শ্যামনগরে ইউনিয়ন ক্লাইমেট অ্যাকশান গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: লিডার্স শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ক্লাইমেট অ্যাকশান গ্রæপের সাথে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও অ্যাম্বাসি অব সুইডেনের সহযোগিতায় 'কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন (ক্রিয়া)' প্রকল্পের অধীনে একটি সভার আয়োজন করেছে।
২৫ মার্চ রোজ সোমবার সকালে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পের ক্লাব ঘরে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাইমেট অ্যাকশান গ্রæপের সভাপতি আনিছুর রহমান। লিডার্স-এর ক্রিয়া প্রকল্পের কোঅর্ডিনেটর মো. আরিফুর রহমানের সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। সভার কার্যক্রম সঞ্চালনা করেন লিডার্স এর প্রজেক্ট অফিসার সুলতা রানী সাহা।
সভায় নারীবান্ধব আশ্রয় ব্যবস্থাপনা, এসওডি, পরিবেশ রক্ষায় ক্লাইমেট অ্যাকশান গ্রæপের ভূমিকাসহ অন্যান্য আলোচ্যসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনার শেষে সদস্যরা একটি ত্রৈমাসিক কর্মপরিকল্পনা করেন।
ইউনিয়ন ক্লাইমেট অ্যাকশান গ্রæপের সম্পাদক শাহনারা আক্তার বলেন, এই কমিটি শুধু মিটিং করবে না, প্রকল্পের পরিবেশবান্ধব যাবতীয় কর্মকান্ডে এগিয়ে আসবে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও ভয়াবহ রূপ ধারণ করা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সকলে যেন সম্মিলিতভাবে কাজ করেন-তিনি সেই দাবি রাখেন ।সভার সভাপতি আনিছুর রহমান বলেন, আমরা প্রত্যেকে যদি প্রতিদিন একটি করে পরিবেশবান্ধব ভালো কাজ করি তবে অনেকগুলো ভালো কাজ হবে। তিন মাস পর পর আমরা প্রমাণসহ ভালো কাজগুলো সভায় আলোচনা করতে পারি।
ক্রমান্বয়ে বাড়ছে লবণাক্ততা, দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল জুড়ে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার
নিউজ ডেস্কঃ পানি জীবন ধারনের একটি মৌলিক উপাদান। অবস্থানগত ও মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে সুপেয় পানির অত্যন্ত সংকট। এই সংকট দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় সবচেয়ে বেশী। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সুপেয় পানির জন্য বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টি কম হলে পুকুরের পানিও কমে আসে, পানির গুণগতমান নষ্ট হয়। ফলে সুপেয় পানি পাওয়া প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। দক্ষিণাঞ্চলে সুপেয় পানির নিশ্চয়তার দাবিতে বিশ্ব পানি দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণী পেশার মানুষ। ২২ মার্চ একযোগে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন জায়গায় এই পানি দিবস ২০২৪ উদযাপন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলাতে একযোগে লিডার্স ও উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের উদ্যোগে শ্যামনগর মাইক্রো স্ট্যান্ডে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মাষ্টার নজরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব দেবীরঞ্জন মন্ডল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব খালেদা আইয়ুব ডলি, শিক্ষক ও সাংবাদিক জনাব রণজিৎ কুমার বর্মন, শিক্ষক জনাব মানবেন্দ্র দেবনাথ, জনাব আবু সাইদ, বিভিন্ন সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ আরো অনেকে। মানববন্ধনে উপস্থিত সকলে খালি কলস নিয়ে দাঁড়িয়ে সুপেয় পানির নিশ্চয়তার দাবিতে প্রতীকী প্রতিবাদ জানায়।
আশাশুনি উপজেলাতে একত্রে লিডার্স ও উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের উদ্যোগে পানি দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে মানববন্ধন ও সমাবেশ এর আয়োজন করা হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব, মোঃ আব্দুল হান্নান, জনাব বিকাশ চন্দ্র সানা, ইউ পি সদস্য জনাব মারুফা বেগম, মিনতি রাণী সরকার সহ আরো অনেকে। তারা সরকারের কাছে উপকূলের সুপেয় পানির সংকট নিরসনের দাবি জানান।
খুলনা জেলার পাইকগাছাতে সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন ও লিডার্সের যৌথ উদ্যোগে অনির্বান লাইব্রেরিতে পানি দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর রেজাউল করিম, বিভিন্ন সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ আরো অনেকে। খুলনা-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন যে, পরিবেশে পানির ভারসাম্য ধরে রাখতে হবে। আর তার জন্য আমাদের পানির সঠিক ব্যবহার এর উপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রকৃতি কে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে লিডার্স ও জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের যৌথ উদ্যোগে সুপেয় পানির নিশ্চয়তার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ এর আয়োজন করা হয়। এসময় বাগেরহাট জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বাগেরহাটের মোংলাতে পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ও লিডার্সের আয়োজনে র্যালি, মানব বন্ধন ও গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নারায়ন চন্দ্র পাল। গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান। গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমান, মোংলা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ও মংলা টেকনিক্যাল কলেজ'র অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম। গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চলনায় ছিলেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বাস রনজিত কুমার, ব্রাক'র শফিকুর রহমান স্বপন, মোংলা সরকারি কলেজের প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, ড. অসিত বসু, ড. অপর্ণা অধিকারী, প্রভাষক সাহারা বেগম, লিডার্স এর কৌশিক রায় সহ আরো অনেকে।
পানি দিবসের বিভিন্ন কর্মসুচীতে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উপকূলবর্তী ১৯ টি জেলায় প্রায় ৩ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষের বসবাস। আধারযোগ্য পানি সংগ্রহ করতে পারে না এদের প্রায় ৩ কোটি মানুষ এবং দেড় কোটি মানুষ ভুগর্ভস্থ লবণাক্ত পানি পানে বাধ্য হচ্ছেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মতে যেখানে পানযোগ্য প্রতি লিটার পানিতে লবণের সহনীয় পরিমান ০ থেকে ১ হাজার মিলিগ্রাম সেখানে বাংলাদেশের উপকূলে প্রতিলিটার পানিতে রয়েছে ১ হাজার থেকে ১০ হাজার মিলিগ্রাম লবণের উপস্থিতি।
মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, নদীভাঙন জনিত বন্যা, চিংড়ি চাষ, ভুগর্ভস্থ পানির লবনাক্ততার কারনে গত কয়েক বছরে সুন্দরবন এলাকায় সুপেয় পানির সংকট বেড়েছে। সুন্দরবন উপকুলে ৭৩% পরিবার সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত বা খারাপ পানি খেতে বাধ্য হয়। উপকূলীয় অঞ্চলে গত ৩৫ বছরে লবণাক্ততা পূর্বের তুলনায় ২৬% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যার পরিমান ২ পিপিটি থেকে বেড়ে ৭ পিপিটি হয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্র থেকে ভূভাগের অনেক ভিতর পর্যন্ত লোনাপানি ঢুকে পড়েছে, ফলে লোকজনকে পানি ও খাবারের সাথে তুলনামূলক বেশি পরিমাণে লবণ গ্রহণ করতে হচ্ছে। এছাড়া লবাণাক্ততা বৃদ্ধি এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও ফেলেছে। চিকিৎসাবিদদের মতে এ এলাকার বসবাসকারীদের উচ্চ রক্তচাপ রোগে ভোগার সম্ভাবনা বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে লবণাক্ততায় আক্রান্ত এলাকায় গর্ভবতী মায়েদের প্রি-একলেম্পশিয়া ও উচ্চরক্তচাপের হার ৬.৮%-৩৯.৫% বেড়েছে। লবণাক্ততার কারনে উপকূলের নারীদের জরায়ু সংক্রমন বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। মাইলের পর মাইল পাড়ি দিয়ে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে নারীকেই। ফলে নষ্ট হচ্ছে নারীর শ্রমঘন্টা। শিশুদের অনিরাপদ অবস্থায় রেখে যেতে হচ্ছে ও নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। শিশুদের শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। রোগব্যাধি বাড়ছে, সামগ্রিক জীবনের গুণগত মান হ্রাস পাচ্ছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির জন্য বক্তারা যে সকল দাবী তুলে ধরেন, বাংলাদেশ পানি আইনের ধারা-১৭ অনুযায়ী উপকূলীয় অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। নিরাপদ পানির সর্বজনীন, ন্যায্য ও সজলভ্যতা নিশ্চিত করতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি ও অগ্রাধিকার প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে এবং ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে, উপকুলীয় সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে, আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় সাধনে উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে, পানীয় জলের উৎসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে, উপকূলীয় অঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের পূর্বে ওই এলাকার পানির চাহিদা যোগানের পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে হবে।
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন খুলনার দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
হিলির সীমান্তবর্তী বাজারে জমে উঠেছে ঈদ বাজার
প্রজন্ম মিরসরাই'র উপজেলা সেরা হাফেজ অন্বেষণ প্রতিযোগিতা
ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক
নওগাঁর আত্রাইয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফুলবাড়ি বেড়িবাঁধ'টি ৮ বছরেও কতৃপক্ষের নজরে আসেনি
আবুতোরাবে অপরূপা কসমেটিক্সে ক্রেতাদের ভিড়
পবা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে চলছে রমরমা বাণিজ্য
এতো কিছুর পরেও থামছে না এই পবা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে অনিয়ম দূর্নীতি।উর্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই চলে এমন অনিয়ম দূর্নীতি।এবার তো সর্বকালের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়ে থ্রি মাস্কেটিয়ার্স নামে খ্যাত তিন রত্ন গড়েছে দূর্নীতির স্বর্গরাজ্য।ওই তিন রত্নের প্রধান রনি।বাকী দুজন হলেন মামুন ও নকল নবীশ নাদিম।নকল নবীশ নাদিম অফিসের স্টাফ হলেও মামুন আর রনি ওই অফিসের কাগজ কলমে কেউ না।তবে কাগজ কলমে কেউ না হলেও অফিসের চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করেন।করেন সম্পুর্ন অফিস নিয়ন্ত্রণ।সাব-রেজিষ্টার অফিসের রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলের হিসেব-নিকাশ, সরকারি পে-আর্ডার ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিসমূহের কাজ করেন তারা।এমনকি সম্পূর্ণ অফিসের নিরাপত্তাসহ অফিসের চাবিও থাকে তাদের নিকট।
রনি' নিজেকে অফিস স্টাফ বা পেশকার পরিচয় দিয়ে থাকেন।বসেন পেশকারের পাশেই, সাব রেজিস্ট্রারের সামনেই।রনি ও মামুনের অফিশিয়াল কোনো নিয়োগ না থাকলেও তারাই মূলত সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সব।তাদের কথায় চলে সাব রেজিস্ট্রার অফিস।ভুক্তভোগীরা সেবা নিতে এসে এদের হয়রানিসহ অর্থ লোপাটের খপ্পরে পড়েন।রেজিষ্ট্রি করতে প্রতিটি দলিলে আগে ১ হাজার ঘুষ লাগতো।এবার গোদাগাড়ীর খণ্ডকালীন দ্বায়িত্বে আসা সাব রেজিস্ট্রারের জন্য অতিরিক্ত আরো ২০০ টাকা নিচ্ছেন রনি সিন্ডিকেট।এটা রনি সিন্ডিকেটের অলিখিত আইন।আইনের মূলহোতা রনি প্রকাশেই এই ঘুষ বানিজ্যে করেন।অন্যথায় রেজিষ্ট্রি হবে না।২০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে মর্মে জেলা সাব রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দ্বায়িত্বে) সফিকুল ইসলামের নাম ভাঙ্গায় রনি।রনি'র কাছে অফিসের চাবি থাকায় অফিসের অনেক গোপন তথ্য সে বাসায় নিয়ে যায়।সেটা তিনি বিভিন্নজনকে সরবরাহ করে অবৈধ ফায়দা হাসিল করেন।চাবি থাকায় দলিল পত্রের যা ইচ্ছে তাই করার ক্ষমতা আছে তার।ইতোমধ্যে অফিসে অনেক গোপন তথ্য সে পবার অনেককে বন্টন দলিল মানে মোটা অংকের ব্যবসা ।২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন তারা।অন্যথায় রেজিষ্ট্রি হয় না।
অবৈধ ফায়দা হাসিল করে দেয় বলেই এদের কথায় উঠবস করেন সাব রেজিস্ট্রাররা।রনি'র কোনো নিয়োগ না থাকলেও অফিসের গোপন তথ্য দিয়ে ফায়দা হাসিল করছেন।যেসব কারণে এর আগে রিটু ও সেলিম পেশকার বরখাস্ত হয়েছিলেন ওই কাজে রনিও জড়িত ছিলো।রিটু ও সেলিম পেশকার বরখাস্ত হলেও এখন বহালতবিয়তে রনি গং।এই রনি'র উত্থানটা যেনো আলাউদ্দিনের চেরাগের মতো। বাবাহীন রনি মায়ের কাছেই মানুষ।অফিসে মায়ের রান্না করে দেওয়ার বদৌলতে অফিসে উঠাবসা রনির।সেখান থেকে যাত্রা শুরু করে ম্যানেজ মাস্টার অতি চালাক এই রনি গড়ে তুলেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট।মামুন ও নকল নবীশ নাদিম ও নাসরিনকে হাতে নিয়ে গড়ে তুলেছেন দূর্নীতির স্বর্গরাজ্য।হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।শূন্য হাতে জীবন যাত্রা শুরু করা রনি এখন বহু টাকার মালিক।৫ লক্ষ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল, ৮০ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ব্যবহার করেন তিনি।সাব রেজিস্ট্রার আয়েশা'র বিশ্বাস্ত হাতিয়ার সে।ম্যানেজ মাস্টার রনি এখন খণ্ডকালীন দ্বায়িত্বে আসা সাদেকুর রহমানের ঘুষ বানিজ্যের সফর সঙ্গি।অফিসে অবৈধ লেনদেনের ঘুষের টাকা রনি সবাইকে ভাগ করে দেন।
কথা বললে পবা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে আসা কয়েকজন প্রতিবেদককে বলেন, রনি, মামুন, নাদিম, নাসরিন এই অফিসের স্বর্বসর্বা।বন্টন নামা, নকল উত্তোলন, দলিল রেজিষ্ট্রি করতে মোটা অংকের উৎকোচ চান তারা।নাম প্রকাশ না করা শর্তে অফিসের কয়েকজন বলেন, নিয়োগহীন একজন অল্প বয়সের ছেলেকে অফিস কি কারণে চাবি দিয়ে রাখেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।বড় কোনো ক্ষতি হলে এর দায়ভার কে নিবে? শোনা যাচ্ছে ইতোমধ্যে দলিল লুকিয়ে রেখে হয়রানিসহ বালাম বইয়ের রেকর্ড পাচার করছেন তিনি।স্থানীয়রা জানান, রনির বাবা বেঁচে নেই।অল্পদিনে সে অনেক টাকার মালিক।বোনের বিয়েতে খরচ করেছেন অনেক টাকা।জামাইকে দিয়েছেন ৫ লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি।সরেজমিনে প্রতিবেদক সেবাগ্রহীতা সেজে গিয়ে কথা বলেন, রনি ও মামুনের সঙ্গে।সত্যতা মিলে উল্লেখিত ঘটনার।প্রতিবেদকের নিকটই ঘুষ দাবিসহ অবৈধ প্রস্তাব দেন তারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে নৈশ প্রহরী পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান কবিরুল।সেও রনি ন্যায় অফিস নিয়ন্ত্রণ করছিলেন।পরে নিজের অফিসের স্টাফ পরিচয়ে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থের বিনিময়ে অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিসমূহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবারহ করে চাকুরী থেকে বরখাস্ত হন।এদিকে ২০২২ সালে সাব রেজিস্ট্রার রওশন আরা অফিস সহায়ক আমিনুলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতি অভিযোগে দুদকে অভিযোগ হয়।তারাও পবা সাব রেজিস্ট্রারে কর্মরত থেকে জড়িয়েছেন অনিয়ম দূর্নীতিতে।নানা অশান্তিমূলক কর্মকান্ডের জন্ম দেয়া পবা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবীশ আফরোজা খাতুন অবশেষে জেল হাজতে ঢুকতে হয়েছে।আফরোজা খাতুনের দৌরাত্ম, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে পবা সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে অপসারণ ও বদলীর আবেদন করেন তার নিজ বোন ইকতার জাহান ইতি।সরকারী নথি জাল করে জমি নিবন্ধনের মতো জঘন্য অপরাধও ঘটেছে এই অফিসেই।
এ বিষয়ে অলিখিত নিয়োগহীন পবা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান রনি বলেন, আমি মাস্টাররোলে অফিস সহায়ক হিসেবে আছে।আমার কোনো লিখিত নিয়োগ নাই।সার রেজিস্ট্রার স্যাররা ভালোবেসে মৌখিকভাবে রেখেছেন।তবে তিনি অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেন।এ ব্যাপারে পবা সাব রেজিস্ট্রার সাদেকুর রহমান বলেন, আমি খণ্ডকালীন দ্বায়িত্বে আছি সেখানে।রনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কর্মরত।কোন নিয়োগ আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এগুলো মৌখিক নিয়োগ হয়।একজন মৌখিক নিয়োগের ব্যক্তি কিভাবে অফিসে চেয়ার টেবিল পায়? তার নিকট অফিসের চাবি কেনো রাখা হয় জানতে চাইলে তিনি এসব জানেন না বলে জানান।তিনি এসব বিষয়ে কথা বলতে অফিসে ডাকেন।মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে জানতে জেলা রেজিস্ট্রার সফিকুল ইসলামকে (অতিরিক্ত দ্বায়িত্বে) একাধিকবার ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।তাই তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মান্দার তেঁতুলিয়ায় টিসিবি'র পণ্য বিতরণ
ঝিকরগাছায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিআরবি’র আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খালেদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, শিশু অধিকার বাংলাদেশ (সিআরবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি শিশুদের মৌলিক চাহিদা পূরণ, বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে থাকে। এই সংগঠনটি এতিম, অসহায় শিশু পরিবারে মাসিক খাদ্য বিতরণ, চিকিৎসা সহায়তা সহ নানাবিধ সহায়তা দিয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ছুটিপুর কারীমিয়া কওমিয়া মাদ্রাসায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। "
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন চাঁদ, যুগ্ম সম্পাদক শাহাবুদ্দিন মোড়ল, সহ প্রচার সম্পাদক মিঠুন সরকার, শিশু অধিকার বাংলাদেশ(সিআরবি) এর অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান এবং অত্র মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি আলী আজগারসহ মাদ্রাসার শিক্ষক ছাত্র সহ আরো অনেকে।
মিরসরাই সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
দিনাজপুরের বিরাম পুর উপজেলায় জন্ম নিলো এক পা বিশিষ্ট নবজাতক
নাগরপুরে রমযানুল মোবারক উপলক্ষে বাংলা অর্থসহ কুরআন বিতরণ অনুষ্ঠিত
পবিত্র কুরআন বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ আজিম উদ্দীন,শিক্ষক ইমরান মিয়া,ব্যাংকার মো.শাহিন মিয়া,বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.সিদ্দিক মিয়া,ডা.কাউছার খান প্রমূখ।এই পবিত্র কুরআন বিতরণ শেষে ডা: এম এ মান্নান জানান, সারা মাস জুড়ে যারা কুরআন পড়তে জানেন এবং কিছুটা ভুল ভ্রান্তি থেকেও বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ না জানার কারণে ভুল করে থাকেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমার এই প্রয়াস। বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ কুরআন শরীফ নাগরপুর বাসীকে উপহার দিতে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি, আমার এ উদ্যোগ চলমান থাকবে, ইনশাআল্লাহ।