খোন্দকার আব্দুল্লাহ বাশার।
( ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি)
ডাকবাংলাবাজার ত্রীমোহনী থেকে
কালীগঞ্জ পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার সড়ক ও
২১২ মিটার আর,সি,সি পাকা ড্রেন নির্মাণে
চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের
কাজের খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা
নির্বাহী অফিসার বদরুদোজা শুভ রাস্তা ও
ড্রেনের নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন।
কিন্তু একদিন না যেতেই উপজেলা নির্বাহী
অফিসারের নির্দেষ অমান্য করে সেই কাজ
শুরু করেছে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও
ঠিকাদার। এ নিয়ে এলাকায় চরম অসন্তোষ
বিরাজ করছে। খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার
শুভ জানান, সরোজমিন পরির্দশনে দেখেছি
অত্যন্ত নিন্মমানের রড, পাথর, বালি সিমেন্ট
ব্যবহার করে সড়কটির পাশে ড্রেন নির্মাণ
করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে আমি ঝিনাইদহ
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল
হায়দারের মোবাইল ফোন করে বিষয়টি
জানালে তিনি আমাকে সড়ক বিভাগের উপ-
বিভাগীয় প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে
বলেন।
ইউএনও বলেন, আমি তাৎক্ষনিক ভাবে নির্মান
কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। ইউএনও অভিযোগ
করেন, আমার নির্দেষ অমান্য করে সড়ক
বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুকুল
জ্যতি বসু ও ঠিকাদার মিলে আবারো
নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
এদিকে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের উপ-
বিভাগীয় প্রকৌশলী মুকুল জ্যতি বসু
অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সিডিউল
মোতাবেক নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। তিনি
আরো বলেন, পিএমপি প্রকল্পের অধিন
ঝিনাইদহের ডাকবাংলাবাজার-কালীগঞ্জ
সড়কের ২৩ কিলোমিটার মজবুতি করণসহ
ওয়ারিং কোর্সের কাজ চলছে। খুলনার
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোজাহার
এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড কাজটির
প্রকৃত ঠিকাদার। তবে কাজটি করছেন
ঝিনাইদহের ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম।
এ সড়কটির নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০
কোটি টাকার উপরে।
তিনি বলেন, সড়কের পানি নিস্কাশনের জন্য
ডাকবাংলা বাজার এলাকায় ২১২ মিটার
আরসিসি পাকা ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ
কাজের জন্য আলাদা ভাবে প্রায় ২৯ লাখ
টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ড্রেনটি নির্মাণ
কাজের জন্য আমিনুল হক এন্টার প্রাইজ
নামের অপর এক ঠিকাদারকে নিয়োগ করা
হয়েছে।
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুকুল জ্যতি বসু
জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজ
বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তার
দাবি সড়কের পাশে স্তুপ করে রাখা
নিন্মমানের