" কবি মোকাম আলি খানের গীতিকার হয়ে ওঠার পেছনের গল্প"

" কবি মোকাম আলি খানের গীতিকার হয়ে ওঠার পেছনের গল্প"

জি. এম.  মুছাঃ কবি ও গীতিকার মোকাম আলি খান, যশোর সদর উপজেলার  ৪‌,নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ছোট্ট একটি সিম সাম গ্রাম সুলতানপুর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে মোড়ানো ছায়া বিথী সবুজ শ্যামল গ্রামের বুক চিরে আঁকাবাঁকা মেঠো পথ গেছে বহুদূর, ঐ গ্রামের স্থানীয় তালবাড়িয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়াকালীন সময়ে, অনেকটা খেয়ালের বশবর্তী হয়ে বন্ধু বান্ধবের পাল্লায় পড়ে, হঠাৎ মোকাম আলী খান ছড়া কবিতা গান লেখা শুরু করলেন ,বলা যেতে পারে ১৯৮০ সালে তাল বাড়িয়া  মাধ্যমিক বিদ্যালয় দশম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে তার  ছড়া কবিতা লেখার প্রথম হাতে খড়ি, পড়ালেখার পাশাপাশি ,তিনি একাধারে ছড়া, কবিতা, গান রচনা চালিয়ে যেতে লাগলেন,মোকাম আলী খান মুলতঃ ছড়াকার,  কবি ও গীতিকবি,  ছেলেবেলা থেকেই গানের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ। তিনি বিশেষ করে আব্দুল আলীমের গানের ভক্ত। কৌশরে তাঁর সুরেলা কন্ঠের গানের খ্যাতি ছিল। ছাত্রজীবনে গান গেয়ে ও কবিতা আবৃতি করে এবং নাটক হাস্যরসিকতায় সহপাঠীদের মাতিয়ে রাখতেন, স্কুলে তাঁকে নিয়মিত জাতীয় সংগীত গেতে হত, তাই তাকে আর স্কুলে অনিয়মিত থাকা সম্ভব হতো না , স্কুলের শিক্ষকদের সাথে তাঁর নিবীড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে।প্রাইমারি স্কুলে পড়াকালীন সময় তিনি ভীষণ চঞ্চল প্রকৃতি  হলেও মিশুক স্বভাবের ছিলেন, শিশুকাল থেকেই সংগীত পিপাসু বাবার অনব্যান্ড একটি রেডিও বাক্সে তালাবদ্ধ করা থাকতো, কিন্তু তাঁর একটি নকল চাবি বানিয়ে নিয়ে বাবার অনুপস্থিতিতে গান নাটক আবৃতি শুনে আবারও যথারীতি যথাস্থানে তুলে রেখে দিতেন।
লেখালেখির এক পর্যায় ১৯৮৬ সালে, ঐতিহ্যবাহী জেলা যশোরের প্রথম 'দৈনিক স্ফূলিঙ্গ'পত্রিকায় তার  প্রথম ছড়া 'ময়না পাখির মেলা' প্রকাশিত হলে তাকে  আর কখনো পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, এরপর সুরকার শিল্পী চলচ্চিত্রকার পরিচালক,অভিনেতা অভিনেত্রী সকলের সাথে মেশার সুযোগ পান,ঐ সময় মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের একান্ত সহযোগিতায় , শেখ সাদী খানের সুরে আবিদা সুলতানার কন্ঠে বাংলাদেশ বেতার শাহবাগ এ,কবি ও গীতিকার মোকাম আলী খানের একটি আধুনিক গান  বাণীবদ্ধ হয়,
ও আমি দোষ দেবোনা/
দোষ দেবোনা কারো/
দোষ দিলে যে নিজেই/
দোষী হবো আমি আরও!/
ঐ সময় তিনি যশোরের প্রখ্যাত অভিনয় শিল্পী রানু দাশের ৪৫৯ পশ্চিম রামপুরা,বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঠিক অপজিটে, একটি  বাসায় থাকতেন,বলাবাহুল্য গীতিকবি মিল্টন খন্দকার ও একই বাসায় থাকতেন, মাঝে মাঝে তার সাথে আলাপ হতো তাঁর। যশোর আর একজন প্রখ্যাত ব্যক্তি আলীমুজ্জামান দুলু, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন, তাঁর সহকারী ছিলেন শিল্পী রানু দাসের একমাত্র সন্তান বিশ্বজিৎ দাশ, তাঁর সাথে  মোকাম  আলী খানের নিবিড় ও গভীর এক সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতায়, বাংলাদেশ টেলিভিশনে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।১৯৮৮ সালে সারাদেশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিলো,বিশেষ করে ঢাকা শহর তখন কিছুটা পানির নিচে তলিয়ে গেল, মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ল।
সেই সময় এরশাদ সরকার ক্ষমতায় এরশাদ গান লিখে দিলেন " তোমাদের পাশে এসে, গাইলেন এন্ড্রুকিশোর দা হিট, একদিন দুপুরে ফকির আলমগীর বেইলী রোড়ে হাজির হলেন, বললো রফিক ভাই আমি বন্যার গান করবো গান লিখে দিন,
ভাগ্যক্রমে সেদিন সেখানে কবি গীতিকার মোকামিখান উপস্থিত ছিলেন, রফিকুজ্জামান মোকাম আলীকে উদ্দেশ্য করে বললেন তুমি একটি গান লিখে দাও, আর আমি একটি লিখছি, সঙ্গে সঙ্গে মোকাম আলী খান গান লিখে।
'বানের জলে ভাইসা গ্যাছে/
কদম আলীর ঘর,/
পোলা ম্যাইয়া কদম/
হইছে দেশান্তর /' 
ফকির আলমগীর গানের কথা দেখে ঐদিন দুপুরে  রানু দাসের বাসায় ফোন করে মোকাম আলী  খানকে চাইলেন, এবং বললেন তুমি কেমন সুর চাও, সেটা জেনে নিলেন আর বললেন আজ সন্ধ্যায় গান বিটিভিতে প্রচারিত হবে পারলে তুমি শুনবে, কতটি শোনার পরে আর যায় কোথায় কবি গীতিকার মোকাম আলি খান খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়লেন সেদিনের সেই খুশির কথা মনে পড়লে, আজও যেন মোকাম আলী খান নাকি শরীরটা শিউরে ওঠে। 
পর্বিতিতে মহাপ্লাবন ,৮৮ নামক ১২টি গানের নিয়ে একটি এ্যালবাম বের হলে সেখানে কবি ও গীতিকার  মোকাম আলি খানের একটি গান ঐ অ্যালবাম স্থান পায়।
"উড়ির চরের রাঙাবুড়ির
খবর হুনছো নি।'
মোকাম আলী খানের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা  ৪ খানাঃ-১# ছড়া গ্রন্থ ময়না পাখির মেলা( ১৯৮৬),২# সুরের আগুন সংগীত গ্রন্থ (১৯৯০),  ৩# মুজিব মানে বাংলাদেশ ছড়া গ্রন্থ (২০০০), ৪#মুজিবের জন্য যেবাংলার জন্ম ছড়া গ্রন্থ, এছাড়াও এই ছড়াকার কবি গীতিকার মোকাম আলি খানের অপ্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে, যা প্রকাশের অপেক্ষায়ঃ১) মুজিব ধ্রুবতারা (কাব্যগ্রন্থ ), ‌২) বিবর্ণ দিনও বিদীর্ণ হৃদয় (কাব্যগ্রন্থ) কবি ও গীতিকার মোকাম আলি খানের অসংখ্য ছড়া কবিতা গান অপ্রকাশিত রয়ে গেছে, যে সমস্ত লেখা এখনো আলোর মুখ দেখেনি , এমন ছড়া কবিতা গানের সংখ্যা প্রচুর। 

বর্তমানে গীতি কবি মোকাম আলী খান, স্ত্রী শাহানা সুলতানা অবসর প্রাপ্ত, বৃদ্ধ মাতা জমিলা খাতুন সহ, চাকরী রত দুই পুত্র ১) মোঃ তানজামিন খান শুভ বড় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, ইনটোরিয়র ডেকারেশন,গুলশান - ১ ঢাকা। বিবাহিত একটি পুত্র সন্তানের জনক, ২)ছোটো ছেলে শাহরুখ খান (সৌরভ) অবিবাহিত, ম্যানেজমেন্টে মাষ্টার্স , ঢাকা বারিধারাতে একটি কোন্পানীতে কর্মরত আছে। 

তাদেরকে কে নিয়ে কবি গীতিকার মোকাম আলী খান ,সুলতান পুরের নিজের পৈতৃক ভিটার বাড়িতেই বসবাস করছেন ৫৯ পেরিয়ে ৬০ এ পদার্পণ করতে যাচ্ছেন, অত্যন্ত সাদামাঠা খামখেলি অস্থির এবং বোহিমিয়ান জীবন যাপনে অভ্যস্ত, অনেক শারীরিক মানসিক আর্থিক টানা পোড়নে‌র মধ্যেও জীবনযাপন করলেও তিনি একজন সুখী দম্পতি, নিজের কষ্টকে কখনো কাউকে বুঝতে দেন না, সদা হাসিখুশি মিষ্টিও সাদালাপী ৫ ফুট ৬ ইঞ্চির উজ্জ্বল শ্যামলা মানুষটির হেলেদুলে হাঁটাচলা সত্যিই আমাদের অনেকখানি ভাবায়!
পরিশেষে আমি তাকে একজন সফল পিতা,  সফল স্বামী ও একজন সফল কবি ও গীতিকার কে, তার উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি পাশাপাশি, তার সফলতাকে ছুঁয়ে প্রথম শ্রেণীর গীতিকার মোকম আলি খানক অনেকখানি উতরে যেতে পেরেছেন , তাই আমি আমার মনের মনি কোঠা থেকে থেকে, অন্তরে অন্তঃস্থল থেকে, হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে তাকে সুশোভিত করতে চাই, আগামী দিনের সামনের এগিয়ে চলার পথ ও দিনগুলো ভরে উঠুক ফুলের মত মৌ মৌ গন্ধে, সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাণঢালা দোয়া ও শুভেচ্ছা সঙ্গে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই, তার আগামী দিনগুলো ও পথচলা ফুলের মত সুচি শুভ্র পুত পবিত্র সুখময় ও মঙ্গলময় শুভ সৌন্দর্যে ভরে উঠুক এই দোয়া করি।

         ‌             লেখকঃ একজন        আইনজীবী, সৃজনশীল লেখক, কবি ও গবেষক

শ্যামনগরে ইউনিয়ন ক্লাইমেট অ্যাকশান গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত

শ্যামনগরে ইউনিয়ন ক্লাইমেট অ্যাকশান গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: লিডার্স শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ক্লাইমেট অ্যাকশান গ্রæপের সাথে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন  অ্যাম্বাসি অব সুইডেনের সহযোগিতায় 'কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা  নারীর ক্ষমতায়ন (ক্রিয়া)' প্রকল্পের অধীনে একটি সভার আয়োজন করেছে।

২৫ মার্চ রোজ সোমবার সকালে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পের ক্লাব ঘরে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাইমেট অ্যাকশান গ্রæপের সভাপতি আনিছুর রহমান। লিডার্স-এর ক্রিয়া প্রকল্পের কোঅর্ডিনেটর মোআরিফুর রহমানের সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। সভার কার্যক্রম সঞ্চালনা করেন লিডার্স এর প্রজেক্ট অফিসার সুলতা রানী সাহা।

সভায় নারীবান্ধব আশ্রয় ব্যবস্থাপনাএসওডিপরিবেশ রক্ষায় ক্লাইমেট অ্যাকশান গ্রæপের ভূমিকাসহ অন্যান্য আলোচ্যসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনার শেষে সদস্যরা একটি ত্রৈমাসিক কর্মপরিকল্পনা করেন।

ইউনিয়ন ক্লাইমেট অ্যাকশান গ্রæপের সম্পাদক শাহনারা আক্তার বলেনএই কমিটি শুধু মিটিং করবে নাপ্রকল্পের পরিবেশবান্ধব যাবতীয় কর্মকান্ডে এগিয়ে আসবে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ  ভয়াবহ রূপ ধারণ করা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সকলে যেন সম্মিলিতভাবে কাজ করেন-তিনি সেই দাবি রাখেন সভার সভাপতি আনিছুর রহমান বলেনআমরা প্রত্যেকে যদি প্রতিদিন একটি করে পরিবেশবান্ধব ভালো কাজ করি তবে অনেকগুলো ভালো কাজ হবে। তিন মাস পর পর আমরা প্রমাণসহ ভালো কাজগুলো সভায় আলোচনা করতে পারি।

ক্রমান্বয়ে বাড়ছে লবণাক্ততা, দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল জুড়ে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার

ক্রমান্বয়ে বাড়ছে লবণাক্ততা, দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল জুড়ে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার

নিউজ ডেস্কঃ পানি জীবন ধারনের একটি মৌলিক উপাদান। অবস্থানগত ও মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে সুপেয় পানির অত্যন্ত সংকট। এই সংকট দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় সবচেয়ে বেশী। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সুপেয় পানির জন্য বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টি কম হলে পুকুরের পানিও কমে আসে, পানির গুণগতমান নষ্ট হয়। ফলে সুপেয় পানি পাওয়া প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। দক্ষিণাঞ্চলে সুপেয় পানির নিশ্চয়তার দাবিতে বিশ্ব পানি দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে মানববন্ধন সমাবেশ করেছে  বিভিন্ন সংগঠন শ্রেণী পেশার মানুষ। ২২ মার্চ একযোগে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন জায়গায় এই পানি দিবস ২০২৪ উদযাপন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলাতে একযোগে লিডার্স ও উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের উদ্যোগে শ্যামনগর মাইক্রো স্ট্যান্ডে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মাষ্টার নজরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব দেবীরঞ্জন মন্ডল,  উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব খালেদা আইয়ুব ডলি, শিক্ষক ও সাংবাদিক জনাব রণজিৎ কুমার বর্মন, শিক্ষক জনাব মানবেন্দ্র দেবনাথ, জনাব আবু সাইদ, বিভিন্ন সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ আরো অনেকে। মানববন্ধনে উপস্থিত সকলে খালি কলস নিয়ে দাঁড়িয়ে সুপেয় পানির নিশ্চয়তার দাবিতে প্রতীকী প্রতিবাদ জানায়।

আশাশুনি উপজেলাতে একত্রে লিডার্স ও উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের উদ্যোগে পানি দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে মানববন্ধন ও সমাবেশ এর আয়োজন করা হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব, মোঃ আব্দুল হান্নান, জনাব বিকাশ চন্দ্র সানা, ইউ পি সদস্য জনাব মারুফা বেগম, মিনতি রাণী সরকার সহ আরো অনেকে। তারা সরকারের কাছে উপকূলের সুপেয় পানির সংকট নিরসনের দাবি জানান।

খুলনা জেলার পাইকগাছাতে সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন ও লিডার্সের যৌথ উদ্যোগে অনির্বান লাইব্রেরিতে পানি দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর রেজাউল করিম, বিভিন্ন সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ আরো অনেকে। খুলনা-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন যে,  পরিবেশে পানির ভারসাম্য ধরে রাখতে হবে। আর তার জন্য আমাদের পানির সঠিক ব্যবহার এর উপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রকৃতি কে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।      

বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে লিডার্স ও জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের যৌথ উদ্যোগে সুপেয় পানির নিশ্চয়তার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ এর আয়োজন করা হয়। এসময় বাগেরহাট জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  বাগেরহাটের মোংলাতে পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ও লিডার্সের আয়োজনে র‍্যালি, মানব বন্ধন ও গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নারায়ন চন্দ্র পাল। গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান। গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমান, মোংলা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ও মংলা টেকনিক্যাল কলেজ'র অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম। গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চলনায় ছিলেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বাস রনজিত কুমার, ব্রাক'র শফিকুর রহমান স্বপন, মোংলা সরকারি কলেজের  প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, ড. অসিত বসু, ড. অপর্ণা অধিকারী, প্রভাষক সাহারা বেগম, লিডার্স এর কৌশিক রায় সহ আরো অনেকে।

পানি দিবসের বিভিন্ন কর্মসুচীতে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উপকূলবর্তী ১৯ টি জেলায় প্রায় ৩ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষের বসবাস। আধারযোগ্য পানি সংগ্রহ করতে পারে না এদের প্রায় ৩ কোটি মানুষ এবং দেড় কোটি মানুষ ভুগর্ভস্থ লবণাক্ত পানি পানে বাধ্য হচ্ছেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মতে যেখানে পানযোগ্য প্রতি লিটার পানিতে লবণের সহনীয় পরিমান ০ থেকে ১ হাজার মিলিগ্রাম সেখানে বাংলাদেশের উপকূলে প্রতিলিটার পানিতে রয়েছে হাজার থেকে ১০ হাজার মিলিগ্রাম লবণের উপস্থিতি।

মানববন্ধন সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, নদীভাঙন জনিত বন্যা, চিংড়ি চাষ, ভুগর্ভস্থ পানির লবনাক্ততার কারনে গত কয়েক বছরে সুন্দরবন এলাকায় সুপেয় পানির সংকট বেড়েছে। সুন্দরবন উপকুলে ৭৩% পরিবার সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত বা খারাপ পানি খেতে বাধ্য হয়। উপকূলীয় অঞ্চলে গত ৩৫ বছরে লবণাক্ততা পূর্বের তুলনায় ২৬% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যার পরিমান পিপিটি থেকে বেড়ে পিপিটি হয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্র থেকে ভূভাগের অনেক ভিতর পর্যন্ত লোনাপানি ঢুকে পড়েছে, ফলে লোকজনকে পানি খাবারের সাথে তুলনামূলক বেশি পরিমাণে লবণ গ্রহণ করতে হচ্ছে। এছাড়া লবাণাক্ততা বৃদ্ধি অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও ফেলেছে। চিকিৎসাবিদদের মতে এলাকার বসবাসকারীদের উচ্চ রক্তচাপ রোগে ভোগার সম্ভাবনা বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে লবণাক্ততায় আক্রান্ত এলাকায় গর্ভবতী মায়েদের প্রি-একলেম্পশিয়া উচ্চরক্তচাপের হার .%-৩৯.% বেড়েছে। লবণাক্ততার কারনে উপকূলের নারীদের জরায়ু সংক্রমন বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। মাইলের পর মাইল পাড়ি দিয়ে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে নারীকেই। ফলে নষ্ট হচ্ছে নারীর শ্রমঘন্টা। শিশুদের অনিরাপদ অবস্থায় রেখে যেতে হচ্ছে নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। শিশুদের শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। রোগব্যাধি বাড়ছে, সামগ্রিক জীবনের গুণগত মান হ্রাস পাচ্ছে।

দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির জন্য বক্তারা যে সকল দাবী তুলে ধরেন, বাংলাদেশ পানি আইনের ধারা-১৭ অনুযায়ী উপকূলীয় অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। নিরাপদ পানির সর্বজনীন, ন্যায্য ও সজলভ্যতা নিশ্চিত করতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি ও অগ্রাধিকার প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে এবং ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে, উপকুলীয় সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই স্থায়ী সমাধান করতে হবে, আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় সাধনে উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে, পানীয় জলের উৎসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে, উপকূলীয় অঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের পূর্বে ওই এলাকার পানির চাহিদা যোগানের পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে হবে।

 

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন খুলনার দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন খুলনার দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি  ঃ সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, খুলনা মহানগর শাখার উদ্যোগে ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার নগরীর এক অভিজাত রেস্তোরাঁয় ফাউন্ডেশনের মহানগর সভাপতি আলহাজ¦ গাজী আলাউদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে মাহে রমযানের গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) সরদার রকিবুল ইসলাম, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়, খুলনার প্রকল্প পরিচালক ডাঃ মোঃ মেহেদী নেওয়াজ, যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর এম আবুল বাশার মোল্লা, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলোজির বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর জালাল উদ্দিন আহমদ, যশোর সরকারি এম এম কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. খ. ম. রেজাউল করিম, ইউএনবি খুলনার বিভাগীয় প্রতিনিধি অধ্যাপক শেখ দিদারুল আলম, খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন মালিক গ্রæপের মহাসচিব আলহাজ¦ ওয়াহিদুজ্জামান খান পল্টু, মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার বিভাগীয় সমন্বয়কারী এ্যাড. মোঃ মোমিনুল ইসলাম, সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম গোলাম আযম ও খুলনা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মুন্না, সোনাডাঙ্গা মজিদ স্মরণি ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব শেখ আসাদুজ্জামান। অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তৃতায় সংগঠনের বিভিন্ন মানব কল্যাণমূলক কার্যক্রমের ভ‚য়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

ইফতার মাহফিলে রমযানের গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা এবং সংগঠনের সদস্যদের প্রয়াত স্বজনদের আত্মার মাগফিরাত, অসুস্থদের সুস্থতা এবং দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আলহাজ¦ মাওলানা মোহাম্মদ গোলজার হোসাইন ও বাংলাদেশ বেতার খুলনার আলোচক মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে। 

ফাউন্ডেশনের খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক এম. এ. মান্নান বাবলু'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা রোটাঃ এস এম শাহনওয়াজ আলী ও আলহাজ¦ রোটাঃ ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন হাওলাদার, সহ-সভাপতি আলহাজ¦ রোটাঃ সরদার আবু তাহের ও আলহাজ¦ রুস্তুম আলী হাওলাদার এবং মোঃ হাসানুর রহমান তানজির, ইলিয়াছ হোসেন লাবু, আজাদুল হক আজাদ, আলহাজ¦ মোঃ হুমায়ুন কবির বালী, আব্দুর রাজ্জাক জোদ্দার, মোঃ বদিউজ্জামান লাবলু, একরামুল হোসেন লিপু, মোঃ হুমায়ুন কবীর, মোঃ সরওয়ার হোসেন, বিমল মল্লিক, বিপ্লব কান্তি দাস, ডাঃ সাইফুল্লাহ মানছুর, অসীম কুমার বিশ্বাস, পিযুস চন্দ্র গোমস্তা, কাজী আব্দুল মান্নান, ইমরান পারভেজ, মোঃ রবিউল আলম, মোঃ লিটন হোসেন ও মোঃ ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ। 

হিলির সীমান্তবর্তী বাজারে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

হিলির সীমান্তবর্তী বাজারে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

কৌশিক চৌধুরী, হিলি প্রতিনিধিঃ ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি আর এই খুশিকে ভাগাভাগি করে নিতে দিনাজপুরের হিলি বাজারে জমে উঠেছে ঈদবাজার। স্থানীয় ক্রেতা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা আসছেন ঈদবাজার করতে। দিন গড়ে সন্ধ্যায় বাড়ছে ক্রেতাদের সংখ্যা। কেউ আসছেন তৈরি পোশাক কিনতে। আবার কেউ আসছেন মসলাপাতি কিনতে। ক্রেতারা বলছেন এ দোকান সে দোকান ঘুরে ঘুরে দেখছেন। পছন্দ ও দরদামে মিললে কিনবেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছর রোজার ঈদের ১০ থেকে ১৫ রোজা পার হলে বিক্রি বাড়তে থাকে। এবারও তাই হচ্ছে। 

গাইবান্ধা থেকে হিলি বাজারের পোশাক নিতে আশা হাফিজুল ইসলাম বলেন, 'আমি একটি সংস্থায় চাকরি করি। রমজানের ১৯ রোজা পার হয়েছে ঈদ ঘনিয়ে আসছে। তাই পরিবার নিয়ে সীমান্তবর্তী বাংলাহিলি বাজারে আসছি । এখানে ভালোমানের সব ধরনের পোশাক পাওয়া যাবে তাই দোকান ঘুরে দেখছি। দাম মোটামুটি নাগালের মধ্যেই আছে। পছন্দ হলে কিনবো।

আরেক ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন আমরা বগুড়া থেকে এসেছি। ঈদের কেনাকাটা করতে। তৈরি পোশাক সঙ্গে মসলাপাতি কেনার ইচ্ছে আছে। বগুড়াতে তো মসলার দাম হিলি চেয়ে বেশি। তাই কাপড় কেনার পর মসলা কিনবো। এখানে কাপড়ের দামও কম। যেহেতু বগুড়া থেকে এসেছি। তাই ঈদের সব কেনাকাটা করার ইচ্ছেই আছে।খান বস্ত্রালয়ের মালিক মনির হোসেন বলেন, প্রতিবছর রমজানের ১০ থেকে ১৫ রোজা পার হলে হিলিতে ঈদের কেনাকাটা বাড়তে থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা আসেন ঈদের কেনাকাটা করতে। এবারও ১৫ রোজার পর থেকেই বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। এখনো ঈদের ১০ দিনেরও বেশি বাকি আছে। আশা করছি বিক্রি আরও বাড়বে।

মসলা বিক্রেতা মোকারম হোসেন বলেন, অন্যান্য দিনের চেয়ে রোজার ঈদের মসলা ভালোয় বিক্রি হয়। তারপরও বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা পোশাক কিনতে আসছেন । এরমধ্যে অনেকে পরিবারের জন্য জিরা, বড় এলাচ, ছোট এলাচ কিনছেন। এত বেচাকেনাটা বাড়ছে।তিনি আরও বলেন, আমরা এখন প্রতিকেজি জিরা ৬২০ টাকা কেজি, বড় এলাচ ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে আর ছোট এলাচ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তবে কোরবানি ঈদে মসলা বেশি বিক্রি হয়।

প্রজন্ম মিরসরাই'র উপজেলা সেরা হাফেজ অন্বেষণ প্রতিযোগিতা

প্রজন্ম মিরসরাই'র উপজেলা সেরা হাফেজ অন্বেষণ প্রতিযোগিতা

মিরসরাই প্রতিনিধি: দীর্ঘসময় ধরে ব্যতিক্রমী নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে উপজেলায় বেশ সুনাম কুড়িয়েছে অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন প্রজন্ম মিরসরাই। উপজেলার শতাধিক নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত সামাজিক সংগঠনের মধ্যে শীর্ষ যেকয়টি সংগঠনের নাম উঠে আসে তার মধ্যে অন্যতম প্রজন্ম মিরসরাই। এবার সংগঠনের উদ্যোগে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে তাদের ব্যতিক্রমী আয়োজন 'উপজেলা সেরা হাফেজ অন্বেষণ ২০২৪' প্রতিযোগিতা।

শনিবার (৩০ মার্চ) উপজেলা পরিষদ মিলনাতায়নে দিনব্যাপী  এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার ১৪ টি মাদ্রাসার ২৮ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলে দায়িত্ব পালন করেন হাফেজ মাওলানা নাজিম উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা আশরাফ উদ্দিন, হাফেজ মাহমুদুল হক ভূঁইয়া।  বিচারকরা সেরা ১০ জনকে নির্বাচন করেন। নির্বাচিতদের মাঝে  নম্বরের ভিত্তিতে সেরা তিন জন নির্বাচিত হয়। ১ম বিজয়ী নুরুল উলুম ইদ্রিসিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী হাফেজ মসিউল আদনান। পুরষ্কার হিসেবে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় ৬ হাজার টাকা। দ্বিতীয় বিজয়ী আশরাফুল উলুম তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী আব্দুল আল জোবায়ের পেয়েছে ৫ হাজার টাকা। তৃতীয় আশরাফুল উলুম তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী হাফেজ তকী উল্লাহ পেয়েছে ৪ হাজার টাকা। এছাড়া সনদপত্র ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ৪র্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারী প্রত্যেকে নগদ দুই হাজার টাকা এবং ক্রেস্ট,সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া অংশগ্রহণকারী সকল হাফেজদের পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে।

প্রজন্ম মিরসরাইয়ের পরিচালক প্রফেসর ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক রহিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় ও সংগঠনের সভাপতি সাজেদুল করিম আসাদের সভাপতিত্বে  অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, মিরসরাই উপজেলা পরিষদেও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন আরিফ। অতিথি বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারইয়ারহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নিজাম উদ্দিন আনছারী, আবুতোরাব ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শফিকুল ইসলাম নিজামী, মিরসরাই লতিফিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা নিজাম উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রজন্ম মিরসরাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও নির্বাহী পরিচালক ইউনুচ নূরী,পরিচালক নিয়াজ মোরশেদ নিপু প্রমুখ।
প্রজন্ম মিরসরাইয়ের অনন্য এই আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করে রিটাউন আপ্যারালস লিমিটেড।

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

নিরাপদ, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে রেলওয়ে একটি জনপ্রিয় পরিবহন। দীর্ঘস্থায়ী ও নিরাপদ যাতায়াতে রেলপথ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। বাংলাদেশে অধিক জনসংখ্যার যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে রেলকে আধুনিকায়ন ও জনপ্রিয় করে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ৩১৬ টি ট্রেনে এক লক্ষের বেশি যাত্রী যাতায়াত করে। ট্রেনগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেও পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতা এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ট্রেনে উঠলেই দেখা যায় যাত্রীরা বাদামের খোসা, খাবারের প্যাকেট, ঠোঙা ইত্যাদি ট্রেনের ভেতরেই ফেলে দেয় কিংবা জানালা দিয়ে বাইরে ছুঁড়ে দেয়, যা ট্রেনের ভেতরে অপরিচ্ছন্নতা বাড়ানোর পাশাপাশি রেলপথের আশেপাশের এলাকার পরিবেশ ও বসবাসরত মানুষদের স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এমতাবস্থায় ট্রেনের প্রতিটি বগীতে ডাস্টবিন স্থাপনের ব্যবস্থা করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে যা ট্রেনের যাত্রীদের সহ রেলপথের আশেপাশের পরিবেশ ও বসবাসরত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাবে। রেলওয়ের পরিবেশ রক্ষায় ও সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করতে জনগণের সচেতনতা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

সিদরাতুল মুনতাহা
শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

নওগাঁর আত্রাইয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফুলবাড়ি বেড়িবাঁধ'টি ৮ বছরেও কতৃপক্ষের নজরে আসেনি

নওগাঁর আত্রাইয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফুলবাড়ি বেড়িবাঁধ'টি ৮ বছরেও কতৃপক্ষের নজরে আসেনি

মোঃ ফিরোজ আহমেদ,রাজশাহী ব্যুরোঃ নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় গত ১৫ সালে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণের ফলে ছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহাগোলা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ বন্যায় বিধস্ত হয়। বাঁধটি বিধস্ত হওয়ার র্দীঘ ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও করা হয়নি নতুন সংস্কার।

দীর্ঘ ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও যখন এই গুরুত্বপূর্ণ বাঁধটি সংস্কারে কোন দপ্তরের মাথা ব্যাথা নেই ঠিক তখনই স্থানীয়দের কাছে প্রশ্ন জাগে আসলে বাঁধটি সংস্কারের দায়িত্ব কার? বাঁধটি সংস্কারের জন্য স্থানীয়রা ইউনিয়ন পরিষদের দপ্তরে গেলে তারা বলেন বাঁধটি সংস্কারের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে গেলে তারা বলে এটি ইউনিয়ন পরিষদে। এভাবেই সময় গড়িয়ে ৮টি বছর অতিবাহিত হলেও আজও সংস্কার হয়নি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এ বেঁড়ি বাঁধটি।

বাঁধটি সংস্কার না করার ফলে অল্প বৃষ্টিতেই সারাটা বছরজুড়ে জলাবদ্ধতার মাঝে থাকতে হয় ফুলবাড়ী ও পূর্ব মিরাপুরের প্রায় হাজারো পরিবারকে। যাতায়াতের জন্য নৌকা হচ্ছে তাদের এক মাত্র অবলম্বন। বর্ষা মৌসুম ওই এলাকার হাজার হাজার কৃষক তাদের আবাদি ফসল নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে জীবন যাপন করতে হয়।

 গত ১৫ সালের ২৩ আগস্ট ভোর রাতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় আত্রাইয়ের ফুলবাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার পর মির্জাপুর নামক স্থানে আত্রাই-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়ক ভেঙ্গে আশপাশের এলাকার শত শত বিঘা ফসল পানির নিচে তলিয়ে যায়। সেই সাথে এলাকার শত শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে। এতে আত্রাই-রাণীনগর উপজেলার প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়। প্রায় ২ মাস পর বন্যার পানি নেমে যায়। এদিকে বন্যার পানি শুকিয়ে যাওয়ার ৮ বছর অতিবাহিত হলেও আজও ভাঙ্গন মেরামতে কতৃপক্ষের নজরে আসেনি। 

এ ভাঙ্গন মেরামত না করায় যোগাযাগের অত্র এলাকাবাসী চরম দুর্ভাগ পোহাতে হচ্ছে রাইপুর, ডাঙ্গাপাড়া, ফুলবাড়ি, পূর্বমিরাপুর, উদনপৈ মিরাপুর'সহ বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে সপ্তাহে দুইদিন শনিবার ও মঙ্গলবার ভবানীপুর-মির্জাপুর হাটে যাতায়াতের জন্য এ পথই  ব্যবহার করতে হয়। তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এ পথ দিয়েই হাট বাজারে নিয়ে আসতে হয়। বন্যায় বাঁধ বিধস্ত হওয়ার পর থেকে তারা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে বাঁধটি মেরামত না করার ফলে আগামী বন্যা মৌসুমে আত্রাই-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়ক হুমকির সম্মুখিন হয়ে পরবে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। উদনপৈ গ্রামের সাবেক মেম্বার জিল্লুর রহমান বলেন, আমরা এ ভাঙ্গন মেরামতের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারসহ এলাকার জনগণ বিভিন্ন মহলে অনেক বার অনেকের কাছেই ধর্না দিয়েছি। সকলেই আশ্বস্ত করলেও আজও মেরামত না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমের আগেই সেখান পানি বন্ধী হয়ে পড়তে পারে অসংখ্য পরিবার। বর্তমানে বাঁধটি মেরামত না করার ফলে আমরা আমাদের কষ্টের ফসল নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছি।

ফুলবাড়ি গ্রামের ডা.জিতু খন্দকার বলেন, আসন্ন বন্যা মৌসুমের আগে বাঁধটি মেরামত না করার ফলে আমাদের মাঠে কোন আবাদ করতে পারিনি। কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবা ও জেলা শহরের সাথে যোগাযাগের দিন দিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের কয়েকটি গ্রামবাসীকে। তিনি দ্রুত বাঁধটি নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
 ভবানীপুর জিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান  বলেন, গত ১৫ সালের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ফুলবাড়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার ফলে এ রাস্তার উপর দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বাঁধটি সংস্কার করা অতিব জরুরী।

এ বিষয়ে সাহাগোলা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মামুনুর রশিদ বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই বাঁধটি সংস্কার না করার ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কোমলমতি শিশু, বৃদ্ধসহ সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে। তিনি আরোও বলেন, বাঁধটি সংস্কার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বারবার ধর্ণা দিয়েও কোন লাভ হয়নি।

এ প্রসঙ্গে নওগাঁ পানি উনয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফাইজুর রহমান বলেন, আমার জানামতে আত্রাইয়ের ফুলবাড়ি নামক স্থানে আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন বাঁধ নেই। তবে আগে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় বাঁধটি নির্মাণ করেছিলো। বাঁধটি কোন দপ্তরের আওতাই এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি ইউনিয়ন পরিষদর আওতায়।#

আবুতোরাবে অপরূপা কসমেটিক্সে ক্রেতাদের ভিড়

আবুতোরাবে অপরূপা কসমেটিক্সে ক্রেতাদের ভিড়

মিরসরাই প্রতিনিধি: আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মিরসরাইয়ে পোশাকের পাশাপাশি প্রসাধনসামগ্রীর দোকানেও ভিড় জমাচ্ছেন তরুণীরা। কেউ কিনছেন পছন্দের চুড়ি, কানের দুল ও মেকআপ বক্স। কেউ কিনছেন পোশাকের সঙ্গে লিপস্টিক ও নেইলপলিশ। অনেকে ইতোমধ্যে পোশাক কিনে ফেলেছেন। তাই এখন ভিড় করছেন প্রসাধনসামগ্রীর দোকানে। তেমনি আবুতোরাব বাজারে প্রতিবারের মতো এবারও ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে বাজারের অপরূপা কসমেটিক্স দোকানে।

ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রসাধনী দোকানের বিক্রেতারা। ঐতিহ্যবাহী এই বাজারের অপরূপা কসমেটিক্স এর স্বত্বাধিকারী আজহার উদ্দিন অনিক বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও কেনাকাটা করতে আমাদের দোকানে ক্রেতার সমাগম রয়েছে। তরুণীদের পছন্দের প্রসাধনীর মধ্যে রয়েছে পছন্দের পোশাকের সাথে থাই কানের দুল, ইন্ডিয়ান গলার মালা, বাহারি ডিজাইনের চুড়ি, থাই কাকড়া, চসয়না রাবার ভ্যান, থাই হাতের ব্রেসলেট, হরেক রকম হিজাব পিন, বডি স্প্রে, কালার কসমেটিক, ফাউন্ডেশন, ফেসওয়াশ, নেইল পলিশ, আইলাইনার, লিপলাইনার, মাসকারা, কাজল, আইশ্যাডো ও পারফিউম। এ ছাড়া মেহেদি থাকে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। তাই ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি দোকানেই ভালো বিক্রি হচ্ছে মেহেদি।

পবা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে চলছে রমরমা বাণিজ্য

 পবা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে চলছে রমরমা বাণিজ্য


নিহাল খান : দীর্ঘদিন থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজশাহী পবা সাব রেজিস্ট্রার অফিস।সরকারি এই অফিসটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্রসহ কাগজপত্র বেহাত হওয়া আশংকায় রয়েছে।ইতিমধ্যে অফিসের অনেক গোপন নথি ও তথ্য পবা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের জালিয়াতি সিন্ডিকেটের কাছে হস্তান্তর করেছেন একটি নিয়োগহীন চক্র।২০১৩ সালের নৈশ প্রহরী কবিরুলের ন্যায় আবারও উত্থান হয়েছে রনি নামে ওই নিয়োগহীন অফিস প্রধান।নিয়োগহীন রনি'র মতো অফিস প্রধানরা দীর্ঘ সময় থেকে আগলে রেখেছেন অফিসটি। অস্থায়ী অফিস প্রধানরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির ঘটনা জন্ম দিলেও কোনোভাবে যেনো তা থামছে না।একের পর এক অনিয়ম দূর্নীতির ঘটনা ঘটলেও দুর্ভাগা সাব রেজিস্ট্রার অফিস বা সেবা গ্রহীতাদের ভাগ্য কখনো খোলেনি।ভাগ্য না খুললেও বেড়েছে জনভোগান্তি।সেবাগ্রহীতার ভাগ্য না খুললেও অফিসে কর্মরতদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।গড়েছেন টাকার পাহাড়।আবার অনেকেই পবা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দুর্নীতি করে বরখাস্ত হয়েছেন।কেউ কেউ গিয়েছেন জেলখানায়, আবার কারো কারো নামে দুদকে তদন্ত চলমান।

এতো কিছুর পরেও থামছে না এই পবা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে অনিয়ম দূর্নীতি।উর্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই চলে এমন অনিয়ম দূর্নীতি।এবার তো সর্বকালের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়ে থ্রি মাস্কেটিয়ার্স নামে খ্যাত তিন রত্ন গড়েছে দূর্নীতির স্বর্গরাজ্য।ওই তিন রত্নের প্রধান রনি।বাকী দুজন হলেন মামুন ও নকল নবীশ নাদিম।নকল নবীশ নাদিম অফিসের স্টাফ হলেও মামুন আর রনি ওই অফিসের কাগজ কলমে কেউ না।তবে কাগজ কলমে কেউ না হলেও অফিসের চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করেন।করেন সম্পুর্ন অফিস নিয়ন্ত্রণ।সাব-রেজিষ্টার অফিসের রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলের হিসেব-নিকাশ, সরকারি পে-আর্ডার ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিসমূহের কাজ করেন তারা।এমনকি সম্পূর্ণ অফিসের নিরাপত্তাসহ অফিসের চাবিও থাকে তাদের নিকট।

রনি' নিজেকে অফিস স্টাফ বা পেশকার পরিচয় দিয়ে থাকেন।বসেন পেশকারের পাশেই, সাব রেজিস্ট্রারের সামনেই।রনি ও মামুনের অফিশিয়াল কোনো নিয়োগ না থাকলেও তারাই মূলত সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সব।তাদের কথায় চলে সাব রেজিস্ট্রার অফিস।ভুক্তভোগীরা সেবা নিতে এসে এদের হয়রানিসহ অর্থ লোপাটের খপ্পরে পড়েন।রেজিষ্ট্রি করতে প্রতিটি দলিলে আগে ১ হাজার ঘুষ লাগতো।এবার গোদাগাড়ীর খণ্ডকালীন দ্বায়িত্বে আসা সাব রেজিস্ট্রারের জন্য অতিরিক্ত আরো ২০০ টাকা নিচ্ছেন রনি সিন্ডিকেট।এটা রনি সিন্ডিকেটের অলিখিত আইন।আইনের মূলহোতা রনি প্রকাশেই এই ঘুষ বানিজ্যে করেন।অন্যথায় রেজিষ্ট্রি হবে না।২০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে মর্মে জেলা সাব রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দ্বায়িত্বে) সফিকুল ইসলামের নাম ভাঙ্গায় রনি।রনি'র কাছে অফিসের চাবি থাকায় অফিসের অনেক গোপন তথ্য সে বাসায় নিয়ে যায়।সেটা তিনি বিভিন্নজনকে সরবরাহ করে অবৈধ ফায়দা হাসিল করেন।চাবি থাকায় দলিল পত্রের যা ইচ্ছে তাই করার ক্ষমতা আছে তার।ইতোমধ্যে অফিসে অনেক গোপন তথ্য সে পবার অনেককে বন্টন দলিল মানে মোটা অংকের ব্যবসা ।২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন তারা।অন্যথায় রেজিষ্ট্রি হয় না।

অবৈধ ফায়দা হাসিল করে দেয় বলেই এদের কথায় উঠবস করেন সাব রেজিস্ট্রাররা।রনি'র কোনো নিয়োগ না থাকলেও অফিসের গোপন তথ্য দিয়ে ফায়দা হাসিল করছেন।যেসব কারণে এর আগে রিটু ও সেলিম পেশকার বরখাস্ত হয়েছিলেন ওই কাজে রনিও জড়িত ছিলো।রিটু ও সেলিম পেশকার বরখাস্ত হলেও এখন বহালতবিয়তে রনি গং।এই রনি'র উত্থানটা যেনো আলাউদ্দিনের চেরাগের মতো। বাবাহীন রনি মায়ের কাছেই মানুষ।অফিসে মায়ের রান্না করে দেওয়ার বদৌলতে অফিসে উঠাবসা রনির।সেখান থেকে যাত্রা শুরু করে ম্যানেজ মাস্টার অতি চালাক এই রনি গড়ে তুলেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট।মামুন ও নকল নবীশ নাদিম ও নাসরিনকে হাতে নিয়ে গড়ে তুলেছেন দূর্নীতির স্বর্গরাজ্য।হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।শূন্য হাতে জীবন যাত্রা শুরু করা রনি এখন বহু টাকার মালিক।৫ লক্ষ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল, ৮০ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ব্যবহার করেন তিনি।সাব রেজিস্ট্রার আয়েশা'র বিশ্বাস্ত হাতিয়ার সে।ম্যানেজ মাস্টার রনি এখন খণ্ডকালীন দ্বায়িত্বে আসা সাদেকুর রহমানের ঘুষ বানিজ্যের সফর সঙ্গি।অফিসে অবৈধ লেনদেনের ঘুষের টাকা রনি সবাইকে ভাগ করে দেন।

কথা বললে পবা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে আসা কয়েকজন প্রতিবেদককে বলেন, রনি, মামুন, নাদিম, নাসরিন এই অফিসের স্বর্বসর্বা।বন্টন নামা, নকল উত্তোলন, দলিল রেজিষ্ট্রি করতে মোটা অংকের উৎকোচ চান তারা।নাম প্রকাশ না করা শর্তে অফিসের কয়েকজন বলেন, নিয়োগহীন একজন অল্প বয়সের ছেলেকে অফিস কি কারণে চাবি দিয়ে রাখেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।বড় কোনো ক্ষতি হলে এর দায়ভার কে নিবে? শোনা যাচ্ছে ইতোমধ্যে দলিল লুকিয়ে রেখে হয়রানিসহ বালাম বইয়ের রেকর্ড পাচার করছেন তিনি।স্থানীয়রা জানান, রনির বাবা বেঁচে নেই।অল্পদিনে সে অনেক টাকার মালিক।বোনের বিয়েতে খরচ করেছেন অনেক টাকা।জামাইকে দিয়েছেন ৫ লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি।সরেজমিনে প্রতিবেদক সেবাগ্রহীতা সেজে গিয়ে কথা বলেন, রনি ও মামুনের সঙ্গে।সত্যতা মিলে উল্লেখিত ঘটনার।প্রতিবেদকের নিকটই ঘুষ দাবিসহ অবৈধ প্রস্তাব দেন তারা।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে নৈশ প্রহরী পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান কবিরুল।সেও রনি ন্যায় অফিস নিয়ন্ত্রণ করছিলেন।পরে নিজের অফিসের স্টাফ পরিচয়ে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থের বিনিময়ে অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিসমূহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবারহ করে চাকুরী থেকে বরখাস্ত হন।এদিকে ২০২২ সালে সাব রেজিস্ট্রার রওশন আরা অফিস সহায়ক আমিনুলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতি অভিযোগে দুদকে অভিযোগ হয়।তারাও পবা সাব রেজিস্ট্রারে কর্মরত থেকে জড়িয়েছেন অনিয়ম দূর্নীতিতে।নানা অশান্তিমূলক কর্মকান্ডের জন্ম দেয়া পবা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবীশ আফরোজা খাতুন অবশেষে জেল হাজতে ঢুকতে হয়েছে।আফরোজা খাতুনের দৌরাত্ম, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে পবা সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে অপসারণ ও বদলীর আবেদন করেন তার নিজ বোন ইকতার জাহান ইতি।সরকারী নথি জাল করে জমি নিবন্ধনের মতো জঘন্য অপরাধও ঘটেছে এই অফিসেই।

এ বিষয়ে অলিখিত নিয়োগহীন পবা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান রনি বলেন, আমি মাস্টাররোলে অফিস সহায়ক হিসেবে আছে।আমার কোনো লিখিত নিয়োগ নাই।সার রেজিস্ট্রার স্যাররা ভালোবেসে মৌখিকভাবে রেখেছেন।তবে তিনি অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেন।এ ব্যাপারে পবা সাব রেজিস্ট্রার সাদেকুর রহমান বলেন, আমি খণ্ডকালীন দ্বায়িত্বে আছি সেখানে।রনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কর্মরত।কোন নিয়োগ আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এগুলো মৌখিক নিয়োগ হয়।একজন মৌখিক নিয়োগের ব্যক্তি কিভাবে অফিসে চেয়ার টেবিল পায়? তার নিকট অফিসের চাবি কেনো রাখা হয় জানতে চাইলে তিনি এসব জানেন না বলে জানান।তিনি এসব বিষয়ে কথা বলতে অফিসে ডাকেন।মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে জানতে জেলা রেজিস্ট্রার সফিকুল ইসলামকে (অতিরিক্ত দ্বায়িত্বে) একাধিকবার ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।তাই তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মান্দার তেঁতুলিয়ায় টিসিবি'র পণ্য বিতরণ

মান্দার তেঁতুলিয়ায় টিসিবি'র পণ্য বিতরণ

 রাজশাহী ব্যুরোঃ নওগাঁর মান্দায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিতরণ করা হয়েছে। আজ শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত  টিসিবি কার্ডধারীদের মাঝে এসব পণ্য বিতরণ করা হয়।টিসিবি পণ্য বিতরণের উদ্বোধন করেন তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম মোখলেছুর রহমান কামরুল এ ইউনিয়নের মোট ৯ টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৭৯৭ জন পরিবারের  মাঝে কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ৫২৫ টাকার এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে- ২ লিটার সরিষার তেল, ৫ কেজি চাল, ২ কেজি মশুরের ডাল এবং ১ কেজি ছোলা। বাজারে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এই সময়ে অনেক কম টাকায় টিসিবির পণ্য পাওয়ায় অনেকটা খুশি সাধারণ মানুষ ‌।তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান এস এম মোখলেছুর রহমান কামরুল বলেন, টিসিবির পণ্য পেয়ে সাধারণ মানুষ অনেক উপকৃত হচ্ছে। টিসিবির পণ্য সরবরাহ বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন তিনি।

ঝিকরগাছায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিআরবি’র আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

ঝিকরগাছায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিআরবি’র আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল


আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিশু অধিকার বাংলাদেশ (সিআরবি) এর আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ছুটিপুর কারীমিয়া কওমিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত আয়োজনে শিশু অধিকার বাংলাদেশ (সিআরবি) এর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন সংগঠনের সভাপতি হাসানুজ্জামান সুজন। এ সময় শিশু পাচার প্রতিরোধে করণীয় এবং তার কুফল সম্পর্কে আলোচনায় সংগঠনের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের পাশেই সীমান্ত অঞ্চল। আর সীমান্ত অঞ্চলেই শিশু পাচার বেশি হয়। সময়ের সাথে সাথে শিশু পাচারকারীরা আরো বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠছে । আধুনিকতার পাশাপাশি তারা নতুন নতুন পদ্ধতির আবিষ্কার করছে । এই শিশু পাচার প্রতিরোধে আমাদের সচেতন হতে হবে। কোমলমতি শিশুদেরকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অপরিচিত মানুষদের থেকে সাবধান হতে হবে। আমরা যারা অভিভাবক আছি। আমরা আমাদের সন্তানদেরকে অবশ্যই শিশু পাচার বিষয়ে সচেতন করবো। শিশুরা কোনভাবে একাকী দুরবর্তী স্থানে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবো।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খালেদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন,  শিশু অধিকার বাংলাদেশ (সিআরবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি শিশুদের মৌলিক চাহিদা পূরণ, বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে থাকে। এই সংগঠনটি এতিম, অসহায় শিশু পরিবারে মাসিক খাদ্য বিতরণ, চিকিৎসা সহায়তা সহ নানাবিধ সহায়তা দিয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ছুটিপুর কারীমিয়া কওমিয়া মাদ্রাসায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। "    

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন চাঁদ, যুগ্ম সম্পাদক শাহাবুদ্দিন মোড়ল, সহ প্রচার সম্পাদক মিঠুন সরকার, শিশু অধিকার বাংলাদেশ(সিআরবি) এর অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান এবং অত্র মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি আলী আজগারসহ মাদ্রাসার শিক্ষক ছাত্র সহ আরো অনেকে।

মিরসরাই সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

 মিরসরাই সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত


মিরসরাই প্রতিনিধিঃ প্রবাসে বসবাসরত মিরসরাইবাসীর প্রাণের সংগঠন সংযুক্ত আরব আমিরাত মিরসরাই সমিতির উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উলপক্ষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ২৮ মার্চ) শারজাহ্ হুদায়বিয়াহ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে সংগঠনের সভাপতি এম.এ.তাহের ভূঁইয়া সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আজমের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মিরসরাই সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিউদ্দিন নশু, মসলিম উদ্দিন, আবু জাফর, আজিমুল বাহার, তনিম চৌধুরী, নুরুল আমিন, মোহাম্মদ শরীফ, মনিরুজ্জামান, মাইদুল ইসলাম শিমুল, সোহেল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম শামীম, সোহরাব মাজেদ ভূঁইয়া, রহিম উদ্দিন লিটন প্রমুখ। পরিশেষে দেশ ও জাতির কল্যান কামনায় দোয়া ও মোনাজত করা হয়েছে।

দিনাজপুরের বিরাম পুর উপজেলায় জন্ম নিলো এক পা বিশিষ্ট নবজাতক

দিনাজপুরের বিরাম পুর উপজেলায়  জন্ম নিলো এক পা বিশিষ্ট নবজাতক

রাজশাহী ব্যুরোঃ দিনাজপুর জেলার বিরাম পুর উপজেলায়   গত২৭ মার্চ বুধবার বিকেলে উপজেলার মর্ডান ক্লিনিকে তাসলিমা আক্তার নামে এক প্রসূতি ঐ শিশুর জন্ম দেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। শিশুটিকে একনজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসতে শুরু করে উৎসুক জনতা।দিনাজপুরের  বিরামপুরে এক পা বিশিষ্ট নবজাতক প্রসবের ঘটনায়
জানা গেছে, ২০১৪ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখরিয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে মাহাফুজুল ইসলামের সঙ্গে একই এলাকার তোকছেদ আলীর মেয়ে তাসলিমার বিয়ে হয়। এরপর তাদের সংসার আলো করে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের আগমন ঘটে। সম্প্রতি আবারো গর্ভবতী হন তসলিমা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গর্ভে জমজ সন্তানের বিষয়টি নিশ্চিত হলে পারিবারিকভাবে সিজারের মাধ্যমে
সন্তান প্রসবের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রসব বেদনা উঠলে তাসলিমাকে ঐ ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার সিজার সম্পন্ন হয়। তবে প্রথমটি মেয়ে সন্তান হলেও দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের সময় ঘটে ব্যতিক্রমী ঘটনা। জন্ম হয় এক পা বিশিষ্ট সন্তানের। প্রাথমিকভাবে ঐ শিশু সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারেনি চিকিৎসক। এ ঘটনার পর প্রসূতি মাসহ সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া দুই শিশুই সুস্থ রয়েছে।ঐ শিশুর বাবা মাহাফুজুল ইসলাম বলেন, আমি একজন ভ্যানচালক। যমজ সন্তানের বিষয়টি জানার পর থেকেই আমার স্ত্রী ভীত ছিলেন। তাই সিজারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নাগরপুরে রমযানুল মোবারক উপলক্ষে বাংলা অর্থসহ কুরআন বিতরণ অনুষ্ঠিত

 নাগরপুরে রমযানুল মোবারক উপলক্ষে বাংলা অর্থসহ কুরআন বিতরণ অনুষ্ঠিত


নাগরপুর(টাঙ্গাইল)সংবাদদাতা: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ঐতিহ্যবাহী মানবিক প্রতিষ্ঠান মুকতাদির হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা.এম.এ.মান্নান ও  হাফেজ মাওলানা মোঃ মহিউদ্দিন এ-র যৌথ উদ্যোগে মাহে রমজানুল মোবারক উপলক্ষে নাগরপুরে  বাংলা অর্থসহ পবিত্র কুরআন বিতরণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার( ২৮ মার্চ) নাগরপুর বাজারে আইয়ূব আলী সুপার মার্কেটের সামনে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম.এ.সালাম এর সভাপতিত্বে বাংলা অর্থসহ পবিত্র কুরআন বিতরণ করা হয় 

পবিত্র কুরআন বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ আজিম উদ্দীন,শিক্ষক ইমরান মিয়া,ব্যাংকার মো.শাহিন মিয়া,বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.সিদ্দিক মিয়া,ডা.কাউছার খান প্রমূখ।এই পবিত্র কুরআন বিতরণ শেষে ডা: এম এ মান্নান জানান, সারা মাস জুড়ে যারা কুরআন পড়তে জানেন এবং কিছুটা ভুল ভ্রান্তি থেকেও বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ না জানার কারণে ভুল করে থাকেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমার এই প্রয়াস। বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ কুরআন শরীফ নাগরপুর বাসীকে উপহার দিতে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি, আমার এ উদ্যোগ চলমান থাকবে, ইনশাআল্লাহ।

আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির  মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ ফিরোজ আহমেদ,রাজশাহী ব্যুরোঃ আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির  মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নওগাঁর আত্রাই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে  আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ২০২৪ সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আইনশৃঙ্খলা,কমিটির সভায় সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও সঞ্চিতা বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন, নওগাঁ-০৬(আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড.মোঃ ওমর ফারুক সুমন। 
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আত্রাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ এবাদুর রহমান,চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ আত্রাই। ভাইস-চেয়ারম্যান শেখ মোঃ হাফিজুল ইসলাম, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম,নওগাঁ জেলা পরিষদের সদস্য চৌধুরী মোঃ গোলাম মোস্তফা বাদল।

আত্রাই থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ জহুরুল ইসলাম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মীর,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রোকসানা হ্যাপী,যুব উন্নয়ন অফিসার এসএম নাসির উদ্দিন,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মামুনুর রশীদ, সম্রাট হোসেন, নাজিম উদ্দীন প্রমুখ।