শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুশফিক ও বৃষ্টি নিয়ে শঙ্কা

শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুশফিক ও বৃষ্টি নিয়ে শঙ্কা

তানজিম, স্পোর্টস রিপোর্টারঃ আগামীকাল বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২ টায় সিরিজে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে আজ 
বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে দশটায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অকল্যান্ডে পৌঁছেছে বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন ক্রিকেটারদের  অকল্যান্ড পৌঁছানোর খবর নিশ্চিত করেন।
 দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি নিয়ে আফসোস জালাল ইউনুস ও বাসারে মুখে। 
তাদের মতে, একটা ভালো সুযোগ ছিল। জালাল ইউনুস বলেন, 'মাঝে তিনটি ওভার একটু স্লো হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে। না হয়, সম্ভাবনা ছিল বেশ।'ক্রিকেটারদের চেষ্টা আর উদ্যমের প্রশংসা করে জালাল বলেন, 'ছেলেরা প্রাণপন চেষ্টা করেছে। মাঠে তাদের শরীরি ভাষাও ছিল ভালো। এখন দেখা যাক, শেষ ম্যাচে কি হয়!'

তবে মুশফিকুর রহিমের ইনজুরির ব্যপারের  কোনো আশার বাণী শুনাতে পারেনি দু'জনের কেউই। শেষ টি-টুয়েন্টি ম্যাচেও মুশফিক খেলবেন কিনা, নিশ্চিত করে বলতে পারেননি জালাল ইউনুস ও হাবিবুল বাশার সুমনের কেউই।

নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, 'আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখি মুশফিক খেলতে পারে কি না। তাকে খেলার দিনও পরীক্ষা করা হয়। গতকালের ম্যাচের আগেও তাকে ফিজিও-ট্রেনারের সাথে মাঠে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ব্যথা অনুভব করায় শেষ পর্যন্ত খেলতে পারেননি মুশফিক। বৃহস্পতিবারও তাকে একইভাবে খেলার আগে শেষবার পরীক্ষা করে দেখা হবে। ব্যথা অনুভব না করলে খেলবে মুশফিক। নাহলে না।'

শুধু মুশফিকের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তাই নয়, কালকের ম্যাচে ফের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বৃষ্টি। জালাল ইউনুস জানান, অকল্যান্ডে আজ ৩১ মার্চের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বিকাল ও রাতে ভারি বৃষ্টির কথা বলা আছে। তাই আরও একবার ডাকওয়ার্থ লুইসের দরকার পড়তে পারে।

যশোর পৌরসভার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ

যশোর পৌরসভার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ


সুমন হোসেন,  যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
যশোর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত হায়দার গনি খান পলাশ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার নয়শ' ৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মোহাম্মদ আলী সরদার পেয়েছেন ১২ হাজার নয়শ' ৪৭ ভোট। ভোট বর্জন করা বিএনপির ধানের শিষ প্রতীকের মাফুরুল ইসলাম পেয়েছেন সাত হাজার তিনশ' দু'ভোট।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে সাম্প্রতিককালের নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে সন্ধ্যায় পৌর কমিউনিটি সেন্টার থেকে বেসরকারিভাবে সহকারী রিটার্নিং অফিসার আব্দুর রশিদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
যশোর পৌরসভায় বিজয়ী কাউন্সিলররা হলেন এক নম্বর ওয়ার্ডে সাইদুর রহমান রিপন (৫১১৮)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর আহমেদ শাকিল পেয়েছেন এক হাজার আটশ' ৪৬ ভোট। দু'নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর শেখ রাশেদ আব্বাস রাজ। তিন নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মকসিমুল বারী অপু এক হাজার ছয়শ' ৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাব্বির মালিক পেয়েছেন নয়শ' ৫৯ ভোট। চার নম্বর ওয়ার্ডে শেখ জাহিদ হোসেন মিলন তিন হাজার পাঁচশ' ৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান কাউন্সিলর মুস্তাফিজুর রহমান মুস্তা পেয়েছেন দু'হাজার চারশ' ৬৫ ভোট।
পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে রাজিবুল আলম দু'হাজার সাতশ' ৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাফিজুর রহমান এক হাজার সাতশ' ৩৬ ভোট পেয়েছেন। ছয় নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর হাজী আলমগীর কবির সুমন দু' হাজার চারশ' ৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজাহার হোসেন স্বপন পেয়েছেন এক হাজার পাঁচশ' ২৭ ভোট।
সাত নম্বর ওয়ার্ডে সাহেদ হোসেন নয়ন এক হাজার পাঁচশ' ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী জুলু পেয়েছেন এক হাজার পাঁচশ' ৪৬ ভোট। আট নম্বর ওয়ার্ডে প্রদীপ কুমার নাথ বাবলু বিজয়ী হয়েছেন। নয় নম্বর ওয়ার্ডে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবলু দু' হাজার চারশ' ছয় ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান কাউন্সিলর আজিজুল ইসলাম দু' হাজার দুশ' ৮৬ ভোট।
সংরক্ষিক নারী কাউন্সিলর পদে এক নম্বর (১, ২ ও ৩) ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আইরিন পারভীন ডেইজি চার হাজার ৪২ ভোট বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আয়েশা সিদ্দিকা পেয়েছেন দু' হাজার পাঁচশ' ৪১। দু' নম্বর (৪, ৫ ও ৬) ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর নাসিমা আক্তার ১৪ হাজার একশ' ১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসিমা সুলতানা পেয়েছেন তিন হাজার একশ' ৮৫ ভোট। তিন নম্বর ওয়ার্ডে (৭, ৮ ও ৯) শেখ রোকেয়া পারভীন ডলি দশ হাজার আটশ' ৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সালমা আক্তার বানী পেয়েছেন সাত হাজার নয়শ' সাত ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

ঝিনাইদহের সড়ক মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল,৩ মাসে নিহত ৩৮

ঝিনাইদহের সড়ক মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল,৩ মাসে নিহত ৩৮

সম্রাট হোসেন, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের সড়ক মহাসড়ক যেন এক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত তিন মাসে ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৮ জন। এ সময় আহত হন শাতাধীক মানুষ। রাস্তায় এই মৃত্যুর মিছিল কোন ভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। বরং দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে যাচ্ছে যেন রাস্তায় চলাচল মানেই এখন অনিশ্চিত যাত্রা। রাস্তাঘাটে বৈধ অবৈধ যানবাহনের আধিক্যে চলাচল করা ঝুকিপুর্ন হয়ে উঠেছে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ওভারটেকিং ও ইজিবাই ঘুরানোর ফলে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা লেগেই আছে। বিশেষ করে মহাসড়কে অবৈধ নছিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি, লাটাহাম্বার, মাটি টানা ট্রক্টর ও ইজিবাইকের দাপটে বাস, ট্রাক, বাইসাইকেল ও মটরসাইকেল চলাচল খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এমনও নজীর রয়েছে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকাও এখন অনিরাপদ। যদিও অসর্তকতার পাশাপাশি সড়কে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রন করতে না পারা, অদক্ষতা সর্বপরি বেপরোয়া গতির কারণে সড়কে অহরহ দৃর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। হাসপাতাল ও পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ঝিনাইদহে মারা গেছেন ৩৮ জন। এরমধ্যে কালীগঞ্জের বারোবাজারে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় এমএ ক্লাসের ৬ ছাত্রসহ মারা গেছেন ১৯ জন। এছাড়া মহেশপুরে ১ জন, শৈলকুপায় ৯ জন, হরিণাকুন্ডুতে ৩ জন, কোটাচাঁদপুরে ১ জন ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি বছরের প্রথম দুর্ঘটনায় অবৈধ আলমসাধু গাড়ির চাপায় মৃত্যু ঘটে মহেশপুরের পুরন্দরপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের। একই বছরের ১৩ জানুয়ারি শৈলকুপার মদনডাঙ্গায় অবৈধ আলমসাধুর সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘষে ৬ জন নির্মান শ্রমিক নিহত হন। ১৮ জানুয়ারী হরিণাকুন্ডুর তেলটুপি গ্রামে অবৈধ মাটি টানার গাড়িতে চাপা পড়ে মারা যান রবিউল ইসলাম। একই দিন রাতে ঝিনাইদহ শহরের আনসার অফিসের সামনে ট্রাক চাপায় নিহত হন ফাতেমা খাতুন নামে এক হোটেল শ্রমিক। ১৯ জানুয়ারি হরিণাকুন্ডুর বল্টুর মোড়ে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন নয়ন লস্কার। ২২ জানুয়ারি হামদহ এলাকার ঘোষপাড়ায় ট্রাক চাপায় নিহত হন রিপ্তি বেগম। ২৯ জানুয়ারি সদর উপজেলার মধুপুরে ট্রাক চাপায় নিহত হন ইমন আহম্মেদ রবিণ। ২ ফেব্রয়ারি শৈলকুপার বড়দা গ্রামে বাস চাপায় নিহত হন আরিফ শেখ। ৫ ফেব্রয়ারি কালীগঞ্জ কৃষি অফিসের সামনে দুই মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘষে থানা পাড়ার বাসিন্দা আরফান আহম্মেদ রাকিব নামে এক কলেক ছাত্র নিহত হন। ১০ ফেব্রয়ারি কালীগঞ্জের বারোবাজারে বেপরোয়া দ্রæতগামি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে গেলে মাস্টার্সের ৬ শিক্ষার্থীসহ ১২ জন নিহত হন। ১৭ ফেব্রয়ারি হরিণাকুন্ডুর কাপাশহাটিয়া বটতলায় মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রাহুল হোসেন রাতুল নিহত হন। ২৫ ফেব্রয়ারি কালীগঞ্জের পাতবিলা নামক স্থানে দুই মটরসাইকেল ও বাসের সংঘর্ষে সৌভিক বিশ্বাস, সোহেল হোসেন ও আকরাম হোসেন নিহত হন। একই দিন সদর উপজেলার সুতি গ্রামে শিশু চন্দন দাস ইজিবাইক চাপায় নিহত হয়। ২৮ ফেব্রয়ারি সদরের গোয়ালপাড়া বাজারে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে টুলু শেখ মটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত হন। পহেলা মার্চ কালীগঞ্জের নরেন্দ্রপুর গ্রামে লাটাহাম্বার চালানো শিখতে গিয়ে জুলহাস নিহত হন। ১৩ মার্চ কালীগঞ্জের মেক্সি সুপার মার্কেটের সামনে ট্রাকের ধাক্কায় হাসিবুর রহমান নামে এক মটরসাইকেল চাল নিহত হন। ২৭ মার্চ শৈলকুপার কাঁচেরকোল গ্রামে মটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ব্র্যাকের অডিট অফিসার জিল্লুর রহমান নিহত হন। একই দিন শৈলকুপার লাঙ্গলবাঁধ বাজারে ট্রাক চাপায় সাইফুল ইসলাম লাল মন্ডল, কালীগঞ্জের কেয়াবাগানে ফুটপাতে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় ট্রাকচাপায় শিশু আবু হুরাইরা ও কোটচাঁদপুরের চৌগাছা সড়কে মটরসাইকেলের ধাক্কায় হাফেজ ইকতিয়ার নিহত হন। ঝিনাইদহের এসব দুর্ঘটনা নিয়ে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের ঝিনাইদহ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান জানান, সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর তালিকায় কর্মক্ষম ব্যক্তি  ও তরুণদের সংখ্যাই বেশি। বাংলাদেশের সড়ক মহাসড়কে যে পরিমান জানমালের ক্ষতি হয় তা অন্য কোন উন্নত রাষ্ট্রে কল্পনা করা যায়না। তিনি বলেন, সড়ক ব্যবস্থাপনার ত্রæটি ও অসচেতনার কারণে ঝিনাইদহে প্রতিনিয়ত মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে। এটা রোধ করতে হলে সচেতনা ও নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সড়ক মহাসড়কে নিয়মিত অভিযোন জোরদার করে অবৈধ যান নিয়ন্ত্রন করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে কোন চাপ বা সুপারিশ অগ্রাহ্য করতে হবে। ঝিনাইদহ ট্রাফিক পরিদর্শক সালাহউদ্দীন জানান, সড়ক মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘনার অন্যতম কারণ হচ্ছে নছিমন, করিমন ও ইজিবাইকসহ অবৈধ যানবাহন। নছিমন করিমন তৈরী হয় কুষ্টিয়ায়। আমাদের এখন উৎপত্তিস্থল বন্ধ করতে হবে। এটা না করতে পারলে দুর্ঘটনা রোধ করা যাবে না। তিনি বলেন স্পিডগান বা গতি সনাক্তকারী যন্ত্রের মাধ্যমে আমরা গড়াই ও রুপসা পরিবহনের বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছি। তারা এখন ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার স্পিডে গাড়ি চালায়। তিনি বলেন মহাসড়কে অবৈধ যান বন্ধ করতে পারলে দুর্ঘটনা কমানো যাবে না। ঝিনাইদহ ট্রাফিক বিভাগ সাধ্যমতো চেষ্টা করছে সড়কে শৃংখলা ফেরাতে।

মোংলা বন্দরে ভিড়েছে মেট্রোরেলের রেলওয়ে কারবাহী জাহাজ এম ভি এস পি এম

মোংলা বন্দরে ভিড়েছে মেট্রোরেলের রেলওয়ে কারবাহী জাহাজ এম ভি এস পি এম

মোঃএরশাদ হোসেন রনি: মেট্রোরেলের যন্রাংশ নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে থাইল্যান্ড পতাকাবহী এমভি এস পি এম ব্যাংকক জাহাজ।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় বন্দর জেটির ৭ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে এ জাহাজটি।সন্ধ্যা ৬টা থেকে পন্য খালাস শরু হয় জাহাজটির। মোংলা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল এম মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।১৬ ঘন্টার মধ্যে জাহাজ থেকে সকল পন্য খালাস সম্পন্ন বলে জানান তিনি।   

তিনি বলেন মেট্রোরেলের ( রেলওয়ে কার) ৬ টি বগি নিয়ে আসা এটাই প্রথম চালান। এরপর ধীরে ধীরে আরও ১৩৮ টি বগি এ বন্দর দিয়ে খালাস হবে। এগুলো নদীপথে ঢাকায় যাবে বলেও জানান তিনি।

মেট্রোরেলের বগি নিয়ে আসা বিদেশি এ জসহাজের স্থানীয় এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিমশিপ কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো ওহিউদুজ্জামন বলেন, রেলওয়ে কারগুলো জাপানের কাওয়াসাতি হ্যাভি ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানি লিমিটেড তৈরি করেছে। ২০২২ সালের মধ্যে ঢাকার মেট্রোরেলের পুরো যন্রাংশ আসবে বলেও জানান তিনি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা আরো বলেন, আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লিসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে এসেছে। ফলে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যা বাড়ছে। মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে। এই বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি ও গতিশীল করতে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।##

বেতাগী ইউপি নির্বাচনে বড় ধরণের সংঘর্ষ এড়াতে থানা হেফাজতে ১৪ জন

বেতাগী ইউপি নির্বাচনে বড় ধরণের সংঘর্ষ এড়াতে থানা হেফাজতে ১৪ জন

শিপন নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: বড় ধরণের সংঘর্ষ এড়াতে থানা হেফাজতে ১৪ জন।আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একের পর এক হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে উত্তাপ্ত হয়ে উঠেছে বেতাগীর সাতটি ইউনিয়নের প্রার্থীদের সর্মথকদের মধ্যে। দশ দিনের ব্যবধানে গুরতর আহত হয়েছেন ২০ জন দোকানঘর, বসতবাড়িসহ ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৭ মার্চ) বিকাল ৩টায় নিবার্চনী সহিংসতায় উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর দ' গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় । এতে আরো আহত হন ১০জন। এ ঘটনায় সংঘর্ষ থামাতে ১২ জনকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে এ প্রতিনিধিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেতাগীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু।

 

সংশ্লিষ্ট এলাকা সূত্রে জানা যায়, সরিষামুড়ি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাসায় মিলাদ থাকার কারনে বরিশাল থেকে তার কিছু স্বজনরা আসেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বাধার কারনে তারা বিদ্রোহী প্রার্থীর বাসায় অবস্থান করতে পারেনি। এসব অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ শরিফ।

এলাকাসূত্রে আরো জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাসায় স্বজনরা না ঢুকতে পেরে এলাকার অন্য স্বজনদের বাসায় অবস্থান নেন। আর এ খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা করেন। তবে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইমাম হোসেন শিপন জোমাদ্দার বলেন, বিগত কয়েক মাস আগে ইউসুফ শরীফ প্রকাশ্যে আমার দুইটি পা কুপিয়ে জখম করেছে। এখন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরিশাল থেকে বহিরাগত ভাড়াটিয়া স্বন্ত্রাসী এনে হামলা করছে।

এ ব্যাপারে বেতাগী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, 'যাদেরকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে তারা সব বহিরাগত। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের থানা হেফাজতে আনা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অপরাধী প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।'

মধুপুরে আকাশী গ্রন্হাগার ও বিজ্ঞান ক্লাবের পক্ষ থেকে খেলার উপকরণ বিতরণ

মধুপুরে আকাশী গ্রন্হাগার ও বিজ্ঞান ক্লাবের পক্ষ থেকে খেলার উপকরণ বিতরণ
মধুপুরে আকাশী গ্রন্হাগার ও বিজ্ঞান ক্লাবের পক্ষ থেকে খেলার উপকরণ বিতরণ

আঃ হামিদ মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের  মধুপুরে আকাশী গ্রন্হাগার ও বিজ্ঞান ক্লাব এবং আঃ হামিদ মেম্বার স্মৃতি সমাজ কল্যান সংঘের পক্ষ হতে বিভিন্ন  খেলার বিভিন্ন  ধরনের উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।  মধুপুরের গোপদ তরুণ সূর্যদয় ক্লাব ও কালা মাঝি সচেতন একতা সংঘে ফুটবল, বলিবল, ব্যাডমিন্টন, ও দাবা খেলার উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এর আগে উপজেলার বিভিন্ন ক্লাবে এসব খেলার উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান, আকাশী গ্রন্হাগার ও বিজ্ঞান ক্লাব এবং আব্দুল হামিদ মেম্মার স্মৃতি সমাজ কল্যান সংঘের প্রতিষ্টাতা মোঃ মনিরুজ্জামান শহিদ। তিনি আরও জানান সে বিভিন্ন জায়গা হতে এসব খেলার উপকরণ সংগ্রহ করে উপজেলার বিভিন্ন ক্লাবে এসব খেলার উপকরণ গুলো বিতরণ করে আসছেন। ভবিষ্যতেও তার এ সব কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

নব গঠিত নাগরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠিতৌষ

নব গঠিত নাগরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠিতৌষ
নব গঠিত নাগরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠিত
ডা.এম.এ.মান্নান
টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি:নব গঠিত নাগরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে নাগরপুর বাজারের বিভিন্ন শ্রেনীর নাগরিকদের মাঝে মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসাবে সার্জিকাল মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার,৩১ মার্চ ২০২১ খ্রি.সকালে  নাগরপুর বাজারে  নব নির্বাচিত সভাপতি মো.আজিম হোসেন রতন ও সাধারন সম্পাদক মো.সজিব মিয়ার  নেত্বতে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাস্ক বিতরণ কার্যক্রমে উপস্হিত ছিলেন- নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক মো. উজ্জল মোল্লা,নাগরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান তুহিন সহ নব গঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় কলেজছাত্র রোকন হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় কলেজছাত্র রোকন হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় কলেজছাত্র রোকন হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

সম্রাট হোসেন, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় কলেজছাত্র মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকালে স্কুল ও কলেজে ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

উপজেলার শেখপাড়া বাসষ্টান্ডে মানববন্ধন ও পরে এলাকাটির প্রধান সড়কে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন চলা সময় বক্তব্য দেন রোকনের বাবা মোঃ রশিদ মোল্ল্যা, চাচা শহিদ মোল্ল্যা শিক্ষার্থী রানা আহম্মেদ অভি সহ অনেকে।নিহত রোকনুজ্জামান রোকন কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভগের ছাত্র ছিলো এবং এবারের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিল।

নিহত রোকন পরিবারের সঙ্গে উপজেলার শেখপাড়া এলাকায় স্থানীয়ভাবে বসবাস করতো । অনসার কমান্ডো রশিদ মোল্ল্যার সন্তান রোকনুজ্জামান লেখাপড়ার জন্য শহরে দীর্ঘসময় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।

গত রবিবার সকালে শেখপাড়া নির্মাণাধীন একটি গোয়ালঘর নিয়ে চাচাতো ভাইদের আতর্কিত হামলার পর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী । প্রথমে স্থানীয় চিকিৎকের কাছে নিয়ে গেলে কোনো উন্নত চিকিৎসা পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতালে পরিবারের লোকজন নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয় বলে শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা ।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার সকাল দশটার দিকে বাসার পাশে গোয়ালঘর নির্মাণ করছিলো রোকন ।বেশকয়েকদিন ধরে চাচা ও তার ছেলেদের সাথে কথাকাঁটাকাঁটি হচ্ছিলো রোকনদের । সেদিন সকালে লোকজন ভাবেন, তারা হয়তো নিজেদের ভেতরে কথা বলছে । কিন্ত এক পর্যায়ে রোকনকে হত্যা করে পালিয়ে যায় চাচাতো ভাই ও চাচারা । সাথে সাথে লোকজন তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপর বাড়িতে গিয়ে দেখে হত্যাকারীরা সব পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ সাথে সাথে আসামীদের ধরতে চেষ্টা  করেছে এবং কিন্তু তাতে তারা ব্যর্থ হন । পরে তারা হাসপাতালে গেলে রোকনকের অতিরিক্ত রক্তক্ষননের জন্য মৃত্যু হয় বলে জানতে পারে ।নিহত রোকনের বাবা জানান, রোকন সেদিন সবেবরাতের রোজা ছিলো । বাহিরে কারো সঙ্গে তাঁর বা তাঁর ছেলের কোনো বিরোধ নেই। তার চাচতো ভাইদের এমন অতর্কিত হামলায় নির্মমভাবে তাঁর ছেলে মৃত্যুবর করেছে।

শৈলকূপা থানার ওসি জাহাঙ্গির আলম বলেন, বাড়ির পাশে জমি ভাগ নিয়ে কিছুদিন আগে থেকেই রোকন উদ্দিন মোল্লা ও তার চাচাতো ভাই শিলু মোল্লার মধ্যে কথার বিরোধ চলে আসছিল । সেদিন সকালের দিকে গোয়াল ঘর নির্মাণ করছিল রোকনুজ্জামান রোকন । এ সময় সিরাজুল ইসলাম শিলু মোল্লা ঘর নির্মাণে বাধা দেয়। এতে উভয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সিরাজুল ইসলাম শিলু মোল্লা ছুরিকাঘাত করে রোকনুজ্জামানকে। এ সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তর জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

দিনাজপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আয়েজউদ্দীনকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান

দিনাজপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আয়েজউদ্দীনকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান
দিনাজপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আয়েজউদ্দীনকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান

মামুনুর রশিদ,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ   দিনাজপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আয়েজ উদ্দীনকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করেছে দিনাজপুর জেলা জজ আদালতের পিপি শিপ। ৩১ মার্চ বুধবার জেলা জজ আদালতের কনফারেন্স রুমে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঁঞা। জজ আদালতের পিপি এ্যাড. রবিউল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে ও স্পেশাল পিপি এ্যাড. শামসুর রহমান পারভেজের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, নারী ও শিশু আদালতের বিচারক শরিফউদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আনোয়ারুল হক, অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিশ্বনাথ মন্ডল, যুগ্ম জেলা জজ তাসকিনুল হকসহ বিভিন্ন আদালতের সহকারী জজ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটবৃন্দ। এছাড়াও সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পিপি এ্যাড. মোহাম্মদ তোহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. কাজেমউদ্দীন, এ্যাড. সলিমুল্লাহ সেলিম, জিপি নূরুল ইসলাম, এ্যাড. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী প্রমূখ। উল্লেখ্য, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আয়েজ উদ্দীন দীর্ঘদিন দিনাজপুরে কাজ করার পর পদোন্নতি পেয়ে সম্প্রতি বদলী হয়েছেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আয়েজ উদ্দীন একজন কর্তব্য পরায়ন ব্যাক্তি হিসেবে দিনাজপুরে কাজ করে গেলেন। তিনি দিনাজপুরের আইনাঙ্গণে একজন ভালো বিচারক হিসেবে আইনজীবীগণ চিরদিন স্মরণ রাখবে। আয়েজ উদ্দীন যেখানেই যাবেন, সেখানেই ভালো কাজ করে সুনাম কুড়াবেন এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। আমরা দিনাজপুর পিপি শিপের পক্ষ থেকে তথা পুরো বিচারাঙ্গনের পক্ষ থেকে আয়েজ উদ্দীনের সর্বাঙ্গীন সফলতা ও মঙ্গল কামনা করছি। সেই সাথে তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

নবীনগরে বিনা নোটিশে মিটার খুলে নেয়ায় বিদ্যুৎ বিহীন বাড়িতে ভাড়াটিয়া শূন্য

নবীনগরে বিনা নোটিশে মিটার খুলে নেয়ায় বিদ্যুৎ বিহীন বাড়িতে ভাড়াটিয়া শূন্য

এস.এম অলিউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ নবীনগর উপজেলার পৌর এলাকার কলেজ পাড়ায় নিজের বাড়িতে একাধিক মিটার থাকার অভিযোগে একটি ছাড়া বাকি মিটার গুলো বিনা নোটিশে খুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নবীনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির উপর।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক মিটার থাকার বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি শুরু হওয়ার পর নবীনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অফিসের লোকজন বিনা নোটিশে একটি মিটার রেখে বাকি ৭টি মিটার খুলে নিয়ে আসেন।

এরপর থেকেই বাড়ির মালিক লিয়াকত হোসেন এর সব ভাড়াটিয়ারা চলে যায় তার বাড়ি থেকে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,লিয়াকত আলীর কলেজ পাড়ায় দুটি কলোনিতে ২০টি পরিবার ভাড়া থাকতো।তাদের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে তিনি নিজ নামে কয়েকটি মিটার নেন।

পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম অনুযায়ী মিটার গুলো একি জায়গা স্থাপন করেন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যানরা।
কোন বিদ্যুৎ বিল বকেয়া না থাকলেও প্রতিবেশী একজনকে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের তার বাড়ির উপর দিয়ে নিতে গেলে তিনি  এই বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসে  লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন।তার পর থেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লোকজন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাকে কোন কিছু না জানিয়ে কোন নোটিশ ছাড়াই একটি মিটার রেখে সবগুলো মিটার খুলে নিয়ে যায়।এতে করে বিদ্যুৎ শূন্য হয়ে পড়ে বেশ কিছু পরিবার।
কয়েকদিনের মধ্যেই এসকল ভাড়াটিয়ারা লিয়াকত আলীর বাড়ি ছেড়ে চলে যায়,এতে করে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে লিয়াকত। গণমাধ্যম কে তিনি জানান,আমার কোন বিল বকেয়া নেই,আমি আমার বাড়িতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম অনুযায়ী মিটার স্থাপন করেছি।

একটি অপশক্তির ইন্ধনে বিদ্যুৎ অফিস আমার সাথে এমন আচরন করছে, তাদের কারণে আজ আমি ভাড়াটিয়া শূন্য হয়ে গেছি,আমার এতবড় ক্ষতির কারণ কি আমি জানতে চাই ?এই বিষয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নবীনগর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শেখ মনোয়ার হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ভিডিও বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।

এতো গুলো মিটারতো সমিতির নিয়ম অনুযায়ী স্থাপিত হয়েছে তাহলে কেন এগুলো খোলা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমরা জিএম সাহেব এর নির্দেশে এগুলো খুলেছি।পরে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি তার একটি খুঁটি দরকার তাই আমরা তাকে খুঁটির ব্যবস্থা করে দিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি দিয়েছি।আশাকরি সহসাই এই ঘটনার সমাধান হবে।

মেম্বর আজমলের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ !

মেম্বর আজমলের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ !

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃপুরো নাম আজমল শেখ। মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের আন্ধারিয়া গ্রামের মৃত আফতাব শেখের ছেলে তিনি। পরিবারের সবাই বিএনপি-জামায়াতের অনুসারী হলেও আজমল আওয়ামী লীগের কথিত সমর্থক। নিজেকে আওয়ামী লীগের কঠ্রোর পন্থি বলেও দাবি তার। তবে মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ ইস্রাফিল হাওলাদারের আর্শিবাদপুষ্ট অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি। সেই সুবাধে গত ইউপি নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হয়ে যান মেম্বর। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনায় এলাবাসীর কাছে যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টিতে পরিণত হন আমজলের মেম্বর হওয়া। 

কিন্তু মেম্বর হয়ে আজমল কি করেছেন? এলাকাবাসীর এমন প্রশ্নে সরেজমিনে বুধবার মিঠাখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। কর্মসূচীর টাকা আত্নসাৎসহ নারী কেলেঙ্কারী থেকে শুরু করে নানা ঘটনায় জর্জারিত সে। 

নাম না প্রকাশে একাধিক ব্যক্তি জানান, আজমল মেম্বর একজন দুশঃচরিত্রের। খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বটিয়াঘাটা গ্রামের প্রভাষ গোলদারের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গোলদারের সঙ্গে রয়েছে তার অবৈধ সম্পর্ক। সম্প্রতি সে প্রিয়াঙ্কাকে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে মোংলা শহরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দু'মাস অবৈধভাবে মেলামেশা করতে থাকেন। সেখানে হাতেনাতে ধরা পড়ার পর মিঠাখালী ইউনিয়নের দত্তেরমেঠ গ্রামে প্রিয়াঙ্কার মামা শুনু গোলদারের বাড়িতে ওঠেন তারা দুজন। সেখানেও বিপত্তি ঘটে। সমাজপতিরা তাদের এই অবৈধ সম্পর্ক মেনে না নিয়ে আমজলের বিরুদ্ধে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বরাবর গণ স্বাক্ষরিত অভিযোগ করেন। পরে সিটি মেয়র আজমলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মোংলা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। 

পরবর্তিতে পুলিশ আজমলকে আটক করতে গেলে সে পালিয়ে থাকে। একপর্যায়ে আজমলের কথিত নারী বান্ধবী ওই প্রিয়াঙ্কা এলাকাবাসীর চাপে পড়ে ভারতে চলে যান। 

এরপর আজমলের চোখ পড়ে দত্তেরমেঠ গ্রামের রাজকুমার মন্ডলের মেয়ে মিঠু মন্ডলের ওপর। সেখানে নতুন বান্ধবীর সাথে তার চলছে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। এলাকাবাসী তার এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। 

আজমল মেম্বর হওয়ার পর টাটিবুনিয়া এলাকায় ১৭ বিঘার একটি চিংড়ি ঘের দখলে নেয়। স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন ইজারাদার এ অভিযোগ করে বলেন, ওই ১৭ বিঘা জমির মধ্যে তারও ১১ বিঘা জমি রয়েছে। সেটি রেষ্ট্রি দেওয়ার কথা বলেও এখনও দেয়নি। 

এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করে বলেন, বিচারের নামে আজমল মানুষকে বেধড়ক মারপিটসহ টাকা নেন। একবার বসিরখন্ড এলাকার বাবু মাঝিকে বিচারের নামে মারধর করার পর বাবু মাঝি দীর্ঘদির হাসপাতালে ছিলেন বলেও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে এলাকায় বয়স্ক ভাতার কার্ড ও পানির ট্যাঙ্কি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ারও। আর কর্মসূচির টাকা আত্নসাতের ঘটনা পুরোনো বলে জানান এলাকাবাসি। ১০ জনের নামে কর্মসূচীর ওই টাকা উঠিয়ে আত্নসাৎ করেন তিনি। এরমধ্যে বাবুল সরদার ও ইদ্রিস হাজারি ছাড়া বাকি আটজন আজমলের আত্নীয় বলে জানা গেছে। 

এদিকে যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই আজমল মেম্বরের ভাষ্য ভিন্ন। তিনি দাবি করেন, প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ তার ইমেজ নষ্ট করার এজন্য এগুলো বলে বেড়াচ্ছেন। আর নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা ২০০৮ সালের দাবি করে আজমল বলেন, এই ঘটনা সাজানো। তাকে ফাঁসাতে তখন ওই মেয়েকে দিয়ে এলাকার প্রভাশালীরা এই চক্রান্ত করেন।  

আজমল শেখ এবার ইউপি নির্বাচনে আবারও মেম্বর (সদস্য) পদে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রায় প্রতিদিনই মটর সাইকেল শোডাউন দিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি এ ঘটনায় দাবি করে বলেন, "আমি আমার চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হাওলাদরের সাথে এভাবে সৌজন্য স্বাক্ষাতে যাই, শোডাউন না। 

এদিকে মোংলা উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোন প্রার্থী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

মুফতি ওয়াক্কাস, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দেওবন্দী এমপি ও মন্ত্রী

মুফতি ওয়াক্কাস, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দেওবন্দী এমপি ও মন্ত্রী

একটি খবর উদ্ধৃত করে লেখা শুরু করছি। কয়েকদিনের মধ্যে পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন হতে যাচ্ছে। উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছেন ১৪১ জন। প্রতি আসনে গড়ে আগ্রহী প্রার্থী ২৮ জন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হন। বাকি ১৪৭ আসনের প্রতিটিতে গড়ে ১৭ জন দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে প্রতি আসনের বিপরীতে ১৪ জন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। চলতি বছরের শুরুতে হওয়া ৫টি আসনের উপনির্বাচনে প্রতি আসনে গড়ে প্রার্থী ছিল ১৫ জন।

অধিক প্রার্থী প্রসঙ্গে বিশ্লেষকরা বলছেন, সাংসদ হওয়া এখন লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। সরকারি দল হলে জয়ের নিশ্চয়তাও আছে। আর জয়ী হলে এ পদ ব্যবহার করে অনেক-অনেক কিছু করা যায়। যদিও বিধি মোতাবেক আইন প্রণয়নই একজন এমপির মূল কাজ। তার পরও সবাই নিজের খেয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে কেন এমপি হতে চান? এ বিষয়ে সাধারণ মানুষই আপনাকে অসাধারণ সব ব্যাখ্যা দেবে। তাদের কথার সারমর্ম, এমপি হলে নির্বাচনী এলাকার সব আপনার; আপনিই রাজা-বাদশা। নিজের ও বউ-বাচ্চার নামে অথবা বেনামে গাড়ি, প্লট, বাড়ি ব্যাংক ব্যালেন্স থেকে শুরু করে অনেক কিছু করতে পারবেন। সঙ্গে মেলে আরও অনেক সুকীর্তি-কুকীর্তি করার লাইসেন্স।

এই পরিস্থিতির মাঝে আজ এমন একজন রাজনীতিবিদ সম্পর্কে আলোচনা করবো, যিনি তিন-তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। একবার প্রতিমন্ত্রী ও হুইপের দায়িত্ব পালন করেছেন। আরও মজার তথ্য হলো, প্রত্যেকবারই তিনি এমপি হয়েছেন এমন সময়, যখন তার দল কিংবা জোট ক্ষমতায়। তার পরও এখন তিনি চলেন ভাড়া গাড়ীতে। তার নিজের কোনো গাড়ী নেই, ঢাকায় কোনো বাড়ি, প্লট কিংবা ফ্ল্যাট নেই। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দেওবন্দী ধারার আলেম ও মুফতি, যিনি সংসদ সদস্য-মন্ত্রী-হুইপের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস।

কওমি অঙ্গনের এই তপ্ত-উত্তপ্ত সময়ে মুফতি ওয়াক্কাস একটি আলোচিত নাম। হেফাজতে ইসলামের শীর্ষস্থানীয় যে কয়জন নেতা কারাবরণ করেছেন তিনি তাদের অন্যতম। তিনি একজন সাহসী অভিভাবক, বিদগ্ধ শায়খুল হাদিস ও শিক্ষাবিদ। মেধাবী, সৎ, স্পষ্টভাষী এবং অত্যন্ত আশাবাদী একজন মানুষ। সেই সঙ্গে তিনি অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী এক বটবৃক্ষ। যে বৃক্ষের সাহচর্যে থেকে অসংখ্য মানুষ জ্ঞান আহরণ করেছেন ও করছেন। তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এবং দেওবন্দী আদর্শে বিশ্বাসী আলেম। হক ও হক্কানিয়্যাত তার ধ্যানজ্ঞান।

সমকালীন সময়ে এটা অনেকটা জোর দিয়েই বলা যায়, অনেক রাজনীতিবিদ সত্য কথা বলতে ভয় পান। কিন্তু তিনি নির্ভয়ে কথা বলেন। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নীতি ও আদর্শে তিনি অটল। তিনি আমাদের মুফতি ওয়াক্কাস। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বিষয় নিয়ে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ও আলেম কিছুটা বিরক্ত এবং হতাশ। একান্ত আলাপচারিতায় এ বিষয়ে তাকে আফসোস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। চলমান সময়ের অস্থিরতা নিরসনে তার ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে।

কথা ও ভাষায় কিছুটা কড়া স্বভাবের মুফতি ওয়াক্কাস কওমি সমাজের জন্য আলোকবর্তিকা। এমপি হিসেবে তিনি ছিলেন সব ধরনের লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে। এমপিদের বিরুদ্ধে কত রকমের অভিযোগ থাকে, কিন্তু তার বিরুদ্ধে কখনও কোনো অভিযোগ উঠেনি। এমনকি তার সময়কার অনেকে এমপি দুর্নীতির দায়ে জেল খেটেছেন, সম্পদের হিসাব নিয়ে বিভিন্ন অফিসে হাজিরা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে মুফতি ওয়াক্কাস ব্যতিক্রম। তাকে এসব স্পর্শ করেনি। এই মহীরুহের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে রয়েছে তরুণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয় অনেক কিছু।

মুফতি ওয়াক্কাস যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। সংসারের কনিষ্ঠ সন্তান হিসেবে মো. ইসমাইল মোড়ল-নূর জাহান বেগম দম্পতির স্নেহ একটু বেশিই পেয়েছেন। যেমন এখন পান সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ও শাগরেদদের অবারিত শ্রদ্ধা।
স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখার সূচনা। শিক্ষাজীবনে তিনি যে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তার রীতিমতো বিস্ময়কর। মাদরাসা বোর্ড থেকে দাখিলে (১৯৬৫) সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৩য়, আলিমে (১৯৬৭) সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১ম, ফাজিলে (১৯৬৯) মাদরাসা বোর্ডে প্রথম শ্রেণিতে মেধা তালিকায় ৩য় ও কামিলে (১৯৭১) মাদরাসা বোর্ডে প্রথম শ্রেণিতে মেধা তালিকায় ৩য় স্থান অর্জন করেন। দাখিল পরীক্ষার অবসরে মাত্র ৩ মাসে কোরআনে কারিম হিফজ করেন। ১৯৭২ সালে মণিরামপুর মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাশ করেন।

এরপর মুফতি ওয়াক্কাস তার মুরুব্বি ও মুর্শিদ হজরত মাওলানা তজম্মুল আলী রহমাতুল্লাহি আলাইহির নির্দেশে দারুল উলুম দেওবন্দ গমন করেন ও সেখানে ৪ বছর অধ্যায়ন করেন। ১৯৭৩ সালে ১ম বিভাগে মওকুফ আলাইহি, ১৯৭৪ সালে দাওরায়ে হাদিস (মেধা তালিকায় ৪র্থ), ১৯৭৫ সালে তাকমিল দ্বীনিয়াত (মেধা তালিকায় ১ম) ও ১৯৭৬ সালে ইফতা (মেধা তালিকায় ১ম) শেষ করে মুফতি সনদ লাভ করেন। সময়ের হিসেবে তিনি দেওবন্দে পড়াশোনার সময় শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও শিক্ষকদের পেয়েছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি শায়খ তজম্মুল আলী (রহ.)-এর হাতে বায়াত হন এবং ১৯৮৪ সালে খেলাফত লাভ করেন।

দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে দেশে ফিরে শায়খ তজম্মুল আলী (রহ.)-এর পরামর্শে হেড মাওলানা হিসাবে লাউড়ী কামিল মাদরাসায় যোগ দিয়ে ২ বছর শিক্ষকতা করেন। পরে দারুল উলুম খুলনায় (১৯৭৮-১৯৮৬) ৮ বছর শায়খুল হাদিস, নাজেমে তালিমাত ও প্রধান মুফতির দায়িত্ব পালন করেন। মাঝে কিছুদিন ঢাকা মালিবাগের মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস ছিলেন। ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত যশোরের জামেয়া এজাজিয়া রেলষ্টেশন মাদরাসার শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া নিজের প্রতিষ্ঠিত জামেয়া ইমদাদিয়া মাদানীনগরের মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস। ১৯৮২ সালে জামেয়া ইমদাদিয়া মাদানীনগর প্রতিষ্ঠা করেন মুফতি ওয়াক্কাস। ১৯৮৯ সালে এর বালিকা শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৫ সালে বালিকা শাখায় দাওরায়ে হাদিস এবং ২০০৩ সালে বালক শাখায় দাওরায়ে হাদিস চালু হয়। ২০০৯ সালে ইফতা ও ২০১৪ সনে আরবি বিভাগ খোলা হয়। প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান।
লেখক-মুফতি এনায়েতুল্লাহ

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান পদোন্নতি পেয়ে গাইবান্ধা জেলার- এডিসি

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান পদোন্নতি পেয়ে গাইবান্ধা জেলার- এডিসি

  • মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার:-লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ রবিউল হাসান গাইবান্ধা জেলার সহকারী জেলা প্রসাশক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।২৮ মার্চ ২০২১ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রসাশন-২ এর এক প্রজ্ঞাপনে ৫৭ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি উল্লেখ করা হয়। 


  • কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা জনাব মোঃ রবিউল হাসান স্যারের পদোন্নতি হয়েছে। তাকে গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ  দেওয়া হয়েছে। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কালীগঞ্জ উপজেলাকে  সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালনা করেছিলেন তিনি। কালীগঞ্জ উপজেলায় তিনি মাদক নির্মূলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। তার দায়িত্ব ছিল আমাদের মনে রাখার মত।

  • তার পদোন্নতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পত্রিকা ৭১ ও মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি এর পক্ষ থেকে  স্যারের জন্য প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

নিউজ ডেস্কঃ  বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদারাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এন্ট্রি লেভেলের ৫৪ হাজার ৩০৪টি পদে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৪ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আগামী ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।জানা গেছে, http://ngi.teletalk.com.bd অথবা www.ntrca.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হবে। অনলাইনে সঠিকভাবে ফরম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। ফরম সাবমিটের পর প্রার্থীদের মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে টাকা জমা দেয়াসহ পরবর্তী নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হবে। আবেদনের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা।জানা গেছে, ৫৪ হাজার ৩০৪ পদে শিক্ষক নিয়োগের এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮ হাজার ১৯৯ টি এমপিওভুক্ত শূন্যপদ। ননএমপিও পদ আছ ৬ হাজার ১০৫ টি। এগুলোর মধ্যে ২ হাজার ২০৭ টি এমপিও পদে রিট মামলায় অংশগ্রহণ করা প্রার্থী আবেদনের সুযোগ পাবেন।২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুন এমপিও নীতিমালা জারির আগে যারা সনদ অর্জন করা প্রার্থীরা যাদের বয়স ৩৫ এর বেশি হয়ে গেছে তারাও আবেদনের সুযোগ পাবেন।

ই-আবেদন ফরম পূরণের সময় নামের বানানসহ অন্যান্য তথ্যাদি নিবন্ধন পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় দেয়া তথ্যের অনুরূপ হতে হবে। প্রত্যেক আবেদনের জন্য নির্ধারিত ১০০ টাকা হারে ফি জমা না দিলে আবেদন বৈধ বলে গণ্য হবে না। অনলাইনে সঠিকভাবে ফরম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। ফরম সাবমিটের পর প্রার্থীদের মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে টাকা জমাদানসহ পরবর্তী নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হবে।আবেদন যাচাই বাছাইয়ের পর প্রতিটি পদের বিপরীতে চূড়ান্তভাবে একজনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে। এরপর নির্বাচিতদের মোবাইল ফোনে ম্যাসেজের মাধ্যমে সেই তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে। পরে, নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র প্রকাশ করা হবে।

জেসমিন আকতার এখন জুবায়েদ মণ্ডল

জেসমিন আকতার এখন জুবায়েদ মণ্ডল
বামে পূর্বের ছবি, ডানে বর্তমানের ছবি 

ডেস্ক রিপোর্টঃবগুড়ার আদমদীঘিতে দশম শ্রেণির ছাত্রী জেসমিন আকতার এখন জুবায়েদ মণ্ডল (২০)। নারী থেকে সে পূর্ণাঙ্গ পুরুষে রূপান্তরিত হয়েছে। জুবায়েদ নিজে ও তার পরিবারের সদস্যরা এতে খুব খুশি। উপজেলার শাওইল গ্রামে এ ঘটনাটি প্রচার হওয়ার পর থেকে গত তিনদিন ধরে বাড়িতে কৌতূহলী জনতা ভিড় করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নসরৎপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক জালাল হোসেন মণ্ডল ও মরিয়ম বিবি দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। মেয়ে জেসমিন আকতার ও ছেলে মিজানুর রহমান মিজান।

২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণের পর জেসমিন শাওইল গ্রামে নানা মোবারক আলীর বাড়িতে থাকে। সেখান থেকে বাবা-মা ও ভাইকে দেখতে লক্ষ্মীপুরে যাতায়াত করতেন। জেসমিন স্থানীয় শাওইল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণি ও মিজানুর রহমান মিজান ধনতলা আলিম মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।

করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে স্কুল ও মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় জেসমিন নানার বাড়িতে ও ছোট ছেলে মিজান লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে রয়েছে। এ অবস্থায় জেসমিনকে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্র খোঁজার কাজ চলছিল।

পরিবারের সদস্যরা জানান, গত চার মাস আগে হঠাৎ করে জেসমিন আকতারের কণ্ঠস্বর বদলে যেতে শুরু করে। কণ্ঠস্বর, চলাফেরা ও আচার-আচরণ ছেলেদের মত হতে থাকে। প্রায় ৪৫ দিন আগে তার শারীরিক গঠন পরিবর্তন হয়ে ছেলেদের মতো হয়ে যায়।
জেসমিন বিষয়টি তার নানা মোবারক আলীকে অবহিত করে। তাকে ঢাকার শাজাহানপুরে ইসলামী হাসপাতালের চিকিৎসক সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদের কাছে নেওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা জানতে পারেন, শরীরে অতিরিক্ত পুরুষ হরমোন থাকায় সে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে।

চিকিৎসক বিষয়টি নানা মোবারক আলীকে জানিয়ে বলেন, হরমোনের কারণে ১৪ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে লিঙ্গান্তর হয়ে থাকে।

বাড়িতে এনে জেসমিন আকতারের নাম পরিবর্তন করে জুবায়েদ মণ্ডল রাখা হয়। চুল ছোট করে কেটে ছেলেদের মত পোশাক দেওয়া হয়। দরিদ্র পরিবারের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইতে থাকে। বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীরা তাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করছেন।

ছেলেতে রূপান্তর হওয়া জুবায়েদ মণ্ডল জানায়, লেখাপড়ার পাশাপাশি সে নিয়মিত নামাজ আদায় করতো। কিছুদিন আগে জ্বর আসার পর শরীরের পরিবর্তন শুরু হয়। এতে সে বুঝতে পারে পুরুষে রূপান্তরিত হচ্ছে। তার এ পরিবর্তনে সে খুব খুশি। এ জন্য সে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানায়।

বড় বোন জেসমিন এখন ভাই জুবায়েদ হওয়ায় ছোট ভাই মিজানও সন্তুষ্ট। এখান তারা দুই ভাই বড় হয়ে দরিদ্র সংসারের হাল ধরবে।

বাবা জালাল হোসেন মণ্ডল জানান, মেয়ে জেসমিন ছেলেতে রূপান্তর হওয়ায় তার নাম রাখেন, জুবায়েদ মণ্ডল। তিনি আশা করেন, ছেলে জুবায়েদ মণ্ডল এখন মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে লেখাপড়া করে একজন বড় আলেম হবে।

তিনি আরও জানান, তার মাত্র দেড় বিঘা জমি রয়েছে। সংসারে অভাব থাকলেও তিনি তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুখী।

সংসারে মেয়ে সন্তান না থাকা প্রসঙ্গে জালাল মণ্ডল জানান, দুই ছেলেকে বিয়ে করালে তাদের ঘরে মেয়ে সন্তান হবে। আর এতে তার মেয়ে সন্তানের অভাব পূরণ হয়ে যাবে।
তথ্যের উৎসঃ যুগান্তর

সাবেক মন্ত্রী মুফতী মুহাম্মদ ওয়াক্কাস (দা.বা) আর নেই!

সাবেক মন্ত্রী মুফতী মুহাম্মদ ওয়াক্কাস (দা.বা) আর নেই!

ডা.এম.এ.মান্নান
টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি:
জমিয়ত উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশ এর সভাপতি,আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কো চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও ইসলামী ধারার প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুফতী মুহাম্মাদ ওয়াক্কাস(দা.বা) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আজ (৩১ মার্চ) রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভোর ৪.৩০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন।

মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন জমিয়ত নেতা মুফতী ইমরানুল বারী সিরাজী।

মুফতী মুহাম্মাদ ওয়াক্কাস ১৯৫২ সালের ১৫ জানুয়ারি যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ইসমাইল ও মাতা নূর জাহান বেগম।

তিনি যশোর-৫ আসনের সাবেক সাংসদ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী।

ইসলামী ধারার প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ এর মৃত্যুকালে আনুমানিক বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি ৩ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য ছাত্র, গুণগ্রাহী এবং অনুসারী রেখে যান

নাগরপুরে মাস্ক ব্যবহার না করায় জরিমানা করেছেন ইউএনও

নাগরপুরে মাস্ক ব্যবহার না করায়  জরিমানা করেছেন ইউএনও

ডা.এম.এ.মান্না
টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে  মহামারী করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে  মাস্ক ব্যবহার না করার  ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার  (৩০ মার্চ) বিকালে  উপজেলার সদর ইউনিয়নে টাংগাইল-আরিচা রোডে  কলেজগেট এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক বিতরণ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত ই জাহান এর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। 

 এ সময় বাজারে আগত মাস্কবিহীন জনসাধারণ মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় মোট ১৭ টি মামলায় ৪ হাজার  টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত ই জাহান জানান, এ প্রসঙ্গে "করোনা প্রতিরোধে মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষেই এটা আমাদের একটি চলমান প্রক্রিয়া। পরবর্তিতেও এ ধারা অব্যহত থাকবে। 

এ সময় নাগরপুর থানার পুলিশ ও উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন

করোনার চেয়ে ভয়ের কারণ এই ভোটার বিহীন সরকার- মাসুদ অরুন

করোনার চেয়ে ভয়ের কারণ এই ভোটার বিহীন সরকার-  মাসুদ অরুন

তানভীর আহমেদ, মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ বিক্ষোভ  সমাবেশে তিনি বলেন সরকার কর্তৃক নিশংস ভাবে মানুষ হত্যা, হামলা, নারকীয় তান্ডব, এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার হরনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। 
গতকাল  মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের চত্বরে এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপি'র সভাপতি মাসুদ অরুন।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মাসুদ অরুন বলেন, ৪০ টাকার চাল এখন ৬০-৬৫ টাকা এবং রোজার মাসে তা ১০০ টাকা হবে। গত একমাসে তেলের দাম ২০০ টাকা বেড়েছে, সকল ভোগ্যপণ্য লাগামহীন, দুর্নীতি কারণে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছে। 
জনগণ আর করোনাকে ভয় করতে চাই না, এতো অস্থির করোনা কিন্তু মানুষের কাছে ভয়ের কারণ নেই বরং করোনার চেয়ে ভয়ের কারণ এই ভোটার বিহীন সরকার। 
যে সরকার জনগণের দায়িত্ব নিতে চাই না, যে সরকার জনগণের সম্পদ লুন্ঠন করে, যে সরকার ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের উপর দাড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমার বাংলার ছাত্র যুবককে গুলি করে পাখির মত হত্যা করার মত সাহস দেখিয়েছে। 
তিনি বলেন, ১৪ বছর ক্ষমতায় আছেন আমরা এক ফোটা তিস্তার পানি আমরা পাই নাই তাছাড়া  ভারত এক তরফা বাণিজ্য করে যাচ্ছে, সেটাকে বন্ধ করা যায় নাই। আর প্রতি নিয়ত বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সিমান্তে বাংলাদেশীকে বিএসএফ হত্যা করে যাচ্ছে। আপনি বিনা পয়সায় ভারতকে ট্রানজিট দিচ্ছেন। পেয়াজের দাম যখন ১ শত-২ শত টাকা হয়ে যায় মোদী সরকার পেঁয়াজ বন্ধ করে দেয়।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমরা যোগ-বিয়োগ করে দেখলাম একটি মানচিত্র আছে, যে মানচিত্র খেয়ে ফেলার চেষ্টা করছে প্রতিবেশী দেশ। একটি পতাকা আছে, লাল সবুজের পতাকা, আমরা যে জিনিষের জন্য সংগ্রাম করেছিলাম মানুষের স্বাধীনতা, আজ সেই স্বাধীনতা নেই, মানুষের কথা বলার অধিকার নেই।
এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরানো পর্যন্ত জনগণের কোন অধিকার আদায় হবেনা। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ ৫০ বছরের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে, সেই সূবর্ণ জয়ন্তীকে রক্তে লাল করেছেন আপনারা। আমাদের পয়সায় যাদের বেতন হয়, সেই পেটুয়া বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে সবুজের মধ্যে লাল পতাকা রক্তে রঞ্জিত করেছেন।
এই হত্যা কান্ডের সাথে যারা জড়িত, এই তান্ডবের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার করতে হবে। শহীদ পরিবারকে ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। আমাদের চিটাগংগের নেতা শাহাদত হোসেন সহ গত চার দিনে এ দেশের ছাত্র- জনতার নামে যে মিথ্যা মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। 
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জুলফিকার আলী ভুট্টো, দপ্তর সম্পাদক আবু সুফিয়ান হাবু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। 
এসময় জেলা বিএনপি'র সকল ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়া সদর থানায় নতুন ওসি সেলিম রেজার যোগদান

বগুড়া সদর থানায় নতুন ওসি সেলিম রেজার যোগদান
বগুড়া সদর থানায় নতুন ওসি সেলিম রেজার যোগদান
মোঃ সবুজ মিয়া বগুড়া প্রতিনিধিঃবগুড়ার সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগদান করেছেন সেলিম রেজা। তিনি সোমবার সন্ধ্যায় এ দায়িত্ব বুঝে নেন। সর্বশেষ নাটোরের লালপুর থানায় কর্মরত ছিলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ছেলে সিরাজুল ইসলাম ২০০০ সালে পুলিশে যোগদান করেন। এরপর তিনি বরিশাল, নাটোরের গুরুদাসপুরসহ বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন। 

এদিকে সদর থানায় ৯ মাস কর্মরত থাকা ওসি হুমায়ুন কবীর ঢাকার এন্টি টেররিজম ইউনিটে বদলি হয়েছেন।

পটিয়ায় মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর অভিযানে ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেপ্তার

পটিয়ায় মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর অভিযানে ৫ হাজার পিস  ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেপ্তার
পটিয়ায় মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর অভিযানে ৫ হাজার পিস  ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেপ্তার
সেলিম চৌধুরী, স্টাফ রিপোর্টারঃ-মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম এর উপপরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকার   এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং পরিদর্শক  সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম (খ-সার্কেল, পটিয়া) এর একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটিয়া'য় ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) পিস ইয়াবা সহ কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়ছে। মাদক ব্যাবসায়িরা  চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ইয়াবাগুলো ট্রানজিট করতেছিলো। ইতিপূর্বেও তারা ইয়াবা পাচার করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোঃ তৈয়ব (৩৫), পিতাঃ মৃত সুলতান আহমদ, মাতাঃ হীরা বানু, সাংঃ হাতিয়ার ঘোনা(এনামুল্লার বাড়ি), ওয়ার্ড নং-০২, টেকনাফ ইউনিয়ন পরিষদ, থানাঃ টেকনাফ, জেলাঃ কক্সবাজার, সৈয়দ আলম (২৯), পিতাঃ হাচু মিয়া, মাতাঃ নুর জাহান, সাংঃ ১৫৩ গোদার বিল, ওয়ার্ড নংঃ ০৬, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদ, থানাঃ টেকনাফ, জেলাঃ কক্সবাজার। 

এ-ই দুইজন ইয়াবা ব্যবসায়িকে ৩০ মার্চ মঙ্গলবার  সন্ধ্যা প্রায় ৭ ঘটিকায় ৫,০০০ পিস ইয়াবাসহ পটিয়া থানাধীন মোজাফরাবাদ মেসার্স নজরুল এন্ড কোম্পানি ফিলিং স্টেশন এর বিপরীতে হানিফ বাস থেকে গ্রেফতার করেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। 

নওগাঁর আত্রাইয়ে করোনা মোকাবেলায় ইউএনও'র মাস্ক বিতরণ

নওগাঁর আত্রাইয়ে করোনা মোকাবেলায় ইউএনও'র মাস্ক বিতরণ
নওগাঁর আত্রাইয়ে করোনা মোকাবেলায় ইউএনও'র মাস্ক বিতরণ

মোঃ ফিরোজ হোসাইন রাজশাহী ব্যুরোঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসচেতনতা সৃষ্টি সহ মাস্ক বিতরণ করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ইকতেখারুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৩০ শে মার্চ )সন্ধ্যায় উপজেলার নওদুলী বাজার এলাকায় এসব মাস্ক বিতরণ ও মসজিদে স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে আলোচনা করা হয়।উপজেলা কর্মকর্তা জানান, সারা বিশ্ব কোভিড-১৯ এর বিরদ্ধে যুদ্ধ করছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দৃঢ়তার সাথে তা মোকাবেলা করছে বাংলাদেশ।

বৈশ্বিক এই দুর্বিপাকে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে শুর থেকেই নিরলসভাবে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। সাম্প্রতিক সময়ে আবারও ছড়িয়ে পড়েছে বৈশ্বিক মহামারি করোনা।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর প্রকোপ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন এর উদ্যোগে উপজেলার নওদুলী বাজার এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ইকতেখারুল ইসলামের নেতৃত্বে মাস্ক বিতরণ ও জনসচেতনতামূলক প্রচারনা করা হয়।

এসময় যাদের মুখে মাস্ক ছিল না তাদেরকে মাস্ক পরিয়ে দেয়াসহ সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রোধে নিজ ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে জনসাধারণকে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান কর্মকর্তা৷ 

নওগাঁয় বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশ বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক

নওগাঁয় বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশ বিএনপির সংঘর্ষে  রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক
নওগাঁয় বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশ বিএনপির সংঘর্ষে  রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক
রাজশাহী ব্যুরোঃ নওগাঁয় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।এতে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।৩০ মার্চ,মঙ্গলবার,দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির দলীয় কার্যালয় শহরের কেডির মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের গুলিতে হেফাজত কর্মীদের নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির কার্যালয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল এসে একত্রিত হয়। পরে সেখান থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। বিক্ষোভকারীরাও পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল বিএনপির পার্টি অফিসে এসে একত্রিত হয়। পরে পার্টি অফিস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।এ সময় রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আমাদের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, মিছিল বের করতে নিষেধ করা হয়েছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই এমনটা করা হয়। কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহতের ঘটনা ঘটেছে।

পটিয়ার সুচক্রদন্ডীতে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ আহত-৫

পটিয়ার   সুচক্রদন্ডীতে প্রতিপক্ষের  হামলায় মহিলাসহ আহত-৫

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ- চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড সুচক্রদন্ডী এলাকায় মাদক ব্যাবসায়ির হামলায় মহিলাসহ ৫জন গুরুত্বর আহত হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে  ৩০ মার্চ মঙ্গলবার  বিকাল ৩টায়। আহতরা হলেন, রেখা সেন, বাবলা সেন,দীপ্তি সেন,আনন্দ সেন,নন্দন সেন।আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা জন্য প্রেরণ করে। এঘটনায় রেখা সেন বাদী হয়ে একই এলাকার  কানু সেন, বিক্রম  সেন,  চুমকি সেন, তাপসী সেন এর বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি  অভিযোগ  দায়ের করেছে। অভিযোগ সুএে ও বাদী রেখা সেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কানু সেন ও  বিক্রম সেন যৌথভাবে মাদক সেবন ও ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। মাদক সেবন করে কানু সেন ও বিক্রম সেন রেখা সেন'কে প্রায় সময় গালিগালাজ করে। এর ধারাবাহিকতা ৩০ মার্চ রেখা সেন'কে গালিগালাজ করলে সে এর প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র-শস্র দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে  রক্তাক্ত জখম করে বলে থানার দায়েরকৃত অভিযোগ সুএে প্রকাশ। বিষয়টি  পটিয়া থানার এস আই মুক্তার হোসেন তদন্ত করছেন তিনি স্বীকার  করেন। রেখা সেন অভিয়োগ করে বলেন,  বিক্রম সেন কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য এবং বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত তার এসমস্ত কিছুর প্রতিবাদ করলে তাকে নানান ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন হত্যার হুমকি ধামকি দেয়। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন  তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানান। 

পটিয়ার পাইকপাড়ায় মাতৃসদন সার্জিক্যাল হাসপাতালের যাত্রা শুরু

পটিয়ার পাইকপাড়ায় মাতৃসদন সার্জিক্যাল হাসপাতালের যাত্রা শুরু

সেলিম চৌধুরী স্টাফ রিপোর্টারঃ স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত মা-শিশুদের জন্য চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরে বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠান মুছা-নুর ছেমন স্বাস্থ্য সেবা কমপ্লেক্স মাতৃসদন হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়েছে। ২০ শয্যার এই ক্লিনিকের উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. তাসলিম চৌধুরী। শনিবার দুপুরে পটিয়া সদরের পাইকপাড়া এলাকায় হাসপাতাল ভবনে ৩য় তলায় এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আায়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাতা ডা: তাসলিম চৌধুরী বাবা ও সাবেক ১৪ নং পটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (বর্তমানে পটিয়া পৌরসভা) চেয়ারম্যান আবু মুছা চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ছিলেন পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল, বিশেষ অতিথির ছিলেন চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল আলীম, হৃদরোগ চিকিৎসক এ কে এম নাছির উদ্দিন, সার্জন ডা: জাহাঙ্গীর উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা: রোকেয়া চৌধুরী, চমেক হাসপাতালের ইউরোলজিষ্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা: কাজী মোহাম্মদ মনোয়ারুল করিম বাবর, আবৃত্তিকার গৌতম চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ডা: তিমির বরণ চৌধুরী, কাউন্সিলর শফিউল আলম, নারী কাউন্সিলর ইয়াছমিন আকতার চৌধুরী, ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রনব দাশ, ডা: আইয়ুব নবী, ডা: জয় দত্ত বড়–য়া সুমন, ডা: সাইফুদ্দিন সুজা, ডা: এ কে এম মাইন উদ্দিন রনি, ডা: সাকিব, ডা: সানাম, সাবেক ইউপি সদস্য পুলক দেব প্রমুখ।

পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল বলেন, 'পাইকপাড়া, দক্ষিনঘাটা, মাঝেরঘাটা, ভাটিখাইন, ছনহরা, শোভনদন্ডীসহ দক্ষিন চট্টগ্রামের মা এবং শিশুস্বাস্থ্যের চিকিৎসায় কষ্ট এবং ভোগান্তির শেষ ছিল না। আমার মনে হয় সেবাকেন্দ্রটি চালু হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি কমবে। দোরগোড়ায় বসে মানুষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ভালো চিকিৎসা পাবে।'

অধ্যাপক আবদুল আলীম বলেন, 'তৃণমূল পর্যায়ে গরিব-দুস্থ মানুষের সেবা করার লোক পাওয়া যায় না। সেদিক থেকে চিন্তা করলে ডা: তাসলিম চৌধুরী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ সেবাকেন্দ্র সাধারণ মানুষের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।'

ডা: তাসলিম চৌধুরী বলেন, 'এই অঞ্চলের নারীরা অনেক বেশি রক্ষণশীল, তাই আমরা সম্পূর্ণ নারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সেবিকাদের দ্বারা অস্ত্রোপচার, পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ মানসম্পন্ন চিকিৎসা প্রদান, গর্ভকালীন জরুরি, সময়োপযোগী চিকিৎসার প্রয়োজনে গর্ভবতী মায়েদের তালিকা তৈরি করে সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে অগ্রসর ভূমিকা রাখতে চাই। এমনকি গর্ভবতী মায়েদের সন্তান প্রসবের সময় প্রয়োজনে আমরা তাৎক্ষণিক নিরাপদ রক্তদানের ব্যবস্থাও নিশ্চিত করব।' তিনি আরও বলেন, জরায়ুতে বাচ্চার আড়াআড়ি অবস্থান, গর্ভকালীন খিঁচুনি, উচ্চ রক্তচাপ, বাচ্চার গর্ভকালীন সঠিক অবস্থান নির্ণয়, গর্ভকালীন বাচ্চার অপুষ্টি ইত্যাদি চিহ্নিত করে, মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এ সেবাকেন্দ্র ভূমিকা রাখবে।

গত ৪ বছর আগে তিনি নিজের গ্রামের বাড়িতে বাবা মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেন মুছা-নুর ছেমন স্বাস্থ্য সেবা কমপ্লেক্স।তারপর থেকেই এখানে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। করোনাকালেও বন্ধ করেননি চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম। রোগীদের জন্য সব সময় খোলা রেখেছেন তার প্রতিষ্ঠানের আউটডোর ও ইনডোর সেবা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোগী দেখে চলেছেন নিয়মিত। সেই সঙ্গে নরমাল ডেলিভারি করিয়েছেন। অপারেশনও করছেন নিয়মিত। করোনাকালীন সময়ে তিনি গর্ভবতী নারী, প্রসূতি মা ও শিশুসহ সব ধরনের রোগীদের সেবা দিয়েছেন। পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির পরামর্শও দিয়ে যাচ্ছেন। ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে প্রসূতি ও ধাত্রীবিদ্যায় তিনি নিয়েছেন উচ্চতর ডিগ্রি। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি ডা. তাসলিম চৌধুরী নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে।

৬১ ভারতীয় জেলে কারাগার থেকে মুক্ত, মোংলা থেকে ফিরছেন নিজ দেশে

৬১ ভারতীয় জেলে কারাগার থেকে মুক্ত, মোংলা থেকে ফিরছেন নিজ দেশে

মোঃএরশাদ হোসেন রনি , মোংলাঃ       বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের দায়ে তিন দফায় আটক ৬১ ভারতীয় জেলেকে মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মুক্ত এসব জেলেকে ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেন বাগেরহাট কারা কর্তৃপক্ষ। 
বাগেরহাট কারাগারের জেলার একে এ এম মাসুম জানান, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের দায়ে প্রথম দফায় গত বছরের ৩ ডিসেম্বর কোষ্টগার্ড সদস্যরা 'এফ,বি মা শিবানী' নামের একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৭ ভারতীয় জেলেকে আটক করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন। এরপর কোষ্টগার্ড সদস্যরা ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় 'এফ,বি মঙ্গল চন্ডি - ৭' নামের একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৬ ভারতীয় জেলেকে আটক করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারী কোষ্টগার্ড সদস্যরা 'এফ,বি সঙ্খ দ্বীপ' ও 'এফ,বি স্বর্ণলতা' নামের দুটি ফিশিং ট্রলারসহ আরো ২৮জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন। তিন দফায় আটক ৬১ ভারতীয় জেলে এতোদিন বাগেরহাট কারাগারে আটক ছিলেন।

নওগাঁয় বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী আহত ও গুলিবিদ্ধ - ১

নওগাঁয় বিএনপির  অর্ধশত নেতাকর্মী আহত ও গুলিবিদ্ধ - ১

রহমতউল্লাহ নওগাঁ' নওগাঁয় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা  দেওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে  এক পর্যায়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়ে  ওঠেন ইটপাটকেল নিক্ষেপ, গাড়ী ও দোকানপাট ভাংচুর শুরু করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে বিএনপির একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪০-৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

আহ-তরা বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীর রয়েছেন। বিক্ষোভ মিছিল ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনারপর বিএনপির তিনজন নেতাকর্মীকে আটক করছে পুলিশ।মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।


জানাগেছে, সারাদেশে মানুষ হত্যা, খুন-গুমের প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নওগাঁ জেলা বিএনপির আয়োজনে দলীয় কর্যালয়ের সামনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় উপস্থিত পুলিশ সদস্য তাদের মিছিলে বাঁধা প্রদান করে এবং দলীয় কার্যালয় থেকে চলে যেতে বলেন।

পুলিশ বিক্ষোভ সমাবেশে বাধা প্রদান করায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও ফাঁকা গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।এসময় দফায় দফায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদেও মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘটিত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করে পরিস্থিততি নিয়ন্ত্রন করাহয়।

জেলা যুবদলের সভাপতি বায়োজিদ হোসেন পলাশ বলেন, সারাদেশে মানুষ হত্যা, খুন-গুমের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নওগাঁয় দলীয় কর্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ন বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাঁধা প্রদান করে ও নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়, এতে আমাদে একজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং অন্তত ৪০-৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনায় জড়িত থাকায় ঘটনারপর তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রকিবুল আক্তার বলেন, বিএনপির সমাবেশ চলাকালে নেতাকর্মীরা কোন রকম উষ্কানি ছাড়াই অতর্কিত ভাবে পুলিশের উপর হামলা চালায় এঘটনায় অন্তত ৫-৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। এই নাশকতার সাথে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

পবিত্র ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে

পবিত্র ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে

মামুনুর রশিদ,দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥- দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, পবিত্র ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অদম্য ও অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে প্রত্যেক গ্রামকে শহরে পরিণত করা হচ্ছে যাতে মানুষের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পায়। এই উন্নয়নে কেউ বাঁধা সৃষ্টি করলে পরিমাণ শুভ হবে না।
৩০ মার্চ মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় মুকুন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্মিত কমপ্লেক্স ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এমপি গোপাল আরও বলেন, শেখ মুজিবের সোনার বাংলাকে নিয়ে ফের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সেই পাকিস্তানের রয়ে যাওয়া কিছু প্রেতাত্মারা। যারা আজ হেফাজত, জামায়াত-শিবির নামে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। আজকে সেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীরা আবারো ফণা তুলছে। কিন্তু তারা বাঙালির আসল চেহারা এখনো দেখেনি। বাঙালি যদি ফণা তুলে দাঁড়ায় তাহলে তারা এবার আর রক্ষা পাবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুকুন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম ফারুক।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সদস্য মীরা মাহবুব, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজেন্দ্র দেব নাথ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার মিত্র, রামচন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান বাবুল, মুকুন্দপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি পুরণ চন্দ্র রায়, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিমা আক্তার, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ জেলা শাখার সভাপতি মো. কামাল হোসেন প্রমুখ।





আশাশুনি সদরের দয়ার ঘাট রিং বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

আশাশুনি সদরের দয়ার ঘাট রিং বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

আহসান উল্লাহ বাবলু, আশাশুনি সাতক্ষীরা  প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের দয়ারঘাট রিং বাঁধ এর পাঁচটি পয়েন্ট ভেঙ্গে দয়ার ঘাট ও জেলে খালি গ্রাম প্লাবিত। মঙ্গলবার দুপুরে প্রবল জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দয়ারঘাট রিং বাঁধ ভেঙে জেলেখালি দয়ার ঘাটের সমগ্র এলাকা প্লাবিত হয়। দুই গ্রামের ৩৫০ ঘর প্লাবিত ও প্রায় ১৫ শত মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। ভেসে গেছে অসংখ্য মৎস্য ঘের। পানিবন্দি অসহায় মানুষ এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।

 উল্লেখ্য বিগত আম্পানে আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের দয়ার ঘাট বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর দিন কাটাতে থাকে। সেসময় আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম এর নেতৃত্বে সদর ইউপি চেয়ারম্যান স,ম সেলিম রেজা মিলন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দসহ স্থানীয় সকল রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে পানিবন্দি বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে রক্ষার জন্য রিং বাঁধের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু প্রবল জোয়ারের তোড়ে ঐ রিং বাঁধের পাঁচটি পয়েন্টে ভেঙে দুইটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং অসংখ্য মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েছে।

ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম বলেন আমি প্রতিটি দুর্যোগকালীন সময়ে আপনাদের পাশে ছিলাম আছি এবং থাকব। তিনি বানভাসি মানুষের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় খাবার ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খাঁন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় কে অবহিত করেছি তিনি পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন আমি ওয়াপদা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি মূল বাঁধের কাজ দ্রুত শুরু হবে। মানুষ যাতে খাদ্যাভাবে না ভোগে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন সুলতানা,থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবির। সদর ইউপি চেয়ারম্যান স,ম সেলিম রেজা মিলনের নেতৃত্বে ভেঙে যাওয়া পাঁচটি পয়েন্টে রিং বাঁধের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বলেন এলাকায় মাইকিং করে পর্যাপ্ত লোক নিয়ে ভেঙে যাওয়া রিংবাঁধের পাঁচটি পয়েন্টের কাজ শুরু করেছি। আমরা আশাবাদী পরবর্তী জোয়ারের আগে ভেঙ্গে যাওয়া  রিং বাঁধ সংস্কার করা সম্ভব হবে।

অবাধে চলছে মধুপুরে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব

অবাধে চলছে মধুপুরে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব
অবাধে চলছে মধুপুরে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব
আঃ হামিদ,মধুপুর( টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে অবাধে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোন ফসলের জমি কেটে পুকুর খনন অথবা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবেনা। অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১১টি পয়েন্টে আবাদি জমি সহ নদী খনন ও পাহাড় কাটার মতো মহোৎসব চলছে। যা মধুপুর উপজেলায় অতীতে দেখা যায়নি। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এবং প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়েই দিনরাত মাটি ভর্তি ট্রাক ও হাইড্রোলিক  চলছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। 

গ্রামের বিভিন্ন কাচাপাকা রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মাটি ভর্তি অতিভারী লাইসেন্স বিহীন হাইড্রোলিক ও ট্রাক দিনরাত চলাচলের ফলে নতুন ও সংস্কার করা পাঁকা রাস্তা গুলো ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে। রাস্তার ধুলোমাটিতে আশপাশের বাসাবাড়ি, দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাঝে মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেও তা ঘন্টা খানেকের মধ্যে আবারও বীরদর্পে শুরু করে মাটি কাটা। এই সকল ভূমি দস্যুদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হওয়ার কারণেই মাটি কাটা বন্ধ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। 

মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় প্রায় ১১টি পয়েন্টে এক্সক্যাভেটর (ভ্যেকু)দিয়ে ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে জমির উর্বরতা নষ্ট করা হচ্ছে যা আইন বহির্ভূত।এই মাটি বেশির ভাগই চলে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। মাটি ব্যবসায়ীগন এক শ্রেণীর দালালের মাধ্যমে জমির মালিককে লোভ দেখিয়ে কখনও বা বেকায়দায় ফেলে ৬ থেকে ৮ ফুট গর্ত করে মাটি বিক্রি করতে বাধ্য করছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন এক টুকরো জমিও ফাকা রাখা যাবেনা, সেখানে মাটি কাটার কারনে আবাদি জমি প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে।  

এলাকাবাসীর অভিযোগ নতুন পাকা রাস্তা গুলো ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে এবং দিনরাত মাটি ভর্তি হাইড্রোলিক গাড়ি চলাচলের কারনে ধুলোমাটিতে বাড়ি ঘর ভরে যাচ্ছে ও খাবার বিনষ্ট হচ্ছে। মধুপুরের প্রায় সবগুলো ইটের ভাটা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে চালিয়ে যাচ্ছে।  এলাকাবাসীর দাবি  খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে  অবাদে মাটি কাটা  বন্ধ করা না হলে মানববন্ধনের কর্মসূচী দিবে এমনটাই জানিয়েছেন কয়েকজন ভোক্তভোগী।

ঝালকাঠিতে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনে নেতাকর্মীদের রাস্তায়ই নামতে দেয়নি পুলিশ

ঝালকাঠিতে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনে নেতাকর্মীদের রাস্তায়ই নামতে দেয়নি পুলিশ

মো. নাঈম হাসান ঈমন ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি: বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের আয়োজন জেলা বিএনপি। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পুরাতন কলেজ রোডস্থ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন'র চেম্বারে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। পুলিশের একাধিক টিম চেম্বারের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয়। এতে নেতাকর্মীরা চেম্বারের মধ্যেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এতে বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক ভিপি মাহবুবুল হক নান্নু, জেলা বিএনপির আহব্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন, সদস্য ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-০১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জামাল, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, সদস্য ও জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক শামীম তালুকদার, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিচুর রহমান খান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম আজম সোহানসহ বিএনপি সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন জানান, বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচীর আয়োজন করলে সরকারের পেটোয়াবাহিনী পুলিশ নেতাকর্মীদের আসতে পথে পথে বাধা সৃষ্টি করে। কয়েকটি ট্রলারঘাট বন্ধ করে। সড়ক পথেও চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশীর নামে হয়রানি করে। এজন্য অনেক নেতাকর্মী আসতে পারেনি। আহব্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন জানান, সারাদেশে আলেম ওলামাদের উপর সরকারের বর্বর আচরণের প্রতিবাদে বিএনপি সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরাও বিক্ষোভের আয়োজন করলে পুলিশ আমাদের তা করতে দেয়নি। পথে পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী তাতে আসতে পারেনি। আমরা এধরনের আচরনের তীব্র নিন্দা জানাই। সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের প্রাণহানিসহ অসংখ্য লোক আহত হয়েছেন। বিএনপি এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। একর্মসূচী পালনের আয়োজন করলে পুলিশ বাধা দিয়ে তারা আমাদের গৃহবন্ধী করে রাখে। পথে পথে বাধা সৃষ্টি করে নেতাকর্মীদের হয়রাণি করে। বিদেহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফ্যাসীবাদী সরকারের প্রতি ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানান তিনি। ঝালকাঠি সদর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আব্দুল হালিম তালুকদার বিএনপি নেতৃবৃন্দের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা রাস্তায় দায়িত্ব পালন করছি।

রাজাপুরে ইউপি মেম্বর প্রার্থীর প্রচার মাইক-অটো ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ

রাজাপুরে ইউপি মেম্বর প্রার্থীর প্রচার মাইক-অটো ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ

মো. নাঈম হাসান ঈমন ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্তগড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের তালা প্রতীকে মেম্বর পদ প্রার্থী মোঃ তরিকুল ইসলাম রিয়াজ মৃধার প্রচার মাইক ও অটো ভাঙচুর ও অটোচালক মারধরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেম্বর পদ প্রার্থী মোঃ তরিকুল ইসলাম রিয়াজ মৃধা বলেন, আমি ও আমার পরিবারের লোকজন যুগ যুগ ধরে আওয়ামিলীগ দল করে আসছি। এলাকায় আমার প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাতে আমার প্রতিপক্ষ নব্য আ'লীগ ও জামায়াত-বিএনপি'র নেতাকর্মী পিংড়ি গ্রামের আলমগীর খলিফার ছেলে কাওসার হোসেন ওরফে নয়ন খলিফা (৩৫), এস্কান্দারের ছেলে মুরাদ (৩০) ও জলিল হাওলাদারের ছেলে টুকু হাওলাদারসহ (৩২) অরো অজ্ঞাত ৩/৪ ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে পিংড়ি গ্রামের মাঝু হাওলাদারের বাড়ির সামনে প্রচারনায় মাইকসহ অটোগাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং চালককে মারধর করে তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অপকর্মের একাধিক মামলা রয়েছে। এদের কাছে এলাকাবাসি ভয়ে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে কেউ কোন সাক্ষি বা থানায় কোন মামলা করার সাহস পাচ্ছে না। এরা এমন কোন খারাপ কাজ নেই যাহা তারা করতে পারে না। প্রতিপক্ষের লোকজন বর্তমানে আমাকে হত্যাসহ আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ও বসতঘরে অগ্নি সংযোগ করার হুমকি দিচ্ছে। নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে আমাকে এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আমার জনপ্রিয়তা বেশী বলে গত নির্বাচনেও তারা আমার উপরে হামলা ও বিভিন্ন রকম হয়রানি করে আমাকে বিজয়ী হতে দেয়নি। মেম্বর প্রার্থী মোঃ তরিকুল ইসলাম রিয়াজ মৃধা লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, সোমবার গভীর রাতে এলাকার একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে কে বা কাহারা অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। সেই বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষরা মিথ্যা মামলা দেয়ারও হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে প্রতিপক্ষের লোকজনের তান্ডবের ভয়ে আমি, আমার পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজন আতংকিত হয়ে পড়েছি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আইনি সহযোগীতা কামনা করেছেন তিনি। অভিযোগের বিষয়ে কাওসার হোসেন ওরফে নয়ন খলিফা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে, এসব ঘটনায় তারা জড়িত না। রাজাপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত করেছে। আসামী গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।

নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাটে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার ১২ আসামি রিমান্ডে

নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাটে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার ১২ আসামি রিমান্ডে
সাংবাদিক বুরহানুদ্দিন মুজাককির

আব্দুল জব্বার, স্টাফ রিপোর্টার।।নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

সোমবার দুপুরে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক এস এম মোসলে উদ্দিন মিজান আসামিদের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা ইউনিয়নের ইউসুফ নবী বাহাদুর, একই এলাকার আলমগীর হোসেন, রাহাত, আজিজুল হক মানিক, আবদুল আমীন, মোশারফ হোসেন, সুজায়েত উল্যাহ সবুজ, বিক্রম চন্দ্র ভৌমিক, চরকালী গ্রামের ফয়সাল আলম টিটু, মাসুদুর রহমান,  সেলিম ও চরকাঁকড়ার দেলোয়ার হোসেন।

পিবিআই'র পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মুজাক্কির হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১২ আসামির তিন দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। 

শুনানি শেষে আদালতের বিচারক এস এম মোসলে উদ্দিন মিজান আসামিদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়।

ওই ঘটনার পরের দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নাগরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নব গঠিত কমিটির আনন্দ র‌্যালী

নাগরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নব গঠিত কমিটির আনন্দ র‌্যালী

হাসান সাদী  নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের নব গঠিত কমিটির আনন্দ র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার,৩০ মার্চ  সকালে আনন্দ র‌্যালীটি উপজেলার গেট থেকে বের হয়ে নাগরপুর বাজারের প্রধান প্রধান মোড় প্রদক্ষিণ করে।

আনন্দ র‌্যালীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক মো. উজ্জল মোল্লা, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাবর আল মামুন, সাধারন সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. আনিসুজ্জামান তুহিন উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দ র‌্যালী শেষে উপজেলা মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও আজ নাগরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি পেয়ে সবাই খুশি। আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে এই কমিটি ভূমিকা রাখবে।টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ আহসানুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে এই কমিটি এগিয়ে যাবে বলে বক্তারা আশাব্যক্ত করেন।

 গত রবিবার জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে নাগরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষনা করেন। সভাপতি আজিম হোসেন রতন, সাধারন সম্পাদক মো. সজীব মিয়া, সহ সভাপতি মো.খায়রুল ইসলাম,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মো.খালীদ সহ ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেন টাংগাইল  জেলা ছাত্রলীগ।