![]() |
ড. সাইফুল আলম চৌধুরী |
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এক বার্তায় তিনি জানান, গত ৪৫ বছর ধরে তিনি বিএনপির একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অবিচল রয়েছেন। দলের সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ এবং কুলাউড়া উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের পরামর্শেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরীর রাজনৈতিক উত্থান শুরু হয় ১৯৯১ সালে। সে বছর কুলাউড়া উপজেলার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরাসরি গোপন ব্যালট ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। এ নির্বাচনে তিনি নবাব আলী ইয়াওর খানের (সাবেক এম এল এ ) নেতৃত্বাধীন প্যানেলকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন।
পরবর্তীতে তিনি অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ঘনিষ্ঠ ভাজন হিসেবে কুলাউড়ার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। তার প্রচেষ্টায় কুলাউড়ায় দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হয় যা আজও জনমুখে উচ্চারিত হয়। তার নেতৃত্বেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রথমবার কুলাউড়া সফরে আসেন এবং নবীনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল জনসভায় অংশগ্রহণ করেন।স্থানীয়রা জানান—“মাত্র আড়াই বছরে তিনি কুলাউড়ার জন্য যে উন্নয়ন করেছিলেন, তা শত বছরেও কেহ করতে পারবে না।”১৯৯৩ সালের অক্টোবরে তিনি বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তবে তবুও মানুষের পাশে থাকার টান তাকে বারবার টেনে এনেছে কুলাউড়ায়।ড. সাইফুল আলম চৌধুরী স্পষ্ট করে জানান, তিনি আসন্ন উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে কোনো পদে প্রার্থী হচ্ছেন না। বরং তিনি সরাসরি জাতীয় সংসদ সদস্য পদে দলের মনোনয়ন চাইবেন।তিনি বলেন “দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তবে কুলাউড়ার জনগণের ভালোবাসায় আমাদের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।”বার্তার শেষে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি অকৃত্রিম আনুগত্য প্রকাশ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তার প্রার্থিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।