মোশাররফ হোসেন মনির ,শরণখোলা উপজেলা প্রতিনিধিঃ বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলা ১ নং ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং খেজুরবাড়িয়া ওয়ার্ডের ধানসাগর নলবুনিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে মরহুম বেল্লাল আকন বাড়ি পর্যন্ত ৯০০ ফুট ভাঙ্গা রাস্তা পুনরায় সংস্কার চায় এলাকাবাসী এই ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০০০ থেকে ২৫০০ শত মানুষ চলাচল করে। এই ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে মাতৃভাষা কলেজ, ধানসাগর নলবুনিয়া চেয়ারম্যান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধানসাগর নলবুনিয়া আলিম মাদ্রাসা, পহলান বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ড মাসুম বিল্লাহ কলেজ এই পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিদিন চলাচল করে।এই রাস্তায় ইট সলিং করা তার মধ্যে বড় বড় গর্ত আবার সেই গর্ত ভিতরে কাদা দেখলে মনে হবে যেন কাদা মাটির রাস্তা।
স্থানীয় এলাকাবাসী, স্কুল, কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা জানান এই রাস্তা টা দির্ঘ ৩- ৪ বছর ধরে ভাঙ্গা পড়ে আছে দেখার যেন কেউ নাই নির্বাচনের সময় মেম্বর প্রার্থীরা বলেছিলেন যে আমি এই ওয়ার্ডের মেম্বর নির্বাচিত হলে এই রাস্তা করে দিবো কিন্তু তা এখন মনে নাই।নলবুনিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক মাও মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন এই ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন আমাদের মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছেন এবং বই খাতা ভিজে যাচ্ছে আমাদের এমপি মহোদয়ের কাছে দাবি এই রাস্তাটি পুনরায় পাকা করা দেওয়া হোক।স্থানীয় বাসিন্দা আঃ গফফার বলেন আমরা এই রাস্তা দিয়ে প্রায় সময় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছি জরুরী ভিত্তিতে রাস্তা টি পাকা করে দিন।স্থানীয় বাসিন্দা, তরুণ সমাজ সেবক, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন এই রাস্তা টি পাশে রয়েছে ৩ নং ওয়ার্ড ও ২ নং ওয়ার্ড ৩ টি ওয়ার্ডের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।এই রাস্তা যে সময় করা হয়েছে ২ নাম্বার ইট দিয়ে করা হয়েছে।
ধানসাগর নলবুনিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিয়াউল হাসান তালুকদার বলেন আমি রাস্তা টি সরজমিনে দেখলাম আমি বাগেরহাট -৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ আমিরুল আলম মিলন এমপি মহোদয় কে বলবো এবং যদি সম্ভব হয় তাহলে এই রাস্তা টিতে আমি সরাসরি এমপি মহোদয় কে দেখাবো।ঐ রাস্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন খান বলেন আমি এমপি মহোদয়ের লোক না আমি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের লোক সেই জন্য আমাকে কোন কাজ দেয় না। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আবুল হোসেন খান তার কাছে আরো জানতে চাওয়া হয় তিনি এই রাস্তার জন্য উপজেলা এলজিআরডি অফিসে কোন কাগজ জমা দিছেন কিনা তিনি বলেন আমি ২ বার কাগজ জমা দিছিলাম কিন্তু হয় নাই তারপর আর কোন কাগজ জমা দেই নেই।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাচ্চু মিয়া হাওলাদার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।