মোঃ আওলাদ হোসেন জেলা প্রতিনিধি ভোলা,দৌলতখান
চরফ্যাশন উপজেলা সদর থানায় ৭০ লাখ টাকা প্রতারণা মামলার আসামিকে ঢাকা আসুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলার ৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে বিদ্যালয়কে কল্যান ট্রাস্টের অন্তর্ভূক্ত করণের নামে ৭০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই প্রতারক চক্র।
শনিবার (৪জুলাই) চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন জানান, ওসি তদন্ত মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে থানা পুলিশ প্রতারণা মামলার প্রধান আসামি মাইনুল ইসলাম শেখ মানিক (৪৪) নামের একজনকে আটক করেছে। তার পিতার নাম মো. জাবেদ আলি সে সাভার আসুলিয়ার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মাইনুল ইসলাম শেখ মানিক (৪৪) ৩টি শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কল্যান ট্রাস্টের অন্তর্ভূক্ত করে দেওয়ার কথা বলে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের ২৮ তারিখে মামলার বাদি চরফ্যাশন পৌর ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে মো. মনিরুল ইসলামসহ ভুক্তভোগী ১৮জনের কাছ থেকে উপস্থিত সাক্ষিগণের সম্মুখে নগদ ২৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা নেয়। পরবর্তীতে ০১-১১-১৮ ইং তারিখ ও ১১-০৮-১৯ ইং তারিখ পর্যন্ত ডাচ বাংলা,ইসলামী,জনতা ও রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৫ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ ২৯ টাকা নেয়। এবং ২০১৯ সালের মধ্যে চরফ্যাশনের ৩টি শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয় কল্যান ট্রাস্টের অন্তর্ভূক্ত করে দিবে বলে মৌখিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়। তবে আটকাধিন মাইনুল ইসলাম শেখ মানিক তার নিজ একাউন্টে ২৪ লাখ টাকা আছে বলে সাংবাকিদের জানান।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন বলেন, চুক্তি ভঙ্গ করায় মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে চরফ্যাশন সদর থানায় মাইনুল ইসলাম শেখ মানিককে প্রধাণ আসামি করে তার স্ত্রী রোকসানা আকতার (৩৫) ও একই এলাকার ইনামুল হক ইমরান হোসেন (৩২) কে আসামি করে প্রতারণার অভিযোগ করলে গত জুন মাসের ২৯ তারিখ তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করা হয় মামলা নং ১১।
আসামিকে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে ৫দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।