুলিশ প্রশাসন মাঠে কাজ করছে বলে নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, কোন প্রার্থী বা তার সমর্থক ভোটারকে ভোটদানে বিরত রাখতে ভয়ভীতি প্রদর্শন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তাকে সাথে সাথে আইনের আওতায় আনা হবে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু, সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।

আবারও জেএমবি ও সর্বহারা'র আস্তানা বানানোর পায়তারা ভুলে যান : কালাম

আবারও জেএমবি ও সর্বহারা'র আস্তানা বানানোর পায়তারা ভুলে যান : কালাম

রাজশাহী প্রতিনিধি : নানা সমালোচনায় সমালোচিত ও বহু নারী কেলেংকারীর ঘটনায় জড়িত ও ভাইরাল হয়ে দল ও বাগমারা'র ভাবমূর্তি নষ্ট করা রাজশাহী-৪ আসনের ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এবার নৌকা বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেঁচি প্রতীকে নির্বাচন করছেন।বাগমারায় জনপ্রিয়তা হারিয়ে বহিরাগত জেএমবি ও সর্বহারা'র উত্তরসূরী দিয়ে নির্বাচনের মাঠ উত্তাপ ছড়ানোসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লিপ্ত হয়েছেন।আবারও জেএমবি ও সর্বহারা'র আস্তানা বানানো পায়তারা বা তাদের দিয়ে অপচেষ্টার কথা ভুলে যান।বাগমারা'র মানুষ তাঁদের ভাগ্য পরিবর্তনে শুরু'র লড়াইয়ে ইতোমধ্যে জয় লাভ করেছেন।দীর্ঘদিনের দাবিতে মাঝি পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে বাগমারায়।এবার আসন্ন ৭ জানুয়ারিতে ভোট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাগমারায় নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে চায় বাগমারাবাসী।এমনটাই বললেন হাটগাঙ্গোপাড়ার বাড়িগ্রাম মাদ্রাসা মাঠের বিশাল জনসভার বক্তারা।৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর (শনিবার ও রোববার) শুভডাঙ্গা ও ঝিকড়া ইউনিয়নে পথসভা ও জনসভাসহ গণসংযোগ কালে আ'লীগের নেতা কর্মীরা এমন বক্তব্য দিয়েছেন।

এসময় আ'লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা মাঝি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদও বাগমারাবাসীর নিকট ভোট প্রার্থনাসহ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে একবার নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ চেয়েছেন।পথসভা ও জনসভাসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ কালে নৌকা প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি হাইব্রিড আ'লীগ না।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিসহ তাহেরপুর পৌরসভার সফল মেয়র হওয়ার কথাগুলো বাগমারাবাসীদের জানান।যেভাবে তাহেরপুর পৌরসভার উন্নয়ন হয়েছে ওই একইভাবে বাগমারা'র উন্নয়ন হবে।কোনো অপশক্তি অপতৎপরতা চালিয়ে নির্বাচন সমালোচিত করতে পারবে না।যারা এমনটা করবেন তাঁদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এটা সর্বহারা, জেএমবি বাংলা ভায়ের আমল মনে করেন না।প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। আবারও জেএমবি ও সর্বাহারাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে লাভ নাই।আশ্রয় দিবেন, খুব ভালো, মনে রাখবেন আপনার বাগমারায় আপনারাই থাকতে পারবেন না।এদের চিনে রাখুন এরা আবারও জেএমবি'র আস্তানা বানাতে চায় বাগমারাকে।কিন্তু সে সুযোগ আপনাদের দেওয়া হবে না।বাড়িগ্রাম মাদ্রাসা মাঠ জনসভায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের বিভিন্ন অপকর্ম ও অপতৎপরতায় রুখে দাঁড়ানো দ্বায়িত্বটাও বাগমারাবাসীকে নিতে হবে বলেও উল্লেখ্য করেন বক্তারা।

এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ঝিকড়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের নিকট ভোট প্রার্থনাকালে নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্নে স্বপ্ন দেখি।তিনি যে উন্নয়নে অংশ নিতে আমাকে নৌকা দিয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে বাগমারাবাসী আমাকে এবার নির্বাচনে জয় লাভ করবেন বলে বিশ্বাস করি।বাগমারার মানুষকে উপহার দিবো স্মার্ট বাংলাদেশের মধ্যে মডেল ও ডিজিটাল উপজেলা।যেখানে থাকবে না কোনো অনিয়ম দূর্নীতি ও হয়রানি।সাধারণ মানুষ সেবা পাবেন তাঁদের দোরগোড়ায়।জনসভা ও পথসভায় হাজার হাজার নারী পুরুষসহ শুভডাঙ্গা ও ঝিকড়া ইউনিয়ন আ'লীগে নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।উপস্থিত সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়ে এসময় নৌকায় ভোট দিবেন বলে অঙ্গিকার করেন।শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যায়ে বাগমারাবাসী এবার নৌকায় ভোট দিতে চায় বলে উপস্থিতরা জানান।প্রতিবেদক উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপকালে এবার বাগমারায় নৌকাকে এগিয়ে রাখছেন বলে জানান।

দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ-স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ-স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

রবিউল হোসাইন সবুজ, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি: আগামী ০৭ জানুয়ারি, নির্বাচন এই নির্বাচনের দিন আপনারা ভোটারেরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে, সুন্দরভাবে, শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং আমাকে নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়ার জন্য আপনাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ এখন শান্তিতে ভোট দেয়। আগামী ৭ জানুয়ারি দল মত নির্বিশেষে সবাইকে ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানাই৷আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ০৭ জানুয়ারী-২০২৪ ইং   উপলক্ষ্যে - কুমিল্লা-০৯(লাকসাম- মনোহরগঞ্জ )  আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত  নৌকার প্রতিক  প্রার্থী মো: তাজুল ইসলাম এমপি'কে বিজয়ী করার লক্ষ্যে উওরকুল ও গুন্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার  (৩০ ডিসেম্বর-২০২৩ইং) সকালে লাকসাম পৌর ৯নং এবং ০৮  ওয়ার্ডের উওরকূল-গুন্তি  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  মাঠ প্রাঙ্গনে নির্বাচনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।এসময়ে আলোচনা সভায় বক্তব্যে রাখেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের নৌকার প্রতিক  প্রার্থী মো: তাজুল ইসলাম এমপি তিনি বলেন,বর্তমানে পাকিস্তানের ২৫ কোটি মানুষের জিডিপি ৩৪৮ বিলিয়ন ডলার আর বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের জিডিপি প্রায় ৫শ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের চাইতে আমাদের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ বেড়েছে। ওদের ১৪ ডলার আর আমাদের ২ হাজার ৮শ ২৪ ডলার। পাকিস্তান থেকে আমরা সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে আছি। আমাদের দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে । খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। পাকিস্তানের মানুষ এখনও অভাবে জীবন যাপন করছে। ভারত, নেপাল, ভুটান, থেকে আমরা ভালো আছি, এদের থেকে বাংলাদেশের আমাদের মাথাপিছু আয় বেশি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,লাকসাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুস ভুঁইয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আবু তাহের, লাকসাম পৌরসভা মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের, লাকসাম পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাবারক উল্লাহ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক এড.রফিকুল ইসলাম হিরা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পড়সী সাহা, লাকসাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন শামীম, পৌর ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম রাব্বানী,মহিলা কাউন্সিলর মুশফিক আলম মিতা, নাসিমা সুলতানা, নাছিমা আক্তার,  লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন সানি, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম তুষার, লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফ খান স্বাধীন, সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদসহ লাকসাম উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, যুব মহিলালীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ। এ সময়ে নির্বাচনী কমিটির নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঝিকরগাছায় হলি চাইল্ড স্কুলের বার্ষিক ফলাফল ও গুণিজন সংবর্ধনা

ঝিকরগাছায় হলি চাইল্ড স্কুলের বার্ষিক ফলাফল ও গুণিজন সংবর্ধনা

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা: যশোরের ঝিকরগাছার শিওরদাহে হলি চাইল্ড স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও গুণিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।ঝিকরগাছার এসকে ক্লিনিকের পরিচালক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক হাবিবুর রহমান হাবিব'র আয়োজনে শনিবার সকাল ১১টার সময় স্কুল প্রাঙ্গণের অনুষ্ঠানে হলি চাইল্ড স্কুলের সভাপতি এসএম মাহাবুব আলম মন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পানিসারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মীর ফারুক আহম্মদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝিকরগাছার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেবার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাস্টার আশরাফুজ্জামান বাবু, জান্নাত ফাউন্ডেশনের পরিচালক সালমা খাতুন মনি, পোপ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হাসান হাফিজুর রহমান, বর্ণীল সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মেহেদী দিপু, সাংবাদিক এমআর মাসুদ, ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন চাঁদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন মোড়ল, সাংবাদিক সোহেল রানা, বাইসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, শিওরদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান, সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন, কুলিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান লাল্টু, সাদামনের মানুষ খ্যাত সায়েদ আলী, হলি চাইল্ড স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান মিলন, সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল রহমানসহ আরও অনেকে।

নওগাঁয় ট্র্যাক প্রতীকের সহযোগী বাদলকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম

 নওগাঁয় ট্র্যাক প্রতীকের সহযোগী বাদলকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম

মোঃ ফিরোজ আহমেদ রাজশাহী ব্যুরোঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে ট্র্যাক প্রতীকের সহযোগী উপজেলা আ'লীগ সহসভাপতি জেলাপরিষদ সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদলকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করা হয়েছে। শনিবার ৩০ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক পোনে দশটায় উপজেলা সদর সাহেবগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।ঘটনা ঘটিয়ে দৌরে পালানোর সময় ঘটনাকারী নাটোর জেলাধীন নলডাঙ্গা উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের আজিজার হোসেনের ছেলে শামিম হোসেন সানি (২৫) কে জনতা ধাওয়া দিয়ে আটক করে পুলিশে দেয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশ ও বিজিবি টহল দিচ্ছে।চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল বলেন, নির্বাচনী ক্যাম্পে যাবার উদ্দেশ্যে সাহেবগঞ্জ বাজারে চা খেয়ে মোটরসাইকেলে উঠছিলাম এমন সময় পিছন হতে পিঠে চাকু মারলে চিৎকার দেওয়ামাত্র সাহেবগঞ্জ গ্রামের ভোদন এবং আটককৃত শামিম হোসেন দৌরে পালায়।

মোটরসাইকেলের চালক সাজেদুল ইসলাম সেন্টু জানান, বাদল চাচা চিৎকার দেওয়ামাত্র ঘটনাকারী দৌর দিলে মোটরসাইকেল রেখে চাচার পিঠ থেকে চাকু টেনে বের করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, শীতের পোশাক থাকায় চাকু দুই ইঞ্চিরমত গভীরে গেছে। তবে আর একটু নিচে চাকু মারলে ফুসফুসের বড় ক্ষতি হতো।ট্র্যাক প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক সুমন বলেন, ঘটনার পেছনে যিনারা আছেন তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকে আমার সহযোগীদের নানান ভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে।আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, জনতা মারফত নাটোর জেলাধীন নলডাঙ্গা উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের আজিজার হোসেনের ছেলে শামিম হোসেন সানি (২৫) থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারন জানতে তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রকৃয়াধীন।

ঝিকরগাছা সরকারি এমএল মডেল হাই স্কুলে অনলাইনে নতুন কারিকুলাম স্কিমের নৈপুণ্য ফলাফল প্রকাশ

ঝিকরগাছা সরকারি এমএল মডেল হাই স্কুলে অনলাইনে নতুন কারিকুলাম স্কিমের নৈপুণ্য ফলাফল প্রকাশ

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝিকরগাছা সরকারি বহুমুখী মডেল (এমএল) হাই স্কুল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সরকারি নতুন কারিকুলাম স্কিমের নৈপুণ্য ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঝিকরগাছা সরকারি বহুমুখী মডেল (এমএল) হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আজাদ বলেন, আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল। আর এই ডিজিটালকে স্মরণ করে রাখতে আমাদের এই ভিন্ন আয়োজন। স্কুলের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটা শিক্ষকই কঠোর পরিশ্রম করছেন। আমি আশাকরি ক্রমাগতই আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করছে এবং ভবিষ্যতেও আরো ভালো করবে।
স্কুলের কনফারেন্স রুমের এই আয়োজনে ঝিকরগাছা সরকারি বহুমুখী মডেল (এমএল) হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আজাদ'র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবু, ঝিকরগাছা সরকারি বহুমুখী মডেল (এমএল) হাই স্কুল সহকারী প্রধান শিক্ষক এএফএম সাজ্জাদুল আলম, সিনিয়র শিক্ষক আফরোজা খানম চায়না, রাজিয়া সুলতানা, মনির হোসেন, দেবাশীষ বিশ্বাস, উজ্জ্বল বিশ্বাস সহ স্কুলের সকল শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

আশাশুনির জামান নগর শুভ বড়দিন অনুষ্ঠানে ওসি বিশ্বজিৎ কুমার

আশাশুনির জামান নগর শুভ বড়দিন অনুষ্ঠানে ওসি বিশ্বজিৎ কুমার

আহসান উল্লাহ  বাবলু, আশাশুনি সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: আশাশুনির জামাল নগর ক্যাথলীক মিশনে শুভ বড়দিন উপলক্ষে ওসি বিশ্বজিৎ কুমারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন জামাল নগর ক্যাথলিক মিশনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের জামাল নগর ক্যাথলিক মিশনে এ ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। বড়দিন উদযাপন কমিটির আয়োজনে ৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমার বলেন, খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন (ক্রিসমাস) ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে খুশির দিনে প্রতিটি গির্জায় প্রার্থনা হয়। মানবতার কল্যাণে যিশুখ্রিষ্টের শান্তির বাণী ছড়িয়ে যাবে বিশ্বজুড়ে। আলোকসজ্জা, ক্রিসমাস ট্রি আর সান্তা ক্লজের উপহারে মেতে উঠবে প্রতিটি পরিবার। তিনি আরো বলেন, গির্জার আইনশৃংখলার বিশেষ নিরাপত্তার জন্য আমরা সর্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখছি। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে আপনারা সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানাবেন। আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। উদযাপন কমিটির সভাপতি মাস্টার লালন সরকারের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন এএসআই সালাম, এএসআই মোজাফফর, এএসআই রাজু, অচিন্ত কুমার, মহিলা ইউপি সদস্য হাফিজা খাতুন তামা, বড়দিন উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সরকার, দিলীপ সরকার, অরুণ গোলদার, স্বপন সরদার, প্রসাদ গোলদার, প্রসাদ মন্ডল প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষ বুড়িয়া ক্যাথলিক গীর্জায়, বড়দল সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার ক্যাথলিক গীর্জা পরিদর্শন করেন।

নৌকা মার্কায় ভোট দিলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

নৌকা মার্কায় ভোট দিলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

রবিউল হোসাইন সবুজ, লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-০৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী লাকসামে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, নৌকা মার্কা মানে দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়। তাই সবাইকে আগামী ০৭ জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানাই। আমার নির্বাচনী আসনে অসংখ্য রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে, শত শত ব্রিজ- কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সার্বিকভাবে লাকসাম- মনোহরগঞ্জে উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেখলেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। তখন তিনি এদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি করলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন। শেখ হাসিনা তার পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করছেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে গ্রামের গরীব মানুষেরা চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে পারতো না। তাদের একটা ট্যাবলেট কিনার পয়সা ছিলো না। তাই শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সে সময় গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য চিন্তা করে প্রতি ৬ হাজার লোকের জন্য একটা করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেন৷ আমার নির্বাচনী এলাকা লাকসাম- মনোহরগঞ্জে অসংখ্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার বয়স্ক মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধবাদের জন্য বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতিবন্ধী ভাতা, গর্ভবতী নারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ভাতা চালু করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ভিজিডি চাউল, ভিজিএফ গম ও চাউল বিতরণ বিনামূল্যে ব্যবস্থা করেছেন শেখ হাসিনার সরকার। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি ছিলো, খাদ্য ঘাটতি পূরণ হয়নি। কৃষকের জন্য সারের ব্যবস্থা করা হয়নি, কৃষকেরা সারের জন্য আন্দোলন করে মার খেতে হয়েছে। দেশে ১ মেগওয়াট বিদ্যুৎ তারা উৎপাদন করেনি৷ ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষের খাদ্য ঘাটতি পূরণ হয়েছে, কৃষকদের জন্য বিনামূলে সারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আমার প্রিয় লাকসামের জংশনে একটা আন্ত:নগর ট্রেন থামতো না। আমি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর লাকসাম জংশনে প্রতিটি আন্ত:নগর ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করেছি। এখন লাকসাম জংশনকে আধুনিক ও সুন্দর করার জন্য একটা প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশে অসংখ্য নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা- চট্টগ্রাম ডাবল লাইন চালু করা হয়েছে, কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চালু করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার লাকসাম উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরেছেন। অনেক লড়াই, সংগ্রাম এর পর ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিলো। সেই নির্বাচনে আপনাদের সন্তান হিসেবে নেত্রী আমাকে নৌকা মার্কা প্রতিক দিয়ে আপনাদের কাছে প্রেরণ করেছেন। আমি সেদিন আপনাদের কাছে আসার পর আপনারা আপনাদের সন্তান হিসেবে, ভাই হিসেবে আমাকে নৌকা মার্কা প্রতিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। মহান জাতীয় সংসদে এমপি বানিয়ে পাঠিয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি এমপি নির্বাচিত হয়ে আপনাদের কথা ভুলে যাইনি। লাকসাম ও মনোহরগঞ্জের উন্নয়নে দিন-রাত কাজ করেছি। আগামী ০৭ জানুয়ারি, নির্বাচন এই নির্বাচনের দিন আপনারা ভোটারেরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে, সুন্দরভাবে, শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং আমাকে নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়ার জন্য আপনাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ এখন শান্তিতে ভোট দেয়। আগামী ৭ জানুয়ারি দল মত নির্বিশেষে সবাইকে ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানাই৷ একইদিন মন্ত্রী লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর,কান্দিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন লাকসাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুস ভুঁইয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আবু তাহের, লাকসাম পৌরসভা মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য মেজর (অব:) হাবিবুর রহমান, লাকসাম পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি তাবারক উল্লাহ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক এড.রফিকুল ইসলাম হিরা, লাকসাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী,  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পড়সী সাহা, লাকসাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন শামীম, কান্দিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক,  লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন সানি, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম তুষার, লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফ খান স্বাধীন, সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদসহ লাকসাম উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, যুব মহিলালীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

ঝিকরগাছা বিএম হাই স্কুলে নতুন কারিকুলাম স্কিমের নৈপুণ্য ফলাফল প্রকাশ

ঝিকরগাছা বিএম হাই স্কুলে নতুন কারিকুলাম স্কিমের নৈপুণ্য ফলাফল প্রকাশ

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছার ঐতিহ্যবাহী ঝিকরগাছা বদরুদ্দীন মুসলিম(বিএম) হাই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ২৮৫জন শিক্ষার্থী ও ৭ম শ্রেণির ৩১০জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সরকারি নতুন কারিকুলাম স্কিমের নৈপুণ্য এবং ৮ম শ্রেণির ৩০০জন শিক্ষার্থী ও ৯ম শ্রেণির ৩০২জন শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়নের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও স্কুলের প্রতিটা শ্রেণির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আয়োজনে সভাপতিত্বে করেন ঝিকরগাছা বদরুদ্দীন মুসলিম(বিএম) হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সামাদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমি গর্ববোধকরি যে জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম আমার স্কুলই সরকারি নতুন কারিকুলাম স্কিমের উপর ফলাফল প্রকাশ করেছি। যেটা করতে আমাদের শিক্ষকদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আমি প্রতিটা শিক্ষককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সরকারি এই নতুন কারিকুলাম বুঝতে পারলে খুবই সহজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা বদরুদ্দীন মুসলিম(বিএম) হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মাহমুদ মুকুল, শিক্ষক প্রতিনিধি বেনজির আহমেদ, আসাদুর রহমান, নাসরিন আখতার নয়ন, সহকারী প্রধান শিক্ষক নাজমুল আলম, সিনিয়র শিক্ষক নাজমা পারভিন, আব্দুস সোবাহান, আব্দুস সামাদ, শাহানারা খাতুন, হালিমা খাতুন মুক্তা, বাবুল হোসেন, মনিরা পারভিন, জাহিদ হাসানসহ স্কুলের সকল কোমলমতি শিক্ষার্থীবৃন্দ।

জবিতে নজরুলের নাটক ‘শিল্পী’ মঞ্চস্থ

জবিতে নজরুলের নাটক ‘শিল্পী’ মঞ্চস্থ

জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) মঞ্চস্থ হয়ে গেলো বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাটক 'শিল্পী'।বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউটিলিটি ভবনের ষষ্ঠ তলায় নাট্যকলা বিভাগের স্টুডিও থিয়েটার কক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটি মঞ্চায়িত করা হয়।নাটকটির কোর্স তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন শামস্ শাহরিয়ার কবি। নাটকটির পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন বিথী রানী মন্ডল, আবীর হায়দার খান আকাশ, সায়লা আক্তার ও বৃষ্টি দেবনাথ। নাটকটিতে অভিনয়ে ছিলেন সৌরভ বিশ্বাস রুদ্র, অনন্যা সিংহ ও ফৌজিয়া পিংকী।বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের 'শিল্পী' নাটকটির কাহিনী গড়ে উঠেছে আত্মমগ্ন চিত্রশিল্পী সিরাজ তার স্ত্রী লাইলী ও প্রেমিকা চিত্রা কে ঘিরে সাধারণ ভাষায় ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী 'শিল্পী'। অর্থাৎ চিত্রকর সিরাজ তার স্ত্রী লাইলী ও অপূর্ব মানসী চিত্রা- এ তিনটি চরিত্রকে কেন্দ্র করেই ঘটনা অগ্রসর হয়েছে।

নাটকটির প্রথম দৃশ্যে সিরাজ সবসময় তার শিল্পকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকে। চিত্রকর সিরাজ মূলত সৌন্দর্যের উপাসক। কিন্তু অন্যদিকে তার স্ত্রী শিল্পের পূজারী। সিরাজের স্ত্রী অসুস্থ লাইলীর মনে মানুষ সিরাজের আকাঙ্ক্ষা। চিত্রকর নয়, শিল্পী সিরাজ নয়, মানুষ অর্থাৎ স্বামী-রূপে সিরাজকে পাওয়ার তীব্র বাসনায় ব্রত শয্যাশায়ী লাইলী। সে স্বামীকে কাছে পেতে চায় রক্তমাংসের মানুষ হিসেবে, কিন্তু সিরাজ বাস্তবে স্ত্রীকে চায়না। শিল্পী সিরাজ বাহু-বন্ধনে আবদ্ধ নারীকে ছুঁলেই প্রজাপতির পাখার রঙের মতো মিলিয়ে যেতে দেখে। শিল্পী সিরাজ এর মাঝে ভালোবাসা ও সৃষ্টির আনন্দ খুঁজে পায় না। সে জানায় তাকে সে তুলিতে অমর করে রাখবে। তার গৃহলক্ষী হবে নিখিল শিল্পীর বিশ্বলক্ষী। শিল্পী সিরাজ মনে করে প্রাপ্তির আনন্দের চাইতে বেদনার রঙে পুরানি তপস্যী হয়ে ওঠাই শ্রেয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব। এমন সময় চিত্রা আসে। পরবর্তীতে শিল্পী সিরাজ জাগতিক সংসারের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে চায়। সে ছুটে অপূর্ব মানসী শিল্পীর ভক্ত প্রেমিকা চিত্রার কাছে।

দ্বিতীয় দৃশ্যে দেখা যায়, লাইলী যখন অভিমান করে তাকে ছেড়ে দূরে চলে যায় স্বীয় পিত্রালয়ে তখনই সিরাজ আবার আকৃষ্ট হয় তার প্রতি। সিরাজ ব্যাকুল হয়ে চলে যায় লাইলীর কাছে এবং ফেরার সময় লাইলী তার আঁকা স্বামী সিরাজের একটি চিত্র তাকে উপহার দেয়। শিল্পী সিরাজ তার হৃদ-কোমলে নতুনভাবে লাইলীকে আবিষ্কার করে তৃপ্ত হয়। শিল্পী সিরাজ সব সময় নিত্য-নতুন সুন্দরের পূজারী। সিরাজ আবার স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যায়।

তৃতীয় দৃশ্যে দেখা যায়, শৈলাবাসের নির্জন সন্ধ্যায় শিল্পী সিরাজের অপূর্ব মানসী চিত্রা শিল্পীকে মানুষ সিরাজ হয়ে পেতে চায়। কিন্তু সিরাজ তার কাছেও ধরা দেয়না। প্রেমিকা চিত্রা অনুধাবন করে শিল্পী সিরাজ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাকেও ছেড়ে শিল্পী সিরাজ একসময় চিরসত্য অসুন্দর বেদনার পথে পা বাড়ায়। বিদায় বেলায় এই প্রথম শিল্পীর চোখ বেয়ে নেমে আসে অশ্রু। এই বেদনার মাঝেই শিল্পীর নবজন্ম কে উপলব্ধি করলো চিত্রকর সিরাজ। অর্থাৎ এই বেদনার মধ্য দিয়েই শিল্পী সিরাজের চিরন্তন শিল্পের পথ পরিক্রম করে।

'শিল্পী' নাটকটির পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় থাকা বিথী রানী মন্ডল বলেন, শিল্প আমাদের আনন্দ দান করে, কারণ তা ব্যক্তিস্বার্থের পরিধি অতিক্রমের মাধ্যমে আমাদের বৃহৎ জীবনের মুখোমুখি করে দেয়। যা ব্যক্তি জীবন ও সমাজ সাহিত্য ও শিল্পে রূপায়িত হয়, তাই শিল্পজাত আনন্দ আমাদের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। 'শিল্পী' নাটকের প্রেক্ষিতেই অনুধাবন কৃত যে শিল্পী তো হয় মানব জীবন ও সমাজ জীবন। তাই হেগেলের ভাষ্যে যিনি ইন্দ্রিয়ের অতীত সেই মহাসত্যকে ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য রূপদানের রূপবানের রূপদানের প্রয়াসই হল আর্টের পরমত্ব।তিনি আরও বলেন, 'শিল্পী' নাটকটিতেও বোঝানো হয়েছে, যা তার নিজের জীবন ও সমাজের সঙ্গে অর্থাৎ ভাষা বিশ্বাস আচার-বিচার প্রভৃতির মাধ্যমে অচ্ছেদ্য সম্পর্কের রহস্য জাল। শিল্পে শিল্পী শুধু নিজেকে নয়, সমাজকেও প্রকাশ করে। তাইতো শিল্পীসত্ত্বার সগৌরবে মানুষ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে এবং আপন সত্ত্বাকে উদঘাটনের জন্য পার্থিব ও সাংসারিক সম্পর্কের মোহ মায়া ত্যাগ করে শিল্পীসত্ত্বার আসন আবিষ্কার করতে চায় নবতর ভাবে। এ নাটকের চিত্রকর শিল্পী সিরাজই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

নাটকটিতে অঙ্গরচনায় সহকারী হিসেবে ছিলেন অনামিকা গাইন ও ইসরাত লামিয়া, পোশাক সমন্বয়কারী অনন্যা সিংহ ও ফৌজিয়া পিংকি, আবহ সংগীত পরিকল্পনায় ও সহযোগিতায় সৌরভ বিশ্বাস রুদ্র, অনন্যা ও পিংকি, মঞ্চ পরিকল্পনায় সহযোগী ও কোরিওগ্রাফি ইসরাত লামিয়া, শ্রাবন্তী রায়, কামরুন নাহার যুঁথি, ডেলা, দিয়া চৌধুরী ও ব্রতী অধিকারী, আলোক প্রক্ষেপণ সহযোগিতায় অনামিকা গাইন, পোস্টার পরিকল্পনায় খমক মন্ত্র ও সৌরভ বিশ্বাস রুদ্র, ভাঁজপত্র ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মারুফ। নাটকটিতে ড. কামালউদ্দিন খান, মো. আব্দুল হালিম প্রামাণিক, ক্যাথরিন পিউরীফিকেশন, সঞ্জীব কুমার দে, রুবাইয়া জাবীন প্রিয়তা, আফরিন হুদা ও কৃপাকণা তালুকদারকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে। এছাড়াও সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন নাট্যকলা বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

রাজশাহী-২ : ৫০ বছরের খরা কাটিয়ে জয়ে ফেরা নৌকা ডুবাতে তৎপর আওয়ামীলীগের একাংশ

রাজশাহী-২ : ৫০ বছরের খরা কাটিয়ে জয়ে ফেরা নৌকা ডুবাতে তৎপর আওয়ামীলীগের একাংশ

রাজশাহী প্রতিনিধি : ১৯৭৩ সালের পর থেকে প্রায় ৫০ বছর রাজশাহী-২ আসনে সংসদ নির্বাচনে কোনোদিন নৌকা জয়ের মুখ দেখতে পায়নি।পুরো সময়টাতেই এখানে জয়জয়কার ছিলো বিএনপির।২০০৮ সালের নির্বাচনে ৫০ বছর পর ফজলে হোসেন বাদশার হাত ধরে প্রথম এই আসনে নৌকা জয় পায়।এরপর থেকে টানা তিনবার তিনি নৌকার কাণ্ডারি হিসেবে সংসদ সদস্য হয়েছেন।তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের একটি অংশের নৌকা-বিরোধী অবস্থান এই আসন নিয়ে সংশয় তৈরি করেছে।


সামরিক শাসনের অবসানের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই আসতে পারেননি।সেই নির্বাচনে কমিউনিস্ট লীগের প্রার্থী হিসেবে ফজলে হোসেন বাদশা ৩৪ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন।২০০২ সালের সিটি নির্বাচনে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনুর বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে নামা রাকসুর সাবেক ভিপি বাদশার সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রকাশ্য ঐক্য তৈরি হয়।ওই নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে বাদশা হারলেও অভিযোগ ওঠে, বিএনপি কারচুপির মাধ্যমে ফলাফল বদলে দিয়েছে।এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ১৪ দলীয় জোট গঠিত হলে ২০০৮ সালে ৫০ বছর পর প্রথমবারের মতো বাদশার হাত ধরেই এই আসনে নৌকা বিজয়ী হয়।

কিন্তু এবার শুরু থেকেই মহানগর আওয়ামী লীগের একটি অংশ ফজলে হোসেন বাদশাকে নৌকার প্রার্থী করার বিরোধিতা করে আসছে।যদিও রাজশাহী-২ নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে গিয়ে ভোটারদের প্রশ্নবানে জর্জরিত হতে হচ্ছে ওইসব আওয়ামী লীগ নেতাদের।বিশেষ করে, দলের নেতা হয়ে কীভাবে ও কী কারণে তারা দলের প্রতীকের বিপক্ষে কাজ করছেন, সেই প্রশ্নটি বারবার শুনতে হচ্ছে তাদের।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের জবাবে সন্তুষ্ট হচ্ছেন না ভোটাররা।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের বোয়ালিয়া পূর্ব শাখার সহ-সভাপতি আলাল পারভেজ লুলু গত মঙ্গলবার তার অনুগত নেতাকর্মীদের নিয়ে 'নৌকা'র বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটের প্রচারণায় যান শিরোইল এলাকায়।সেখানকার আওয়ামী লীগ সমর্থক এক পরিবারের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে তিনি ভোট চাইলে তারা জানতে চান, নৌকার পক্ষে কেন তারা ভোট চাইছেন না? লুলু ও তার সঙ্গের লোকজন তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা, তাই এবার তাকে ভোট দিতে হবে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই পরিবারটি এসব যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি।

শিরইল এলাকার ষাটোর্ধ্ব আনোয়ারা জানান, এসব নেতাদের কথাবার্তা তাকে চিন্তায় ফেলেছে।রাজশাহীর আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বলেন, 'ভাল্লাগছে না যে, ক্যারে আমার আব্বা ছিলো নৌকা।নৌকা নিয়ে দাঁড়াবে।তা, সেই আব্বার নৌকা গেলো কোথায়? কী কয় এগুলা? কেঁচিতে ভোট দেবো, নৌকা কই?এহানে যারা সব নেতা ফেতা আছে তারা সব কচ্ছে যে দাও, এডাও শেখ হাসিনার।আমি কই যে শেখ হাসিনার কেন হবে এডা? আমার আব্বা যেডায় ছিলো, সেই নৌকায় আমি দেখবো।'

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিত রাজশাহী-২ আসনে 'নৌকা' প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।তার বিপক্ষে 'কেঁচি' প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাজশাহী কোর্ট কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বয়ং হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক।অন্যদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ দলের একটি অংশ রয়েছে নৌকার পক্ষে।এ নিয়ে বিভাজন তৈরি হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচার চালাচ্ছেন, এমন একাধিক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এই বিভাজন দলীয় প্রতীকের প্রতি নেতাকর্মীদের ভালোবাসাকে নষ্ট করে দিচ্ছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা সবাই জানিয়েছেন, একজন প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতার চাপের মুখেই তারা নৌকার পক্ষে কাজ করতে পারছেন না।তবে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী কামাল দাবি করেছেন, কারো চাপে নয়, স্থানীয় নেতাকর্মীরাই ফজলে হোসেন বাদশাকে চায় না।সে কারণে তাদের অবস্থান স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে।

তিনি বলেন, 'নৌকা তো আমাদের দলের লোক পায়নি।সে কারণে নৌকার জন্য যে আমাদেরকে কাজ করতেই হবে, সেটার তো কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।'যদিও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের দাবি, যে যত কথাই বলুক, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা নৌকার পক্ষেই আছেন।তিনি বলেন, নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, সেটা সঙ্গত কারণেই দিয়েছেন।নেত্রী বলেও দিয়েছেন, নৌকার পক্ষে দলের লোকজনকে কাজ করতে হবে।আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো নেত্রীর নির্দেশ মানা।আমরা সেটাই করছি।স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নামা দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

'কেঁচি' প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কলেজ শিক্ষক সমিতির সাবেক নেতা শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, 'এখানে যাকে নৌকা দেয়া হয়েছে, তাকে আমরা দলের লোকজন চাই না।নেত্রী যে কেন তাকে এবারও নৌকা মার্কায় মনোনয়ন দিলেন, সেটা জানি না।কিন্তু আমরা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে আমাদের প্রার্থী বলে মানছি না।এখানে আমিই রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

এ ব্যাপারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, 'আমাদের ১৪ দলীয় জোটের একটা ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে।সেই জায়গা থেকেই আমরা একত্রে লড়াই সংগ্রাম ও নির্বাচন করি।জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন।আমি ভোটের কাজ করে যাচ্ছি।আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আমার সঙ্গেই আছেন।তারা আমার পক্ষেই কাজ করছেন।'তার বিপক্ষে যারা কাজ করছেন তাদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আত্রাইয়ে ৫ দিন ব্যাপী ভায়া ও সিবিই ক্যাম্পের উদ্বোধন

আত্রাইয়ে ৫ দিন ব্যাপী ভায়া ও সিবিই ক্যাম্পের উদ্বোধন

মোঃ ফিরোজ আহমেদ,রাজশাহী ব্যুরোঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের আয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং কর্মসূচির আওতায় ৫ দিন ব্যাপী ভায়া ও সিবিই ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস। একইসাথে রঙিন আলট্রাসনোগ্রাফী মেশিন ও নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ( ডায়াবেটিস ও হাইপ্রেসার) কর্ণার উদ্বোধন করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. রোকসানা হ্যাপি বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপজেলার ২২ ক্যাম্পে ৫ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করবেন। সেবা গ্রহিতাদের এন আইডি কার্ড ও মোবাইল সাথে আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, তারিখ অনুযায়ী ২৭ ডিসেম্বর মনিয়ারী ইউনিয়নের দমদত্তবারিয়া, বিশা ইউনিয়নের বড়সাঁওতা, সমসপাড়া এবং ইসলামপুর গ্রাম। ২৮ ডিসেম্বর ভোঁপাড়া ইউনিয়নের জামগ্রাম, বলরামচক, মনিয়ারী ইউনিয়নের নওদুলী ও মস্কিপুর গ্রাম। ২৯ ডিসেম্বর পাঁচুপুর ইউনিয়নের খনজোর, বিপ্রবোয়ালিয়া, কাসুন্দা বিশা ইউনিয়নের বিশা গ্রাম। ৩০ ডিসেম্বর কালিকাপুর ইউনিয়নের পাইকড়া, কালিকাপুর হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের বান্দাইখাড়া ও পাহারপুর গ্রাম। ৩১ ডিসেম্বর সাহাগোলা ইউনিয়নের রসুলপুর, আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের দিঘা, দমদমা কালিকাপুর ইউনিয়নের আটগ্রাম গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। এসময় হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার ও নার্স উপস্থিত ছিলেন।

সরিষার হলুদ ফুলে সাজানো আত্রাইয়ের বিভিন্ন অঞ্চল

 সরিষার হলুদ ফুলে সাজানো আত্রাইয়ের বিভিন্ন অঞ্চল

মোঃ  ফিরোজ আহমেদ রাজশাহী ব্যুরোঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন দোলা দিচ্ছে সরিষার ফুলের বাতাসে। দেখে মনে হবে হলুদ রঙের শাড়ি পরে যেন কোন বিয়ের হলুদ সন্ধ্যা চলছে। আত্রাই উপজেলার দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে অহরহ।আত্রাইয়ের ৮ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সরিষার হলদে ফুলের ফসলে মাঠের পর মাঠ ছেঁয়ে গেছে। মাঠের দিকে তাকালে দিগন্তজুড়ে যেন হলুদ গালিচা বিছানো হয়েছে। চলতি মৌসুমে সরিষা চাষের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা এবারও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গত বছরে প্রায় ৫২৩০ হেঃ জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে এবার ৬৩৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। কম খরচে অধিক লাভ, তাই সরিষা চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।


সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আত্রাই নদীর অববাহিকা সংলগ্ন জমির দিকে তাকালে মনে হয় ফসলের মাঠ যেন সেজেছে গাঁয়ে হলুদের সাজে। মাঠজুড়ে সরিষা ফুল দেখে মনে হবে এ যেন হলুদ রাজার দেশ ৷ মৌমাছির মধু সংগ্রহের গুঞ্জনে মুখরিত অবারিত ফসলের মাঠ। সরিষার ফুলে বাতাসের দোলায় দোল খাচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন।সরিষা চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। সরিষা চাষে সময় লাগে কম, খরচও কম, লাভ বেশি হওয়ায় সরিষা উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। এতে করে কৃষকরা লাভবানের পাশাপাশি দেশে তেলের ঘাটতি মিটানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে পতিত জমিতে বাড়তি লাভের আশায় সরিষা চাষ করেন তারা। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো আবাদ করা যায়। এতে অল্প সময়ে একই জমিতে দুটি ফসলের চাষে লাভবান হওয়া যায়। জমিতে সরিষা রোপণ করা থেকে পরিপক্ব হতে সময় লাগে প্রায় দেড় থেকে দুই মাস। প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা চাষে সব মিলিয়ে খরচ হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার মতো । এক বিঘা জমিতে সরিষা উৎপাদন হয় ৫-৬ মণ। সরিষার দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই সরিষা বিক্রির টাকা দিয়ে ইরি বোরো চাষে খরচ করা যায় পাশাপাশি তাদের ভোজ্য তেলের চাহিদাও মিটানোও সম্ভব।

উপজেলার আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম, মো. আশরাফ জহুরুল ইসলাম এবং সিংসাড়া গ্রামের স্বপন সরকার,জিয়ার উদ্দিন ও বাচ্চু সরদার বলেন, আমরা তিন চার বিঘা করে জমিতে সরিষা চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে ব্যয় হয়েছে। সাহাগোলা ইউনিয়নের তাড়াটিয়া গ্রামের আহাদ আলী বলেন প্রায় ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষাবাদ করেছি। সরিষার ক্ষেতে গেলে প্রাণটা ভরে যায়।উপজেলার কলিকাপুর ইউনিয়নের মরিয়া গ্রামের সরিষাচাষি সোলাইমান সরদার চাষ করেছেন ২ বিঘা, কৃষক নয়ন সাহা করেছেন ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ।তারা বলেন, আশা করছি ভালো ফলন হবে। এছাড়া বর্তমানে সয়াবিন তেলের দাম বেশি। তাই বিকল্প হিসেবে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারব। তা ছাড়া সয়াবিন তেলের চেয়ে সরিষার তেলের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তাপস কুমার রায় বলেন, তেল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা কৃষকদের সরিষা চাষ করতে প্রণোদনা দিচ্ছি ও কৃষকদের লাভের জন্য দুই ফসলি থেকে তিন ফসলি জমি তৈরি করতে উৎসাহিত করছি। এই লক্ষ্য নিয়েই ভোজ্য তেল বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

শ্যামনগরে নারীবান্ধব আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

শ্যামনগরে নারীবান্ধব আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ  বেসরকারি উন্ননয় সংস্থা লিডার্স দিনব্যাপী নারীবান্ধব আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন-এর আয়োজন করে। মোঙ্গলবার সকালে লিডার্স এর প্রধান কার্যালয়ে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির অংশগ্রহণে ক্রিয়া প্রকল্পের আওতায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এবং এ্যাম্বাসী অব সুইডেনের সহযোগিতায় এই আয়োজন করা হয়েছে।ওরিয়েন্টেশন সঞ্চালনা করেন ক্রিয়া প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান। ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন লিডার্স-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার  মো: আলীম আল রাজী।

ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় উপস্থিত সকলে নারীবান্ধব আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা  নিশ্চিতকল্পে গ্রুপওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা এবং এর প্রতিকার নির্ণয় করে উপস্থাপন করেন।পরবর্তীতে ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা নারীবান্ধব আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে সম্মিলিতভাবে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।কর্মশালায় বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, লিডার্স-এর এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। উপকূলবাসীর উন্নয়নে ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আজকের কর্মশালা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।কর্মশালার সমাপনীতে লিডার্স-এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার বর্মন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিরাপদ বাইন এবং প্যানেল চেয়ারম্যান জনাব আব্দুর রউফ দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। 

বগুড়ায় ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

বগুড়ায় ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

মোঃ সবুজ মিয়া, বগুড়া: বগুড়া সদরে পৃথক মাদকবিরোধী অভিযানে ৪৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মোছা. ছামিনা বেগম (৩৮) ও মো. জামাল উদ্দিন (২০) নামের দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বগুড়ার অধিনায়ক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) মো. আব্দুর রাজ্জাক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটায় সদর থানার গোকুল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে রংপুর টু ঢাকা মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে ২০ বোতল ফেন্সিডিল সহ ছামিনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। 

একই দিন একই স্থানে রাত্রি আড়াইটার দিকে ২৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ আরেক মাদক কারবারি জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত নারী মাদক কারবারি ছামিনা বেগম (৩৮) লালমনিহাট জেলার আদিতমারী থানার ভাদাই আদর্শ বাজার এলাকার মো. ছমির উদ্দিন এর মেয়ে। ও অপর মাদক কারবারি জামাল উদ্দিন (২০) ঠাকুরগাঁও জেলার বলিয়াডাঙ্গী থানার মশালডাঙ্গী এলাকার ইসলাম উদ্দিনর ছেলে।

অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ সংক্রান্তে বগুড়া সদর থানায় দুইটি পৃথক ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ১৪(খ) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঝিকরগাছায় ১২০ বোতল ফেন্সিডিল সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঝিকরগাছায় ১২০ বোতল ফেন্সিডিল সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক
আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১২০ বোতল ফেন্সিডিল সহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক হয়েছে। আটককৃতরা হল- বেনাপোলপোর্ট থানার ভবেরবেড় গ্রামের বখতিয়ার রহমানের ছেলে মোঃ আশানুর রহমান (২৮) ও মৃত নুর হোসেনের ছেলে মোঃ নাসির উদ্দীন (৪২)।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, থানা এলাকায় অভিযান ডিউটি করাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর ) সাড়ে ৪টার দিকে থানার মোড় সংলগ্ন পারবাজার নামক স্থানের যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের উপর বেনাপোল হতে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী লিটন ট্রাভেলস (পরিবহন) থাকা দুই যাত্রীর নিকট হতে ১২০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেন। এ বিষয়ে থানায় মামলা নং ২২, তারিখ ২৫/১২/২০২৩ইং।থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, তাদের বিরুদ্ধে রাতে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আসামীদ্বয়কে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর )  বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঝিকরগাছায় ন্যাশনাল ব্যাংকের ৫৭তম উপ শাখার শুভ উদ্বোধন

ঝিকরগাছায় ন্যাশনাল ব্যাংকের ৫৭তম উপ শাখার শুভ উদ্বোধন

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা :  যশোরের ঝিকরগাছায় ন্যাশনাল ব্যাংকের ৫৭তম উপ শাখার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় স্থানীয় নুরজাহান টাওয়ারে যশোর শাখার অধীনে ব্যাংকিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান আশীষ কুমার লস্কর।ন্যাশনাল ব্যাংকের এসপিও আফতাবুজ্জামানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝিকরগাছা পৌর মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক, সাহিত্য গবেষক হোসেন উদ্দীন হোসেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঝিকরগাছা শাখার সভাপতি দুলাল অধিকারী, ন্যাশনাল ব্যাংক যশোর জেলা শাখার ব্যবস্থাপক আবু মুসা, ঝিকরগাছা সেবা সংগঠন ও রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মাস্টার আশরাফুজ্জামান বাবু, ঝিকরগাছা বাজারের বিশিষ্ট  ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন মিলন। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ঝিকরগাছা উপ শাখার ইনচার্জ স্নেহাংশু বিশ্বাস, কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আত্রাইয়ে ইফাঃ শিক্ষক ও কেয়ারটেকারদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে ইফাঃ শিক্ষক ও  কেয়ারটেকারদের মাসিক সমন্বয়  সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ ফিরোজ আহমেদ,রাজশাহী ব্যুরোঃ আত্রাইয়ে ইফাঃ শিক্ষক ও  কেয়ারটেকারদের মাসিক সমন্বয়  সভা অনুষ্ঠিত। নওগাঁর আত্রাইয়ে ইসলামিক ফাউণ্ডেশনে শিক্ষক কেয়ারটেকারদের কে নিয়ে  মাসিক সমন্বয়  সভা অনুষ্ঠিত।আজ মঙ্গলবার  ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলা মসজিদে মোঃ আবুল হোসেনের এমসি এর  সঞ্চলনায় ও মোসাঃ মল্লীকা খাতুন ফিল্ড সুপারভাইজার ইসলামিক ফাউণ্ডেশন আত্রাই, এর সভাপতিত্বে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের সকল শিক্ষক, শিক্ষিকা কেয়ারটেকারগণ উপস্থিতি ছিলেন৷প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ জহুরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত ওসি আত্রাই থানা।  

আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জিসি, মোঃ রেজাউল ইসলাম জিসি,মাওলানা মোঃ আব্দুল জলিল জিসি,ইসলামিক ফাউণ্ডেশন আত্রাই, সাংবাদিক মোঃ ফিরোজ আহমেদ অর্থ ও দপ্তর  সম্পাদক আত্রাই প্রেসক্লাব,মোঃ রফিকুল ইসলাম সভাপতি শিক্ষক সমিতি, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন আত্রাই। মোঃ আব্দুল হাই আল হাদি সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক সমিতি ইসলামিক ফাউণ্ডেশন আত্রাই। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন আপনারা জুম্মা নামাজের খুতবার আগে সবাই কে বলবেন সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আপনারা আপনাদের ভোট যাকে ইচ্ছে তাহাকে দিবেন।কোন প্রকার যেন অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে সবাই সতর্ক থাকতে বলবেন ,আমরা আল্লাহর হুকুম মেনে চলবো,আমরা সবাই অংশ গ্রহণ নিবো,সমাজে বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্ত, ইভটিজিং, জঙ্গীবাদ দুর করার জন্যে চেষ্টা করিবো, এছাড়াও বিভিন্ন দিক নিয়ে নিয়ে তিনি আলোচনা করেন এবং এই বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতি আহবান জানান তিনি৷অনুষ্ঠানটিতে দেশবাসীর শান্তি কল্যান কামনা ও সকল বিদায়ী আত্মার মাগফিরাত কামনা  করে দোয়ার মাধ্যমে সমাপ্ত করা হয়।

ভোলার দৌলতখানে ৩১৩ তম স্কাউট বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন

ভোলার দৌলতখানে ৩১৩ তম স্কাউট বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন

মোঃ আওলাদ হোসেন,দৌলতখান,ভোলা: দৌলতখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৩১৩তম দিনব্যাপী স্কাউট ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন হয়।আজ (২৪ ডিসেম্বর) রবিবার সকাল ৯ টায় দৌলতখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যুতে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোর্সের শুভ উদ্বোধন করেন দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দৌলতখান উপজেলা স্কাউটস এর সভাপতি পাঠান মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান।

দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন কোর্সে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষক/ শিক্ষিকা অংশগ্রহণ করেন। দৌলতখান উপজেলা স্কাউটিংকে গতিশীল করার লক্ষ্যে এ অরিয়েন্টেশন কোর্সের আয়োজন করা হয়।ওরিয়েন্টেশন কোর্সে কোর্স লিডারের দ্বায়িত্বে ছিলেন নাহিদ মোর্সেদা মিশু (এএলটি)। প্রশিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন মোঃ কামাল হোসেন(উডব্যাজার), অরুন কান্তি শীল(উডব্যাজার) এবং সালমা বেগম(উডব্যাজার)।এ সময় দৌলতখান উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম,দৌলতখান উপজেলা স্কাউটস সম্পাদক ও আজহার আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবু তাহের,ভোলা জেলা স্কাউট লিডার ভোলা জেলা স্কাউট লিডার মোঃ মনিরুল ইসলাম  উপস্হিত  ছিলেন।ওরিয়েন্টেশন কোর্স শেষে কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদ বিতরন করা হয়।

ভাদাই ইউনিয়নে নৌকার প্রচারণায় খুলি বৈঠকে তপন কুমার ঘোষ

ভাদাই ইউনিয়নে নৌকার প্রচারণায় খুলি বৈঠকে তপন কুমার ঘোষ

ফারুক আহমেদ জেলা প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট:আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ৭ জানুয়ারী নির্বাচন। এ উপলক্ষে লালমনিরহাট ( আদিতমারী- কালীগঞ্জ) ২ আসনের  আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী নুরুজ্জামান আহমেদের পক্ষে সন্ধ্যাকালীন নির্বাচনী খুলি বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার ২৫( ডিসেম্বর) আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড শরৎপাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাদাই ইউনিয়ন  আওয়ামীলীগ সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন। 

ভাদাই ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আদিতমারী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ। তিনি বলেন আগামী ৭ তারিখে নির্বাচনে  সব ভেদাভেদ ভুলে আপনারা সকাল সকাল পরিবারের সবাইকে নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ এঁর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুন।অনুষ্ঠিত নির্বাচনী প্রচারণার খুলি বৈঠকে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

কাশিপুর বাজারে ট্রাক মার্কার নির্বাচনী প্রচার মিছিল

কাশিপুর বাজারে ট্রাক মার্কার নির্বাচনী প্রচার মিছিল


নিউজ ডেস্কঃ আজ ঝিকরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়ন কাশিপুর বাজারে জনতার মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এ্যাড.মনিরুল ইসলাম মনির ট্রাক মার্কার প্রচার মিছিল করা ।এই সময় উপস্থিত ছিলেন,জাহাঙ্গীর আলম মুকুল সভাপতি ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগ,মুছা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা,বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান আলী, ডেপুটি কমান্ডার ঝিকরগাছা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।আমির হোসেন চেয়ারম্যান ও সভাপতি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ,কাজল রায়হান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ,ইলিয়াস মাহমুদ, যুগ্ন-আহ্বায়ক উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ,আলমগীর বাশার সদস্য উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ,মিঠু আহমদ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ,শামসুজ্জোহা লোটাস, যুগ্ন-আহ্বায়ক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আব্দুর রাজ্জাক, ইউপি সদস্য ঝিকরগাছা ইউনিয়ন,রয়েল হোসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা,মহাসীন আলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা প্রমুখ।

লালমনিরহাট শেখ রাসেল পার্কে কলম সৈনিকদের চড়ুইভাতি

লালমনিরহাট শেখ রাসেল পার্কে কলম সৈনিকদের চড়ুইভাতি

সোহেল রানা, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) লালমনিরহাটের শেখ রাসেল শিশু পার্কে আমরা ক'জনের আয়োজনে এ চড়ুইভাতি অনুষ্ঠিত হয়।স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু, আহমেদুর রহমান মুকুল, লিয়াকত আলী, মোখলেছুর রহমান টুকু, জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, মাজহারুল ইসলাম বিপু, মিলন পাটোয়ারী, এস দিলীপ রায়, আশরাফুল আলম দৌলত, আসাদুল ইসলাম সবুজ, মাহফুজ সাজু, জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, মাসুদ রানা রাশেদ, এস আর শরিফুল ইসলাম রতন, রমজান আলী, এসকে সাহেদ, মাহফুজুল ইসলাম বকুল, নিযন দুলাল, মিজানুর রহমান, কাওছার মাহমুদ, মিজানুর রহমান খন্দকার, জামাল বাদশা, মাহমুদুল হাসান জুয়েল, আহসান সাকিব হাসান, জহির মাহমুদ, খাজা রাশেদ, শহিদ বাদশা বাবু, মুসা মোর্শেদ, আব্দুর রাজ্জাক, দূর্জয় রায়, শাহজাহান সাজু, মিজানুর রহমান মিজান, লাজু সরকার, সজিব আলম কৌশিক, শরিফুল ইসলাম, জিএস বাবু, আরিফুল ইসলাম, রশিদুল ইসলাম রিপন, এমএম রনি চৌধুরী, সোহেল রানা, রাজু মিয়া, রবিউল ইসলাম নিঝুম, ফারুক আহমেদ সূর্য, সেলিম ইসলাম প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাটের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এ চড়ুইভাতিতে আলোচনা, মধ্যাহ্ন ভোজ, লটারী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহীতে অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকের ছড়াছড়ি,বেড়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য

রাজশাহীতে অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকের ছড়াছড়ি,বেড়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীতে অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নেই পর্যাপ্ত লোকবল, নেই মেশিনারি, নেই অনুমোদন, তবুও দালাল মারফত প্রতিনিয়ত চলছে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা। বিভিন্ন গণমাধ্যম অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অব্যবস্থাপনার চিত্র  উঠে এসেছে । কিন্তু এই নিয়ে কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথা দেখা যায়নি কখনও।নিয়ম অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনের কথা থাকলেও তা ঠিকমতো নজরদারির আওতায় আসেনি।  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকার পরও নিরব ভূমিকায় আছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিভিল সার্জন অফিস। 

গত বছর স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনার পর রাজশাহী বিভাগে ১৩৫ টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তদারকির অভাবে সেগুলো এখন চলমান। অনেকেই আবার নাম পরিবর্তন করে পূর্ণরায় চালাচ্ছেন সেসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ব্লাক লিস্ট থেকে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে এখনো বহাল তবিয়তে তারা। নিয়মিত রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে কাজ করার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আছে নিরব ভূমিকায়।অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, রাজশাহীর লক্ষীপুরে প্রত্যাশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও লাইফ গার্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক দুটি প্রতিষ্ঠানে প্রতারণা ফাঁদ পাতা হয়েছে। দালালরা গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল সাধারণ মানুষজনকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা কথা বলে এসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে তারা প্রতারিত হচ্ছে।

দালাল মারফত প্রত্যাশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের হওয়া ভুক্তভোগী রোগী বলেন, আমাকে ইসলামি হাসপাতাল-২ নামে এই প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসা হয়। এখানে চিকিৎসক নাই। অন কলেও চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। পরে বুঝতে পারি এখানে ডাক্তাররা বসে না। তাই আমি বের হয়ে চলে যাচ্ছি। এরকমই অনেক রোগীকে দালালরা ধরে নিয়ে গিয়ে ভুয়া রিপোর্ট ও ভুয়া ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।( ভুক্তভোগীর রেকর্ড সংরক্ষিত) অপরদিকে অসহায় রোগী প্রতারিত হলেও দালালরা প্রকাশেই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। লাইফ গার্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৩০ জন দালাল দ্বারা রোগী ধরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছেন। দালালদের দৌরাত্ম্য বাড়লেও প্রশাসন নিরব ভূমিকায় আছে। এর আগে র‍্যাব-পুলিশ যৌথ অভিযানে দালাল গ্রেফতার করলেও এখন তার বালাই নাই। প্রশাসন ম্যানেজ করেই প্রকাশেই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, শুধুমাত্র রাজশাহীর লক্ষীপুরে এরকম অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে যাদের পর্যাপ্ত লোকবল, চিকিৎসকসহ নেই বৈধ কাগজপত্র। দালাল নির্ভর ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো এখন প্রতারণার ফাঁদ মাত্র। 

ফোন দিয়ে এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা: আবু সাঈদ সব কথা শুনে বলেন, আমি এখন একটু ব্যস্ত আছি। পরে ফোন দিতে বলে লাইন কেটে দেন।এ বিষয়ে কথা বললে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ডা: আনোয়ারুল কবীর বলেন, এরকম হওয়ার কথা নয়। আমরা রুটিন ওয়ার্ক অনুযায়ী সব কিছু তদারকি করি। এর আগে যাদের বন্ধ করা হয়েছিলো তাদের কাগজ পত্র ঠিক ছিলো না। কাগজপত্র ঠিক করার পর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ এরকম কাজে লিপ্ত হয় বা সাধারণ রোগীদের হয়রানি বা প্রতারণা করে তাহলে তা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উল্লেখ, সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী রোগীদের সঙ্গে কথা বলতেই প্রত্যাশা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শরীফ নামে একজন এসে বলেন ফোনে আসাদ নামে আমার এক সাংবাদিক ভাই আছে তার সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলার কি প্রয়োজন জানতে চাইলে তিনি বলেন একটু কথা বলেই দেখন না। এরপর ফোনের ওপারে আসাদ নামে একজন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে বলেন,ওখান থেকে চলে যাও তোমরা। সে আমার ভাই হয়।

রাজশাহীতে জমি কিনে বিপাকে ক্রেতা,বাড়ি ছাড়তে ভাড়াটিয়ার চাঁদা দাবি

রাজশাহীতে জমি কিনে বিপাকে ক্রেতা,বাড়ি ছাড়তে ভাড়াটিয়ার চাঁদা দাবি

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী মহানগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের শিরোইল কলোনী ৪নং গলিতে জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন জমি ক্রেতা রশিদ কোরাইশী।জমিতে ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকা জাহিদুল ইসলাম স্ত্রী শামীমা খাতুন জমি ছাড়তে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) এমন অভিযোগ তুলে চন্দ্রিমা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী জমি'র মালিক রশিদ কোরাইশী।

অভিযোগ ও ঘটনা সুত্রে জানা যায়, হাজরাপুকুর এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে রশিদ কোরাইশী ০.০৪১৫ একর জমি ক্রয় করেন।জমির প্রকৃত মালিকের ওয়ারিশ (শাহনা আফরোজ, ফারজানা আফরোজ, আশরাফুল রহমান) গণের নিকট থেকে জমিটা ক্রয় করেন তিনি।আরএস মুলে বাড়ি, খারিজ মুলে ভিটাসহ জমিটি ক্রয়ের পরে ভাড়াটিয়া জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী সামীমা খাতুন বাসা না ছেড়ে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা চায়।এ নিয়ে ভুক্তভোগী রশিদ কোরাইশী ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনের নিকট লিখিতভাবে বিচার চান।উভয় পক্ষের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে কাউন্সিলর মিমাংসা নিমিত্তে বসলে সেখানে ভাড়াটিয়া ৩০ লক্ষ টাকা চেয়ে বসেন।

একই ঘটনায় উভয় পক্ষের অভিযোগে থানায় বসলে সেখানেও বাসা ছাড়তে ৩০ লক্ষ টাকা চান ওই নারী।তিনি ইতোমধ্যে আদালত থেকে ১৪৫ ধারায় নোটিশ করান।শুধু নোটিশ করেই ক্ষান্ত নন তিনি, কাউন্সিলরসহ বিচার মিমাংসা করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

জমি'র বিবরণ থেকে জানা যায়, রাজশাহী জেলার সাব রেজিষ্টী অফিস সদর, বোয়ালিয়া থানার মৌজা- শিরইল, জে এল নং-হাল-১৩৪ মধ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোয়ালিয়া সেরেস্তায় আর, এস-৫৪৬ নং খতিয়ান জমির প্রকৃত মালিকের ওয়ারিশ গণের নিকট থেকে জমি ক্রয় করেন রশিদ কোরাইশী।জানতে চাইলে জমির ক্রেতা রশিদ কোরাইশী বলেন, আমি জমি কিনে বিপাকে আছি।ওই নারী দেড় লাখ টাকায় হাত বায়না করেছে মর্মে আমাদের জানিয়েছে।যা আইনত অকার্যকর।১৪৫ ধারা তিনি নোটিশ করিয়েছে আদালত থেকে। উভয় পক্ষকে আদালত ২৯ জানুয়ারি ডেকেছে।

তিনি আরো বলেন, ওই নারী আমাকে ভয়ভীতিসহ বিভিন্ন মামলা হামলা করে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন।তিনি ইতোমধ্যে নানাভাবে হয়রানিসহ চাঁদা'র ৩০ লক্ষ টাকা চাইছেন।এমনকি মিমাংসা না মেনে বরং একজন সম্মানিত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন।আমি এর সুষ্ঠু বিচার ও সমাধান চাই।

কথা বললে ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বলেন, আমি জমি ক্রেতা রশিদ কোরাইশী লিখিত অভিযোগে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে মিমাংসায় বসি।সেখানে ওই ভাড়াটিয়া নারী বাড়ি ছাড়তে প্রথমে ৩০ লক্ষ টাকা পরে দশ লক্ষ এরপর ২ লক্ষ টাকা চেয়ে মিমাংসা করবে মর্মে জানান।কিন্তু পরে তিনি মিমাংসা না মেনে আমার বিরুদ্ধেই অপপ্রচারে লিপ্ত হয়।

তিনি আরো বলেন, আমার শালিসি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা আতাউল মোস্তাফা কাদেরী, মসজিদ কমিটির সভাপতি মো: গোলাম মোস্তফা, সাংবাদিক সালাউদ্দিন আহম্মেদ, তহশিলদার আব্দুর রাজ্জাক সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

তবুও জাহিদুলের স্ত্রী শামীমা আমার বিরুদ্ধে যেসব অপপ্রচারসহ মিথ্যাচার করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো।আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই মিমাংসায় বসি।এতেই তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অপপ্রচার শুরু করেন।

দুপক্ষের অভিযোগের বিষয়ে নিশ্চিত করে চন্দ্রীমা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, উভয় পক্ষ নিয়ে বসেছিলাম।সমাধান হয়নি জাতীয় নির্বাচনের পরে তাঁদের উভয় পক্ষকে নিয়ে আবার বসা হবে।জমিতে ইতোমধ্যে ১৪৫ ধারা জারি করে নোটিশ করা আছে।

কথা বললে ভাড়াটিয়া শামীমা খাতুন মিতু বলেন, ২০২০ সালে হাত বায়নানায় জমি'র ওয়ারিশ আশাফুলের সাথে জমি ক্রয়ের কথা হয়।সে সময় তিন মাস পরে জমি রেজিষ্ট্রি দিতে চেয়ে দেয়নি।একারণে মামলা করি, সে ২ বছর জেলও খাটে।পরে ওই জমি রশিদ কোরাইশীকে রেজিষ্ট্রি করে দেয় তারা।আমি হাত বায়নার পরে জমিতে নিজ খরচে পুকুর ভরাট করে বাড়ি করি।এখন তারা বাড়ি ছাড়তে বলছে।কিন্তু আমার ক্ষতিপূরণ কে দিবে।সেজন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা চেয়েছি।ক্ষতিপূরণ না দিয়ে তারা আমাকে মারধর করেন এবং জমি দখলের চেষ্টা করেন।যদিও জমিতে ১৪৫ ধারায় মামলা করা আছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছে নির্বাচনের অলংকার- মহিউদ্দিন মহারাজ

স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছে নির্বাচনের অলংকার- মহিউদ্দিন মহারাজ

মিঠুন রাজ, স্টাফ রিপোর্টার:"স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছে নির্বাচনের অলংকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। জাতীয় পার্টি জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি নেছারাবাদে আওয়ামী লীগের একটি মিটিংয়ে বলেছেন, আমাকে ভোট দেয়ার দরকার নেই, আমার ভোট দেবে জিন পরিতে। তিনি ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নৌকা ধার নিয়েছে, নির্বাচনের পর হয়ে যাবে সাইকেল।" পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ (২২ ডিসেম্বর) শুক্রবার বিকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ নির্বাচনীয় পথসভায় এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, নৌকা মার্কার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু কে বলেন, তিনি থাকেন ঢাকায়, আপনাদের সাথে যোগাযোগ করার সময় তার নেই। বড়জোর দুই একবার আসতে পারেন। নির্বাচনের পর সাইকেল মার্কার লোকদের নিয়ে থাকবেন। আর আমি মহিউদ্দিন মহারাজ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আজীবন নৌকার সাথেই আছি, নৌকার সাথেই থাকবো।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সমুদয়কাঠি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বরূপকাঠি উপজেলা শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মহিউদ্দিন মহারাজ আরো বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হব। স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকলে প্রতিযোগিতা থাকবে না। বিদেশে ভোটের গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।

পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হক, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস জাহান, কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনু, কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টন, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সমুদয়কাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সবুর তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।জনসভায় হাজারো সমর্থক জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে ও মহিউদ্দিন মহারাজের সমর্থনে স্লোগানে মুখরিত হয়। তার উপস্থিতিতে বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

জোর করে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেয়া বা ভোটারদের হুমকি ও ভয় দেখানো দন্ডনীয় অপরাধ

জোর করে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেয়া বা ভোটারদের হুমকি ও ভয় দেখানো দন্ডনীয় অপরাধ

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : জোড় করে ভোট কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেয়া বা ভোটারদের হুমকি ও ভয় দেখানো দন্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধ মুলক কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকুন থাকার আহবান জানিয়েছেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, কোন প্রকার অন্যায়ের সাথে কেউ আপোষ করবেন না। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর।  শনিবার দুপুর ১২টার সময় ঝিকরগাছা বিএম হাই স্কুলের হল রুমে দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের উপর দু'দিন ব্যাপী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 
নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ঢাকার আয়োজনে এবং উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের বাস্তবায়নে উপজেলার সকল মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজের প্রধান, ব্যাংক প্রধান, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তারাসহ সর্বমোট ৭শত ৯৬জন অংশগ্রহণ করেছেন।
দু'দিন ব্যাপী কর্মকর্তাদের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার সৌমেন বিশ্বাস ছন্দ'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার), পিপিএম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান, নাভারণ খ-সার্কেল'র সহকারি পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেএম মামুনুর রশিদ, থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূঁইয়া, থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ইব্রাহিম আলী, ঝিকরগাছা বিএম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সামাদ, ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের উপদেষ্টা ইলিয়াস উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন চাঁদ, যশোর জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাচন অফিসার সহ আরো অনেকে।

ঝিকরগাছায় ভোট গ্রহণের উপর দু'দিন ব্যাপী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ঝিকরগাছায় ভোট গ্রহণের উপর দু'দিন ব্যাপী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা


আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের উপর দু'দিন ব্যাপী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় স্থানীয় বিএম হাই স্কুলে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের বাস্তবায়নে উপজেলার সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তা, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তারাসহ সর্বমোট ১হাজার ৮শত ৯৬জন অংশগ্রহণ করেছেন। দু'দিন ব্যাপী কর্মকর্তাদের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেএম মামুনুর রশিদ, উপজেলা নির্বাচন অফিসার সৌমেন বিশ্বাস ছন্দ, থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ইব্রাহিম আলী, ঝিকরগাছা বিএম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সামাদ, ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের উপদেষ্টা ইলিয়াস উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন চাঁদ, যশোর জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাচন অফিসারবৃন্দ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের উপর দু'দিন ব্যাপী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেএম মামুনুর রশিদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। আপনারা যাহারা এই কার্যক্রমে আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবেন তাদের কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হলে আমাদেরকে অবগত করবেন তাহলে প্রশাসনের পক্ষ হতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য আপনারা প্রশিক্ষণ গ্রহণের উপর মনোনিবেশ করুন।

ভুয়া দলিল লেখকসহ আটক ২ :

ভুয়া দলিল লেখকসহ আটক ২ :

মিঠুন রাজ, স্টাফ রিপোর্টার:পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ভুয়া নামজারি ও ভুয়া দাখিলা দিয়ে দলিল করতে গিয়ে দলিল লেখকসহ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী স্বপন কুমার বাদী হয়ে দলিল লেখক রেজাউল গাজীসহ ৩ জনকে আসামি করে ইন্দুরকানী থানায় জালিয়াতি মামলা দায়ের করেন।জানা যায়, ইন্দুরকানী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক রেজাউল করিম গাজী মঙ্গলবার সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় একখানা দলিল রেজিষ্ট্রি করার জন্য কাগজপত্র দাখিল করেন। জমা দেওয়া কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে নামজারি ও দাখিলার কাগজ ভুয়া প্রমাণিত হয়।

সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে ইন্দুরকানী থানা পুলিশকে জানালে দলিল লেখক মো. রেজাউল করিম গাজী ও মো. আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেফতার করা হয়। কৌশলে দাতা রিজিয়া পালিয়ে যায়।দাতা রিজিয়া জানান, আমার কাছ থেকে দলিল লেখক খালেক গাজীর ছেলে দলিল লেখক মো. রেজাউল করিম গাজী কাগজপত্র ঠিক দেওয়ার কথা বলে নামজারি বাবদ ৯ হাজার, জমির দাখিলার জন্য ২ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি এই ভুয়া কাগজপত্রের বিষয়ে কিছুই জানি না ।

নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক একাধিক লোকে জানান, দলিল লেখক রেজাউল করিম গাজী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রতারণা কাজে জড়িত।ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ইন্দুরকানী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে একটি প্রতারণা মামলা দেওয়া হয়েছে। উক্ত মামলায় দলিল লেখক রেজাউল গাজীসহ দু'জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়েছে।

কয়রায় পরিবেশবান্ধব ব্যবসায়ী নির্বাচনে উদ্যোক্তাদের সাথে পরামর্শ সভা

কয়রায় পরিবেশবান্ধব ব্যবসায়ী নির্বাচনে উদ্যোক্তাদের সাথে পরামর্শ সভা

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি: "সবুজ ব্যবসায় গড়বো দেশ, অর্জিত হবে সুস্থ পরিবেশ" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনার কয়রায়  কোডেক এর আয়োজনে পরিবেশ বান্ধব উদ্যোক্তা তৈরি করতে অক্সফাম ইন বাংলাদেশ এর সহায়তায় কোডেক-বিডফরসিজে প্রকেল্পের আওতায় পরিবেশবান্ধব ব্যবসায়ী নির্বাচনের জন্য উদ্যোক্তাদের সাথে দুইটি পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর)  ১১ সকাল টায় বাগালী ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে এবং গতকাল ২০ ডিসেম্বর  সকাল ১১ টায় সুন্দরবন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে  কোডেক-বিডফরসিজে প্রকল্পের প্রকল্প ম্যানেজার মো: হাসিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে  পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রকল্প অফিসার মো: রাসেল আমিনের সঞ্চালনায়, কোডেক-বিডফরসিজে প্রকল্প ফিল্ড অফিসার গাজী ফারুক হোসেন-এর সার্বিক সহযোগীতায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আশিকুজ্জামান, মুজাহিদুল ইসলাম,গোলাম সরদার,ইকবাল হোসেন, ইয়াসিন সানা, নজরুল ইসলাম প্রমূখ অনুষ্ঠানে মরিংগা, বারি শৈবাল, ট্রাইকো- কম্পোষ্ট, হস্ত শিল্প, কেওড়া আচার, মধু ব্যবসা, শুটকি মাছ, বাশ-বেতের পন্য, সূর্যমুখী তৈল ইত্যাদি ব্যবসায়ীদের সাথে  পরিবেশবান্ধব ব্যবসার প্রসার ও প্রচারনার বিষয়ে বিস্তার আলোচনা করা হয়। প্রকল্প ম্যানেজার  মো: হাসিবুর রহমান উদ্যোক্তাদের পরিবেশবান্ধব ব্যবসার বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন এবং পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশবান্ধব ব্যবসার ভূমিকায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান যানান।

নৌকার পক্ষে কাজ করতে অস্বীকার করায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে মারধর

নৌকার পক্ষে কাজ করতে অস্বীকার করায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে মারধর

মোঃ শাকিল আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার পক্ষে কাজ করতে অস্বীকার করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কর্মী চাঁন মিয়াকে (৫৫) মারধরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডলের সমর্থক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। 

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে এনায়েতপুর থানার বেতিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চাঁন মিয়া (৫৫) সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের এলোঙ্গী আটাচরের শুকুর আলী প্রামানিকের ছেলে। মারধরের ব্যাপারে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন।  চাঁন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের একজন সমর্থক ও ২ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্য। আজ দুপুরের দিকে বাড়ি ফেরার পথে নৌকার সমর্থক শহিদুল ইসলাম সামনে এসে বলেন, "তুই নৌকা মার্কার নির্বাচন করবি। আমি অস্বীকার করলে শহিদুল স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ বিশ্বাসকে গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে আমাকে মারপিট করার পর হুমকি দিয়ে চলে যায়। এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তবে এখনো থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহীতে ইটভাটায় বিএসটিআইয়ের সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

রাজশাহীতে ইটভাটায় বিএসটিআইয়ের সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর বিভিন্ন ইট ভাটায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর সার্ভিল্যান্স অভিযান ও পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।ইট পোড়ানো মৌসুম ২০২৩-২০২৪ শুরু হওয়াতে আজ ২১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিএসটিআই রাজশাহী বিভাগীয় অফিসের উদ্যোগে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন ইট ভাটায় সার্ভিল্যান্স কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হয়।

সার্ভিল্যান্স কার্যক্রমের মাধ্যমে ১১টি ইট ভাটার সিএম লাইসেন্স গ্রহণ/নাবায়নের আবেদন এবং পরীক্ষণের জন্য ক্লে-ব্রিকস পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।প্রতিষ্ঠানগুলো হলো : পবা উপজেলার কাটাখালির এস ডি এস ব্রিকস,বাগমারার মচমইল হিরো ব্রিকস, পবা উপজেলার খড়খড়ি এলাকার এম আর কে-১ ব্রিকস,পবার ভালুকপুকুর এলাকার পপুলার ব্রিকস, পুঠিয়া উপজেলার পশ্চিমভোগ এলাকার এম আর এফ ব্রিকস,কাটাখালির পূর্ব হরিয়ান এলাকার এম এস এ ব্রিকস,হরিয়ান বাইপাস এলাকার এম আর এস ব্রিকস,হরিয়ান এলাকার নাইস ব্রিকস,পবার এম আর কে ব্রিকস,গোদাগাড়ি উপজেলার হিরা ব্রিকস,নাইস ব্রিকস।
 
এছাড়া ইটভাটাগুলিকে উৎপাদিত ক্লে-ব্রিকস পণ্যের মান সর্বদা সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মানের সমপর্যায়ে রেখে উৎপাদন,বিক্রয় ও বিতরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।উক্ত অভিযানে বিএসটিআই রাজশাহী বিভাগীয় অফিসের কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক (সিএম) মো: শরীফ হোসেন;ফিল্ড অফিসার (সিএম) এ এফ এম হাসিবুল হাসান ও ফিল্ড অফিসার (সিএম) মো: নাসির উদ্দিন অংশগ্রহণ করেন।এ ব্যাপারে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর রাজশাহী বিভাগীয় অফিসের উপ-পরিচালক ও অফিস প্রধান সাইফুল ইসলাম জানান,জাতীয় ও জনস্বার্থে বিএসটিআই এর রাজশাহী বিভাগীয় অফিসের এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।

আত্রাইয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রয়

আত্রাইয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রয়

মোঃ ফিরোজ আহমেদ,রাজশাহী ব্যুরোঃ নওগা্ঁর আত্রাইয়ে উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করেছে মন্ডল ট্রেডার্স প্রোঃ নার্গিস বেগম।ইউনিয়নে মোট ১২৭০ জন উপকার ভোগীদের মধ্যে সুশৃঙ্খলভাবে এ পণ্য বিক্রয় করা হয়। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় হাটকালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে পণ্য বিক্রয়ের উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আফজাল হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,ট্যাগ অফিসার উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম,ইউপি সচিব মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম,ইউপি সদসয় বুলবুল আহম্মেদ, আশরাফুল ইসলাম,আঃ খালেক,রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম,আজিজার রহমান,সংরক্ষিত মহিলা সদস্য বেগম আরা,মর্জিনা,ডেজি আক্তার প্রমুখ।

আত্রাইয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আ"লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আ"লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ ফিরোজ আহমেদ,রাজশাহী ব্যুরোঃ আত্রাইয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আ"লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।নওগাঁর আত্রাইয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ উপজেলার সাহেবগঞ্জ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচন উপলক্ষে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শ্রী নৃপেন্দ্রনাথ দও দুলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এর সভাপতিত্বে মোঃ আক্কাছ আলীর সাধারণ সম্পাদক এর সঞ্চালনায় নির্বাচন উপলক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসেন হেলাল এমপি

তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন,আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে ত্যাগের রাজনীতি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতে হলে ত্যাগী হতে হবে। ত্যাগের মধ্যে দিয়ে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।তিনি আরও বলেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাই একত্রে হয়ে মিলেমিশে কাজ করে আওয়ামী লীগ কে সুসংগঠিত করতে হবে এবং আগামী ২০২৪ সালে ৭ ই জানুয়ারি নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। 

আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ এবাদুর রহমান, সহ-সভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, যুগ্ম-সাধারণ মোঃ আফছার আলী ও মোঃ নাহিদ ইসলাম বিপ্লব,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাজমুল হক নাদিম ও মোঃ ফজলে রাব্বি জুয়েল,প্রচার সম্পাদক শেখ মোঃ হাফিজুল ইসলাম,উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মোছাঃ মিতু মনি,দপ্তর সম্পাদক মোঃ লিটন,আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান,সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।

আত্রাইয়ে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়

আত্রাইয়ে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়

মোঃ ফিরোজ আহমেদ,রাজশাহী ব্যুরোঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি জহুরুল ইসলাম মতবিনিময় সভা করেছেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে আত্রাই থানা প্রাঙ্গনে এ মতবিনিময় সভা হয়। সভায় ওসি জহুরুল ইসলাম, ওসি তদন্ত লুৎফর রহমান, আত্রাই প্রেসক্লাব সভাপতি তপন কুমার সরকার, সাধারন সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সহসভাপতি রুহুল আমীন, আল আমিন মিলন, সংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক নাহিদ, দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ হোসেন, সদস্য খালেদ বিন ফিরোজ, উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি উত্তাল মাহমুদ, সম্পাদক কাজী রহমান, শামসুজ্জামান সেন্টু, আজাহার হোসেন, জব্বার হোসেন, শাহাদুল ইসলাম বাবু বক্তব্য রাখেন। এসময় আত্রাইয়ে কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

নবাগত ওসি জহুরুল ইসলামের বক্তব্যে আত্রাই উপজেলাকে মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিয়ে, জুয়া শুন্যের কোঠায় আনতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। সেইসাথে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল ভোটার যাতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রযোগ করে নির্বিগ্নে বাড়ী ফিরতে পারেন সে বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন সর্বদা সতর্ক অবস্থায় থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

স্কয়ার ফার্মা লিঃ এর উদ্যোগে এক দিনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

স্কয়ার ফার্মা লিঃ এর উদ্যোগে এক দিনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত


 

মোঃ ফিরোজ আহমেদ,রাজশাহী ব্যুরোঃ নওগাঁর আত্রাইয়ের বান্দাইখাড়া বাজারে পল্লী চিকিৎসকদের কে নিয়ে এক দিনের প্রশিক্ষণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ আজ ১৯/১২/২০২৩ মঙ্গলবার  সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলার বান্দাইখাড়া বাজারে চিকিৎসা ব্যাবস্হার নতুনতর দিকসমূহের আলোকে স্কয়ার ফার্মা লিঃ  গ্রামীন পল্লী চিকিৎসকদের কে নিয়ে একদিনের সাধারণ রোগব্যাধি ও তার ব্যাবস্হাপনা বিষয়ে এক কর্মশালার ভিক্তিক পল্লী চিকিৎসকদের কে নিয়ে একদিনের সম্মেলনের ব্যাবস্হা গ্রহণ করিয়াছেন৷ 

আয়োজনে স্কয়ার ফার্মা লিঃ  নওগাঁ৷ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন মোঃ ফজলে রাব্বি  এরিয়া  ম্যানেজার নওগাঁ৷বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  উপস্থিত ছিলেন মোঃ সামিউল ইসলাম ম্যাডিক্যাল প্রমোশন অফিসার,মোঃ মমিনুল ইসলাম,ম্যাডিক্যাল প্রমোশন অফিসার,মোঃ আব্দুল মান্নান।প্রশিক্ষণ শেষে পল্লী চিকিৎসকদের মাঝে রাফেল ড্র কুপন অনুষ্ঠিত হয়েছে ও তিন জন ভাগ্যোমানের মাঝে পুরুস্কার তুলে দেন ও সকল চিকিৎসকদের মাঝে একটি করে ব্যাগ উপহার হিসেবে তুলিয়েদেন,স্কয়ার ফার্মা লিং এর এরিয়া ম্যানেজার মোঃফজলে রাব্বি ও মোঃ সামিউল ইসলাম, মোঃ মমিনুল ইসলাম।অনুস্থান শেষে ডাক্তার সমিতির সভাপতি সরদার মোঃ আকরাম হোসেনের উপস্থিতে প্রশিক্ষণের সভাপতি ডাক্তার অনিলকৃষ্ণ  ঘোষ সকল পল্লী চিকিৎসকদের কে ধন্যবাদ দিয়ে প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ঘোষনা করেন৷

প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় মাঠে বাগমারা'র নৌকার মাঝি কালাম

প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় মাঠে বাগমারা'র নৌকার মাঝি কালাম

নিউজ ডেস্কঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ বাগমারা আসনে আ'লীগের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। 
১৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সকাল ১০ টায় নির্বাচন কমিশন রির্টানিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন।৫৫-রাজশাহী-৪, বাগমারা আসনে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই জনতার কাছে জন সংযোগ ও প্রচারণার কাজে বেরিয়ে পড়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়ের মুগাইপাড়া বাজার থেকে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেন তিনি।এরপর শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের মচমইল বাজার, পাইকপাড়া বাজার, বাসুপাড়া ইউনিয়নের চিকাবাড়ির বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় গনসংযোগ শেষে গোপালপুর বাজারে নির্বাচনী অফিসের শুভ উদ্বোধন করেন।শেষ নিজ এলাকা তাহেরপুর পৌর সভার ৭ নং ওয়ার্ড কোয়ালিপাড়া আরেকটি নির্বাচনী অফিসে শুভ উদ্বোধন করেন।

এসময় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশ উন্নয়নে অংশ নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন। দিন বদলে অংশ নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন।স্মার্ট ও উন্নয়শীল এবং স্বনির্ভর দেশ গঠনে অংশ নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী ও বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে, গণতন্ত্রের মানস কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন ও দেশের চলমান উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে নৌকা মার্কায় ভোট দিন। নৌকা মার্কা জনগনের প্রতীক, নৌকা উন্নয়নের প্রতীক, নৌকা মার্কা শান্তির প্রতীক।জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। আগামী ৭ ই জানুয়ারি সারাদিন নৌকা মার্কায় ভোট দিন। 

জনসংযোগ ও প্রচারকালে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রাজশাহী এডভোকেট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এ্যাড. ইব্রাহীম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ জাকিরুল ইসলাম সান্টু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ উপ কমিটির সদস্য, সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ড.পি এম শফিকুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুর রহমান, বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন  মৃধা, তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবু বাক্কার মৃধা মুনসুর, তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।