নিজগ্রামে সংবর্ধিত হলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সদস্য মোখতার আহমদ আরিফ

 নিজগ্রামে সংবর্ধিত হলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সদস্য মোখতার আহমদ আরিফ


পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:-নব-গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের কমিটিতে পটিয়া উপজেলার  ছনহরা ইউনিয়নের কৃতি সন্তান মোখতার আহমদ আরিফ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা ও ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্টানের আয়োজন করেন ছনহরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দরা।৩০শে জুন ২০২৩ইং শুক্রবার বাদে মাগরিব উত্তর ছনহরা নজির মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় এই অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম ১২ পটিয়া আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জননেতা মুহাম্মদ বদিউল আলম। ছনহরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আবু জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্টান সঞ্চালনা করেন পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জুয়েল। সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের নব-নির্বাচিত সদস্য মোখতার আহমদ আরিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ও শিশু সংগঠক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, নুর মোহাম্মদ সিকদার বদি, আবু ছৈয়দ লালু, মাওলানা ইউনুচ সিকদার, ছনহরা ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পেয়ার মোহাম্মদ সিকদার, ছনহরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক কাজী আল মামুন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা অধ্যাপক আজিজুল হক মানিক, জেলা কৃষকলীগ নেতা মোঃ সাহাব উদ্দিন সিকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন ফরহাদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আবদুর শুক্কুর, খলিলুর রহমান ডালিম, বাদশা মিয়া, জয়নাল আবেদিন, ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসাইন, রাশেদুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন সোহেল, সাকিব খন্দকার প্রমূখ।

মুরাদনগরে কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে মেধা বৃত্তি প্রদান ও বৃক্ষরোপণ

মুরাদনগরে কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে মেধা বৃত্তি প্রদান ও বৃক্ষরোপণ

 

মুরাদনগরে কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে মেধা বৃত্তি প্রদান ও বৃক্ষরোপণ 

স্টাফ রিপোর্টার: গ্রামের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় উৎসাহী করতে ও  প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরীর লক্ষ্যে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধা বৃত্তি ও সনদ প্রদান করেছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরাম।শুক্রবার (৩০ জুন) সকালে কাজিয়াতল রহিম রহমান মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে 'মেধা বৃত্তি আলো'-২০২৩ নামে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। প্রভাষক জাকির হোসেন ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সময় বিভিন্ন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা থেকে প্রতিযোগিতায় অংশকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ৮ জন, নবম শ্রেণীর ৮জন ও দশম শ্রেণীর ৮জন শিক্ষার্থীসহ মোট ২৪ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে এক বছরের বৃত্তি হিসেবে ৫হাজার টাকা ও একটি করে ফলজ বৃক্ষ  প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া কাজিয়াতল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ইউনুস মুন্সির ব্যক্তিগত উদ্যোগে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অতিথিদের মাঝে ১৬০ টি বাংলায় অনুবাদ কোরআন শরীফ উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরাম ও  রহিম রহমান মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রমিজ উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ও কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বাকী বিল্লাহ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দারোরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, জনকল্যাণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, কাজিয়াতল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ইউনুস মুন্সী, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ ইউনুস মিয়া, কোরের পাড় কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল, মুরাদনগর ডি আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মনির হোসেন খান, শ্রীকাইন সরকারি কলেজের প্রভাষক জাকির হোসেন, কাজিয়াতল রহিম রহমান মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন, কাজিয়াতল দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, কুমিল্লা পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ এনামুল হক, জনকল্যাণ ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ভূঁইয়াসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।অনুষ্ঠান শেষে রহিম রহমান মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে প্রায় ৫০০টি বিভিন্ন ফলজ ও ওষুধি গাছ রোপন কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

পটিয়া পৌরসভা বিজয়ী এপেক্স ক্লাবের আয়োজনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

পটিয়া পৌরসভা বিজয়ী এপেক্স ক্লাবের আয়োজনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

পটিয়া পৌরসভা বিজয়ী এপেক্স ক্লাবের আয়োজনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

পটিয়া( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:- আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন এপেক্স ক্লাব অব পটিয়ার আয়োজনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল আজ পটিয়া এ এস রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সকালে এ ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়। এতে পটিয়া পৌরসভা ফুটবল টিম ৩ -০ গোলে উপজেলা ফুটবল টিমকে পরাজিত করে বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে।দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পৌরসভা ফুটবল দল অধিনায়ক এপেক্সিয়ান আলমগীর আলম, এপেক্সিয়ান মোরশেদ রেজা নাফিস করিম, হাসান মানিক,আবদুল্লাহ ফারুক রবি,লিয়াকত আলী ছৈয়দ তালুকদারচখোকন রিয়াজ, শাহেদ, ওমর ফারুক,মোরশেদ আলম প্রমুখ।পটিয়া উপজেলা ফুটবল দল অধিনায়ক এপেক্সিয়ান আরাফাত হোসেন, এপেক্সিয়ান ছৈয়দ মিয়া হাসান,নুরুল ইসলাম হাবিবুর রহমান, জসিম উদ্দিন আব্দুল মোমেন সঞ্জয় সেন, ইব্রাহিম রানা,রুবেল প্রমুখ।এদিকে বিজয়ী ফুটবল টিম পটিয়া পৌরসভাকে এপেক্স জাতীয় কমিটি ও চট্টগ্রাম জেলা ০৩ এর পক্ষ হতে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

আলহাজ্ব আমির হোসাইমঃ আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ করাই হলো ঈদুল আজহার মূল শিক্ষা।।

আলহাজ্ব আমির হোসাইমঃ আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ করাই  হলো ঈদুল আজহার মূল শিক্ষা।।
আলহাজ্ব আমির হোসাইম

পটিয়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:- পটিয়া ব্যাংকার ফোরাম সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক দানবীর আলহাজ্ব আমির হোসাইন বলেছেন, মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি ঈদ–উল আজহা। ইসলামের প্রাক যুগ হতে যে দুটি কারণে এ উৎসবটি বিশেষ মর্যাদার তার একটি হজ্জ, অন্যটি কোরবানি। মুসলমানদের আদি পিতা হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে এ বিধানের প্রচলন। গতকাল মক্কা নগরীর আরাফাত ময়দানে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ পবিত্র হজ্জ পালনে সমবেত হয়েছিলেন। আজ পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদ–উল আজহা তথা কোরবানি।কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের পরীক্ষা। আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল করিমে ইরশাদ করেছেন এ কোরবানির গোশত, রক্ত কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না; বরং তিনি তার প্রত্যাশীও নন। তবে তিনি বিবেচনা করেন বান্দাদের তাক্‌ওয়া বা পরহেজগারি।’ -(সুরা হজ, আয়াত: ৩৭)।

ঈদুল আজহার মূল উদ্দেশ্য হলো সৃষ্টিকর্তা প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য প্রকাশ করা। সম্পদের মোহ, ভোগ–বিলাসের আকর্ষণ, সন্তানের স্নেহ, স্ত্রীর মহববত সবকিছুর ঊর্ধ্বে আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ করাই হলো ঈদুল আজহার মূল শিক্ষা। ইবরাহীম (আ.) এর আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও আত্মসমর্পণের কঠিনতম পরীক্ষায় উত্তরণ ছিল নিজের তাওহীদ ও তাকওয়ার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আল্লাহর হুকুমে তিনি পুত্র কোরবানি করেছিলেন। মূলতঃ তিনি এর দ্বারা আল্লাহর প্রতি নিজেকে পূর্ণ আত্মসমর্পণ করেছিলেন। প্রতি বছর জিলহজ মাসে মুসলিম জাতি পশু কোরবানির মাধ্যমে ইবরাহীম (আ.)-এর স্মৃতি স্মরণ করে এবং পশু কোরবানির মধ্যদিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে। ইসমাইল নবীন বয়সেই বিশ্ববাসীকে আত্মসমর্পণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তা যেমন অতুলনীয়, তেমনি চির অনুকরণীয়। পশু কুরবানীর সাথে সাথে দৃঢ় শপথ নিতে হবে যে, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আমাদের জান, মালসহ যেকোন ত্যাগ স্বীকার করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। আর এটিই হলো কোরবানির শিক্ষা। ইবরাহীম (আ.) সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করেছিলেন, হয়েছিলেন স্বয়ং আল্লাহ ঘোষিত মানবজাতির ইমাম। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যারা আল্লাহ ও পরকালের ভয় কর তাদের জন্যে ইবরাহীম ও তাঁর অনুসারীদের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।মুসলিম পরিবারের প্রতিটি মানুষেরই একমাত্র আদর্শ হবে আল্লাহর হুকুমের কাছে আত্মসমর্পণ করা। তাই কোরবানির পশুর গলায় ছুরি দেয়ার আগে নিজেদের মধ্যে লুকায়িত অহংকার ও দম্ভকে চূর্ণ করে মহান আল্লাহর দরবারে নিজেকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তাকওয়া ও আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যমে প্রকৃত মুমিন বা মুত্তাকী হতে হবে। আমাদের সালাত, কোরবানি, জীবন–মরণ সবকিছু আল্লাহর জন্যই উৎসর্গ হোক, ঈদুল আযহায় আল্লাহর এই আমাদের প্রার্থনা।
পশু কোরবানীর সাথে সাথে আমাদের যে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে তা হচ্ছে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণ। প্রায় সবখানে দেখা যায়, জবাই করার পর যত্রতত্র ময়লা–আবর্জনা জমে যায়। জবাইয়ের পর সাথে সাথে জায়গাটি পরিষ্কার করে ফেলা উচিত। নয়তো গন্ধ সৃষ্টি হয়ে পরিবেশ দূষিত হতে পারে। জবাইকৃত পশুর বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে জড়ো করে রাখতে হবে যেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিয়ে যেতে পারেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা আসতে দেরি করলে কিংবা না এলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।অনেক জায়গায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অভাব রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সব ধরনের ময়লা–আবর্জনা এক সঙ্গে জড়ো করে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে ফেলতে হবে। ফলে ময়লা–আবর্জনা দূর হবে, পরিবেশও দূষণ থেকে রক্ষা পাবে।

বলা হয় ঈদুল আজহার কোরবানির চামড়া এতিমদের হক। আর এ হক মেরে খাওয়ার চিন্তায় থাকেন সুযোগ সন্ধানী একশ্রেণির ব্যবসায়ী। কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে চলে বিভিন্ন কারসাজি। কোথাও পানির দরে, আবার কোথাও চায়ের দরে বিক্রি হয় চামড়া। এই চিত্র শহর গ্রাম সর্বত্রই। এমনও দেখা যায় সারাদিন চামড়া ক্রয় করার জন্য কেউ আসে না। স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, ট্যানারিমালিকদের নির্ধারণ করে দেওয়া দরের এক–তৃতীয়াংশ দামও মিলে না চামড়ার দামে। অনেক এলাকায় চামড়ার ক্রেতাই পাওয়া যায় না। কম দামে চামড়া বিক্রি হওয়ায় দরিদ্র প্রতিবেশী, এতিমখানা, মাদ্রাসা প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সচেতন মানুষের ভূমিকা রাখা জরুরি।

হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরলেন প্রবাসী পরিবার

হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরলেন প্রবাসী পরিবার
প্রবাসী পরিবার
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা: পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি ফিরলেন এক প্রবাসী পরিবার।কুমিল্লার মুরাদনগরের শ্রীরামপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী প্রকৌশলী এম এ কালাম ব্যতিক্রম ভাবে বাড়ি ফিরেন।বুধবার (২৮ জুন) বিকেলে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকা আসার পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে নিজ গ্রামের শ্রীরামপুর আরোজা বেগম মহিলা মাদরাসার পাশে নামেন তারা। প্রবাসীর এমন আগমন দেখতে ভীর জমান হাজারো উৎসুক জনতা। মালয়েশিয়ান প্রবাসী প্রকৌশলী এম এ কালাম মুরাদনগরের শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আনু মিয়া সরকারের ছেলে।এম এ কালাম মা ও স্ত্রীসহ দুই মেয়ে এবং এক ছেলে নিয়ে স্ব-পরিবারে মালয়েশিয়ার কুয়ালামাপুরে থাকেন।তিনি সেখানকার একটি কোম্পানিতে ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ তা'লিমে হিযবুল্লাহ'র মালয়েশিয়া শাখা সভাপতি এবং মুরাদনগর প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা।এছাড়াও এলাকায় স্কুল মাদরাসায় অনুদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন। প্রকৌশলী এম এ কালাম বলেন, দীর্ঘদিন গ্রামে আসা হয় না। মাতৃভূমি ও নারীর টানে এবারের ঈদ সকলের সাথে করতেই বাড়ি আসা। আমার মায়ের আশা ছিলো হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি আসবে আজ আমার মায়ের সে ইচ্ছেটা পূরণ করলাম। এলাকাবাসী আমার এমন আসাকে ভিন্নভাবে উপভোগ করেছে এটা দেখে আমি আনন্দিত।জানা যায়, ঈদ উদযাপন করতে ঈদের আগের দিন বিকেলে পরিবারের সবাই মিলে এসেছেন দেশে। দীর্ঘদিন পর নিজ গ্রামে ঈদ করার উদ্যেশ্যে ভিন্নভাবে প্রবেশ করেন এলাকায়। এম এ কালামের মা বলেন, ঈদের আগের দিন দেশে সুষ্ঠুভাবে আসতে পেরে আনন্দিত এবং আমার ছেলে হেলিকপ্টারে করে আমাদের নিয়ে আসাতে গ্রামের মানুষের মাঝে অনেক আনন্দ দেখা গেছে। তারপর তিনি সকলের কাছে তার ছেলের সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া চেয়েছেন।স্থানীয়রা জানান, মালয়েশিয়া প্রবাসী কালাম অনেক সামাজিক কাজে নিয়োজিত থাকেন। গরীব অসহায়ের পাশে দাড়ান। তার আগমনে আমরা খুশি এবং তার ও তার পরিবারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

সিরাজগঞ্জের চরছোনগাছা আলহাজ্ব শমসের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

 সিরাজগঞ্জের চরছোনগাছা আলহাজ্ব শমসের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত


মাসুদ রানা বাচ্চু সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের  চর ছোনগাছা আলহাজ্ব শমসের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০বছর পূর্তিতে সুবর্নজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার(৩০জুন ২০২৩ইং) বেলা ১১ ঘটিকার সময় বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বর্নাঢ্য র‍্যালি  মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।র‍্যালী শেষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলহাজ্ব শমসের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রভাষক মো.জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে  ভার্চুয়ালে যোগ দেন সিরাজগঞ্জ কাজিপুর ১ - আসনের সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ৬নং ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ছোনগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আনিছুর রহমান, লুৎফুর রহমান মাষ্টারসহ প্রমুখ। 

এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৭৩ সালে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে স্কুলটি এখন সফলতার শীর্ষে রয়েছে। স্কুলটিতে এখন এসএসসিতে শতভাগ পাশের হার। এই স্কুলে পড়াশোনা করে এসএসসি পাশ করে অনেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,সরকারি চাকুরীতে ভালো ভালো অবস্থানে রয়েছে যা এই স্কুলের জন্য গর্বের। বক্তারা আরও বলেন, এই স্কুলের আরো সফলতার জন্য প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীদের এগিয়ে আসতে হবে। সকলের সহযোগিতায় আমাদের প্রানের বিদ্যালয়টি আরো এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। পূর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান টি পরিচালনা করেন, অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওবায়েদুল হক,প্রাক্তন ছাত্র মোস্তাকিন হোসেন ও সুলতান মাহমুদ।এসময় অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনন্দ মোহন ঘোষ,সহকারী শিক্ষক মাসুদ রানা,নজরুল ইসলাম, দুলাল হোসেন,সাহানা খাতুনসহ অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্য /সদস্যা,শিক্ষক /শিক্ষিকা /প্রাক্তন ছাত্র /ছাত্রী, বর্তমান ছাত্র /ছাত্রীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।আলোচনা সভা শেষে অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র /ছাত্রীদের ব্যাচ অনুযায়ী পরিচয় এবং ঈদ আড্ডায় মেতে উঠেন। সর্বশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

পটিয়াবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি নেতা আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম কমিশনার

পটিয়াবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি নেতা আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম কমিশনার


পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টি সদস্য সচিব ও পটিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে  পটিয়াসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা  জানিয়েছেন। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেয়া বিবৃতিতে  শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বিশ্বের সকল প্রান্তে অবস্থানরত মুসলমানদের প্রতি অভিনন্দন জানান। মহান ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এই দিনে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ'র সংহতি, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি। ইন্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন আরোও বলেন, প্রতিকী পশু কোরবানীর সাথে অন্তরের পশুত্বকেও কোরবানী দিতে শিক্ষা দেয় পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা আমাদের মাঝে প্রতিবছর ফিরে আসে ত্যাগ, ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা এবং অন্যের প্রতি ভালোবাসার দীক্ষা দিতে। ঈদুল আযহার ত্যাগের মহান আদর্শ ও শিক্ষাকে চিন্তা ও কর্মে প্রতিফলিত করতে সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে  তিনি বলেন, কল্যাণময় সমাজ গঠণে পরম সহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানসহ মানবাধিকার সমুন্নত রাখাতে ঈদুল আযহা অনুপ্রেরণা হয়ে আছে। ঈদুল আযহা ত্যাগ, ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা এবং হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর মহান ত্যাগ ও ইসলামের শ্বাশত শিক্ষায় সকল ভেদাভেদ ভুলে মানুষের কল্যাণে দেশকে আরো এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে  সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন।

দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের জামাত সম্পন্ন ॥ দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়াতেও ২ লক্ষাধিক মুসল্লীর নামাজ আদায়ের দাবী আয়োজকদের

 দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের জামাত সম্পন্ন ॥ দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়াতেও ২ লক্ষাধিক মুসল্লীর নামাজ আদায়ের দাবী আয়োজকদের


দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ  দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদুল আযহার জামাত। দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও বৃহৎ এই ঈদগাহে বিপুল সংখ্যক মুসল্লীর সমাগম ঘটেছে। আয়োজকরা দাবী করেন, ২ লক্ষাধিক মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করেছে এই জামাতে। নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণভাবে বৃহৎ এই জামাতে নামাজ আদায় করতে পেরে খুশী দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লীরা। দক্ষিন এশিয়ার বৃহত্তম ঈদগাহ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দান। ২২ একর আয়তন বিশিষ্ট এই ঈদগাহে ১৯৪৭ সাল থেকে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও আধুনিক নির্মাণশৈলীতে এই ঈদগাহে বৃহৎ পরিসরে ঈদের জামাত শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকে।

গত টানা তিন দিন থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি। আজ সকাল থেকে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। দুর্যোগপুর্ণ এই আবহাওয়ার মধ্যেও এই ঈদগাহে আজ খুব সকাল থেকেই সমবেত হতে শুরু করেন মুসল্লীরা। সকাল সাড়ে ৮টায় এই জামাত অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও ঠিক ৮টা ৩৫ মিনিটে শুরু হয় নামাজ। এখানে ঈমামতি করেন মাওলানা শামসুল আলম কাশেমী। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে করা হয় মোনাজাত। বৃহৎ এই জামাতের প্রধান উদ্যোক্তা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি জানান, দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ার জন্য এবার কাংখিত মুসল্লীর সমাগম না ঘটলেও ২ লক্ষাধিক মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করেছেন। শেষ পর্যন্ত সফলভাবে ঈদের জামাত সম্পন্ন হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শান্তিপুর্ণভাবে বৃহৎ এই জামাত সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারাও।এই জামাতে নামাজ আদায় করেন, বিচারপতি, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের মানুষ। বৃহৎ এই জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরে খুশী মুসল্লীরা।এদিকে বৃহৎ এই জামাতে নামাজ আদায় করতে আসেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লীরাও। দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছেন খুলনা, চাপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত এই মুসল্লীগন।বৃহৎ এই জামাতে অংশ নেয়ার সুবিধার্থে এবারই প্রথম বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্যবস্থা করে দুটি স্পেশাল ট্রেনের। ঈদগাহে মুসল্লীদের জন্য স্থাপন করা হয় শৌচারগার, ওজুর ব্যবস্থা। বসানো হয় মেডিক্যাল টিম। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে নেয়া হয় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

পটিয়াবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইন্জিনিয়ার মো: জসিম

 পটিয়াবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন  ইন্জিনিয়ার মো: জসিম


পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আবাহনী সমর্থক গোষ্টীর সভাপতি ও পটিয়া উপজেলা ক্রিড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজ সেবক রাজনীতিবিধ ইন্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন  পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে  পটিয়াসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা  জানিয়েছেন। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেয়া বিবৃতিতে  তিনি বিশ্বের সকল প্রান্তে অবস্থানরত মুসলমানদের প্রতি অভিনন্দন জানান। মহান ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এই দিনে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ'র সংহতি, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি। ইন্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন আরোও বলেন, প্রতিকী পশু কোরবানীর সাথে অন্তরের পশুত্বকেও কোরবানী দিতে শিক্ষা দেয় পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা আমাদের মাঝে প্রতিবছর ফিরে আসে ত্যাগ, ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা এবং অন্যের প্রতি ভালোবাসার দীক্ষা দিতে। ঈদুল আযহার ত্যাগের মহান আদর্শ ও শিক্ষাকে চিন্তা ও কর্মে প্রতিফলিত করতে সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে  তিনি বলেন, কল্যাণময় সমাজ গঠণে পরম সহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানসহ মানবাধিকার সমুন্নত রাখাতে ঈদুল আযহা অনুপ্রেরণা হয়ে আছে। ঈদুল আযহা ত্যাগ, ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা এবং হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর মহান ত্যাগ ও ইসলামের শ্বাশত শিক্ষায় সকল ভেদাভেদ ভুলে মানুষের কল্যাণে দেশকে আরো এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে  সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন।

কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোস্তফা শফিকুল ইসলামের মালয়েশিয়া গমন

 কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোস্তফা শফিকুল ইসলামের মালয়েশিয়া গমন
মোস্তফা শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী
মোহাঃ ফরহাদ হোসেন, কয়রা(খুলনা) কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মোস্তফা শফিকুল ইসলাম মালয়েশিয়া গমন করেছেন। এ সময় তার সাথে স্ত্রীও রয়েছেন। তিনি স্ব পরিবারেই সেখানে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন। সাংবাদিক মোস্তফা শফিকুল ইসলাম সকলের নিকট দোয়া কামনা করে কয়রার সাংবাদিকদের পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সাংবাদিক মোস্তফা শফিকুল ইসলামের একমাত্র পুত্র ইমরান হোসেন রাজু মালয়েশিয়া কমিউনিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আরটিভির মালয়েশিয়া প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

টুনি পাখির দাওয়াত: ছাবিলা ইয়াছমিন মিতা

টুনি পাখির দাওয়াত: ছাবিলা ইয়াছমিন মিতা

টুনি পাখির দাওয়াত হলো

গাঙ শালিকের বাড়ী,

টিয়া বলে ভাবিস না তুই
আমি দিবো শাড়ী।
ফিঙে রাজা বললো টুনি
মুখটি কেন ভার,
আমি দেবো চুল বেঁধে তোর
ভাবনা কিসে আর ?
চড়াই বলে বড়াই করে
কি হলো'রে টুনটুনি,
যাচ্ছো কবে দাওয়াত খেতে
একটু খানি কও শুনি ?
ময়না টিয়ার গয়না দেবে
বললো হেসে হেসে,
শ্যামা বলে সাজাবো যে
তবে রানীর বেশে।
সাতনরী হার দেবো তোকে
যেই না বলে মৌটুসি,
ওমনি তখন টুনি পাখির
মুখটি দেখায় খুব খুশি

কর্মী বান্ধব যুবলীগ ডিএম জমির উদ্দিন পটিয়াবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন

 কর্মী বান্ধব যুবলীগ ডিএম জমির উদ্দিন পটিয়াবাসীকে পবিত্র  ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন

ডিএম জমির উদ্দিন 

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পটিয়া  উপজেলা পৌরবাসীসহ  সকল জনগন ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পটিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক কর্মী বান্ধব যুবলীগ নেতা ডিএম জমির উদ্দিন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন,মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদুল আযহা। আগামী ২৯ জুন ঈদুল আযহা উপলক্ষে পটিয়া ও দেশবাসী এবং  বিশ্বের সব প্রান্তে অবস্থানরত মুসলমানদের প্রতি অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মহান ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সংহতি, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। ঈদুল আযহা আমাদের মাঝে প্রতিবছর ফিরে আসে ত্যাগ, ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা এবং অন্যের প্রতি ভালোবাসার দীক্ষা দিতে। ঈদুল আযহার ত্যাগের মহান আদর্শ ও শিক্ষাকে চিন্তা ও কর্মে প্রতিফলিত করতে সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। সেই সাথে কল্যাণময় সমাজ গঠনে পরম সহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, শান্তিপূর্ণ সহবস্থানসহ মানবাধিকার সমুন্নত রাখাতে ঈদুল আযহা আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে আছে। তাই সব ভেদাভেদ ভুলে মানুষের কল্যাণে দেশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ত ব্যক্ত করেন তিনি ।  আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি এ কর্মী বান্ধব যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিন বলেন, পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে বিগত ৪০ বছর  রাজনৈতিক-সামাজিক কর্মসূচি নিয়ে শত জেল-জুলুম সহ্য করে  মাঠে ময়দানে  বিভিন্ন আনন্দোল সংগ্রামের সক্রিয় ভুমিকা পালন করে ছলেছেন যাহা পটিয়া আওয়ামী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা  অপরিসীম। 

লালমনিরহাটবাসীকে ঈদুল আযহা'র শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ওসি মোঃ এরশাদুল আলম

লালমনিরহাটবাসীকে ঈদুল  আযহা'র শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ওসি মোঃ এরশাদুল আলম

ওসি মোঃ এরশাদুল আলম

ফারুক আহমেদ সূর্য,সদর উপজেলা প্রতিনিধিঃঘুরে ফিরে আসে পবিত্র ঈদুল আযহা আমাদের জীবনে বারংবার। মহান আল্লাহ বছরে দুটি শ্রেষ্ঠ আনন্দের দিন দেয়ায় আমরা পেয়েছি ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতর। এই দুই ঈদ'ই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন আনন্দ। তাই (২৯জুন)২০২৩ এর ঈদুল আযহা উপলক্ষে লালমনিরহাট সদর থানাবাসীসহ সর্বস্তরের জনগণকে লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে  জানান পবিত্র ঈদুল আযহা'র শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক। ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আযহা    কোরবানির বৈশিষ্ট্য মনুষ্যত্ব এর সাথে ঘটে যাওয়া তথ্য রয়েছে হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম ও ইসমাইল (আ) এর মহান ত্যাগের নিদর্শন। এই ত্যাগের মূলে ছিল আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা এবং তার সন্তুষ্টি অর্জন। প্রিয় বস্তুকে য়ে অনুপম দৃষ্টান্ত হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম স্থাপন করে গেছেন তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় হয়ে আছে বলে জানান লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এরশাদুল আলম। 

পবিত্র ঈদুল আযহার সামর্থ্যবান মুসলমানগণ মহান আল্লাহ তাহালা রাব্বুল আলামিনের সন্ত্যষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করে থাকে। কোরবানির পশু জবাই করার সাথে সাথে মানুষের মনের পশুকে কোরবানি করাই ঈদুল আযহার প্রকৃত শিক্ষা। বছর ঘুরে যে ঈদ আসে আমাদের জীবনে তা আমাদের কে অনেক কিছু শিক্ষা দেয় পরমতসহিষ্ণুকতা, সাম্প্রদায়িক সম্পীতি,শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয় এই আমাদের শিক্ষা চিন্তা ও কর্মে প্রতিফলিত করতে হবে আমাদেরই। আসুন আমরা সকলে মিলে হিংসা, বিদ্বেষ, বিভেদ, গরীব-ধনী পার্থক্য না করি সকলে মিলেমিশে আসন্ন ঈদুল আযহার মর্মবাণী ধারণ করে মহান আল্লাহর সন্ত্যষ্টি ও সান্নিধ্য লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানির সাথে সাথে মনের পশুত্বকে  জবাই করে এই বিশ্ব শান্তিপূর্ণ, বৈষম্যহীন,সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত সমাজ তথা দেশ গঠনের শপথ গ্রহণ করি। পরিশেষে ঈদের এই অনাবিল আনন্দ ও সুখশান্তি বছরের প্রতিদিনই প্রবাহিত হোক এই দেশের ও বিশ্বের প্রতিটি মানুষের অন্তরে এই প্রত্যাশায় সবাইকে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচছা ও ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক।

শার্শায় ব্রীজ পারাপার নিয়ে হাতাহাতি এক জনের মৃত্যু

শার্শায় ব্রীজ পারাপার নিয়ে হাতাহাতি এক জনের মৃত্যু

জাকির হোসেন: মেরামত করা ব্রীজের উপর দিয়ে পারাপার হওয়া নিয়ে মারামারিতে যশোরের শার্শায় জয়নাল মোড়ল (৫০) নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত জয়নাল মোড়ল শার্শা সীমান্তের মহিষাকুড়া গ্রামের মৃত আবুল মোড়লের ছেলে।গত ২৫ জুন রবিবার ঘটনার রাতে জয়নাল মোড়লকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে ২৬ জুন রাতে তার মৃত্যু হয়।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম জয়নাল মহিষাকুরা ভাঙ্গা ব্রীজ মেরামত করায় ব্রিজ পাহারা দেওয়া কালীন সময় আসামি উক্ত ব্রিজের উপর দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার করতে চাইলে ভিকটিম জয়নাল বাধা-প্রদান করে।তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামি শামীম জয়নাল কে লাথি দিলে জয়নাল ব্রিজের নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়।এসময় ভিকটিমকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করিলে পথেই সে মৃত্যুবরণ করে।শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য যশোরে পাঠানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ এন্ট্রি হয়নি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "মোস্তাঈন মোশন" এর আয়োজনে নতুন পোশাক ও ঈদ উপহার বিতরণ

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "মোস্তাঈন মোশন" এর আয়োজনে নতুন পোশাক ও ঈদ উপহার বিতরণ

 

রশিদুল ইসলাম রিপন, লালমনিরহাটঃ আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে "মোস্তাঈন মোশন" (Mostain Motion) টীম এর পক্ষ থেকে লালমনিহাট জেলার সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক সহ অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার(২৭জুন) লালমনিরহাটের গোকুন্ডা ইউনিয়ন, মহেন্দ্র নগর, মোস্তফী, রেলস্টেশন সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সুবিধা বঞ্চিত প্রায় ১০০ নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ সহ ২০ জন অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদের উপহার সামগ্রী তুলে দেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন "মোস্তাঈন মোশন" (Mostain Motion) টীম এর সদস্যরা। লালমনিরহাট জেলা ছাড়াও "মোস্তাইন মোশন" টীমের পক্ষ থেকে কুড়িগ্রামে জেলায়, কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, নাগেশ্বরী, কচাকাটা, তিস্তা নদীর চর সহ আরো কয়েকটি স্থানে সুবিধা বঞ্চিত এবং নিম্ন আয়ের প্রায় ১০০ শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ সহ ২০ জন অসহায় হতদরিদ্র পরিবারে ঈদের উপহার সামগ্রী তুলে দেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন "মোস্তাঈন মোশন" (Mostain Motion) টীম এর কুড়িগ্রাম জেলার সদস্যরা।

এ সময় "মোস্তাঈন মোশন" (Mostain Motion) টীমের প্রধান পরিচালক মাওলানা ক্বারী আহমদ তালুকদার মোবাইল ফোনে বলেন, আমারা এই ঈদে দুইটি জেলায় করছি, পরবর্তীতে আরো বড় পরিসরে উত্তর বঙ্গে র সব জেলায় কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এসব অসহায় পরিবার গুলো যেনো অন্তত ঈদের দিনটা ভালোমন্দ কিছু খেতে পারেন। ঈদের আনন্দ সবার মাঝে যেনো ছড়িয়ে পরে। ঈদের দিনে যেনো এই মুখ গুলোতে হাসি ফুটে ওঠে এটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।এসময় বিত্তবান ধনী লোকদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, এসব পথশিশু সহ অসহায় মানুষের হক্ব বিত্তবান সম্পদশালীদের ধন সম্পদে রয়েছে, যা পথশিশু এবং অসহায় মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া অত্যাবশ্যক। হাফিজ মুহম্মদ আবু তাহির এর তত্ত্বাবধানে এ কাজে অংশগ্রহণ করেন, হাফিজ মুহম্মদ আলী। হাফিজ মুহম্মদ রাসেল ইসলাম। সাইয়্যিদ আহমাদুর রহমান। মুহম্মদ সোহানুর রহমান শামীম। মুহম্মদ মাহমুদ আল হাসান। মুহম্মদ সৌরভ ইসলাম। আনিসুর রহমান। আয়েশা শাহরিয়ার। মোশ্তারী তালুকদার সহ কুড়িগ্রাম জেলার আরো কয়েক সেচ্ছাসেবী।

কালীগঞ্জে ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন

কালীগঞ্জে ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন

 

কালীগঞ্জে ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন
ফারুক আহমেদ সূর্য, উপজেলা প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক মোজাম কে মহামান্য হাইকোর্টের রীট পিটিশন মামলায় যৌথবেঞ্চে মাননীয় বিচারপতি চলতি বছরের গত ১২ মার্চ শুনানী অন্তে ১৪ মার্চ৷ ৪৫৬১/২০২২ নং রীট পিটিশনকারী মোজাম্মেল হক মোজাম কে রায় ঘোষণার ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে চলবলা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সাধারণ সদস্য হিসেবে শপথ অনুষ্ঠানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

হাইকোর্টের এমন একটি নির্দেশনাকে অমান্য করে শপথ গ্রহনে টালবাহানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম। এ ঘটনায় রবিবার (২৬ জুন ) সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে কালীগঞ্জ রিপোর্টাস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক মোজাম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সারাদেশে চতুর্থ দফায় অনুষ্ঠিতব্য লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের ৯নং তেতুলিয়া ওয়ার্ডে টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর শপথ গ্রহণের পূর্বে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে একটি মিথ্যা মামলার কারণে যথাসময়ে শপথ গ্রহণ করতে পারি নাই। পরে উক্ত ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদটি শুন্য ঘোষনা করে ভোট গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে পুনঃনির্বাচন বন্ধে আমি হাইকোর্টে মামলা করলে হাইকোর্টের বিচারিক আদালত ২০২৪ সাল পর্যন্ত পুনঃনির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন। এরপর আমি শপথ গ্রহণের জন্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন মামলা করি। মামলায় শুনানী শেষে মহামান্য হাইকোর্ট ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে আমাকে শপথ পাঠ করাতে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন কিন্তুু তিনি আমার শপথ বাক্য পাঠ না করিয়ে নানা রকম টালবাহানা শুরু করেন। টালবাহানার এক পর্যায়ে তিনি বিষয়টি নিয়ে জিপি লালমনিরহাটের সহিত পরামর্শ করে শপথ গ্রহণের পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান। কিন্তুু গত ২২ শে জুন নুরুল ইসলাম জিপি লালমনিরহাট স্বাক্ষরিত একটি পত্রে শপথ গ্রহণে পুনরূপ আইনি জটিলতা নেই বলে উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি পত্র প্রদান করেন যাহার স্বারক নং ৮৮ এবং গত ২৫ শে জুন একই ব্যক্তি স্বাক্ষরিত আরেকটি পত্রে উল্লেখ করেছেন আইনি জটিলতা রয়েছে। একই ব্যক্তির স্বাক্ষরিত দুটি দু'রকম আইনি ব্যাখ্যার কারণে এমন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। হাইকোর্টের কোন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ফাইলিং হলে উক্ত আপিলের শুনানীর আগ পর্যন্ত বিচারকদের পূর্ণরূপ রায় বা নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত পূর্বের রায় বলবৎ থাকিবে। এবং কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহামান্য হাইকোর্টের দেয়া রায় কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি হাইকোর্টের রায়কে অবমাননা করেছেন। গেজেটের বিষয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কমিশনার মাহবুবা রহমান জানান, মোজাম্মেল হক মোজাম নির্বাচিত হয়েছেন তার সরকারী গ্রেজেট প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তিনি শপথ না নেওয়ায় উপনির্বাচনে শৈলান চন্দ্র ভোটে অংশগ্রহন করে বিজয়ী হন। তবে মোজাম্মেল হকের দায়ের করা হাইকোর্টের রায়ে উপনির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেওয়ায় তিনি এখনও সরকারী কোন গ্রেজেট পাননি বলে জানান তিনি। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম বলেন, আইনি জটিলতা থাকায় মোজাম্মেল হক মোজাম কে ইউপি সদস্য হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করানো সম্ভব হয়নি।

পশুরহাটেও চাঁদাবাজী করছে ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসন : মোমিন মেহেদী

পশুরহাটেও চাঁদাবাজী করছে ক্ষমতাসীন দল ও  প্রশাসন : মোমিন মেহেদী

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, কোরবানীর পশুরহাটেও চাঁদাবাজী করছে ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসনের একটি বড় অংশ। মুখে ধর্ম-হাতে তসবিহ বা রাতে তাহাজ্জুদ পরলেও দিনে দুর্নীতি করছে ও পৃষ্টপোষকতা দিচে্ছ ক্ষমতাসীনরা। ২৬ জুন বিকেলে তোপখানা রোড¯’ কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক পথ সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। এসময় মোমিন মেহেদী দেশের রাজনৈতিক প্লাটফর্মগুলোর সমালোচনা করে বলেন, চাঁদাবাজ-দুর্নীতিবাজদের রাজনীতিকে হালাল করার জন্য পীর সাহেব থেকে শুরু করে মেজর- জেনারেল সবাই-ই ক্ষমতায় আসার আর আনার যুদ্ধে নেমেছে। তারা দেশের জন্য বেশি ভালোবাসে সাবেক ক্ষমতাসীন আর বর্তমান ক্ষমতাসীনদের দালালিতে ব্যস্ত। নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির প্রেসিডিয়াম মেম্বার রাশেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নতুনধারার চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও দৈনিক মাতৃভূমির খবর-এর সম্পাদক রেজাউল করিম, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন সেন পলাশ, যুগ্ম মহাসচিব বাহাউদ্দীন নাসির, আলেয়া বেগম, মামুনুর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ঈদ উপহার ও মেহেদী উৎস এর আয়োজন করেছেন দশমিক ফাউন্ডেশন

ঈদ উপহার ও মেহেদী উৎস এর আয়োজন করেছেন দশমিক ফাউন্ডেশন

ঈদ উপহার ও মেহেদী উৎস এর আয়োজন করেছেন দশমিক ফাউন্ডেশন

আশরাফুল(সরকারি সা'দত কলেজ)প্রতিনিধিঃ
ঈদ মানে আনন্দ। আর ঈদ আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে হয় সবার মাঝে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের সাথে। দশমিক ফাউন্ডেশনের দশমিক পাঠশালার ছিন্নমূল শিশুদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই সবাই। তাদের কাছে ঈদের দিনটিও অন্যসব দিনের মতোই সাধারণ। ঈদ মানে আনন্দ আর সেই আনন্দ থেকেই বঞ্চিত হয় এসব ছিন্নমূল শিশুরা। তাদেরকে সাথে নিয়েই দশমিক ফাউন্ডেশনের এই আয়োজন। তরুণদের নিজেদের গড়ে তোলা এই দশমিক ফাউন্ডেশন একটি সামাজিক সংগঠন। সোমবার (২৬ জুন) সমাজের ছিন্নমূল শিশুদের ক্ষুদ্র ঈদ উপহার এবং মেহেদী উৎসব করেছেন এই সমাজসেবীরা। এ বিষয়ে দশমিক ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আমেনা আক্তার তিলোত্তমা বলেন , ঈদ মানেই আনন্দ। আর বিশেষ করে এই আনন্দ টা শিশুদের জন্য। কিন্তু আমাদের সমাজের কিছু ছিন্নমূল শিশু রয়েছে যারা ঈদ এলে নিজেদেরকে এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত করে । তাই প্রতিবছরই চেষ্টা করি ঈদ এলে কিছু অসহায় ছিন্নমূল শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে। সমাজের সকল বিত্তবান ঈদ উপলক্ষে শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয় ঈদের ক্ষুদ্র উপহার এবং মেহেদী উৎসব। সংগঠনের সদস্যরা শিশুদের হাতে লাগিয়ে দেন মেহেদী। নানারকম ডিজাইনে রাঙিয়ে তোলা হয় শিশুদের হাতে এতে করে শিশুরাও খুব খুশি।এসময় দশমিক ফাউন্ডেশনের সহ - সভাপতি অমি খান, কানিজ ফাতিমা মীম,মহাসচিব আমেনা আক্তার তিলোত্তমা, কোষাধ্যক্ষ নিলয় সাহা সদস্য আফরোজা আনিফা,আল মামুন,তানভীর সহ সকলেই উপস্থিত ছিলেন। দশমিক ফাউন্ডেশনের সদস্যরা দশমিক পাঠশালাকে আরো বড় করতে চান ছিন্নমূল শিশুদের পাশে থেকে তাদের কে সাহায্য সহযোগিতা করতে চান। ইনশাআল্লাহ দশমিক ফাউন্ডেশন সামনে আরো এগিয়ে যাবে।

লালমনিরহাটে হাতিবান্ধা উপজেলা সমাজসেবার পল্লী মাতৃকেন্দ্রের সম্পাদক/ সদস্যগণের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

 লালমনিরহাটে হাতিবান্ধা উপজেলা সমাজসেবার পল্লী  মাতৃকেন্দ্রের সম্পাদক/ সদস্যগণের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

পল্লী  মাতৃকেন্দ্রের সম্পাদক/ সদস্যগণের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

ফারুক আহমেদ সূর্য, স্টাফ রিপোর্টারঃ
পল্লী মাতৃকেন্দ্র বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, যাদের অধিকাংশই পল্লী অঞ্চলে বসবাসকারী সুবিধাবঞ্চিত। এ সকল নারীদের ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি তথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ হতে পল্লী মাতৃকেন্দ্র কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে অনগ্রসর, বঞ্চিত, দরিদ্র ও সমস্যাগ্রস্ত নারীদের সংগঠিত করে পরিবার ভিত্তিক দরিদ্রতা হ্রাস করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ের গ্রাম এলাকার লক্ষ্যভুক্ত নিম্ন আয়ের অনগ্রসর দরিদ্র নারীদের সংগঠিত করে তাদের নিজস্ব পুঁজি গঠন করা হয়। শুধুমাত্র জন্মদানে সক্ষম নারীদের অংশগ্রহণে পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলার ৪৯২ টি উপজেলায় এ কর্মসূচি চালু রয়েছে। পল্লী মাতৃকেন্দ্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামের দরিদ্র নারীদের ছোট পরিবার গঠনের উপকারিতা, বয়স্ক শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, মা ও শিশুযত্ন সম্পর্কে অবহিত এবং উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান, সঞ্চয় সৃষ্টি ও অর্থকরী লাভজনক কর্মকান্ডের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা। এ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক সদস্যকে ১০০০০ টাকা থেকে ৩০০০০ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়। ৫% সার্ভিস চার্জসহ সমান ১০টি কিস্তিতে সর্বোচ্চ ১ বছরসমান ১০টি কিস্তিতে সর্বোচ্চ ১ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধযোগ্য।লালমনিরহাটে হাতীবান্ধা উপজেলা সমাজসেবার আয়োজনে সমাজভিত্তিক শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে ওয়ার্ড ও গ্রাম ভলান্টিয়ারদের শিশু সুরক্ষার উপর একদিনের প্রশিক্ষণ পল্লী মাতৃকেন্দের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। লালমনিরহাট হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে সোমবার (২৫ জুন) সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন হাতিবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজির হোসেন।প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাতীবান্ধা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ মাহাবুবুল আলম। কার্যক্রমের অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোক্তার হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান মামুন।অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন সমাজসেবার অফিসের কর্মরত প্রশিক্ষণার্থীরা, প্রশিক্ষণে পল্লী মাতৃ কেন্দ্রের সম্পাদক ও সদস্যগণের ১৫ ও ৮জন উপস্থিতির মধ্যে ৮জনকে ট্রেনিং এর এফ্রোন পড়ানো হয়।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "মোস্তাঈন মোশন" এর আয়োজনে নতুন পোশাক ও ঈদ উপহার বিতরণ

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "মোস্তাঈন মোশন" এর আয়োজনে নতুন পোশাক ও ঈদ উপহার বিতরণ

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "মোস্তাঈন মোশন" এর আয়োজনে নতুন পোশাক ও ঈদ উপহার বিতরণ

রশিদুল ইসলাম রিপন, লালমনিরহাটঃ আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে "মোস্তাঈন মোশন" (Mostain Motion) টীম এর পক্ষ থেকে লালমনিহাট জেলার সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক সহ অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।মঙ্গলবার(২৭জুন) লালমনিরহাটের গোকুন্ডা ইউনিয়ন, মহেন্দ্র নগর, মোস্তফী, রেলস্টেশন সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সুবিধা বঞ্চিত প্রায় ১০০ নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ সহ ২০ জন অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদের উপহার সামগ্রী তুলে দেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন "মোস্তাঈন মোশন" (Mostain Motion) টীম এর সদস্যরা। লালমনিরহাট জেলা ছাড়াও "মোস্তাইন মোশন" টীমের পক্ষ থেকে কুড়িগ্রামে জেলায়, কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, নাগেশ্বরী, কচাকাটা, তিস্তা নদীর চর সহ আরো কয়েকটি স্থানে সুবিধা বঞ্চিত এবং নিম্ন আয়ের প্রায় ১০০ শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ সহ ২০ জন অসহায় হতদরিদ্র পরিবারে ঈদের উপহার সামগ্রী তুলে দেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন "মোস্তাঈন মোশন" (Mostain Motion) টীম এর কুড়িগ্রাম জেলার সদস্যরা।এ সময় "মোস্তাঈন মোশন" (Mostain Motion) টীমের প্রধান পরিচালক মাওলানা ক্বারী আহমদ তালুকদার মোবাইল ফোনে বলেন, আমারা এই ঈদে দুইটি জেলায় করছি, পরবর্তীতে আরো বড় পরিসরে উত্তর বঙ্গে র সব জেলায় কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এসব অসহায় পরিবার গুলো যেনো অন্তত ঈদের দিনটা ভালোমন্দ কিছু খেতে পারেন। ঈদের আনন্দ সবার মাঝে যেনো ছড়িয়ে পরে। ঈদের দিনে যেনো এই মুখ গুলোতে হাসি ফুটে ওঠে এটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। এসময় বিত্তবান ধনী লোকদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, এসব পথশিশু সহ অসহায় মানুষের হক্ব বিত্তবান সম্পদশালীদের ধন সম্পদে রয়েছে, যা পথশিশু এবং অসহায় মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া অত্যাবশ্যক। হাফিজ মুহম্মদ আবু তাহির এর তত্ত্বাবধানে এ কাজে অংশগ্রহণ করেন, হাফিজ মুহম্মদ আলী। হাফিজ মুহম্মদ রাসেল ইসলাম। সাইয়্যিদ আহমাদুর রহমান। মুহম্মদ সোহানুর রহমান শামীম। মুহম্মদ মাহমুদ আল হাসান। মুহম্মদ সৌরভ ইসলাম। আনিসুর রহমান। আয়েশা শাহরিয়ার। মোশ্তারী তালুকদার সহ কুড়িগ্রাম জেলার আরো কয়েক সেচ্ছাসেবী।

ঈদ উপহার ও মেহেদী উৎস এর আয়োজন করেছেন দশমিক ফাউন্ডেশন

ঈদ উপহার ও মেহেদী উৎস এর আয়োজন করেছেন দশমিক ফাউন্ডেশন

 আশরাফুল (সরকারি সা'দত কলেজ) প্রতিনিধিঃ ঈদ মানে আনন্দ।  আর ঈদ আনন্দকে ভাগাভাগি করে  নিতে হয় সবার মাঝে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের সাথে। দশমিক ফাউন্ডেশনের দশমিক পাঠশালার ছিন্নমূল শিশুদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই সবাই।  তাদের কাছে ঈদের দিনটিও অন্যসব দিনের মতোই সাধারণ। ঈদ মানে আনন্দ আর সেই আনন্দ থেকেই বঞ্চিত হয় এসব ছিন্নমূল শিশুরা। তাদেরকে সাথে নিয়েই দশমিক ফাউন্ডেশনের এই আয়োজন। তরুণদের নিজেদের গড়ে তোলা এই দশমিক ফাউন্ডেশন একটি সামাজিক সংগঠন। সোমবার (২৬ জুন) সমাজের ছিন্নমূল শিশুদের ক্ষুদ্র  ঈদ উপহার এবং মেহেদী উৎসব করেছেন এই সমাজসেবীরা। 

এ বিষয়ে দশমিক ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আমেনা আক্তার তিলোত্তমা বলেন , ঈদ মানেই আনন্দ। আর বিশেষ করে এই আনন্দ টা শিশুদের জন্য। কিন্তু আমাদের সমাজের কিছু ছিন্নমূল শিশু রয়েছে যারা ঈদ এলে নিজেদেরকে এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত করে । তাই প্রতিবছরই চেষ্টা করি ঈদ এলে কিছু অসহায় ছিন্নমূল শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে। সমাজের সকল বিত্তবান ঈদ উপলক্ষে শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয় ঈদের ক্ষুদ্র উপহার এবং মেহেদী উৎসব। সংগঠনের সদস্যরা শিশুদের হাতে লাগিয়ে দেন মেহেদী। নানারকম ডিজাইনে রাঙিয়ে তোলা হয় শিশুদের হাতে এতে করে শিশুরাও খুব খুশি।

এসময় দশমিক ফাউন্ডেশনের সহ - সভাপতি অমি খান, কানিজ ফাতিমা মীম,মহাসচিব আমেনা আক্তার তিলোত্তমা, কোষাধ্যক্ষ  নিলয় সাহা সদস্য আফরোজা আনিফা,আল মামুন,তানভীর সহ সকলেই উপস্থিত ছিলেন। দশমিক ফাউন্ডেশনের সদস্যরা দশমিক পাঠশালাকে আরো বড় করতে চান ছিন্নমূল শিশুদের পাশে থেকে তাদের কে সাহায্য সহযোগিতা করতে চান। ইনশাআল্লাহ দশমিক ফাউন্ডেশন সামনে আরো এগিয়ে যাবে।